![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন বাংলার ইতিহাস বহুকাল ধরে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হচ্ছে। কিন্তু এখানে বর্তমান বাংলাদেশটাই অনুপস্থিত! বাংলাদেশের খুব সামান্য অংশ প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের কথা বাদ দিলে, বাকিটুকু বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে ইতিহাস শূন্য হয়ে ছিল বাংলাদেশের মূল ভূ-খণ্ড। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার ধারাবাহিক ইতিহাস ছিল যথারীতি অনুপস্থিত। ইতিহাসের এই শূন্যতা ঘোচাতেই কাজ শুরু করেন ড. শরিফুল ইসলাম। জাতীয় জাদুঘরে অপ্রকাশিত অবস্থায় পড়ে থাকা প্রাচীন মুদ্রা তাম্রলিপির ধুলো পরিষ্কার করে এগুলোর পাঠোদ্ধারে মনোনিবেশ করেন তিনি। সে লক্ষ্যে জাতীয় জাদুঘরের এই কর্মকর্তা সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রাচীন লিপি ও মুদ্রাগুলোতে ক্ষুদাই করা ছিল ঘটনাবহুল অতীত। সেখান থেকে তিনি আবিষ্কার করতে সক্ষম হন প্রাচীন বাংলার বাকি ইতিহাস। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিভৃতে কাজ করে যান শরিফুল। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে একটু একটু করে বেরিয়ে আসতে থাকে ইতিহাস। সম্প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে অতীতর এই ইতিহাস প্রকাশ করেছে এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। এই ৩০০ পৃষ্ঠার বইয়ে পুরোটা জুড়ে বর্তমান বাংলাদেশের মূল ভূ-খণ্ড। খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগকে বর্তমান বাংলাদেশের মূল ভূ-খণ্ড ভাবা হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে বঙ্গ সমতট ও হরিকেল নামে পরিচিত এই অংশের ইতিহাস প্রথমবারের মতো তুলে আনতে সক্ষম হন ড. শরিফুল। এর ফলে যে ইতিহাস উঠে এলো তা গোটা জাতির জন্য গৌরবের, আনন্দের। ইতিহাসটি নিয়ে বহিঃর্বিশ্বে ব্যাপক হইচই দেখা দিয়েছে। তাই স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ে নতুন ইতিহাসটি দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
আজমান আন্দালিব বলেছেন: তাই স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ে নতুন ইতিহাসটি দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি...সহমত জানাই।