নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকে আমি - রিয়াদুল রিয়াদ (শেষ রাতের আঁধার)

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার )

কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভিতর এই ক্ষমতা কখনই আসে না। আমি দ্বিতীয় দলের মানুষ। কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু কখনই করতে পারি না। কেউ অনেক সুন্দর গান গায়, আমি শুধু শুনে যাই। কেউ অনেক সুন্দর নাচে, আমি শুধু হাত তালি দিয়ে যাই। কেউ অনেক সুন্দর লেখে, আমি শুধু ভেবে যাই, কী করে এত ভালো লেখে কেউ? আমিও লিখি। তবে তা কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু না। আমার লেখায় আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নেই। পড়াশুনা শেষ, বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে চাকরি, বিয়ে, পেশা পরিবর্তন সব হয়েছে। লেখালেখির ধারাবাহিকতায় চারখানা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে। টুকরো ছায়া টুকরো মায়া (২০১৫) – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । একা আলো বাঁকা বিষাদ (২০১৬) – সামাজিক উপন্যাস । মধ্য বৃত্ত (২০১৮) – ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । অভিসন্ধি (২০২০) – ক্রাইম থ্রিলার । দেশটাকে ভালোবাসি অনেক। অনেক মায়া কাজ করে। মাঝে মাঝে ভাবি, সব বদলে দিতে পারতাম। স্বপ্নের মত না, বাস্তবের মত একটা দেশ গড়তে পারতাম …………………………

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অদেখা জন

১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

আমার অফিসের বস আমার বন্ধু, একই সাথে পড়া সহপাঠী। পরীক্ষায় ফলাফল যদিও সবসময় আমারই ভাল ছিল, তবুও টাকা পয়সা বেশী কামিয়ে ও আমার বস আর আমি ওর অফিসের কর্মচারী। আমার এ বিষয়ে কোন আক্ষেপ নেই। যত টাকা, তত ঝামেলা, তত নানা চিন্তা দুশ্চিন্তা, সব ঠিক ভাবে সামলে চলার তাগিদ। আমার বন্ধু টাকা পয়সা ছাড়াও ইদানীং আর একটা বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত। ওর বউকে ও বড় সন্দেহ করে। ওর ধারণা সারাদিন ও যখন অফিসে, ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত, সে সময়টায় ওর বউ কারও সাথে চুটিয়ে প্রেম করে বেরাচ্ছে। ব্যাপারটা কি কারণে আমার সাথে ভাগাভাগি করল আমার জানা নেই। হয়ত আমাকে অনেক কাছের বন্ধু ভাবে সে জন্যই। অফিসের অন্য কেউ যখন থাকে না, আমি তখন ওকে তুই বলে ডাকি, নাম ধরে ডাকি। আমার বেলাতেও তাই। অফিসের অন্য কারও সামনে আমি ওকে আপনি বলি, স্যার বলি।
- দেখ সালমান, ব্যাপারটা তো অমন নাও হতে পারে, তুই যেমন ভাবছিস।
- ব্যাপারটা এমনই। তুই নিজেও সেদিন কোন এক ছেলের সাথে দেখেছিস সাদিয়াকে, দেখিস নি বল।
- হ্যাঁ, কিন্তু ওটা তো সাদিয়ার পরিচিত কেউ হতে পারে, তাই না?
- পরিচিত কারও সাথে দেখা হলে, সেটা আমাকে জানাত। সেদিন যে ও বাসা থেকে বেরিয়েছে সে ব্যাপারটা পর্যন্ত ও আমার কাছ থেকে লুকিয়েছে।
- জানি না রে ভাই, তোদের ব্যাপার। আমি বিয়ে সাদি করি নি, সংসারের ঝামেলা, বউয়ের মনের ব্যাপার স্যাপার ওসব আমার মাথায় ঢুকে না।
- কিন্তু তোকে তো জানতে হবে।
আমি একটু চমকে গিয়ে সালমানের দিকে তাকালাম। সালমান একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিল আশেপাশে কেউ নেই, কেউ শুনছে না আমাদের কথা। মুখটা আমার কাছাকাছি এনে ঝুঁকে বলল, তুই কয়েকদিন সাদিয়াকে ফলো কর। কার সাথে মিশছে না মিশছে, দেখা করছে, আমাকে সব ইনফরমেশন দিবি।
- মাথা খারাপ তোর? আমি এখন এসব করে বেরাবো, চাকরি বাদ দিয়ে।
- চাকরি তো আমার অফিসেই করিস, তাই না? অফিসে আসতে হবে না, ঘুরবি ফিরবি আর একটু সাদিয়াকে ফলো করবি। টাকা পয়সা নিয়ে ভাববি না। আমি চাইলে অন্য কাউকে এ কাজে লাগাতে পারতাম, কিন্তু তাতে সংসারের গোপন কথা বাহিরে যেত। তোকে বিশ্বাস করি, তোর সাথে সব শেয়ার করা যায় জানি, তাই তোকে বললাম।
আমি প্রথমে রাজী হলাম না। অনেক বলে কয়ে সালমান আমাকে দিয়ে এই কাজ করাতে রাজী করল। শত হোক আমার অফিসের বস। হুট করে মুখের উপর না করে দেয়াটা ভাল ছিল না, এখন যদি অনুরোধও ফিরিয়ে দেই সেটা খারাপ দেখায়। তবুও মনের মধ্যে খচখচ করছে, আমার দ্বারা আদৌ এই কাজ সম্ভব তো? তাছাড়া সালমানের সাদিয়ার প্রতি যে অভিযোগ, তাও আমার কাছে অবান্তর লাগছে। সালমানের সবাইকে সন্দেহের বাতিক আছে। ওর ধারণা অফিসের যত খাতে টাকা যাচ্ছে তার সব জায়গা থেকেই সবাই টাকা মারছে। হিসাব নিকাশে গণ্ডগোল করছে। বউয়ের প্রতিও ওর প্রথম থেকেই সন্দেহ। মেডিকেলের ভাষায় এই সন্দেহকে বলে ওথেলা সিনড্রোম। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অহেতুক সন্দেহ, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অকারণ সন্দেহ। আমি সাদিয়াকে চিনি, সাদিয়া ভাল মেয়ে, অতি ভাল মেয়ে। এই মেয়ের দ্বারা কোন বাজে কাজ করা সম্ভব না। ভুলটা হয়েছে এক হিসেবে আমার। সেদিন সাদিয়াকে একটা ছেলের সাথে শপিং মলের সামনে দেখেছি, ব্যাপারটা সালমানকে জানানো উচিৎ হয় নি। এমনিতেই সালমানের সন্দেহের স্বভাব, এর উপর এমন একটা ঘটনা কোন হিসেবে যে আমি সালমানকে জানালাম, এখনও বুঝে উঠতে পারছি না।
কাজে লেগে পড়লাম পরদিন থেকেই। সালমানদের বাসার সামনে সকাল দশটা থেকে আমি। আমাকে খুব সাবধানে থাকবে হবে। সাদিয়া আমাকে চিনে। অফিস বাদ দিয়ে ওর পিছন পিছন ঘুরছি বুঝতে পারলে নিশ্চিত ধরেই নিবে আমি সালমানের কথা মত ওকে ফলো করছি। সে সুযোগ দেয়া যাবে না। কোন ভাবে চোখাচোখি হয়ে গেলে, এক গাল হেসে বলতে হবে, আরে সাদিয়া কী অবস্থা? এখানে কেন?
সালমান অফিসে যায় সকাল দশটায়। এখন সাড়ে এগারটা। দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, সাদিয়া বের হয় নি। হয়ত বের হবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিংবা বেরই হবে না আজ। গোসল করবে, সাজগোজ করবে, যার সাথে দেখা করবে তার পছন্দের পোশাক পরবে, এসবে অনেক সময় চলে যাবার কথা। সাদিয়া শেষ পর্যন্ত বেরিয়েছে, সময় সাড়ে বারোটা। আমি সাদিয়ার আশেপাশেই ছিলাম। সাদিয়া কোথায় যায় দেখার জন্য। সাদিয়ার গন্তব্য ছিল ধানমন্ডির কে এফ সি। সত্যি সাদিয়া একটা ছেলের সাথে বসেছিল, হেসে হেসে কথা বলছিল। একটু পর পর হাত ধরছিল। সালমানের ধারণা তার মানে সত্যি। সালমান যখন অফিসে যায় প্রতিদিন সাদিয়া বের হয় এই ছেলের সাথে দেখা করতে। নাকি আজকেই বের হল শুধু? আমি বড় দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছি। এই ব্যাপারটা সালমানকে জানানো কি ঠিক হবে? শুধু শুধু সংসারে ঝামেলা বাড়বে, হয়ত সংসারে ভাঙনও দেখা দিবে। আবার অন্য বিষয়ও মাথায় ঘুরছে, সালমান টাকা দিচ্ছে এই কাজের জন্য। এখন কাজ না করে, মিথ্যা বলে টাকা নেয়াটা ঠিক হবে না। বিকাল পর্যন্ত সাদিয়া ঐ ছেলেটার সাথে ছিল, এরপর বাসায় ফিরে গিয়েছে। আমি অফিস করি সকাল ১০ টা থেকে পাঁচটা। পাঁচটার দিকে একবার অফিসে ঢু মেরে গেলাম, সালমানের সাথে এই ব্যাপারে কিছু আলাপও করলাম। সাদিয়ার সাথে সত্যি একটা ছেলেকে দেখেছি, সে কথাও জানিয়ে দিলাম। সালমান রেগে যাচ্ছিল খুব বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু শান্ত থাকার ভান করছিল। শুধু বলল, এ জন্যই আমি যখন বাসায় ফোন দিলাম ধরে নি। বাহিরে ছিল।
আমি কিছু বললাম না। সালমান আমাকে বলল, যেভাবে হোক ছেলেটার নাম, ঠিকানা যোগাড় করতে।
আমি "দেখি" বলে চলে আসলাম। আমার অফিস টাইম শেষ। সালমান অফিসে থাকে প্রায় রাত ১০ টা পর্যন্ত। নয়ত সালমানের সাথেই বের হতে পারতাম।
রাস্তা দিয়ে যাবার পথে একবার সালমানদের বাসার সামনে দিয়ে ঘুরে আসলাম কী মনে করে যেন। সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম, সাদিয়ার সাথে কেউ আছে কিনা বাসায়। সালমানের বাসায় ফিরতে আরও অনেক দেরী। আমার তবুও সাদিয়াকে খারাপ মেয়ে মনে হচ্ছে না। কেন মনে হচ্ছে না জানি না। মনে হচ্ছে সাদিয়া যা করছে, তার কিছুই ভুল করছে না। ঠিক করছে। যা হওয়া উচিৎ, যা করা উচিৎ, তাই করছে।
সিগারেটের ফিল্টার পায়ের নিচে ফেলে আমি চলে আসলাম বাসার সামনে থেকে। পরবর্তী কয়েক দিনও একই দায়িত্ব পালন করলাম। সাদিয়া প্রতিদিনই বের হচ্ছে। সাদিয়ার পিছনে যে ওর স্বামী লোক লাগিয়েছে, আমি ওকে আর ওর ভালবাসার মানুষটাকে সবসময় দেখছি, দূর থেকে খেয়াল করছি, এ ব্যাপারটা কি সাদিয়া বুঝতে পারছে? সাদিয়া কি বুঝতে পারছে, সব তথ্য চলে যাচ্ছে সালমানের কাছে। মনে হয় না বুঝতে পারছে। বুঝতে পারলে আরও সাবধানী হত। সাদিয়ার মাঝে অমন কোন মতিগতি নেই। সালমান আমাকে বলেছিল ছেলেটার নাম, ঠিকানা যোগাড় করতে। আমি তা যোগাড় করেছি। ছেলেটার নাম রায়হান, থাকে হাতিরপুল। কিন্তু আমি সে তথ্য সালমানকে দিলাম না। সালমান টাকাওয়ালা মানুষ। যে মানুষ টাকার জোরে বউয়ের পিছনে লোক লাগাতে পারে, সে মানুষ টাকার জোরে বউয়ের প্রেমিককে খুনও করাতে পারে। একটা নিরীহ ছেলে খুন হোক আমি চাই না। আমার বরং সালমানের চেয়ে রায়হানের সাথেই সাদিয়াকে বেশী ভাল লাগে। রায়হান অতি ভদ্র গোছের, সুন্দর চেহারার ছেলে। সালমানের মাঝে উগ্র ভাব প্রবল।
সালমান আমাকে জোর দিচ্ছে ছেলেটার নাম, ঠিকানার জন্য। আমি জানিয়ে দিলাম যোগাড় করতে পারি নি। রায়হান ছেলেটার উপর আমার কেন মায়া জন্মে গেল জানি না। সালমানকে আমি বুঝিয়ে বললাম, এটা তোর আর সাদিয়ার ব্যাপার। তোরা মিটমাট কর। শুধু শুধু ছেলেটাকে টানছিস কেন?
- ছেলেটার জন্যই তো ঝামেলা হচ্ছে।
- ছেলেটা কোন ঝামেলা করছে না। তোর কি মনে হয়, ঐ ছেলে না থাকলেই সাদিয়া তোকে খুব ভালবাসবে? অন্য কারও প্রতি ভালোলাগা আসবে না?
সালমান কিছু চিন্তা করল, চিন্তার ভাঁজ কপালে প্রবল আকারে দেখা দিল। পরদিন সাদিয়ার কপালেও সে চিন্তার ভাঁজ ফুটেছিল। রায়হানের হাত ধরে ধরে আসা গলায় বলেছিল, আমার পক্ষে আর সালমানের সাথে থাকা সম্ভব না। কাল রাতেও আমার সাথে যা তা আচরণ করেছে, আমার গায়ে হাত তুলেছে। প্লিজ তুমি কিছু একটা কর।
রায়হানের করার কিছুই নেই আমি জানি। যা করার করতে পারে সালমান আর সাদিয়া। যা করার ওরাই করল। আমি এই কাজের জন্য টাকা পেয়ে যাবার দু দিন পরেই শুনলাম সালমান আর সাদিয়ার ডিভোর্স হয়ে গেছে। ডিভোর্সের পর সাদিয়া রায়হানের কাছে যায় নি। এক বান্ধবীর বাসায় উঠেছে।
ডিভোর্সের পরও সাদিয়ার প্রেমিক নিয়ে চিন্তা সালমানের মাথা থেকে যায় নি। সালমান আমার কাছে আবার জানতে চাইল, তুই সত্যি ঐ ছেলের নাম নাম, ঠিকানা জানিস না?
- না।
- তাহলে আর কি, আমিই অন্য ভাবে যোগাড় করতেছি। ঐ ছেলেকে আমি দেখে নিব।
আমি ছোট একটা নিঃশ্বাস ফেললাম। কোন কথার উত্তর না দিয়ে চুপ করে উঠে গেলাম। রায়হান ছেলেটার জন্য খারাপ লাগছে। আমার সাথে পরিচয় থাকলে ঠিক বলে দিতাম, ছেলে সাবধানে থেকো একটু।

পরদিন সকালে ফেসবুক খুলে একটু অবাক হলাম। ঘুম ঘুম চোখে একই সাথে দুটি দুঃসংবাদ দেখলাম। ভার্সিটির সহপাঠীরা সব একের পর এক স্ট্যাটাস দিচ্ছে। একটা খবর আজ সকাল বেলা আমাদের এক সহপাঠী আশিক ঢাকা থেকে যাবার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আর একটা খবর আরও আতঙ্কের, সালমান গাড়ি করে বাসায় ফেরার সময় খুন হয়েছে। লাশ কয়েক টুকরা করা হয়েছে। খুন ধরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সন্ত্রাসীদের কাজ।
সালমান খুন হওয়াতে একটা ঝামেলা হল, পুলিশ এখন আমার কাছে আসবে, সাদিয়ার কাছে যাবে, রায়হানের কাছে যাবে। ব্যাপার আরও ঘোলাটে হবে।
পুলিশ আমাকে অনেকক্ষণ ধরে অনেক কথা জিজ্ঞেস করল। পুলিশ এটা জেনে গেছে আমি সাদিয়াকে ফলো করতাম, ওর অন্য কার সাথে সম্পর্ক আছে কিনা দেখার জন্য। অন্য কারও সাথে সম্পর্ক ছিল বলেই সালমানের সাথে ডিভোর্স। পুলিশ আমার কাছে ছেলেটার নাম জানতে চাইল। পুলিশের কাছে কিছু লুকানো ঠিক না। আমি স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিলাম, আশিক। আমাদের সাথে একই সাথে পড়ত।
আশিকের ঠিকানা আমার কাছ থেকে নিয়ে নিল পুলিশ। এরপর আমাকে ছেড়ে দিল। ঠিক সন্ধ্যার দিকে একবার পুলিশ আমাকে ফোন দিল। ফোন করে জানালো ঢাকা থেকে ফেরার পথে আশিক মারা গিয়েছে রোড এক্সিডেন্টে। হয়ত খুন করে পালাবার সময়।
আমি আশিকের মৃত্যু সংবাদে অবাক হলাম। এটা সম্ভব না এমন একটা ভাব করলাম। পুলিশ আমাকে নিশ্চিত করল, এই আশিকই আমাদের সহপাঠী।
আমি আর কিছু বললাম না। দুই বন্ধু হারিয়ে আমি ব্যথায় আছি। পুলিশ সাদিয়াকেও অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে শেষমেশ এতোটুকু নিশ্চিত হয়েছে, সাদিয়া ওর বান্ধবীর বাসা থেকে বের হয় নি এই কয়েক দিন। বাহিরে বের হয়েছে আজ। এখন আমার পাশে, ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে। আমার পকেটের অবস্থা বেশী একটা ভাল না। সালমানের কাছ থেকে পাওয়া পুরো টাকাটাই খুনি ভাড়া করতে চলে গেল। প্রোফেশনাল খুনি। কোন প্রমাণ রাখে নি। সাদিয়া আমাকে তাড়া দিল, রায়হান চল না। দেরী হয়ে যাচ্ছে তো।
আমি আর সাদিয়া কোথায় যাচ্ছি জানি না। শুধু জানি সাদিয়াকে আমার দরকার, বড় বেশী দরকার। আমার মাঝের অদেখা একজন সে দরকারটাকে সম্ভব করে যাচ্ছে। সম্ভব করে যাবে সারাজীবন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

শারলিন বলেছেন: খিচুড়ি লেগেছে

১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: :) ধন্যবাদ। মেঘলা দিনে খিচুড়ি ভাল।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

অশ্রুকারিগর বলেছেন: বুঝতে পারছিলাম এমনই হবে। তবে মাঝখানে একটু কনফিউশনে পড়ে গেছিলাম। যেমন সেদিন সাদিয়াকে একটা ছেলের সাথে শপিং মলের সামনে দেখেছি, ব্যাপারটা সালমানকে জানানো উচিৎ হয় নি। এটার জায়গায় এমন{সেদিন সাদিয়াকে একটা ছেলের সাথে শপিং মলের সামনে দেখা গেছে, ব্যাপারটা সালমানকে জানানো উচিৎ হয় নি} হলে প্লটটা সুন্দর থাকত। এরকম আরো কিছু জায়গা আছে।

পাঠক হিসেবে একটু সমালোচনা করে ফেললাম। প্রচেষ্টাটা ভালো ছিল।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সমালোচনা যে কোন লেখকের জন্যই আরও ভাল লেখার উৎসাহ। ধন্যবাদ।
:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.