নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাহাদাত হোসেন পাপ্পু

আমি শাহাদাত হোসেন।আমি ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে কম্পিউটার সাইন্স টেকনোলজিতে পড়ছি।

শাহাদাত হোসেন পাপ্পু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস(নারীরা কি পেলো কি পেলোনা)। কিছু সংগ্রামী নারীর জীবনচিত্রঃপর্ব-১

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫২

সালেহা বেগম।ডাক নাম পাখি।বয়স ২৯ কি ৩০ হবে,কখনো অবশ্য জিগ্যেস করা হয় নি।আমাদের মেসে রান্নার কাজ করে।সে হিসেবে ওনাকে বুয়া-ই বলা যায়।কিন্তু আমরা ওনাকে পাখি খালা বলেই ডাকি।বুয়া হলেও উনি আমাদের কাছে অতি আপনজনের মতই।কারন মায়ের কাছে যেমন আমরা কোনো স্পেশাল রান্নার(যেমন-পিঠা,নুডুলস্,খিচুড়ি ইত্যাদি)বায়না ধরলে তিনি তা না করতে পারেননা তেমনি মাকে ছেড়ে অনেক দূরে থাকলেও এখানে পাখি খালাও মায়ের মতোই(তার মূল কাজের বাইরে)আমাদের এসব বায়না পূরণ করে থাকে।সকাল ৫টায় ঘুম থেকে উঠেই তার মূল কর্মস্থল আমাদের মেসে আসতে হয়।আমাদের সকালের রান্না শেষ করে ৮টায় আবার নিজের বাসায়(বাসা বললে ভূল হবে বস্তির ছোট্ট একটি ঘর,একটি রুম।স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে কোনরকম থাকা)রান্না বা অন্যান্য কাজ।এরপর সাড়ে ৯টায় পার্শ্ববর্তী একটি বাসায় হাড়ি-পাতিল ধোয়া,রান্নার উপকরণ তৈরি করা ইত্যাদি কাজ।তারপর আবার আমাদের মেসে দুপুরের রান্না।১টার পর আবার ওই বাসায় ঘর মোছা ও জামাকাপড় ধোয়া।এরপর নিজের বাসায় গিয়ে একটু সময়ের জন্য বিশ্রাম।তারপর আবার বিকেল ৫টা কি সাড়ে ৫টায় আমাদের মেসের রাতের খাবার রান্না।সন্ধ্যার পর বাসায় গিয়ে তবেই একটু প্রশান্তি।প্রশান্তি বললে ভূল হবে,কারন আবার তার নিজের বাসার জন্য রাতের খাবার তৈরি।কিন্তু এতো পরিশ্রমের পরও তার মনে প্রশান্তি কারন তার সন্তানদের তিনি লেখাপড়া শিখাতে পারছেন।তার বড় ছেলেকে আবাসিক স্কুলে পড়াচ্ছেন।৪র্থ শ্রেণীতে পড়ে সে।আর ছোট ছেলে ২য় শ্রেণীতে পড়ছে।তার বিশ্বাস তার সন্তানেরা একদিন তার ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা সফল করবে।শুধু সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতেই তিনি দিনের পর দিন এত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।তার বিশ্বাস তার সন্তানেরা মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ জাতির উন্নয়নে অবদান রাখবে।আর তাতেই তিনি নিজেকে সার্থক বলে বলে মনে করবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.