![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করে। ঘুরে বেড়াতে চাই আর একটা মুক্তি...
সাদিকুর নয়ন
বেহুলা-লক্ষ্মীন্দরের কথা মনে আছে আপনাদের? কারো কাছে থেকে পূজা না পাওয়া সাপের দেবী মনসা লক্ষ্মীন্দরের পিতা চাঁদ সওদাগরকে বলে তার পূজা করতে। কিন্তু চাঁদ সওদাগর সে কথা অগ্রাজ্য করে। ওদিকে মনসাও অভিশাপ দিয়ে বসে যে সওদাগরের সন্তানদের ক্ষতি হবে করবে। লক্ষ্মীন্দরের সব ভাই মনসার দংশনে মারা যায়। লক্ষীন্দর যখন বিয়ের উপযোগী হয় চাঁদ সওদাগর স্বপ্নে দেখেন বাসর রাতে মনসা লক্ষ্মীন্দরকে দংশন করছে। শত বাধা আর অভিশাপ উপেক্ষা করে লক্ষ্মীন্দরের বিয়ে হয় বেহুলার সাথে। তাদের জন্য বানানো হল সম্পূর্ণ লোহার তৈরি বাসর ঘর। যেন সাপ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। তবে বাতাস চলাচলের জন্য রাখা হয় চুলের মত চিকন একটি ছিদ্র। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেই চুল চিকন ছিদ্রই কাল হয় লক্ষ্মীন্দরের। এ পথ দিয়েই প্রবেশ করে মনসা দংশন করে লক্ষীন্দরকে। বাসর রাতেই বিধবা হয় বেহুলা।
কূপের পানি ছিটিয়ে মৃত মানুষের জীবন ফিরিয়ে দেয়া হত এমন মিথ কী শুনেছেন? রাজা পশুরামের সময় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে প্রায়ই যুদ্ধ লাগত। প্রতিবারই হিন্দুরা জয়ী হত। কারণ হিন্দু কোন যোদ্ধা মারা যেতনা। কেউ মারা গেলেও তাকে কূপের পানি ছিটিয়ে দিয়ে জীবিত করা হত! মুসলমানরা বিষয়টি জানতে পেরে এক সময় কূপের ভেতর রক্ত মিশ্রিত গরুর মাংস নিক্ষেপ করে আর তাতেই মৃত মানুষকে জীবিত করার অলৌকিক শক্তি হারিয়ে ফেলে কূপটি।
এতসব কল্পকাহিনী যে জায়গাটিকে কেন্দ্র করে সেটি হল মহাস্থানগড়। উত্তরবঙ্গের রাজধানী হিসেবে পরিচিত বগুড়ার অন্যতম ঐতিহাসিক দর্শনিয় স্থান।
বগুড়া শহর থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার উত্তরে শিবগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক এ নিদর্শনটি। ঐতিহাসিকদের তথ্য মতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের দুর্গ নগরী এই মহাস্থানগড়। এককালে, মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল এখানে। এখন শুধু সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে। তবে এখানে এখনও আছে ৫০০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৪৫০০ ফুট প্রস্থের সেই প্রাচীন নগরীর দেয়াল। আর তাই ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং ভ্রমণ পিপাসুরা চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন দইয়ের নগরী হিসেবে খ্যাঁত বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে…(চলবে)
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: মহাস্থানগড় খুব সুন্দর একটি ঐতিহাসিক স্থান! বেহুলার বাসরঘর বিবরন ভাল লেগেছে।