নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই.......

ভালকে সমর্থন এবং খারাপকে বর্জন করতে শিখুন ।

অবলা পুরুষ

ভালবাসি আমার এই বাংলা মাকে এবং যারা আমার এই বাংলাকে ভালবাসে। আর ঘৃনা করি তাদের যারা এই বাংলায় আঘাত হানে অথবা চায় ।

অবলা পুরুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিন্ডারগার্টেন স্কুল :: চলছে নিজেদের ইচ্ছে মত!!!

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

বলতে গেলে সারা দেশেই, বিশেষত শহরাঞ্চল ও মহানগরগুলোতে চাহিদার তুলনায় মানসম্মত সরকারি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচণ্ড অপ্রতুলতার কারণে বেসরকারি পর্যায়ে যত্রতত্র কিন্ডারগার্টেন স্কুল চালু হয়েছে। বাসস্থানের নিকটবর্তী হওয়ায় শিশুদের যাতায়াতের সুবিধা এবং নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে অনেক অভিভাবকই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সন্তানকে এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করান। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা বিষয়ে সরকারি কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এবং ব্যক্তিবিশেষের মর্জিমাফিকে এসব স্কুল পরিচালিত হতে দেখা যায়। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাব্যবস্থায় প্রথম শ্রেণীতে পড়ার আগেই একটি শিশুকে প্লে, নার্সারি ও কেজি—এ তিনটি শ্রেণীতে মোট তিন বছর কাটাতে হয়। প্রতিবছরই প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মোটা অঙ্কের ভর্তি ফিসহ নানা ধরনের চার্জ পরিশোধ করে নতুনভাবে ভর্তি হতে হয়। এসব শিশু শ্রেণীতেও বই-খাতার সংখ্যা কমপক্ষে দু-তিন ডজন, যা স্কুল থেকেই ক্রয় বাধ্যতামূলক করা হয়। এর মধ্যে অনেক স্কুলে কোনো কোনো বই দেওয়া হয়, যা শুধু অপ্রয়োজনীয় নয়, বরং শিশুদের শ্রেণী ও বয়স বিবেচনায় মোটেও মানানসই হয় না। শুধু তা-ই নয়, এসব শিশু শ্রেণীতেও প্রতি সপ্তাহে ‘ক্লাস টেস্ট’ পরীক্ষা ছাড়াও সারা বছরে পার্বিক এবং টিউটোরিয়াল পরীক্ষার নামে মোট সাত-আটবার পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় এবং পরীক্ষার ফি আদায় করা হয়।

প্লে থেকে কেজি শ্রেণীগুলোতে অধ্যয়নরত পাঁচ-সাত বছর বয়সী শিশুদের জন্য এত বইয়ের বোঝা এবং এতবার পরীক্ষা গ্রহণের নামে এত পড়াশোনার চাপ হিতে বিপরীত হয়ে শিশুমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কি না তা ভেবে দেখা দরকার। এ ছাড়া কোনো নীতিমালার আওতায় না থাকায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি এবং বার্ষিক ছুটির ক্ষেত্রেও ব্যাপক ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। এসব অনেক স্কুলে পবিত্র রমজান মাসেও ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ করতে দেখা যায়। শুধু তা-ই নয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগে ও বেতন-ভাতা প্রদানে কোনো নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় না। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে, শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত ও সম্প্রসারণ করার বিকল্প নেই। পাশাপাশি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাব্যবস্থা একটি সুষ্ঠু ও অভিন্ন নীতিমালার আওতায় কত দ্রুত ও কীভাবে এনে তা বাস্তবায়ন করা যায়, তা ভেবে দেখতে হবে।



সূত্র : কিন্ডারগার্টেন স্কুল

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

মদন বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.