![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের অপ্রচলিত অনেক পণ্যই বিশ্বের বুকে জায়গা করে নিয়েছে। সবজি, পান-সুপারি থেকে শুরু করে কাঠের তৈরি আসবাবপত্র শিল্পে প্রতি বছরই বাড়ছে রপ্তানির পরিমাণ। গত ৬ বছরের ব্যবধানে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। ২০০৯ সালে যত টাকার আসবাবপত্র বিদেশে রপ্তানি হয়েছে, ২০১৪ সালে হয়েছে তার প্রায় ৭ গুণ। রপ্তানির ক্ষেত্রে দু-একটি পণ্যের ওপর নির্ভর না হয়ে একাধিক পণ্যের দিকে নজর দেওয়ার কারণেই দেশ এ সুবিধা পেতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে আসবাবশিল্পের এগিয়ে যাওয়া খুবই ইতিবাচক। দেশের আসবাবশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের দাবি, গুণগত মান, যুগোপযোগী নকশায় আসবাবপত্র তৈরির ফলে বাংলাদেশের আসবাব বিদেশিদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে। গত ৬ বছরের ব্যবধানে ৬ দশমিক ৩৫ ভাগ আসবাবপত্র রপ্তানি বেড়েছে। এটাকে বাংলাদেশে আসবাবপত্রশিল্পের জন্য একটি বিপ্লব বলা যায়। এ বিপ্লবের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে শুধু দু-একটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা অনেকাংশেই কমে এসেছে এবং বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা কাঁকড়া, কুঁচের মতো অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি করতেও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আসবাবপত্রসহ অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানিতে যে ধারবাহিকতা চলমান আছে এবং তা ধরে রাখতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এ খাত; কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িসহ সব জায়গাতেই আসবাবপত্রের চাহিদা বেড়েছে। এর ফলে লাখো মানুষের কর্মসংস্থানও বাড়ছে। বর্তমানে এ শিল্পে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ জড়িত রয়েছেন। বর্তমানে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দুবাই, জার্মানিসহ প্রায় বিশ্বের প্রায় ১৬টি দেশে বাংলাদেশি আসবাবপত্র রপ্তানি হচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে রয়েছে বাংলাদেশি আসবাবসহ অপ্রচলিত পণ্যের একটি বড় বাজার।
©somewhere in net ltd.