![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?
তুমি কোচরে বকুল এনে
গাঁথ যদি বৃক্ষের শরীরে-
অথবা পেতে দাও ঘাসের জমিনে
সুরভিত হবে না বাগান ।
কোকিলের কন্ঠ ছিঁড়ে
ভাসে যদি রক্তগংগা গান
ইথারে নিশানা খোঁজা -
বালখিল্য নিতান্ত নাদান ।
সকাল...
পায়ের নীচে এক সমুদ্র সরষে গড়াগড়ি,
একপা\' এদিক, একপা\' ওদিক- চটুল ফিঙে-
চতুর্দিকেই পথের ছড়াছড়ি।
আমি তো চাই , মৌণ পাহাড় হতে-
আমি তো চাই -অন্ধকারের চৌমাথাতে-
ঠায় বসে রই- তারার আসন পেতে...
আলোটুকু যখন তুলে দিচ্ছিলাম
তোমার বাড়িয়ে দেওয়া হাতে-
সোনার কৌটোয় কোন ব্যথা
গোপনে তুলে রেখেছিলাম কিনা
বুঝে উঠতে পারিনি ।
না ক্লান্তি, না বিষন্নতা কিংবা আশাহনন-
এসবের আর কোন মানে নেই আদতে ।
জাহাজের...
চারপাশের উচ্চকিত প্রদর্শনীর ভীড়ে
ক্লান্ত হতে হতে -
আর কোন প্রদর্শনী ভালো লাগছিলো না বলে-
স্বস্তি তখন অজ্ঞাতবাসে যেতে চেয়েছিল।
কেননা, গোলাপী কাপড়ে মোড়া উৎসবের রং
তখন বড় উৎকট মনে হচ্ছিল, সোনালী দেয়ালে
আলোর...
আমি জানি,
একটু পরেই আলোটুকু নিভে যাবে,
দিন চলে যাবে অন্যদিনের ঘরে
তবু আমি থাকি দরজার পাট খুলে,
যদি সে থমকে দাঁড়ায় মনের ভুলে !
জানি আমি ,
বেলাশেষে ফুল সৌরভ মুছে ফেলে-
পাঁপড়ির মায়া...
কখনও উত্তাল সময় এসে
আলোকবর্ষ গতির মুখোমুখি-
নিশ্চল দাঁডিয়ে বলে - চল ।
কখনও দাঁড়িয়ে থাকি পথে-
রুটের সময় আসে, অথচ-
অপাংক্তেয়,
নির্মোহ ফেলে চলে যায়।
কখনও সময়ে আবাস বলে ভ্রম হয়,
কখনও একঘেয়ে ম্লান -
আষাঢ়ের...
রাত্রি হলে আকাশ নেমে আসে
ঝুলবারান্দায় বসে আমার পাশে।
হাত বাড়িয়ে শক্ত আলিঙ্গনে
বুক পেতে নেয়- মনের কথা মনে।
মনের পাত্র শূন্য হলে পরে
ঝুলবারান্দা দূরের পথ ধরে ।
মনের কথা ছলকে পড়ে তবু
পাত্র...
তখন কেবল দৃশ্যমান ছিল চিত্রপট ।
শান্ত সূর্যোদয় পেরিয়ে ঝলসে ওঠা দুপুর ,
কানামাছি খেলা বিকেল,
পূবের দিকে ডানা মেলে
মায়াময় ঘরে ফিরে আসা সন্ধ্যা,
কখনও চাঁদ -জানালায় এসে
উঁকি-ঝুঁকি, অজ্ঞাত কথোপকথন ।
অতলান্তিকে...
সূর্যের আলো তোমার জানালায়
এসে দাঁড়াবার অনেক আগে--
কোমল বাতাসের গন্ধ নাকে এলে
ছন্দহীন জেগে উঠবে তুমি আচমকা,
কিছু একটা অধরা টানে-
দাঁড়াবে গিয়ে টুকরো আকাশের তলে-
তোমার চোখে পড়বে —
আবছা অন্ধকারে...
আমার বাংলাদেশ-
রক্তস্নাত পবিত্র সূর্যোদয়ে শোকের অশ্রু মুছে
নৌকা ভাসিয়েছ তীব্র স্রোতের বৈরিতা ঠেলে ।
লড়েছ প্রচুর,
শ্বাপদ , কুমির কখনও ডাকাত।
অনন্ত মহামারী, মড়ক,ধ্বস
নানাবিধ...
আগলে রেখো বুকের খাঁচায়
ফুল্ল সকাল- সতেজ বাতাস,
আগলে রেখ প্রভাতফেরির
ফুলের গুচ্ছে রঙীন পলাশ ।
আগলে রেখ সোনার বাংলা
...
অনেকেই থেমেছিল এই বাঁকে-
কিছুক্ষন, ডানা মেলে ফের উড়ে যাবার আগে
কুয়াশায় ঢেকে যাওয়া অস্পষ্ট আলোয়
কিম্বা চিত্রপট জুড়ে নেমে আসা অন্ধকারে।
কখনও সমুখের পথটুকু স্পষ্ট করে দেখে নিতে,
খানিকটা ছায়া ও বিশ্রামে,...
সবুজ পাতার হালকা চাদর
পলকা হাতে সরিয়ে দিয়ে,
নবীন কুঁড়ি অবাক চোখে -
কান্ড দেখ,
উচ্ছ্বসিত ঝাঁপিয়ে পড়ে...
দেখ, অচেনা প্লাবনে আজ ভেসে যায় সব-
শক্ত পাথর জমা যত সংস্কার - শিমুল তুলোর মত,
ভেসে যায় - ঘেরাটোপ সংসার ,
নামের সাথে...
ফেলে গেলে, জরুরী যা ছিল - ফেলে গেলে,
বলতে থাকে সে । আমার মগজের মধ্যে জেঁকে বসে ।
পিছন থেকে । সামনে থেকে । অনবরত ।
আর আমি...
©somewhere in net ltd.