নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভিতর এই ক্ষমতা কখনই আসে না। আমি দ্বিতীয় দলের মানুষ। কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু কখনই করতে পারি না। কেউ অনেক সুন্দর গান গায়, আমি শুধু শুনে যাই। কেউ অনেক সুন্দর নাচে, আমি শুধু হাত তালি দিয়ে যাই। কেউ অনেক সুন্দর লেখে, আমি শুধু ভেবে যাই, কী করে এত ভালো লেখে কেউ? আমিও লিখি। তবে তা কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু না। আমার লেখায় আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নেই। পড়াশুনা শেষ, বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে চাকরি, বিয়ে, পেশা পরিবর্তন সব হয়েছে। লেখালেখির ধারাবাহিকতায় চারখানা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে। টুকরো ছায়া টুকরো মায়া (২০১৫) – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । একা আলো বাঁকা বিষাদ (২০১৬) – সামাজিক উপন্যাস । মধ্য বৃত্ত (২০১৮) – ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । অভিসন্ধি (২০২০) – ক্রাইম থ্রিলার । দেশটাকে ভালোবাসি অনেক। অনেক মায়া কাজ করে। মাঝে মাঝে ভাবি, সব বদলে দিতে পারতাম। স্বপ্নের মত না, বাস্তবের মত একটা দেশ গড়তে পারতাম …………………………
-চাদর পরলে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে।
নিতু শান্ত চোখে রোদের দিকে তাকাল। রোদ অনেক কষ্টে হাসি ফুটিয়ে রেখেছে মুখে, ঠিক বোঝা যাচ্ছে। নিতু সে ব্যাপারে কিছু না বলে বলল, আমার প্রশ্নের উত্তর এটা হল না।
- তোমাকে দেখতে সুন্দর লাগছে, তাও বলতে পারব না?
- আচ্ছা এখন থেকে সারা বছর চাদর পরে থাকব। খুশি তুমি?
- না খুশি না। গরমের দিনে চাদর পরলে ঘেমে যাবে। তখন বাদ।
- তাহলে তো সুন্দর লাগবে না।
- তোমাকে সব কিছুতেই সুন্দর লাগে।
- তাই? আচ্ছা, এটা বাদ দাও। কি হইছে বলতো?
- কি হবে?
- তুমি এতোটা চুপচাপ ছেলে না আমি জানি। আজ মন খারাপ কেন? আমাকে বলবে না?
রোদ ছোট একটা নিঃশ্বাস ফেলে,আবার জোর করে একটা হাসি ফুটিয়ে নিতুর দিকে তাকায়। রোদের মন আসলেই প্রচণ্ড খারাপ।হাসতে বড় কষ্ট হচ্ছে। তবুও কাউকে বলতে পারছে না। মনের কষ্টগুলো। এমনকি নিতুকেও না। নিতু কত ভালবাসে রোদকে। রোদও বাসে অনেক বেশি। খুঁটিনাটি যা ঘটে, তার সাথে আরও তালি পট্টি লাগিয়ে সব এসে নিতুর সামনে , পট পট করে বলতে থাকে রোদ। আর নিতু হেসে হেসে রোদের কোলের উপর শুয়ে পড়ে। রোদের এই সময়টাতে, নিতুর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগে। অনেক বেশি ভাল লাগে।হাসার সময় মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর লাগে কিনা, রোদ জানে না। তবে নিতুকে লাগে। রোদের খুব ইচ্ছা করছে, আজও কিছু বলে নিতুকে হাসাতে। হাসতে হাসতে কোলে শুয়ে পড়ুক নিতু, রোদ খুব করে চাচ্ছে।পারবে না আজ রোদ। রোদ জানে সম্ভব না। বুকের ভিতর এতো কষ্ট নিয়ে হাসা যায় না। রোদ একটা বড় করে নিঃশ্বাস ফেলে বলল, আমি বললে তুমি সহ্য করতে পারবে?
- পারব। বল।
- আগে একটু হাতটা ধরবে?
রোদ নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরে, নিতুর দিকে হাত বাড়াল। নিতু হাতগুলো দু হাত দিয়ে চেপে ধরল।নিতুর কেমন যেন লাগছে। রোদের হাত অনেক জোরে চেপে ধরে বলল, আমার ভাল লাগছে না রোদ। কি হইছে বল না প্লিজ।
রোদ আবার কষ্ট করে হাসি ফুটিয়ে বলল, তোমাকে অনেক ভালবাসি আমি নিতু।
- আমি জানি। আমিও বাসি।অনেক বেশি। বুঝতে পারো না তুমি?
- পারি।
বলে রোদ থেমে গেল। রোদের ধরে থাকা নিতুর হাতের উপর,এক ফোঁটা জল পড়ল। রোদ কাঁদছে। কয়েক ফোঁটা জলের এক ফোঁটা, নিতুর হাতের উপর পড়েছে। নিতুরও খুব কান্না পাচ্ছে। রোদের হাত আরও শক্ত করে ধরে বলল, এই পাগল ছেলে। কাঁদো কেন? আমারও কান্না পাচ্ছে কিন্তু। আমি কাঁদা শুরু করলে কিন্তু থামাতে পারবে না।
নিতু বলতে বলতেই কাঁদছে। রোদ জানে, এখনকার কথাটা শুনলে, নিতুর কান্না আসলেই থামবে না। আরও কাঁদবে। রোদের তবু বলতে হবে। রোদ নিতুর থেকে একটু দূরে সরে গিয়ে বলল, নিতু আমি তোমাকে ভালবাসি সত্যি অনেক। তবুও তোমার সাথে থাকা, আমার পক্ষে থাকা সম্ভব না। আমি আর সম্পর্কটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছি না।যে পর্যন্ত আসছে সেই পর্যন্তই থাক।
নিতুর বিশ্বাস হচ্ছে না রোদ এই কথা বলছে। হাঁ করে রোদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে নিতু। এভাবে কি করে এই কথা বলছে রোদ?
- মানে? কি বলছ তুমি?
- যা বলছি তাই। আমি আর তোমার সাথে সম্পর্কটা, এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই না।
- কিন্তু কেন?
- কারণ নেই। থাকলেও সেই কারণ আমি তোমাকে বলব না।
নিতু রোদের হাত ধরে,শব্দ করে কাঁদতে লাগলো। বাচ্চা মেয়ের মত। রোদের বুকের সাথে মাথাটা লাগিয়ে বলল, রোদ, প্লিজ এমন কইর না।কি হইছে আমাকে বল। আমি সব সামলে নিতে পারব।আমি তোমাকে ভালবাসি। মন থেকে ভালবাসি।
রোদ আরও একটু দূরে এসে বলল, তুমি কিছুই সামলে নিতে পারবে না। সামলে নেবার মত কিছু না। আমি বলছি আমাদের সম্পর্ক থাকার মত না। ব্যাস থাকবে না। এটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। তুমি এখন চলে যাও।
চোখ মুছে নিতু একটু শক্ত হয়ে বলল, আমি যাব না। আমি ভালবাসি। তোমার একার ইচ্ছায় কিছু হবে না। আমি কারণ না শুনে যাব না।
- কারণ নেই কোন। জেদ করবে না। প্লিজ যাও। তোমাকে খুব অসহ্য লাগছে।
- লাগুক অসহ্য। তুমি এসব মন থেকে বলছ না আমি জানি। একটু আগেও,তুমি আমার হাত ধরতে চেয়েছ। ভালবাসি বলে কেঁদেছ। আমি তোমাকে চিনি।
- আচ্ছা কি করলে যাবে তুমি?
- কিছু করলেই যাব না।
-আচ্ছা কারণ শুনলে খুশি তো? আচ্ছা কাল আমার নাম্বার ওয়েটিং দেখেছিলে?
- হ্যাঁ। তো?
- ফারিহার সাথে কথা বলছিলাম।
- ফারিহা কে?
- তোমাকে বলা হয় নি।আসলে বলার কথাও না। আমার তোমার আগে, ফারিহার সাথে সম্পর্ক ছিল। দুই বছরের সম্পর্ক। ছোট একটা বিষয় নিয়ে, আমাদের ঝগড়া হয়।এরপর ব্রেক আপ। ব্রেক আপের সময়টাতে তোমার সাথে, আমার সম্পর্ক হয়। কাল মোবাইল দিয়ে আমাকে সরি বলল।আমি না বলতে পারিনি। শত হোক, প্রথম ভালবাসা। এই দেখো ফারিহার ছবি।
মোবাইলটা নিতুর সামনে ধরে ফারিহার ছবি দেখাল। কথাগুলো বলতে রোদের গলা খুব কাঁপছে।নিতুর কথা গুলো শুনে মাথা ঝিমঝিম করছে। আর একটা শব্দও কান দিয়ে যাক, নিতু এটা চাচ্ছে না।মোবাইলটা সরিয়ে দিয়ে বলল, ব্যাস, আর কিছু বলতে হবে না। তুমি ফারিহার সাথেই তাহলে থাকছ?
- হ্যাঁ।
- তাহলে আমার সাথে এতক্ষণ অভিনয় করলে কেন?
- এতো দিনের ভালবাসা , হারাতে একটু কষ্ট হচ্ছে তাই।
- আচ্ছা ঠিক আছে। ভালো থাকো। তবে রোদ, আমাকে যে পরিমাণ কষ্ট তুমি দিলে। জানিনা বুঝতে পারছ কিনা। তবে একদিন ঠিকই আমার শুন্যতা বুঝতে পারবে। আমার ভালবাসায় কোন, মিথ্যা ছিল না। এরপর অন্তত আমি এই মিথ্যুককে ,কখনও বিশ্বাস করব না। যাই। ভালো থাকো ফারিহাকে নিয়ে।
নিতু উঠে চলে যাচ্ছিল। পিছন থেকে রোদ ডাক দিল।
- শোন একটু।
নিতু মুখ ঘুরিয়ে তাকাতেই, রোদ একটা ডায়েরি বাড়িয়ে দিল।
- এটা রাখো।
নিতু হাত বাড়িয়ে ডায়েরিটা নিয়ে, আবার হাঁটা শুরু করল। আসলেই খুব কষ্ট হচ্ছে। খুব কষ্ট নিতুর। এখনও ভেবে বসে আছে, পিছন থেকে রোদ ডাক দিবে। ডেকে বলবে, আরে পাগলি, আমি তো দুষ্টামি করলাম। দুষ্টামিও বুঝো না? আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে ভালবাসতে পারি বল?এই মিষ্টি মেয়েটাকে ছাড়া আমার থাকা যে অসম্ভব।
চোখের পানি মুছে দিতে দিতে বলবে, কাঁদে কেন? কাঁদলে তোমাকে সুন্দর লাগে না। একটু হাসো তো। আমার কোলে মাথা রেখে।হাসলে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে।
রোদ ডাকেনি। একটা বারের জন্যও না। প্রচণ্ড ঘৃণা হচ্ছে রোদের উপর। হাঁটতে হাঁটতে ডায়েরির প্রথম পাতা খুলল।কিছু একটা লেখা ডায়েরিতে।
রোদ এখনও ওখানেই বসে আছে। চুপচাপ অনুভূতিশুন্য হয়ে।নিতু বলে গেল, একদিন ওর শুন্যতা বুঝবে। রোদ এখনই সেটা বুঝছে। কষ্টের এতোটা বুকের উপর ভর করেছে যে, আসলেই কষ্ট হচ্ছে কিনা বুঝতে পারছে না। তবে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,এটা ঠিকই টের পাচ্ছে। চারপাশের পরিবেশ অনেক ঠাণ্ডা। এই ঠাণ্ডা পরিবেশে, ঠাণ্ডা মাথায় কিভাবে নিতুকে তাড়িয়ে দিল। আর নিতুও চলে গেল। চলে যাওয়াই উচিৎ ছিল। আজ আবার এতো কাঁদছে রোদ। শেষ বার এতো কেঁদেছে, মা যেদিন মারা গেল। কি কষ্টের সেই মৃত্যু। বারবার রোদের হাত ধরে বলছিলেন, আব্বুরে, আমি বাঁচব না।রিমি আর রাদের সাথে ঝগড়া করবি না কিন্তু।ওরা তোর ছোট।একদম মারবি না ওদের।
বুকের ভিতর খুব কষ্ট হচ্ছিল সেদিন। রোদের চোখের জল দেখার আগেই, মা চলে গেলেন।রোদকে রেখে, রিমিকে রেখে, রাদকে রেখে। রোদ পরিবারের বড় ছেলে। ভার্সিটি পাস করে বের হবে হবে। আর রাদ সবচেয়ে ছোট। মাত্র ক্লাস ফাইভে পড়ে। মাকে ছাড়া থাকা এই ছেলের পক্ষে সম্ভব না। আর একটা মা আনার জন্য, বাবা আবার বিয়ে করতে চান।রোদের বিয়ের বয়স হয়েছে, রিমির বিয়ের বয়স হয়েছে।এই অবস্থায় যদি বাবা বিয়ে করেন, লোকে ছিঃ ছিঃ করবে। এই নিয়ে রোদের সাথে ঝগড়া হয়।খুব ঝগড়া হয়। বাবা কিছু মানতেই রাজি নন। তিনি বিয়ে করবেনই। অবশেষে বিয়ে করে নিয়ে আসলেন। নতুন মাকে রোদ, রাদ, রিমি কেউ মানতে পারছে না। রোদ রাগ করে বাসা থেকে চলে আসল। রিমি আর রাদকে নিয়ে নতুন বাসায় উঠেছে। বন্ধুর বাবার একটা ফ্লাট ভাড়া দেবার জন্য খালি, সেখানে। কাল ওখানে উঠল। আজ নিতুকে তাড়িয়ে দিল।মিথ্যা বলে। এক গাদা মিথ্যা বলে। রোদ চায় না, ওর জীবনের এই ঘটনা নিতু জানুক।রোদের বাবাকে নিতু খারাপ জানুক। খারাপ হোক, ভালো হোক, বাবা তো বাবাই।এই বাবাকে কেউ খারাপ ভাবুক, রোদের এটা সহ্য হবে না।এই বাবার কাঁধের উপরই ছোটবেলা থেকে চড়েছে। পিঠে চড়ে ঘোড়া ঘোড়া খেলেছে।হাজারটা আবদার ধরেছে।কান্না পেলে এই বাবাই বুকে টেনে নিয়েছেন। আর এই বাবাই এই কাজ করল।এই কথাগুলো নিতুকে বলা যায় না। কাউকেই বলা যায় না।রোদের অনেক কাজ বাকি। রিমিকে একটা ভালো ছেলে দেখে,বিয়ে দিতে হবে।রাদকে, বাবা হোক মা হোক, সব আদরে বড় করতে হবে।মা যে হাত ধরে বলেছে, আব্বুরে, আমি বাঁচব না।রিমি আর রাদের সাথে ঝগড়া করবি না কিন্তু।ওরা তোর ছোট।একদম মারবি না ওদের।
অনেক দায়িত্ব বাকি। এই জীবনে প্রেম ভালবাসা থাকতে পারে না।হয়ত অন্য কারও জীবনে থাকতে পারে। রোদের জীবনে থাকতে নেই।এই এলোমেলো জীবন হয়ত নিতু সাজিয়ে দিতে পারে, তবে নিতুর জীবন তাতে এলোমেলো হয়ে যাবে। নিতুকে বড্ড ভালবাসে রোদ। হাত ধরেই শুধু ভালবাসা হয় না। দূর থেকেও ভালবাসা যায়।রিমিকে ভালবাসে রোদ, রাদকে ভালবাসে, মাকে বাসে, পচা বাবাকে ভালবাসে।বাবার ঐ কথাটা নিতু না জানুক, রোদ চায়। মায়ের কথা রাখতে চায় রোদ।রিমি রাদকে সবটুকু দিয়ে ভালবাসতে চায় রোদ। নিতুকে দূর থেকেও অনেক ভালবাসতে চায় রোদ।
ডায়েরিটা খুলল নিতু। প্রথম পাতায় লেখা, একটা গানের কয়েকটা লাইন।
" কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে
যদি নেমে আসে ভালবাসা খুব ভোরে
চোখ ভাঙ্গা ঘুমে তুমি খুঁজো না আমায়
আসে পাশে আমি আর নেই।"
আর কোথাও কিছু লেখা নেই। নিতুর চোখ দিয়ে এখনও জল পড়ছে। হয়ত ভেবেছিল, ডায়েরির ভিতরে অন্তত কিছু লেখা থাকবে। লুকানো কিছু কথায় রোদ কাছে ডাকবে। ফারিহা বলতে কেউ নেই, এটা লেখা থাকবে। কিন্তু সব ভুল হল। খুব ইচ্ছা করছে ডায়েরিটা ছুড়ে ফেলে দিতে।কিন্তু তাও পারছে না নিতু। হাতে করে কষ্ট বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বুকের ভিতর করে কষ্ট নিয়ে যাচ্ছে।ভালবাসা হারিয়ে ফেলেছে হয়ত। তবুও নিতু জানে, ভালবাসা হারাবে না। রোদের অপেক্ষায় , প্রতিটা প্রহরে ভালবাসা বেঁচে থাকবে। রোদ ঠিক একদিন চলে আসবে নিতুর কাছে।
সব ভালবাসা হারায় না। রোদ অনেক ভালবাসা বাঁচিয়ে রেখেছে।জানে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।নিতুও আশায় আছে, সব ঠিক হয়ে যাবার। আর ঐ দিকে, রাদ আর রিমিও তাকিয়ে আছে সব ঠিক হয়ে যাবার আশায়।মানুষের সব কষ্টের মাঝেই একটা আশা থাকে, সব ঠিক হয়ে যাবে। কারও সব ঠিক হয়ে যায়। কেউ অন্তত কাল অপেক্ষার পরও ভাবে, হয়ত কোন একদিন সব ঠিক হবে। আর কেউ আশাহত হয়ে হেরে যায়। জীবনের যুদ্ধে পরাজিত হয়ে যায়। এই আশাটুকু কখনই করতে পারে না, হয়ত সব ঠিক হয়ে যাবে। কেউ কেউ সেই দলে, যারা ভাবে, কিছুই ঠিক হবার নয়।মানুষ বাঁচে এমন অল্প কিছু আশায়, কিছু সান্ত্বনা বা মিথ্যে সত্যি আশ্বাসে, আর জয়ী হয় এক বুক বিশ্বাসে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: হাহা। ধন্যবাদ ভাই।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রেমের গল্প ভালোই লাগে । গল্পে ভ্যারিয়েশন কম, একটু লুতুপুতু হয়েছে ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: মাঝে মাঝে ঘুরে ফিরে লুতুপুতু লিখি। ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
পেন্সিল চোর বলেছেন: ছোট গল্প এতো বড় কইরা লিখছেন কেন মিয়া!!
যদিও ভালোই লাগছে পেন্সিল চোরের...