নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উম্মাদীয় বানানে স্বাগতম! ;-)

আমি তোমাকেই বলে দেব, কি যে একা দীর্ঘ রাত আমি হেটে গেছি বিরান পথে! আমি তোমাকেই বলে দেব, সেই ভুলে ভরা গল্প; কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়!

সিজানুর রহমান

খুব সাধারন ভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি। মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, আমি ঘরকুনো। আর তাই হয়ত রাস্তায় যখন বের হই, নিজের ছায়া ব্যাতীত কোন সঙ্গী পাই না! লেখাপড়া বায়োটেকনোলোজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ভাল লাগে গান শুনতে, ভ্রমন করতে ও ছবি আঁকতে। আমার প্রিয় কবি সুকান্ত, গায়ক বাপ্পা ও নচিকেতা, লেখক ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। অবসরে সায়েন্স ফিকসান ও গোয়েন্দা গল্প পড়ি। নিজেও কিছু লেখালেখির চেষ্টা করি। যার প্রতিফলন আমার এই ব্লগ . . .

সিজানুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীব ও জীবনের রহস্য - (মৃত্যুর কালো হাত)

০৯ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:১৮

জীব ও জীবন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, সেখানে মৃত্যুও চলে আসে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মৃত্যু কি এবং কেন মৃত্যু হয়? ধর্মীয় দিক থেকে মৃত্যু হচ্ছে আত্ত্বার দেহ ত্যাগ। আর বিজ্ঞানের ভাষায় মৃত্যু হচ্ছে জীব বা জীব কোষের সে সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর বিনাস যা ঐ জীব বা জীব কোষটিকে জীবিত বলে ঘোসনা করছিল। তার মানে জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলো থেমে গেলেই মৃত্যু হয়। উচ্চতর জীবের জন্য এ মৃত্যু দুই ভাবে ঘটে। এক কোষীয় মৃত্যু ও দুই দৈহিত মৃত্যু। উচ্চতর প্রাণীগুলোতে কোষীয় মৃত্যু হর হামেসাই ঘটে। যেমন, আঙ্গুলের নখ্ (যে অংশটা চামড়ার সাথে লেগে থাকে না), অধিকাংশ সময় এই কোষীয় মৃত্যু বুঝা যায় না; কারন নতুন কোষ সে ঘাটতি মিটিয়ে ফেলে। আর দৈহিক মৃত্যু হচ্ছে পুরো দেহের মৃত্যু। যখন জীবনি শক্তি শেষ হয়ে যায় তখন কোষীয় বা দৈহিক মৃত্যু হয়। এই জীবনি শক্তিটা কি? যার পেছনে বিজ্ঞানীরা ছুটে চলেছেন এবং এখন পর্যন্ত ব্যার্থ জৈব রাসানিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দ্বারা ব্যাখ্যা করতে। তোব কি এটাই সেই আত্ত্বা?



তাই যদি হয় আত্ত্বা কোথায় থাকে? নিশ্চয় কোষে, কারন কোষের মৃত্যু হয়। কিন্তু বহুকোষ বিশিষ্ট জীবের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় সমস্যা। যদি ধর্মীয় মতবাদ মেনে নিই তবে একটি জীবে, একটিই আত্ত্বা থাকার কথা। তাহলে বহুকোষী জীবের ক্ষেত্রে কোষীয় মৃত্যুতে আত্ত্বার কোন পরিবর্তন হবার কথা নয়। শুধু মাত্র দৈহিক মৃত্যুতেই এটা বলা যায় যে আত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে বা আত্ত্বা দেহ ত্যাগ করেছে। তাহলে কোষীয় মৃত্যুর ব্যাখ্যা কি? আবার উচ্চতর জীবের কিছু অঙ্গ দৈহিক মৃত্যুর পরও কিছু সময় বেঁচে থাকে। যেমন মানুষের মৃত্যুর পর হৃদপিন্ড ১৫ মিনিট, কিডনি ৩০ মিনিট ও কঙ্কাল পেশি প্রায় ৬ ঘন্টা বেচেঁ থাকে। তার মানে দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে মৃত্যুকে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায় না। কারন আত্ত্বার অবস্থান নির্ণয় করা যায় না, আবার আত্ত্বা দেহ ত্যাগকেও বর্ণনা করা যায় না!



মজার ব্যাপার হচ্ছে, মৃত্যু শুধুমাত্র উচ্চতর জীব যাদের যৌন-জনন হয় তাদের জন্যই প্রযোজ্য। যাদের যৌন জনন হয় না, তারা আক্ষরীক অর্থে অমর! যেমন অ্যামিবা সহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, তাদের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটতে থাকে, এবং এক সময় বিভক্ত হয়ে দুটি জীবে পরিনত হয়। (এই ক্ষেত্রে আত্ত্বার যে কি ঘটে, তা ধর্মে ব্যাখ্যা নেই!) যাদের অযৌন জনন হয় তাদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা চলতেই থাকে বার বার যদি তারা অনুকূল পরিবেশ পায় তবে। আর প্রতিকূল পরিবেশে তাদের কোষীয় কিছু কার্যক্রম বন্ধ করে, স্পোর গঠন করে। এ সমস্ত অনুজীব মারা যায় তাপপ্রয়োগে বা কেমিক্যাল প্রয়োগে।



তাই যদি হয় তবে কি মৃত্যু একটি জিন গত বৈশিষ্ট্য! যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে পেয়েছি এবং বহন করে চলছি? তারমানে প্রতিটি উচ্চতর জীব এমন কিছু জিন বহন করছে যা ঐ জীবটির মৃত্যু ঘটায়। এধরনের জিনকে লীথ্যাল জিন বা মারন জিন বলে। মেন্ডেলের মোনোহাইব্রিড ক্রশে অনুপাত ১:২:১ এর পরিবর্তে ১:২ হয় লীথ্যাল জিনের কারনে। তাহলেকি মৃত্যু আসলেই একটি জিনবাহিত রোগ, যা আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহন করে চলছি!?



আগের পর্বগুলো

১। জীবনের সূত্রপাত

২। জীবনের বৈশিষ্ট্য



আসছে >> অমরত্বের হাতছানি

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:১৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, কিছু মনে করবেন না। আপনার লেখাটি পড়ে আবারও লিংক দুটি দিতে বাধ্য হলাম। সময় কোরে যদি পড়ে নেন তাহলে আপনার সাথে মত বিনিময় করা যেত।
Click This Link
Click This Link

১৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৪

সিজানুর রহমান বলেছেন: অবস্যই। নিয়ে একটু ব্যাস্ততার মাঝে আছি, ব্লগে ঠিকমত সময়ও দিতে পারছি না। আমি অবস্যই আপনার লিঙ্কগুলো মনযোগ দিয়ে পড়ব।

২| ১০ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:১৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার ইমেল ঠিকানাটা জানাবেন কি?
আমারটা [email protected]

১৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪২

সিজানুর রহমান বলেছেন: [email protected]

৩| ১০ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:৩২

সায়েম হক বলেছেন: লেখা পড়ে ভালো লেগেছে।এ প্রসঙ্গে শুনেছি ''দেহের মৃত্যু আছে কিন্তু আত্মা অমর''

১১ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সিজানুর রহমান বলেছেন: এটাতো ধর্মীয় মিথ!

৪| ১০ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:৩৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি বলেছেন:- তাহলেকি মৃত্যু আসলেই একটি জিন বাহিত রোগ, যা আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহন করে চলছি!?

তাহলে এক্সিডেন্টের কারণে যখন মৃত্যু ঘটে তখনও কি তা কোন জীন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে আপনি মনে করেন? মৃত্যু! আসলে কোন জিন বাহিত রোগ নয়। বরং স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালার নির্দেশেই মৃতু্য ঘটে। তবে এর কারনটা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম। কেউ কেউ দীর্ঘ সময় ভুগে মারা যায়, আবার কেউ হঠাৎ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

১১ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৩

সিজানুর রহমান বলেছেন: আমি স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলতে চেয়েছি। এক্সিডেন্ট যে কোন রোগ নয় এটাতো সবাই জানে।

৫| ১২ ই জুন, ২০১০ রাত ১:৫৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: জী ভাই, ঠিক বলেছেন- এক্সিডেন্ট যে কোন রোগ নয় এটাতো সবাই- এমন কি বাচ্চারাও বোঝে।
কিন্তু মৃত্যু যে কোন জিন-বাহিত রোগ নয়। বরং স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালার নির্দেশেই মৃত্যু ঘটে। আমি সেটাই বোঝাতে চেয়েছি।
তবে জিন মিউটেশনের কারনে প্রানঘাতি অর্থাৎ লীথাল জীনের উদ্ভব ঘটতে পারে এবং যার কারনে এমন রোগ হতে পারে যে তাতে জীবেরা অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। তাই বলে সব মৃত্যুই তো এই প্রানঘাতি অর্থাৎ লীথাল জীনের কারনে ঘটে না। তাই মৃত্যুকে শুধুমাত্র জিন-বাহিত রোগ মনে করাটা ঠিক নয়।

১২ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সিজানুর রহমান বলেছেন: আমি জোর গলাই বলতে পারছি না, কারন এখনও এটা আবিষ্কার হয়নি যে সকল মৃত্যুতেই জিনের হাত আছে। আমি এটা ধরে নিচ্ছি যে সকল মৃত্যুতে জিনের হাত আছে কারন, নিম্ন শ্রেণীর প্রাণীরা অমর!

৬| ১৫ ই জুন, ২০১০ রাত ২:১১

আজম বলেছেন: প্রাণ নিয়ে আরো প্রচুর জানতে চাই...
তিনটা লেখায়ই পড়লাম...লেখার স্টাইল ভালো।
শুভকামনা।

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:২০

সিজানুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আরো লিখা আসছে, চিন্তা কইরেন না। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.