![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?
মোড়ের কাছে ওই যে দেখ
চেকপোস্টটা আছে
ওইখানেতেই দাঁড়িয়ে ছিলাম-
একটু আড়াল রেখে
প্রখর রোদ, রুক্ষ ধুলোয় মিশছে শীষার গুঁড়ো,
গাড়ীর ধোঁয়া, অদর্শনেও চোখ জ্বলেছে বড় ।
তবু আমি নাছোড়বান্দা তাকিয়ে অপলকে
যদি দেখি অরূপ...
অন্তর্নিহিত শূন্যতার গভীরে
সাঁতার কাটি,
কখনও প্রবল শৈত্যপ্রবাহে স্থবির, মৃতপ্রায়,
কখনও পুড়ছি চকবাজারের মত
অবিবেচক আগুনে ।
চলি -ফিরি যেন কক্ষচ্যুত কণামাত্র-
অনবধানে নিক্ষিপ্ত হয়েছি অতল গহ্বরে -
ডুবে যাচ্ছি- ডুবে যাচ্ছি , তবু
আলোকবর্ষ...
অক্লান্ত খই ভেজে ভেজে-
ব্যাপক অর্জন কাজ শেষ হয়
আজকের মত, পাখীর ডানায়
ঢেউ ভাঙছে প্রবল-
এসো এবার আয়েশ করা যাক।
অনন্ত পথে স্থবিরতার গতি-
ছুটছে সবাই -পৌঁছে যেতে আগে
যে যার সেতু বেয়ে অপার...
শৈশবে লক্ষ্মন দাসের সার্কাস দেখতে গিয়ে
টানটান বসে থাকতাম, অনড় , অপলক, রুদ্ধশ্বাস!
ছুঁড়ে দেওয়া নিষ্ঠুর ধারালো তলোয়ার অগ্রাহ্য করে
নিস্কম্প দাঁড়িয়ে থাকা তরুনের সেই সাহস,
কিংবা আগুনের গোলা অক্লেশে গিলে...
না, আমি কিছু বলতে আসিনি,
আমি কিছু বলি না, বলতে চাইও না-
তবে এমন নয় যে কিছু বলার নেই,
উপলব্ধ শব্দরাশির গর্জন
গগনবিদীর্ন করে দিলেও -
মেনে নিয়েছি, নপুংষক জীবনে
মূক হয়ে...
আমার জীবনের একটি লক্ষ্য ছিল
যা পূরণ করতে আমি ব্যর্থ হয়েছি।
আমি আসলে কৃষক হতে চেয়েছিলাম ,
নিপুন কৃষক,
আবাদ করতে চেয়েছিলাম -
বিস্তৃত বিরান ভূমি । সিঞ্চন বঞ্চিত
শক্ত পাথরের মত...
কোথাও কি একফোঁটা কান্না
গোপন কৌটোয় লুকিয়ে রেখেছ যত্নে
মধ্যরাতের কোন তারার হাতে
তুলে দেবে বলে?
প্রাণপণে অগ্রাহ্য করা একটি কাঁটা
সময়ে অসময়ে বিঁধে যাচ্ছে তুমুল
অসাবধানী পলল পেলেই?
সাইক্লোনের মত প্রবল...
হরিৎ পত্র রং মাখা টিয়া
বসেছিল এক ডালে
বাতাসের ঢেউয়ে ফের উড়ে চলে
ডালের আন্দোলনে।
হয়তো সে ডানায় -
ক্লান্তির বোঝা বড় ভারী হয়েছিল,
...
সূর্য বেজায় চড়া-
চড়ে যায় রাগ এবং চুলার আগুন ,
চড়ে যায় তাপ কষে শরীরে ও মনে
উত্তপ্ত লাভার স্রোত শিরায় শিরায়-
এখনই সময় , দপ করে
জ্বেলে দেব চারপাশে সর্বগ্রাসী...
অন্ধকারে চোখ পেতে-
দেখে নিতে চাই, দেখা যায় যতদূর
নক্ষত্রের মত বিভ্রমময় ভবিষ্যত ।
কে-জানে-কতদূর থেকে বহুদূর
ভেসে যেতে যেতে
দমকা বাতাস ছুঁয়ে -ছেনে
অক্লেশে ছুটে...
(ছবি- নেট হতে সংগৃহীত)
রাতের সাথে সাথে ছুটছে দিন
আলোর সাথে সাথে অন্ধকার ।
দিগন্তে উদ্দাম বাতাস বাধাহীন
এপাশে বসে ঠায় বন্ধ দ্বার।
ঘোলাটে দৃষ্টিতে তাকিয়ে শূন্যে
বিবর্ণ কত...
-
শংকিত রাতের পর দ্বিধান্বিত আলো ফুটছে,
বারুদের গন্ধে ধুঁকছে প্রার্থনারত ভোরের বাতাস ।
ধুলায়, ধোঁয়ায় সূর্য অনেকটা ম্লান-
নাকি অক্ষম বেদনায়?
হামাগুডি দেওয়া শিশুটি ,
আলো ফোঁটার আগে ডানায় ঢেউ তোলা পাখিটি,
স্বপ্নের সুতোয়...
অনেক দিন তোমাকে দেখি না আমি-
চোখের দরজাটা বন্ধই থাকে-
সূর্যোদয়গুলো আলোর তুফান এনে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে মিলিয়ে যায় অন্তিম সূর্যাস্তে ।
বাতাসে আকুল ঘ্রাণ ভেসে এলে...
বাড়ী ফেরা
—————
আমার বড় বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করে-
সকাল, দুপুর, মধ্যরাত যে কোন সময়,
সে আমাকে টান দেয়, আত্মায় লেগে থাকা
নাটাইয়ের মত অচমকা, অসংযত।
অথচ দেখ, এই ব্যস্ত নগরে আমি দিব্বি আছি,
কর্পোরেট...
©somewhere in net ltd.