নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট্টকথন

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮



মনটা ভীষণ খারাপ।বড় চাচা বদলী হয়ে গেলেন ।তারা স্বপরিবারে দূরে কোথাও ।অনেকটা একা হয়ে গেলাম।সিলভিয়া খালার জলি খালার ছোট বোন।জলি খালার বাসা সামান্য দূরে।রফিক মামা আর জলি খালা হলো তিতলির বাবা মা।জলি খালা বড় চাচীর চাচাত বোন।রফিক মামা ইয়া লম্বা ।মিঠু মামার সাথে আমার খুব ভাব।মামা আমার পাঁচ বছরের বড়।মিঠু মামা একটা বাচ্চা কুকুর পালেন।নাম টমি।টমির মা লুচি।লুচির সারা শরীর কালো মাথায় আর গলার দিকটায় সাদা।ওকে বিস্কুট খওয়াতাম।ও লেজ নারতো।কান বাঁকা করত।হাত উচু করে খাবার দিলে দু পায়ে দাঁড়িয়ে খাবার নিত।লুচির আরেকটা বাচ্চা জিমি। জিমি কার্টার।পা দুটো অনেক খাটো।লুচি আমাদের বাসায় আসত।আমি খাওয়াতাম।লুচির অনেকগুলো বন্ধু।এর মধ্যে বুলুর সাথে তার ভাব।মিঠু মামা বলত বুলু নাকি টমি আর জিমির বাবা।এলাকার রাজা। আর রানি হলো লুচি।টমি অল্প বয়সেই মারা যায়।জিমি বেচে থাকে অনেকদিন।জিমি এক সময় রাজা হয়ে উঠে।ছোট বড় সব কুকুরকে হারিয়ে রাজ্য এবং রাণি দুটোই জয় করে।



মোরগ লড়াই আমার ভীষণ পছন্দ।আর এই লড়াইয়ে সেরা মিঠু মামার লাল টকটকে গলা ছুলা মোরগ।অসাধারণ ফাইটার ।জীবনে কোন লড়াইয়ে হারে নাই।আমরা দুইজন সন্ধ্যা পর্যন্ত মোরগ লড়াইয়ে ব্যস্ত। সন্ধ্যার পর পড়ালেখা।মিঠু মামা প্রায়ই স্কুল ফাঁকি দেয়।সিগারেট খায় স্কুল ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় ঘুরে।আমার আর মামার আলোচনার বিষয়বস্তু সেই মোরগটার বীরত্বগাথা।





মইনুল চাচা পাঞ্জায় চ্যাম্পিয়ন। একদিন বাসায় পাঞ্জা প্রতিযোগিতার আয়োজন হলো।পাঞ্জায় দৈত্যাকৃতির রফিক মামাকে হারিয়ে মইনুল চাচা চ্যাম্পিয়ন।এরপর থেকে সিলভিয়া খালা আমাকে বেশি স্নেহ করেন আম ভর্তা,তেতুল ভর্তা আচার এগুলো বানিয়ে খাওয়ান।আর মইনুল চাচার জন্য পঠিয়ে দিতে একটুও ভুল করেন না।সাথে এক টুকরো কাগজ।দুই জানালায় দুইজন দাড়িয়ে প্রায়ই ফিস ফিস করে কথা বলেন।

বদরুল চাচাকে পাড়ার মাস্তানরা মেরে ফেলার চেষ্টা করল।অস্ত্র হাতে একদল মাস্তান তাকে তাড়া করে। উনি মসজিদে ঢুকে আত্নরক্ষা করেন।জানে বেঁচে যান তিনি।এই নিয়ে সিলভিয়া খালাদের সাথে আমাদের পরিবারের ঝগড়া।উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়।হেলেনের জন্য ট্রয় নগরী ধ্বংস হলো ।আর সিলভিয়া খালার জন্য দুই একটা কুন হতে পারবে না?দুই পরিবারের ঝগড়ার মধ্যেও আমরা ছোটরা কিন্তু মিলে মিশে থাকতাম। ছুটির দিনে আমরা খেলতাম।আমি,সিলভিয়া খালা,আপা,মিঠু মামা,কাজুলি খালা,সনি মামা।পরিবার খেলা।খেলায় আমি বাড়ির কর্তা।সিলভিয়া খালাদের বাবা আর তিতলি তাদের মা।রশি লাফ খেলায় আমি তখন অপ্রতিদন্ডি।আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করলে লাফ বন্ধ।না হলে আর থামা থামি নাই।

আমি পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলাম।পাশের একট বিখ্যাত স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে টিকে গেলাম।আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাড়পত্র দিলেন না।আমি ভর্তি হতে পারলাম না।বৃত্তি লাভ করে তার স্কুলের সুনাম বৃদ্ধি করা আমার গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব।উনি আমাকে বিনে পয়সায় পড়ানো শুরু করলেন।



কালা সালাহউদ্দিন আমাদের এলাকার বড় মাস্তান।কিছুদিন পরপর তার মাথা গরম হয়।মাথার সাথে সাথে শরীরও।খালি গায়ে খালি পায়ে সারা এলাকা টহল দেন। সারাবুকে ব্লেড এর পোজ।সেখান থেকে রক্ত পড়ে।লাল টকটকে রক্ত।এমনিতেই গায়ের রং কুচ কুচে কাল।শরীরভর্তি ঘন লোম।মাথায় ঝাকড়া চুল।থেকে থেকে বিকটচিৎকার দিয়ে ওঠেন্। ভয়ানক পরিবেশ।সবাই জানালা বন্ধ করে চুপি দিয়ে দেখে আর কাঁপে।আর এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করে।কালা সালাউদ্দিন যেন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করে সবাইকে এ শিক্ষাই দিচ্ছে।কালো আর ধলো বাহিরে সবার ভিতরে সবার সমার সমানই রাঙা।কি কারণে তিনি এমন করতেন তা জানা গেল না।মানুষ কেন এমন করে?এলাকায় মাস্তানের উপদ্রব। নতুন বাড়ি বানাতে হলে চাঁদা বাধ্যতামূলক।চাদা না দিলে পকেট ভর্তি টাকা থাকলেও আপনি বাড়ি বানাতে পারবেন না।সংস্কৃতি চর্চার লীলাভূমি আমাদের এলাকা।রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে শুরু হয় মশকসঙ্গীত তীব্র কামড়ে রক্তশোষণ।পাড়ার বখাটেদের কোরাস সঙ্গীত। বাঁশির সুর।মধ্যরাতে বাড়িতে বড় ঢিল পরে।টিনের চালে বিকটশব্দ হয়।মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।হরর সিনেমার আমেজ সৃষ্টি হয়।আর মাঝে মাঝে ডেকসেটের বিপুল শব্দে গান বাজনা।পপগুরু আজম খানের ওরে সালেকা,জ্যাকসনের বিট ইট।দারুন সংসকৃতি চর্চী এলাকা।

আর শবে বরাত এলে হরেক রকম আতস বাজী।পটকার আওয়াজে এলাকা

উত্তপ্ত।হ্যাপি নিউ ইয়ারেতো কোন কথাই নেই।রাস্তা বন্ধ করে লাইভ ডান্স।

দেয়ালে আল্পনা আঁকা।আজ জীবনটা খুব পানসে।সময়ের স্রোতে সবই অদৃশ্য।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৪

মাক্স বলেছেন: ভালো লাগলো ছোট্টকথন! প্লাস!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: thanks a lot great blogger max

goodwishes for you

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৮

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
ভালো লাগল
++++++++++

ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: dhonnabad shuvo kamona
badhon hara

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪১

কালোপরী বলেছেন: কে কার খালা, কে কার মামা !!!!!!!!!!!!!!!!


:(

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: apnar dhrtey paren....sohoj vashai boltey geley pathoker

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১২

কালোপরী বলেছেন: hum ami asolei bujhi nai :( :(

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: akhon bujha jacchey.....valobasha dibosheyr kobita ready

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১২

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
ওরে সালেকা ওরে মালেকা গানটা পুরা গাইতে পারেন :) ?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: arey vuley gechhi ..purota money ni..tobey gan akkhan
ajom khan pop guru atey sondeho ni

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.