নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভিতর এই ক্ষমতা কখনই আসে না। আমি দ্বিতীয় দলের মানুষ। কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু কখনই করতে পারি না। কেউ অনেক সুন্দর গান গায়, আমি শুধু শুনে যাই। কেউ অনেক সুন্দর নাচে, আমি শুধু হাত তালি দিয়ে যাই। কেউ অনেক সুন্দর লেখে, আমি শুধু ভেবে যাই, কী করে এত ভালো লেখে কেউ? আমিও লিখি। তবে তা কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু না। আমার লেখায় আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নেই। পড়াশুনা শেষ, বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে চাকরি, বিয়ে, পেশা পরিবর্তন সব হয়েছে। লেখালেখির ধারাবাহিকতায় চারখানা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে। টুকরো ছায়া টুকরো মায়া (২০১৫) – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । একা আলো বাঁকা বিষাদ (২০১৬) – সামাজিক উপন্যাস । মধ্য বৃত্ত (২০১৮) – ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । অভিসন্ধি (২০২০) – ক্রাইম থ্রিলার । দেশটাকে ভালোবাসি অনেক। অনেক মায়া কাজ করে। মাঝে মাঝে ভাবি, সব বদলে দিতে পারতাম। স্বপ্নের মত না, বাস্তবের মত একটা দেশ গড়তে পারতাম …………………………
নিরবিচ্ছিন্ন এই দুঃখের শহরে, আমার বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাধ্যমে, জীবনে আরেকটা দুঃখ এসে যোগ হলো। বিদ্যুৎ নেই মানে বাতি জ্বলে না, রাতের বেলা খেতে বসে বাতি ছাড়া খাওয়া যায় না। আলোর জন্য মোমবাতি লাগবে, মোমবাতি জ্বালাতে দরকার ম্যাচের কাঠি। আমি বিড়ি সিগারেট খাই না, বাসায় তাই ম্যাচ থাকে না। গত এগারো মাস বাসা ভাড়া দিতে পারি না, বাড়িওয়ালাকে বলতেও পারি না, ভাড়া দিয়ে থাকি, বিদ্যুৎ কেন থাকবে না?
একটা দুই টাকা নোট আমার আট বছরের ছেলেকে ধরিয়ে দিয়ে বলি, “যা বাবা, একটা ম্যাচ কিনে নিয়ে আয়।”
আমার ছেলে কফিল দুই টাকার নোট নিয়ে, লাফাতে লাফাতে চলে যায়। সাত তলা হতে অন্ধকার সিঁড়ি বেয়ে নামার সময়, লাফাতে লাফাতে পা ভেঙে ফেলে। আমাদের আর ভাত খাওয়া হয় না, আলো জ্বালা হয় না, জীবনে দুঃখের আরেকটা অন্ধকার নেমে আসে।
কফিলকে নেয়া হয় হাসপাতালে, ওর মাকে রেখে আমি ফিরে আসি বাসায়। ছয় তলায় থাকা বাড়িওয়ালার ঘরের সামনে বড়সড় জটলা। সব জায়গায় বিদ্যুৎ আছে, আমাদের বাসায় নেই কেনো, এ জবাব বাড়িওয়ালাকে দিতেই হবে। সবাই ভাড়া দিয়ে থাকে, আমার মতন নয়। আমার ছেলে পা ভেঙে হাসপাতালে, এই খবর এরা জানে না; জানে শুধু তাদের ঘরে আলো নেই। কত সহজে আমরা নিজেদের হাজার স্কয়ার ফিটের দেয়ালের মধ্যে বন্দী করে ফেলছি, জোরে চিৎকার করলেই শোনা যাবে, এমন দূরত্বে থাকা মানুষজনেরও বেদনা, কষ্ট আমাদের ছুঁয়ে যায় না কিংবা হাওয়ায় উড়ে আশেপাশেও আসে না।
পরিচিত মানুষজনের ঝগড়ায় আপনাকে একটি পক্ষ বেছে নিতেই হবে, যে পক্ষ আপনাকে সুবিধা দিবে, সে পক্ষ বেছে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমি বাড়িওয়ালার পক্ষ নিয়ে সবাইকে জানান দেই, আমাদের বাসার মেইন মিটারে সমস্যা, কালকে লোক আসবে।
কে কী বুঝল, কে জানে? জটলা ধীরে ধীরে পাতলা হলো, আমার বাড়িওয়ালা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ল।
বাড়িওয়ালা জামান সাহেবের ঘরে আমি কাঁচুমাচু হয়ে বসে থাকি। জামান সাহেব জানতে চান, “ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেছ?”
আমি আস্তে আস্তে মাথা নাড়ি। আমার ছেলের পা ভাঙাতে যতটুকু কষ্ট হচ্ছে, তার চেয়েও বেশি বেদনা চোখে মুখে ফুটিয়ে আমি বিমূঢ় হয়ে মাথা নিচে ঝুঁকিয়ে রাখি। জামান সাহেব কী বলবেন, ভেবে পান না। এই নীরবতা ভাঙার জন্য অথবা আমার বিমূর্ত ভাব কাটাবার জন্য অগত্যা জামান সাহেব বলেন, “কুদ্দুছ মিয়া, টাকা লাগবে?”
আমি ধীরে সুস্থে মাথা তুলে এমনভাবে তার দিকে তাকাই, যেন তিনি এই মুহূর্তে যে কথাটা বলেছেন, তা বলতে আমি সংকোচবোধ করলেও, শুনতে আমি ঠিকই চাচ্ছিলাম।
জামান সাহেব আমার হাতে পাঁচ হাজার টাকা ধরিয়ে দিলেন। বলে গেলেন, তিনি নিজেও ভীষণ টানাপোড়নে চলছেন, ছেলে সুস্থ হলে যেন আমি বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করে দেই।
এই কথাটা তিনি এই মুহূর্তে না বললেও পারতেন। তার কাছ থেকে অর্থলাভের কারণে আমার মধ্যে যে কৃতজ্ঞতাবোধ জন্ম নিয়েছিল, তা নিমিষেই ফিকে হয়ে গেলো কিছুটা, আমি তা চাইনি।
গত মাসেই আমি কথা দিয়েছি, এগারো মাস কোনোভাবে বারো মাস হবে না। জামান সাহেবের বাড়ি নাম্বার সাতচল্লিশ। সাত আর চার যোগে এগারো। এগারো মাসের বেশি আমি বিনা ভাড়ায় থাকব না। যদিও একই রকম যুক্তি দিয়েছিলাম, চার নাম্বার মাসে ও সাত নাম্বার মাসে। জামান সাহেব তাই আমাকে দেখলে মাঝে মাঝেই বলেন, “কুদ্দুছ মিয়া, বাড়ি নাম্বার যেন যোগ পর্যন্তই যেন থাকে। গুণের দিকে জিনিসটারে নিয়ে যাইও না।”
বাসা ভাড়া আমি কবেই শোধ করে দিতাম। আমি অশিক্ষিত না, মোটামুটি পড়াশুনা করেছি। চাকরি বাকরি না পেলে আমার কী দোষ? চাকরি বাকরি না পেয়ে, যে কাজ গুলো করতে শিক্ষিত হবার প্রয়োজন নেই, তা আমি অনায়াসে করেছি, অকর্মণ্য হয়ে ঘরে বসে থাকিনি।
মানিক মিয়ার চায়ের দোকানে কাজ নিলাম। মানিক মিয়া মাথা গরম মানুষ। কথায় কথায় ঝাড়ি ঝুড়ি দেয়, দোকান থেকে কাজ বাতিল করে দেয়। আমার সিগারেট দিতে দেরী হলে, চা দিতে দেরী হলে ঝাড়ি। ঠান্ডার বোতলের মুখা খুলতে দেরী হলে ঝাড়ি। সবচেয়ে বড় ঝাড়িটা খাই, টাই কোট পরা ভদ্রলোকগুলোর জন্য। এরা দোকানের নিয়মিত কাস্টমার। দোকানে এসে বলে, সিগারেট দেন কিংবা তিন আঙ্গুল বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিন আঙ্গুল বাড়ানো দেখে না হয় ধরে নিলাম আমি, এরা সিগারেট চাচ্ছে। কিন্তু সিগারেটের নাম তারা ভুলেও মুখে উচ্চারণ করে না। সে এই দোকানে নিয়মিত আসে, মানে সে কোন সিগারেট খায় তা আমার জানা থাকতে হবে। আমার ধারণা এই তিন আঙ্গুল বাড়িয়ে দেয়া কিংবা সিগারেটের নাম উচ্চারণ না করা, তাদের মাঝে নিজেকে দোকানের অন্যদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবার একটা অনুভূতি এনে দেয়। মানুষ নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে ভালোবাসে।
আমি যাবতীয় সবার সিগারেট ব্রান্ডের নাম কেন মুখস্থ রাখতে পারি না, তা নিয়েও মানিক মিয়ার কাছে ঝাড়ি খাই। যতক্ষণ মানিক মিয়া দোকানে থাকে, আমার বিড়ালের মতন মিউমিউ করতে হয়। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডার বোতল বের করতে আমার যে সময় লাগে, বুড়া মানিক মিয়ার তার চেয়ে বেশি সময় লাগে। তবু আমার মেনে নিতে হয়, মানিক মিয়া ফার্স্ট, কুদ্দুছ মিয়া লাস্ট।
কাওরান বাজারের সে দোকান চব্বিশ ঘন্টা খোলা। একদিন মানিক মিয়া আমাকে বলে, রাতে কাজ করতে রাজি আছি কি-না? এক পুরাতন কর্মচারি টাকা চুরি করে পালিয়েছে। সব চ্যাংড়া, চোংড়া ছেলে রাতে, ওদের দেখে শুনে কাজ করাতে হবে। বেতন মাসে তিনশ টাকা বেশি।
আমি নিবিড়ভাবে চিন্তা করে দেখলাম, এই প্রস্তাব আমার রাতের ঘুম আর স্ত্রীসঙ্গ ব্যতীত, যাবতীয় সব বিষয়ে লাভবান করবে। ঐ দুটি বিষয় দিনেও সম্ভব। আমি রাজি হয়ে যাই। রাজি হয়ে, বিড়াল থেকে বাঘ বনে যাই। রাতের শিফটের কর্মচারীদের উপর খবরদারি করি। মুখে সবসময় একটা ভারিক্কি ভাব ফুটিয়ে রাখি। নিজেকে দোকানের মহাজন “মানিক মিয়া” বলে মনে হয়। এক দুইবার চ্যাংড়া চোংড়াকে এক আধটা চড় থাপ্পড় মারি। ওরা অবশ্য আমাকে মান্য করে। এসবে রাগ করে না।
মানিক মিয়ার দোকানে, কুদ্দুছ মিয়ার নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়, ‘রাতের বেলা কেউ সিগারেট খাইতে চাইলে সিগারেটের নাম বলতে হবে। আঙ্গুল দেখানো চলবে না, হু হা চলবে না, ইশারা চোখা টিপাটিপি চলবে না।’
আমার সুখের দিন বেশি স্থায়ী হয় না। কোনো এক শুক্রবার রাতে, হ্যাংলা পাতলা, সদা নেশা করে রকম এক ছেলে এসে আমার কাছে ইশারায় সিগারেট চায়। আমি জোর গলায় বলি, “কী চাই?”
“সিগারেট দে।”
আমাকে তুই তুকারি করাতে মাথা গরম হয়ে যায়। আমার চেয়ে বয়সে ছোটো নেশাখোর না-কি আমাকে তুই তুকারি করে! আমি বলি, “তোর কাছে সিগারেট বিক্রি করুম না।”
নেশাখোর লাফ দিয়ে দোকানে ঢুকে যায়, আমাকে দুই চার ঘা লাগিয়ে দেয়। আমিও ছেড়ে দেবার মানুষ না। সুযোগ বুঝে দুই উরুর মাঝে চাপ দিয়ে দেই। আশেপাশের সবাই এসে আমাদের ঝগড়া থামায়।
আমাদের ঝগড়ার সাথে সাথে, আমার মানিক মিয়ার দোকানে কাজ করাও থেমে যায়। আমাকে মানিক মিয়া দোকান থেকে বের করে দেয়। দোকান ভাঙচুরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি ও বিল্লাল বকশির সাথে ঝামেলা করার অপরাধে আমি বিতাড়িত হই।
আমার বাড়িওয়ালা জামান সাহেব অতি সজ্জন ব্যক্তি হলেও, তাকে ঠিক কেতাদুরস্ত বলা যায় না। বিয়ে সাদি করেননি, তাই চির কুমার বলা চলে। নিজের জীবনের উপার্জন দিয়ে এই বাড়ি তৈরি করেছেন। যা ভাড়া আসে তাতে দিব্যি চলে যাবার কথা। কিন্তু তিনি ঠিক কী কারণে সাত তলা বাড়ির বারোটা ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেননি, তা হয়ত বাড়ির বাকিদের কাছে অজানা। আমি এগারো মাস ধরে ভাড়া না দিলেও, জামান সাহেব আমাকে স্নেহ করেন। আমার সাথে মোটামুটি সকল বিষয়ে তিনি আলাপ আলোচনা করেন। আমার সাথে তার সদ্ব্যবহার মাঝে মাঝে আমার মাঝে এই ভাবনাও এনে দেয় যে, স্ত্রী সন্তান কিংবা কোনো কূলে কোনো আত্মীয় না থাকা জামান সাহেব, কোনোদিন তার জীবন সায়াহ্নে গিয়ে, এই বাড়িখানা আমার নামেই লিখে দিবেন।
আমি আমার কিশোর পেরোনোর বয়সে, দুলাল বিশ্বাস নামে এক জোত্যিষীর কাছে তিনশত টাকা খরচ করে হাত দেখিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমার জীবনে প্রবল উন্নতি আছে, ধন সম্পদ প্রাপ্তিযোগ আছে। সে উন্নতি কিংবা ধন সম্পদের দেখা আমি না পেলেও, চেষ্টায় কমতি রাখিনি। দুলাল বিশ্বাস আমাকে এ বিষয়েও বলেছিলেন যে, আমার জীবনের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলা এবং ভাগ্যবান সংখ্যা হচ্ছে চার ও সাত। আমার ইন্টার পরীক্ষার রোলের শেষে দুই সংখ্যা মিলে সাতচল্লিশ থাকাতেই বোধহয় আমি ইন্টারে পাঁচ বিষয়ের আশির উপরে মার্কস পেয়ে পাশ করেছিলাম। ওর থেকে ভালো ফলাফল আমি আর কখনও করতে পারিনি জীবনে। আমি আমার বিয়ের চার বছরের মাথায় বাচ্চা নিয়েছি, বাচ্চার বয়স যখন সাত তখন সুন্নতে খতনা দিয়েছি। সর্বোপরি জামান সাহেবের এই সাতচল্লিশ নাম্বার বাড়িটার সাত তলায় ভাড়া নিয়েছি। এবার উন্নতির আশা করাই যায়।
কিন্তু জামান সাহেব নিজেও যেখানে বিচ্ছিরি রকম ঝামেলায় ফেঁসে আছেন, সেখানে আমার উন্নতি কোথা থেকে হবে তা আমার মাথায় আসে না।
জামান সাহেব তার অবশিষ্ট সঞ্চয় ও একটা ব্যাংক হতে স্বল্প মেয়াদে কোটি খানেক টাকা লোন নিয়ে একটা জমি ক্রয় করেন। জামান সাহেব তার বাসা ভাড়া থেকে যে টাকা পান তাতেই অনায়াসে ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে পারবেন। তার উপর তার চিন্তা ভাবনা, জমি প্লট করে তিনগুণ দামে বিক্রি করলেও লোকে কিনবে। জমির কাগজ পত্র সবই ঠিক। এত বিশাল জমি, এত কমে পাওয়াতে জামান সাহেব দ্বিতীয় বার না ভেবেই নিয়ে নেন। জমি লাভের এক মাসের মাথায় জামান সাহেবের সাইনবোর্ড ভেঙে, নতুন সাইনবোর্ড টানানো হয়, যাতে স্পষ্ট লেখা, ক্রয়সূত্রে জমির মালিক বদরুল বকশি।
বদরুল বকশি, এলাকার অনেক বড় একজন নেতা। সামনে এমপি নির্বাচনে দাঁড়াবে। বিশাল সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। তার ভাই বিল্লাল বকশি তার ডান হাত। যে ডান হাতের দুই উরুর মাঝে আমি চাপ দিয়ে নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছিলাম।
কোটি টাকার ঝামেলায় আমার বাড়িওয়ালা জামান সাহেব পড়ে আছেন। প্রতি মাসে ব্যাংক লোন শোধ করতে হয়, বাড়ি ভাড়া তুলে। অবশিষ্ট টাকায় কোনোমতে খাওয়া দাওয়া চলে, বারো ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাসের বিল তার দেয়া হয় না। টাকা থাকে না। সবেমাত্র বিদ্যুৎ সংযোগ গিয়েছে বদরুল বকশির প্রভাবে, এরপর পানি, গ্যাসও উধাও হবে।
আমি বহুবার বলেছি, জামান সাহেবকে, “আপনি বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান, তা না হলে অন্ততপক্ষে একজন দারোয়ান। মানিক মিয়া তার চায়ের দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে বসে আছে। আপনার এত বড় বিল্ডিং। তার উপর আবার বদরুল বকশির হুমকি ধামকি। সিসিটিভি ক্যামেরা দরকার, নিচে একজন দারোয়ান দরকার।”
আমার বাড়িওয়ালা রাজি হন না। তার এই সাত তলা বাড়ির কোনো সিকিউরিটি দরকার নাই। তিনি নিরাপত্তা হিসাবে থানায় জিডি করেন, বদরুল বকশি ও বিল্লাল বকশির নামে। তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এছাড়া জমি নিয়ে মামলা তো চলছেই।
আমি মানিক মিয়ার দোকান হতে বিতাড়িত হয়ে, একটা ভ্যানে সবজি নিয়ে বসি আমার বাসার সামনে। আমার বাড়িওয়ালা জামান সাহেব তাতে পূর্ণ সমর্থন দেন। কিছু টাকা উপার্জন হলে, বাসা ভাড়া অন্তত শোধ হবে। প্রতিদিন সকালে কাওরান বাজার হতে কম দামে সবজি কিনে এলাকায় বেশি দামে বিক্রি করি। ভালোই চলে। তবে সে ভালোও আমার ভালো থাকে না। এলাকায় বিল্লাল বকশির প্রভাব। যাবতীয় চাঁদা সে তুলে। আমার কাছে যে টাকা চাঁদা দাবি করে, তা দিলে আমার লাভের টাকা কিছুই থাকে না। তাছাড়া বিল্লাল বকশি আমার শত্রুপক্ষ, তার ভাই বদরুল বকশি আমার বাড়িওয়ালার শত্রু। আমি চাঁদা দেই না এবং তার ফলস্বরূপ আমার ব্যবসাও করা হয় না। টাকা খেয়ে পুলিশ এসে আমাকে লাঠিপেটা করে, সবজির ভ্যান নিয়ে বসা উচ্ছেদ করে। আমি সম্পূর্ণ কাজহীন হয়ে যাই। জীবনে একের পর এক দুঃখের মাঝে, আমার ছেলে কফিলের পা ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আরেকটা দুঃখ হয়ে জীবনে যোগ হয়। এ দুঃখের জীবনে সুখ কবে আসবে, আমি তা ভেবে কূল কিনারা পাই না।
এর মাঝে অবাক করা এক ঘটনা ঘটে। আমার স্ত্রী ও সন্তান হাসপাতালে, আমি ঠিক কোথায় তা বলতে পারি না। আমার বাড়িওয়ালা জামান সাহেব তার বাসায় খুন হন। মুখ বেধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ভর দুপুরে খুন করা হয়েছে। পুলিশ আসে, লাশ নিয়ে যায়। বদরুল বকশি ও বিল্লাল বকশি পলাতক। তাদের পুলিশ খুঁজছে। ধরে ফেলবে অবশ্যই। যতই সহযোগিতা পূর্বে পুলিশ তাদের করে থাকুক, এখন মনে হয় না, সে সহযোগিতায় কাজ হবে। নিশ্চিত ধরা পড়বে।
আমি সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসে ভ্যান গাড়িটার দিকে তাকাই। আমার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠে। আবার ভ্যানে করে সবজি বিক্রি না-কি মানিক মিয়ার চায়ের দোকান কিংবা দুটোই, কোনটা আমার করা উচিত তাই ভেবে যাই। আমার মনের আনন্দ আমি কাউকে বোঝাতে পারি না, একা একা অনুভব করি শুধু। জামান সাহেব মারা গেলেন মানে, এই সাতচল্লিশ নাম্বার বাড়িতে আমার বিনা ভাড়ায় থাকার এগারো মাস আর পার হবে না। এখানেই থেমে থাকবে। আমার ভাড়া দিতে হবে না। ব্যাংক এ বাড়ি নিয়ে যাবে না-কি জামান সাহেবের জমি, আমি তা জানি না। তবু নিশ্চিত আমার কাছে কেউ ভাড়া চাইবে না।
জামান সাহেব আমার কাছের মানুষ ছিলেন, তার মৃত্যুর বিষাদ তবু আমার আনন্দ হচ্ছে। কিছু বিষাদ এভাবেই আনন্দ হয়। আমি দুলাল বিশ্বাসের কথা ভাবি আর বাড়ির গায়ে লেখা সাতচল্লিশ নাম্বারের দিকে তাকিয়ে থাকি। দুলাল বিশ্বাস আমার ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছিলেন হয়ত।
এ জীবনে কত শত বেদনা, দুঃখ, বিষাদ। যখন হাতড়ে কোনো আলোর দিশা, সুখের ছোঁয়া পাওয়া সম্ভব হয় না, তখন বোধহয় মানুষ এভাবেই অন্যের বিষাদকে নিজের সুখ ভেবে আনন্দ পায়। যে সমীকরণের কোনো সমাধান খুঁজে পায় না, তা অসমাপ্ত রেখে; একদম শেষে জানা উত্তর লিখে সান্ত্বনা পায়।
আচ্ছা জামান সাহেবকে খুন করল কে?
রিয়াদুল রিয়াদ
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ। এত বড় গল্প ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য। গল্পের সবটা না হোক, বেশির ভাগই কাছ থেকে দেখা ঘটনা হতে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। আর নিজের জীবনে সুখের কিছু না ঘটলে, মানুষ অন্যের কষ্টকে নিজের সুখ বলে বিবেচনা করাটাও, প্রচুর দেখেছি।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
সোনাগাজী বলেছেন:
ঢাকার মানুষ জীবনের ঘটনা। তবে, সামুর জন্য লেখাকে ছোট করলে ভালো হবে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সামুর জন্য লেখাকে ছোট করলে ভালো হবে।
জ্বি অবশ্যই, বিষয়টা মাথায় রাখব।
আগে অনেক গল্প পোস্ট হতো সামুতে, এখন সে সংখ্যা যদিও অনেক কমে গিয়েছে একদম। কবিতার সংখ্যা বেড়েছে ব্লগে।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৪
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: মনে হচ্ছে কুদ্দুস মিয়াই খুনটা করলো, ভাড়া না দেওয়ার জন্য...
আর বাকি দুইজন মনে হচ্ছে, জামান সাহেবের মৃত দেহ দেখে, ফেঁসে যাবে ভেবে ভয়ে পালিয়েছে...
চমৎকার হয়েছে। পুরোটা পড়লাম। আমার অনুমান ভুলও হতে পারে...
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মনোযোগী গল্পপাঠের জন্য। শেষটা তো পাঠকের জন্য। আপনার মতন মেধাবী পাঠক কিন্তু ঠিকই আসল ঘটনা উদ্ঘাটন করে ফেলবে, যতই মিথ্যে দিয়ে ঢাকার চেষ্টা চলুক বিষাদ নামের সুখ গুলোকে।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৮
জাহিদ অনিক বলেছেন: কিছু কিছু বিষয়ে আপনি বেশ ভালো লিখেচেন। বেশ কিছু জায়গায় দেখা গেছে চরিত্রগুলো নিজেদের সাইকোলজি নিজেদের কাছে কিছুটা ব্যাখ্যা করে পরে একটা একশনে গেছে। অনেকটা যেন স্বগতোক্তির মতন।
এই কথাটা তিনি এই মুহূর্তে না বললেও পারতেন। তার কাছ থেকে অর্থলাভের কারণে আমার মধ্যে যে কৃতজ্ঞতাবোধ জন্ম নিয়েছিল, তা নিমিষেই ফিকে হয়ে গেলো কিছুটা, আমি তা চাইনি। ভালো লেগেছে যে আপনি আপনার গল্প শুধু লিখেই যান নি, পাঠকদেরকেও বলেছেন- ভাবতে চাইলে ভাবো।
আমার সাথে তার সদ্ব্যবহার মাঝে মাঝে আমার মাঝে এই ভাবনাও এনে দেয় যে, স্ত্রী সন্তান কিংবা কোনো কূলে কোনো আত্মীয় না থাকা জামান সাহেব, কোনোদিন তার জীবন সায়াহ্নে গিয়ে, এই বাড়িখানা আমার নামেই লিখে দিবেন। এটাও বেশ ভালো লেগেছে। সাধারণত একজন যে কিনা ১১ মাস ভাড়া দিতে পারে না, চাকরি বাকরি নেই সে মানুষের মধ্যে পাঠক সাধারণত কৃতজ্ঞতা ও আনুগ্যত্যতা দেখতে চায়; অন্তত গল্পে সেটা চায়। আপনি সেটার পাশাপাশি একজন সাধারণ মানুষের মধ্যে যে একই সাথে কৃতজ্ঞতাবোধ, লোভ, পাপ, কেয়ালেস সব ধরনের ভাবই থাকতে পারে। কখনো যে সে নিজেকে নিজেকে প্রায় ঈশ্বরের কাছাকাছিও ভাবতে পারে-- এসব দেখিয়েছেন।
ভালো লেগেছে সবকিছু মিলিয়ে। শুভ কামনা রইলো সর্বদা।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৪
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন। আপনার লেখা আমি পছন্দ করি।
এ পৃথিবীতে বিশুদ্ধ মানুষ বলে কোনো মানুষ নেই। যাকে আমরা মন্দ বলে ভাবি সে তো আছেই মন্দ, এছাড়া প্রচণ্ড অসহায় নম্রতা দেখানো মানুষটারও করুণ চেহারার আড়ালে, সুযোগ পেলেই হিংস্র হবার বাসনা থাকে, আক্রোশে ফেঁপে ওঠা লোভের তাড়না থাকে, বিনামূল্যে এ জীবনে বড় কিছু প্রাপ্তির লালসা থাকে। শুধু প্রকাশ করতে পারে না।
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: রিয়াদ ভাই আমার মতো অলস পাঠকের জন্য মাঝে মাঝে ছোট ও একটু আধুনিক টাইপ গল্প লিখবেন।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৯
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভাই বিশ্বাস করেন, এই গল্পটা লেখার সময় বার কয়েক আপনার কথা মাথায় এসেছে। যত বড় হচ্ছিল আর ভাবছিলাম, গত গল্পেই বললাম আপনাকে পরের গল্প আপনার জন্য, পড়তে পারবেন, ছোটো হবে। কিন্তু লিখতে গিয়ে আর ছোটো করতে পারলাম না। কথা দিলাম, পরের গল্প পড়ে শেষ করতে পারবেন। হাহাহা।
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জামান সাহেবকে খুন করলো কে?
পাঠক গল্পটা পড়ে কুদ্দুস মিয়ার মনস্তত্ত্ব বুঝতে পেরেছে। কুদ্দুস ভেবেছে, চিরকুমার জামান সাহেব হয়ত একদা কুদ্দুসকেই এ বাড়িটা লিখে দেবে। দুলাল বিশ্বাসের ভবিষ্যদ্বাণীও তার মনে গেঁথে আছে। মানুষ জানে বকশিদের সাথে জামান সাহেবের দ্বন্দ্ব আছে, কাজেই জামান সাহেবের কিছু হলে সে দায় বকশিদের উপরই বর্তাবে। কুদ্দুস এ সুযোগটা নিয়েছে।
কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে কী হবে। পুলিশ আসবে। সুরতহাল রিপোর্ট করবে। স্যাম্পল কালেকশন করবে। ভাড়াটিয়াদের শক্ত রশি দিয়া বাঁধবে। থানায় নিয়া যাবে। বকশিরা কলার ঝাঁকাইয়া, বুক উঁচু কইরা ঘুরে বেড়াবে।
তাই, আমার কাছে মনে হয়েছে, জামান সাহেবকে কে মারলো সেটা কোনো ফ্যাক্টর না। এ প্রশ্নেরও দরকার নাই। তার চাইতে বরং, জামান সাহেবের মৃত্যুতে কুদ্দুসের মনে বিষাদের বদলে যে আনন্দ জাগ্রত হলো, সেই সাইকোলজিটাই গুরুত্বপূর্ণ।
এ জীবনে কত শত বেদনা, দুঃখ, বিষাদ। যখন হাতড়ে কোনো আলোর দিশা, সুখের ছোঁয়া পাওয়া সম্ভব হয় না, তখন বোধহয় মানুষ এভাবেই অন্যের বিষাদকে নিজের সুখ ভেবে আনন্দ পায়। যে সমীকরণের কোনো সমাধান খুঁজে পায় না, তা অসমাপ্ত রেখে; একদম শেষে জানা উত্তর লিখে সান্ত্বনা পায়।
আপনার লেখার হাত খুব সাবলীল, গতিশীল। আমাকে হড়হড় করে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে এসেছে।
আপনার বানান-জ্ঞান ভালো, তাই দু-একটা ভুল বানানের কথা আর বললাম না।
কোনো কোনো জায়গায় হুমায়ূন আহমেদের ছোঁয়া পাওয়া যায়।
বকশির সাথে জামান সাহেবের জমি নিয়ে দ্বন্দ্বটা তেমন প্রকট হয় নি, তাই তার খুনের দায়টা বকশির উপর তেমন পড়ে না। এ হলো আমার ক্ষুদ্র মতামত।
আপনি ভালো গল্প-লেখক। শুভেচ্ছা রইল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার সবিস্তার মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্য লেখার খুঁটিনাটি নিয়ে আলাপ আলোচনা আমার ভালো লাগে। আমি বিষয়গুলো নিয়ে যথেষ্ট ভাবারও চেষ্টা করি।
কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে কী হবে। পুলিশ আসবে। সুরতহাল রিপোর্ট করবে। স্যাম্পল কালেকশন করবে। ভাড়াটিয়াদের শক্ত রশি দিয়া বাঁধবে। থানায় নিয়া যাবে। বকশিরা কলার ঝাঁকাইয়া, বুক উঁচু কইরা ঘুরে বেড়াবে।
কুদ্দুছ অবশ্যই দূরদর্শী কোনো ব্যক্তি নয়। ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে বিচক্ষণ চিন্তা তার মনে আসবে না। সে সাময়িক লাভ আর দুলাল বিশ্বাসে ঘোর বিশ্বাস নিয়ে বসে আছে।
আমার গল্পে আমি কুদ্দুছ মিয়ার মানসিক অবস্থাটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি, জামান সাহেব তাতে মরেই যাক কিংবা জীবিতই থাকুক।
আপনার বানান-জ্ঞান ভালো, তাই দু-একটা ভুল বানানের কথা আর বললাম না।
আমি বানান নিয়ে সচেতন থাকার চেষ্টা করি। আমি লেখা শেষ করে কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার বানান চেক করি। এরপরও কোনো বানান ভুল মনে হলে অবশ্যই জানাবেন, আমি ঠিক করে নিবো।
কোনো কোনো জায়গায় হুমায়ূন আহমেদের ছোঁয়া পাওয়া যায়।
আমি আমার লেখায় প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পরিবর্তন আনার। আগের ভুল কিংবা প্রাঞ্জলতায় বাধা দেয় এমন বিষয়গুলো সংশোধন করার। কাহিনি-বিন্যাসে, বর্ণনায়, উপস্থাপনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা সবসময়ই করি। আমার আগের লেখার সাথে বর্তমানের লেখার স্টাইলের তেমন একটা মিল নেই। যেমন এই গল্পটা (লিংক) আমার অনেক পছন্দের ছিলো, ২০১৩ সালে লেখা। কিন্তু আমি এখন লিখলে কখনই গল্পটা এভাবে লিখতাম না।
আমি বুঝতে পারি, হিউমারঘটিত বর্ণনা গুলোয় আমার লেখায় হুমায়ূন আহমেদের ছাপ চলে আসে। এ বিষয়টা আমার কাটানো উচিত।
বকশির সাথে জামান সাহেবের জমি নিয়ে দ্বন্দ্বটা তেমন প্রকট হয় নি, তাই তার খুনের দায়টা বকশির উপর তেমন পড়ে না। এ হলো আমার ক্ষুদ্র মতামত।
আপনার এই ক্ষুদ্র মতামতকে বৃহৎ-ভাবে নিলাম। গল্প পরবর্তীতে যদি আবার সম্পাদনা করি, জামান সাহেবের সাথে বকশিদের গ্যাঞ্জাম আরেকটু ঝাঁঝালো করার চেষ্টা করব।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি আমার পরবর্তী সব লেখায় আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকব। লেখকের চোখে যা সাবলীল, পাঠকের চোখে তাতে সুপারিশ করার মতন অনেক জায়গা থাকে। আর পাঠক আপনার মতন সুলেখক হলে তো কথাই নেই।
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: সব মিলিয়ে সুন্দর লেখা। ঘষামাজা করলে লেখাটা দারুন হবে বলে আমার ধারনা।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব দা। পরবর্তীতে ঘষামাজা করার চেষ্টা করব আবার লেখাটায়। আপনার গল্পপাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
পড়লাম, ঢাকাতে এসব চলছে।