নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
ছবি-নেট
বর্তমান সময়ের ভীতি জাগানিয়া ঘটনা হলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি।ভাবুনতো ঢাকা থেকে সাগর দেখা যাচ্ছে অনেকেই ধারণা করেন এর জন্য মানুষই দায়ী।গ্রীন হাউজ গ্যাস বাড়িয়ে দিচ্ছি আমরা ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে আর তাই সুমুদ্রের পানিও বেড়ে যাচ্ছে।
আমরা জ্বালনী হিসেবে হাইড্রোকার্বন তথা কয়লা অথবা গ্যাস ব্যবহার করছি।প্রাকৃতিক গ্যাস এখন আমরা বেশি ব্যবহার করছি।এর সঙ্গে সমুদ্রের পানি বাড়ার সম্পর্ক আছে কি?কোনটা বেশি পরিবেশ বান্ধব?প্রাকৃতিক গ্যাস নাকি কয়লা?
যদিও গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমান গত ২০০ বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তথাপি পৃথিবীর জলবায়ুতে এর প্রভাব সুস্পষ্ট নয়।তাপমাত্রার রেকর্ড থেকে দেখা যায় গত শতকে ০.৫ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।শতকের উষ্ণতম আটটি বছরের শুরু হয়েছে ১৯৮০ সালের পর থেকে।এমনকি এল নিনু প্রভাবের পরে।
তারপরও এটি নিশ্চিৎ নয় যে এগুলো গ্রীন হাউস গ্যাসের প্রভাবে।এটি হতে পারে প্রাকৃতিক উষ্ণতা বৃদ্ধির অংশ যা শুরু হয় ১৫০০ এডি থেকে।
মেঘের আবরণ বৃদ্ধি পাওয়া এরোসল,গ্রীনহাউস এফেক্ট এবং প্রাকৃতিক জলবায়ৃ পরিবর্তনের সমন্বিত কারনে।
সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি হওয়া সম্ভবত মেরু অঞ্চলের বরফ গলা এবং সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পানির আয়তন বেড়ে যাওয়া।
তবে এটা সহজেই অনুমেয় সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি হওয়া মানব সমাজ এবং বাস্তু সংস্থানের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সাধারণত জলবায়ুতে গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার পরিবর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করলে কার্বন -ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা সম্ভব প্রায় ৫০%।(মারল্যান্ড এবং পিপিন-১৯৯০)।
মোটর যানে গ্যাসোলিনের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে কার্বন -ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমন হ্রাস করাসম্ভব প্রায় ২৫%(সিং-১৯৮৫)।এই পরিবর্তনে নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পাবে মোটরযানের ক্ষেত্রে ৪৫% আর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রায়৯৫%(ফ্লাভিন-১৯৯২)।
প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহারের ফলে মিথেন লিকেজ বেড়ে যাবে।যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তা প্রায় ১%।(মশার,ওয়াল কমান,১৯৯২)।বিশ্বে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রাকৃতিক লিকেজে ৭/৮% মিথেন বায়ুমন্ডলে যোগ হয় আর মনুষ্য ব্যবহারের কারনে তার পরিমান ১১/১২%। কয়লা খনিতেও সম পরিমানই মিথেন জলবায়ুতে জমা হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে ,প্লাইস্টোসিন কালে পর্যায়ক্রমে বেশ কয়েকটি বরফ যুগ এবং উষ্ণ যুগের অবতারণা হয়েছে ।বরফ যুগ মানেই মেরু অঞ্চলে এবং পর্বত শ্রেণীর শিখরে বরফ বেড়ে যাওয়া সমুদ্রের পানি কমে যাওয়া ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা হ্রাস।আমরা একটি উষ্ণ যুগে বাস করছি।প্রাকৃতিক কারনেই এটি আরো উষ্ণ হচ্ছে হয়তো।উষ্ণ যুগ মানেই বরফগলন আর সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি।তাপমাত্রা বাড়াতে পানির আয়তনও বাড়ে।তখন আমাদের বাংলাদেশের মতো সমুদ্র উপকূলবর্তী নিম্ন সমতল দেশগুলোর অর্ধাংশ বা তারও বেশি তলিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।সেই ক্ষেত্রে মনুষ্য সৃষ্টকারণ গ্রীণ হাউস গ্যাস বৃদ্ধি এই প্রক্রিয়াকে আরও তরান্বিত করতে পারে।সেটাই বা কম কিসে?
(THE FUTURE OF ENERGY GASES
U.S. Geological Survey
Professional Paper 1590)এর আলোকে।
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার ঠিক আছে..এটা কিন্তু অনেক খেটে খুটে পোস্ট করেছি..অনেকসময় নিয়ে..শুভকামনা থাকলো।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪১
বোকামন বলেছেন: খুবই মনযোগ দিয়ে পড়ছিলাম.....
ইমোগুলো ডিসটার্ব করছে!
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সব জায়গায় ইমু ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছি এটা একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক পোস্ট।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৩
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: চিন্তার বিষয়
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কয়লা/ গ্যাস সমানে সমান।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৮
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: আমি মনে করি এখানে টেনশনের কিছু নাই । কারন পূর্বেও বহু গোপন কিন্তু ভয়াবহ পরিস্থিতি যেগুলো মানুষের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে সেখানে প্রকৃতি নিজেই নিজের ব্যাবস্থা গ্রহণ করে থাকে ।
সর্ব পরি সৃষ্টিকর্তা তো একজন আছেই
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত..তবে সাধু সাবধান..বিপদ আসতে পারে..শুভকামনা থাকলো ।
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০২
বোকামন বলেছেন: দেশগুলোর অর্ধাংশ বা তারও বেশি তলিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক !!!!
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এক সময় সিলেট সমুদ্র গর্ভে ছিলো..এটাতো অস্বাভাবিক নয়..আমাদের সমভূমির উচ্চতাও অনেক কম।
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৭
বোকামন বলেছেন: বাংলাদেশ কী যথার্থ উদযোগ নিতে পারবে এ ব্যাপারে ?
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জটিল প্রশ্ন বাংলাদেশের সেআ ক্যাপাসিটি এখন নাই তবে মনুস্র সৃষ্ট বিপর্যয়ের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত বিশ্ব আর ভূক্তভূগি আমাদের মত দরিদ্র রাষ্ট্র ।
৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১২
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। এরকম পোস্ট আরো আরো চাই আপনার কাছ থেকে।
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ।এ ধরণের লেখা অনেক পরিশ্রম সাধ্য ও সময় সাপেক্ষ তবে এগুলো যেহেতু আমার রিসার্স বিষয়ের আওতায় এই ধরণের পোস্ট দিতে চেষ্টা করবো সামনে....ধেখবে এটাতে কয়জন লাইক দেয়..অথচ এটি লিখতে আমার কি পরিমান পরিশ্রম করতে হয়েছে ভাবুনতো....নিরন্তর শুভকামনা থাকলো।
৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৬
বোকামন বলেছেন: চিনের ভুমিকা নেহাত কম নয় ... কী বলেন, চীনের পরিবেশ দুষন মারাত্বক !
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সব উন্নত রাষ্ট্রই শুধু চিন হবে কেন..যারা শিল্প ভিত্তিক অর্থনীতি তারা প্রচুর শক্তি ব্যহার করে আর বাই প্রোডাক্ট হিসেবে গ্রন হাউস গ্যস সহ নানা ধরনের অপদ্রব্য তৈরি করে যে গুলো ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্র বাড়িয়ে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। ধন্যবাদ
৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৫
বোকামন বলেছেন: আপনার পরিশ্রম ও সময়ের জন্য কৃতজ্ঞতা ....
ক্ষমা চাচ্ছি আপনাকে ডিসটার্ব করলাম
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এখন তো আর সময় দিতে হচ্ছে না লিখতে গেছে সময়..আপনি কমেন্ট করাতে আমি খুশি হয়েছি....নিরন্তর শুভকামনা থাকলো।
১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পুরোপুরি ভিন্ন ধারার পোস্টে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই।
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো।
১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
মাহমুদ। বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম প্রায় ৩০-৪০ বছর পরপর জলবায়ু উষ্ণ এবং শীতল হয়। আপনি খেয়াল করে থাকবেন ২০১০ এর পর "গ্লোবাল ওয়ারমিং' কথাটা আগের মত আর ব্যবহার হয় না।এমনকি ২০১২-১৩ তে বাংলাদেশ সহ কিছু দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে।আমার মনে হয় আমরা আবার শীতল যুগে প্রবেশ করেছি।
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এমনটি হবার নয় ব্লগার.....সময়টা লক্ষ (১০০০০০)বছরের...এত অল্পতে কোন জিওলজিক চেন্জ আসে না........সুতরাং নির্ভয় হওয়ার কোন কারন নয়।
১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৬
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
জ্বালানী নির্ভর যন্ত্রাংশ গুলোর কি হবে তাহলে !
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এর জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনার বিকল্প নাই........টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রেক্ষিত প্ল্যান চাই....
১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৬
দি সুফি বলেছেন: গরম আশার আগেই যা গরম পরতেছে
ঢাকার রাস্তায় কি নৌকা চলবে?
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বৃষ্টি নামলে না নৌকা চলবে বন্যা না হলে তা চলবে কিথাবে শুনি?সমুদ্র ঢাকা পযৃন্ত আসলে জাহাজও চলতে পারে।
১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
ফজলে আজিজ রিয়াদ বলেছেন: দুর্দান্ত টেকি পোস্ট পুরোটা প্লাসে ভরপুর।
অসাধারণ।
দাওয়াত লন
২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার ব্লগে সুস্বাগতম..ভালো থাকবেন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৭
আরজু পনি বলেছেন:
ঘুমে মাথা কাজ করছে না, পরে পড়বো...