নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
হে কবি,
সেই বাইশে শ্রাবণ আজ—
এই দিনেই তোমার মহাপ্রয়াণ—
নশ্বর ধরাধামে আজও যে অবিনশ্বর হয়ে আছে
যে দিন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে হয়ে;
তবু রেখে গেলে পদচিহ্ন তুমি প্রতিটি বাঙালি জীবনের মননে
তাই তো চির ভাস্বর থেকে গেলে
সরচিত কবিতায় গল্প গানে;
আজও তোমায় রাখিগো মনে নশ্বর জীবনের
হে চিরো অভিমানী।
. থেকে গেলে মিশে গেলে বাংলার ষড় ঋতু পরিক্রমায় হাসি গানে
চিরকালীন এক চেতনা হয়ে।
হে কবি,
তুমি হৃদয়ের কথা বলে গেলে এতটাই
হৃদয় গ্রাহি করে সহজে অনুধাবনে হৃদয়ের গহীন থেকে আবেগে
হৃদয়ের সিংহাসনে তাই আসীন হয়ে
তোমার এই চিরোকালীন হয়ে ওঠা
প্রতিটি বাঙালির অন্তরে।
হে কবি,
তাইতো আজও অমর তুমি কর্মগুণে।
হে কবি,
তুমি যেন—
বাঙালির প্রতিদিনের, ভোরের উদয়রবি
গোধূলির অস্তরবি—রাত্রী নিশীথে
তিমির হারা এক স্নিগ্ধ চন্দ্রিমা,
দূর আকাশের —ধ্রুব তারা
দিকভ্রান্ত বাঙালি নাবিকের পথচলায়
দূরে থেকেও অনেক কাছের চিরোচেনা সত্তা এক।
হে কবি,
বিনম্র শ্রদ্ধা মম তব প্রতি
কবিতা লিখে লিখে তাইতো তোমারে স্মরি
এমন দিনে যেন আমি তোমারই উত্তর সরী।
কবিতা লিখে লিখে সতত
কবি হয়ে ওঠার প্রাণান্ত চেষ্টায় আমি সুখনিদ্রা পরিহরি।
প্রিযতামার প্রেমের অবজ্ঞা গরল পান করে
দিনে দিনে আরও তীক্ষ্ন ধারালো হয়ে ওঠি
প্রেম নিবেদনে কবিতায়।
হে কবি,
তোমার কবিতায়
অনায়াসে স্থান পায়
শতবর্ষেরও পরের কবি
যে পড়ে তোমার কবিতা গভীর শ্রদ্ধায় ।
হে কবি,
তোমার মহা প্রণয়ের
সুদীর্ঘ আশি বছর পরেও
তোমারে রেখেছি মনে সযতনে
তারই পরম্পরায় মম এই শ্রদ্ধা নিবেদন এই দিনে
যেন প্রতিনিয়তই সসম্ভ্রমে।
হে কবি,
দিনে দিনে তোমার বাড়ে দ্যুতি বাঙালির প্রাত্যহিক জীবনে।
হৃদয়ের ব্যাকুলতার
এতো সুন্দর বহিপ্রকাশ করিতে
কেহ আর পারেনি যে তোমার আগে পরে।
তাইতো প্রতিটি বাঙালির
হৃদয়ে তোমার এই চিরোনিবাস—
হে কবি,
করোনা আক্রান্ত এই দিনেও
তোমারে স্মরি
তোমার প্রয়াণ দিবস স্মরণে বিহগের সুর যেন বাজে
আমার সখল দুঃখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গানে
…………………………………………….
তুমি তাই আমারো পরাণ যাহা চায়
বলেই মন বিনিময় সূচনা মম—কালোত্তীর্ণ এক প্রেমে
হে কবি,
তুমি কেবলই নও ছবি
কতটা জীবন্ত যেন প্রতিদিনই।
হে কবি,
গভীর শোক তাই
এইদিনে তোমার মহা প্রণয়ে
বাঙালি যে হয়েছিলো রবি হারা
যদিও রয়ে গেলে তুমি— নিরবে।
কবিতা ভালোবেসে
আমি যে আজও বেঁচে আছি
কবিতার আশ্রয়ে তার হৃদয় জয় করার
সুদৃঢ় প্রত্যয়ে।
হে কবি হে গুণী
তুমি বাঙালিপনা
চিরন্তন শাশ্বত সুন্দরে আমারে করেছো ঋদ্ধ সমৃদ্ধ ঋণী
শ্রাবণ গগণ ঘিরে মেঘের আনাগোনায়
শূন্য জীবন নদীর তীরে
একেলা রহিনু বসে নীড়ে আজও
তাই তোমায় আজি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
বিঃ দ্রঃ কিংবদন্তী অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি রবীন্দ্র নাথকে আত্নস্থ করেছিলেন । তাঁর শেষ জন্মদিন বালাই ষাট অনুষ্ঠানে দেখলাম ছায়ানটের বেদীতে প্রিয় অভিনেতা জুতো পায়ে। যেখানে কেউ জুতো পরে ওঠেন না। রবীন্দ্র নাথ আর হুমায়ূন ফরীদি শুধু ব্যতিক্রম। ফরীদি এতটাই ভালবাসতেন কবিগুরুকে। এটা যেন তার একান্ত অধিকার।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট। ধন্যবাদ আপনাকে ।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আকাশজুড়ে শুনিনু ওই বাজে তোমারি নাম সকল তারার মাঝে।
সকল তারার মাঝে অত্যুজ্জ্বল রবীন্দ্রনাথ। বাঙালীর ‘আকাশভরা
সূর্য তারা’ হয়ে ছিলেন। আজও ‘প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে।’
‘আছে সে নয়নতারায় আলোকধারায়, তাই না রায়।’ মহাপ্রয়াণেও হারিয়ে
যাননি বিশ্বকবি। তাঁর প্রয়ানের পর ৮ দশক অতিক্রান্ত হয়েছে। বিলীন হয়েছে
অনেক কিছু। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুঞ্জয়ী। বাঙালীর প্রতিটি আবেগ আর সূক্ষ্ম
অনুভূতিকে স্পর্শ করে আছেন তিনি । প্রয়াণ দিবসে নানান আয়োজনে মহান
স্রষ্টাকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাবে বাঙালী। আপনার এই সুন্দর কবিতাটির
মাধ্যমে সামুর তরফেও আমরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজনে শরীক হতে
পেরেছি । তাঁর প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
অপনার প্রতিও রইল শুভেচ্ছা
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ এম এ আলী আপনার মূল্যবন কমেন্ট পোস্টের শ্রী বৃদ্ধি করেছে দারুন ভাবে। অশেষ কৃতজ্ঞতা ।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইসিয়াক কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগারদের পক্ষ থেকে আপনার দেয়া শ্রদ্ধান্জলী
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্লগারদের পক্ষ থেকে কবি গুরুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী ও ভালোবাস।
কমেন্টে ওপাঠে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: ৪৭ পরে সেই যে রবীন্দ্র চর্চায় ভাটা পড়লে, সেই সমস্যা আর কাটিয়ে ওঠা গেলো না।এখনতো পাঠ্যপুস্তক থেকেও বাদ মনে হয়।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রবীন্দ্র চর্চা বেশি থেকে বেশি হওয়া দরকার। রবীন্দ্রনাথ চর্চা সাধারণের মধ্যে না থাকলেও প্রখ্যাত সাহিত্যিকগণ ঠিকই আকড়ে ধরে আছেন কবিগুরুকে।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
বিনম্র শ্রদ্ধা সর্বকালের এই কবিকে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। চমৎকার কমেন্ট বরাবরের মত।
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার প্রতি শ্রদ্ধা।
১৪০০ শাল।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজি হতে শত বর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতুহল ভরে
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
আজি নব বসন্তের প্রভাতের আনন্দের
লেশমাত্র ভাগ-
আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,
আজিকার কোনো রক্তরাগ-
অনুরাগে সিক্ত করি পারিব না পাঠাইতে
তোমাদের করে
আজি হতে শতবর্ষ পরে!
তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণ দ্বার
বসি বাতায়নে
সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি
ভেবে দেখো মনে-
এক দিন শতবর্ষ আগে
চঞ্চল পুলক রাশি কোন্ স্বর্গ হতে ভাসি
নিখিলের মর্ম্মে আসি লাগে,—
নবীন ফাল্গুন দিন সকল বন্ধন হীন
উন্মত্ত অধীর-
উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা
দক্ষিণ সমীর,—
সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দিয়েছে ধরা
যৌবনের রাগে
তোমাদের শতবর্ষ আগে!
সে দিন উতলা প্রাণে, হৃদয় মগন গানে
কবি এক জাগে,—
কত কথা, পুষ্প প্রায় বিকশি তুলিতে চায়
কত অনুরাগে
একদিন শতবর্ষ আগে!
আজি হতে শত বর্ষ পরে
এখন্ করিছে গান সে কোন্ নূতন কবি
তোমাদের ঘরে?
আজিকার বসন্তের আনন্দ অভিবাদন
পাঠায়ে দিলাম তাঁর করে!
আমার বসন্তগান তোমার বসন্ত দিনে
ধ্বনিত হউক্ ক্ষণতরে
হৃদয় স্পন্দনে তব, ভ্রমর গুঞ্জনে নব,
পল্লব মর্ম্মরে
আজি হতে শত বর্ষ পরে।
২ ফাল্গুন,
১৩০২।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
____রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,
চুকিয়ে দেব বেচা-কেনা, মিটিয়ে দেব লেনা-দেনা
বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে -
আমায় তখন নাই বা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা আমায় ডাকলে।।
যখন জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলায়,
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়,
ফুলের বাগান ঘন ঘাসের পরবে সজ্জা বনবাসের,
শ্যাওলা এসে ঘিরবে দিঘির ধারগুলায় -
আমায় তখন নাই বা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা আমায় ডাকলে।।
যখন এমনি করেই বাজবে বাঁশি এই নাটে,
কাটবে গো দিন যেমন আজও দিন কাটে।
ঘাটে ঘাটে খেয়ার তরী এমনি সেদিন উঠবে ভরি,
চরবে গোরু, খেলবে রাখাল ওই মাঠে।
আমায় তখন নাই বা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা আমায় ডাকলে।।
তখন কে বলে গো, সেই প্রভাতে নেই আমি?
সকল খেলায় করবে খেলা এই-আমি।
নতুন নামে ডাকবে মোরে, বাঁধবে নতুন বাহুর ডোরে,
আসব যাব চিরদিনের সেই-আমি।
আমায় তখন নাই বা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা আমায় ডাকলে।
অভিমানী কবি গুরু । তাকে কি ভুলা যায়?
কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।
৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪২
সাসুম বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে বাঙ্গাল মুলুকে একটা ঘৃণা চর্চা জারি আছে।
৪৭ এর পর বাদ দেয়া হল সরকারী ভাবে এন্টি পাকিস্তানি হিস্যা তুলে।
৭৫ এর পর বাদ দেয়া হল- আরেকবার। রবীন্দ্রনাথ এর বিপরীতে আরেক নাস্তিক কবি কাজী নজরুল কেও দাড় করালো অনেকে।
একবার রবীন্দ্রনাথ এর সোনার বাংলা গান বাদ দিয়ে প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ- এটাকে জাতীয় সংগীত বানাতে চেস্টা চালান হল।
মাঝে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কিছুটা ঘৃণা কমাতে পারলেও আবার ২০১৪ এর পর থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েই ফান্ডামেন্টালিস্ট দের চাপ এন্টি রবীন্দ্র চর্চা শুরু হল।
বই পত্র থেকে বাদ দেয়া হল।
মানুষের কাছে একটা রঙ মেসেজ দেয়া হল রবীন্দ্রনাথ নামে।
এত কিছু করা হল- কিন্তু রবীন্দ্র নাথ বেচারাকে বাংলা সাহিত্য থেকে মুছে দেয়া গেল না কিছুতেই।
যতদিন বাংলা ভাষা আছে- ততদিন রবীন্দ্রনাথ থাকবেই আমাদের সাহিত্যে। যদিও এদিকে আবার আরেকটা দল রবীন্দ্রনাথ কে খোদা পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে পূজা করে।
যদিও তাতে রবীন্দ্রনাথ আর তার শিল্প কল্পের কিছুই আসে যায় না।
রবীন্দ্রনাথ এর প্রয়ান দিবসে- শ্রন্ধাঞ্জলি।
তিনি বেচে থাকবেন তার শিল্পের মাঝে- তাকে খোদা মেনে পূজা করা বা ঘৃণা করা দের মাঝে না।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সবকিছুর নেগেটিভ চর্চা বিদ্যমান। থাকুক কজনা তেমন। আমরা রবীন্দ্র নাথ স্মরণে আজকে দিন তার কবিতা গানে কাটিয়ে দিতে পারি। সব কিছু ছাপিয়ে তিনি একজন কবি বিশ্বকবি।
আচ্ছা কবিগুরুর লেখা কবিতার মধ্যে আপনার প্রিয় কবিতা কোনটি ?
১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্মৃতি রোমন্থন মুলক কবির এই গানটা আমার খুব প্রিয়;
তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।
ওই-যে সুদূর নীহারিকা
যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়,
ওই যারা দিনরাত্রি
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবি,
তুমি কি তাদের মতো সত্য নও।
হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি॥
নয়নসমুখে তুমি নাই,
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই-- আজি তাই
শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল।
আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল।
নাহি জানি, কেহ নাহি জানে--
তব সুর বাজে মোর গানে,
কবির অন্তরে তুমি কবি--
নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি॥
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমারও অনেক প্রিয়। কবি গুরুর গানগুলো অসাধারণ। অসম্ভব ভালো লাগার ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭
*কালজয়ী* বলেছেন: বাংলা সাহিত্যের একজন দিকপাল হচ্ছেন বাঙ্গালী দার্শনিক শ্রী রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর।++