নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই.......

ভালকে সমর্থন এবং খারাপকে বর্জন করতে শিখুন ।

অবলা পুরুষ

ভালবাসি আমার এই বাংলা মাকে এবং যারা আমার এই বাংলাকে ভালবাসে। আর ঘৃনা করি তাদের যারা এই বাংলায় আঘাত হানে অথবা চায় ।

অবলা পুরুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘাড় ব্যথার লক্ষন, কারন ও প্রতিকার (যারা দীর্ঘক্ষন টেবিলে বসে কাজ করি তাদের জন্য জরুরী)।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

বহুজাতিক কোম্পানির বিরাট পদের অধিকর্তা আফজাল সাহেব। আজকাল প্রায়ই ঘাড়ের ব্যথায় ভোগেন। চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি জানান, এটা সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিসের কারণে হয়েছে। আফজাল সাহেব জানান, সারাদিন অফিসের বাইরে তিনি কিছুই করেননা। তার এ রোগের কারণ জানা গেলো, একনাগাড়ে অনেক সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করার কারণে তার এ সমস্যা হয়েছে। আমাদের অনেকেই এ সমস্যাতে ভুগছি।



সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিসঃ-

ঘাড় ব্যাথার অন্যতম প্রধান কারন হল সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিস। মেরুদন্ডের ক্ষয় রোগ হল স্পন্ডাইলোসিস আর মেরুদন্ডের ঘাড়ের অংশের ক্ষয়কে বলে সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস।আমাদের মেরুদন্ড গঠিত হয় হাড়, মাংশপেশী, হাড়ের জোড়া ইত্যাদি নিয়ে।



সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের কারণঃ-

বয়স বাড়ার রোগ এটি। স্পন্ডাইলোসিসের পরিবর্তন শুরু হয় ৪০ বৎসর বয়সের পর থেকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর আগেও শুরু হয় হাড়ের ক্ষয়।

আনুপাতিক হার পুরুষ বা মহিলা রোগীদের মধ্যে প্রায় সমান সমান।



যে পেশার মানুষের বেশি হয়:

ঘাড় সামনে ঝুকিয়ে কাজ করতে হয় এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগটি বেশী দেখা যায়।যেমন- শুধুমাত্র চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করে এমন এক্সিকিউটিভ, কম্পিউটারে একনাগাড়ে কাজ ইত্যাদি।ঘাড়ের ঝাকুনি হয় এমন পেশা যেমন নর্তকী, মোটরসাইকেল বা সাইকেলে চলাচল করতে হয় এমন পেশা ইত্যাদি।।

রোগীদের ঘাড়ের আঘাতের ইতিহাস থাকে অনেক ক্ষেত্রে।



উপসর্গ:

ঘাড়ের ব্যাথা অনেক সময় কাঁধ থেকে উপরের পিঠে, বুকে , মাথার পিছনে বা বাহু হয়ে হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।ঘাড় থেকে হাতে নেমে আসা স্নায়ু বা নার্ভের উপর চাপ পড়লে পুরো হাতেই ব্যাথা হতে পারে।



সার্ভিক্যাল স্পন্ডোলাইসিসের সবচেয়ে মারাত্মক দিক হল যখন স্পাইনাল কর্ডের উপর চাপ পড়ে। হাত পায়ে দূর্বলতা, হাঁটতে অসুবিধা হতে পারে। পায়খানা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।



ঘাড় নাড়াতে গেলে ব্যাথা লাগে। ডানে বায়ে ঘাড় ঘুরাতে সমস্যা হবে।ঘাড়ে স্থবিরতা লাগে বা জ্যাম মেরে ধরে থাকে।



ব্যাথার সাথে হতে পারে হাতে, বাহুতে ঝিন ঝ্নি, সির সির্, অবশ ভাব, সূচ ফোটানোর অনুভুতি সাথে হাত দিয়ে কাজ করতে অসুবিধা।



লক্ষনঃ-

ঘাড়, পিঠের উপরের অংশ এবং বাহুতে চাপ দিলে ব্যাথা অনূভুত হয়। ঘাড়ের স্বাভাবিক নড়াচড়া ব্যাহত হয়।

অনান্য পরীক্ষাঃ- রক্তের গ্লুকোজ, প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা।

বিশেষ পরীক্ষাঃ-ঘাড়ের এম আর আই, ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি।



চিকিৎসাঃ-

১) ঔষধঃ- ব্যাথার ঔষধ, মাংশপেশী শিথিল করার ঔষধ, দুশ্চিন্তা কমানোর ঔষধ।

২)ফিজিওথেরাপীঃ- ঘাড়ের টানা বা সার্ভিক্যাল ট্রাকশান, শর্ট ওয়েভ ডায়াথার্মি, ম্যাসাজ, ট্রান্সকিঊটেনিয়াস ইলেক্ট্রিক নার্ভ স্টিমুলেশান।



উপদেশঃ-

শক্ত সমান বিছানায় এক বালিশে চিত হয়ে ঘুমাতে হবে।

ঘুমানোর সময় ঘাড়ের নিচে বালিশ দিতে হবে।

দরকার হলে বালিশ নিচে টেনে নামিয়ে ঘাড়ের নিচে নেবেন বা কম উচ্চতার বালিশ ব্যবহার করবেন।

ঘাড় সামনে ঝুঁকিয়ে বেশিক্ষন কাজ করা যাবেনা।

কাজের জায়গায় চেয়ার টেবিল এমন ভাবে রাখবেন যাতে ঘাড় সামনে না ঝুকিয়ে কাজ করতে না হয়।

ব্যথা বেশি হলে ঘাড়ে হালকা গরম সেক দিতে পারেন।

এসময় ঘাড়ের ব্যয়াম বেশ আরাম দেবে।

সার্ভিক্যাল কলার ব্যবহার করা হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর দরকার আছে।



লিঙ্ক লিঙ্ক

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১২

মোরশেদহ্যাপি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।ব্যাকপেইন আরও মারাত্মক আশা করব এ বিষয়ে কিছু লিখবেন।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৫

রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

নাজনীন১ বলেছেন: ভাল একটা পোস্ট। ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৮

রাজকন্যে বলেছেন: খুবই কাজের পোস্ট। এই বেথাটা ভয়ানক যন্ত্রণাময়!

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৫

আহ্‌মেদ সামাদ বলেছেন: আপনার লেখাটি অনেকের কাজে আসবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.