![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করে। ঘুরে বেড়াতে চাই আর একটা মুক্তি...
সাদিকুর নয়ন
শুরুতেই ‘ক্রিকেট খেলা’ আর ‘ক্রিকেট’ এর বিষয়টি স্পষ্ট করে নেই। প্রায় বছর খানেক হল বাংলাদেশ মাঠের ক্রিকেট খেলায় বেশ ধারাবাহিক। শুরুতে ওয়ানডেতে দাপট পাশাপাশি টেস্টে তার ছোঁয়া। টি টোয়েন্টিতে দূর্বলতা থাকলেও গত এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র এ সংস্করণেও টাইগারদের থাবায় পড়তে যাচ্ছে তথাকথিত বড় দাদারা। এটাই মূলত বাংলাদেশের ‘ক্রিকেট খেলায়’ উন্নতি করার টার্ম। মাঠের ক্রিকেটে বাংলাদেশের দাপট দেখা গেলেও দেশের ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণকারী বোর্ড বিসিবির সেই বড়দা ভক্তি করার মানসিকতা এখনো সেই নব্বই কালীন সময়েই রয়ে গেছে। তাই স্বভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশ মাঠের ক্রিকেট খেলায় উন্নতি করলেও ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণের খেলায় কতটা্ উন্নতি করছে?
ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণের খেলায় উন্নতি করাটা প্রয়োজন। কারণ ক্রিকেট বাণিজ্যে ও রাজনীতির এ যুগে মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার লাড়াইয়ের মতো প্রতিযোগিতা চলছে ক্রিকেট বোর্ডগুলোর মধ্যেও। আর সে রাজনীতিতে রাজপথে থাকতে না পারলে তাসকিন-সানির মতো অভিযোগের তীর আসতে পারে দেশের অন্য সম্ভাবনাময়ী ক্রিকেটারদের দিকেও।
খোলা চোখে দেখলে এই মুহূর্তে ক্রিকেটের এ রাজনীতিতে রাজপথে সব থেকে এগিয়ে ভারত। পর্যায়ক্রমে আছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সেটা মোটামুটি ক্রিকেট নিয়ে খোঁজ খবর রাখেন তাদের সবারই জানা কথা। সে জানায় নতুন সংযোজন হতে পারে-‘কিভাবে বুঝবেন কেউ স্বীকৃত সম্ভাবনাময়ী(ভারতের জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে/ তাদের খেলোয়াড়দের দখল করে রাখা র্যাংকিংয়ে ভাগ বসাতে পারে) সেরা ক্রিকেটার?’-এই প্রশ্নের উত্তর। উত্তরটা খুবই পরিস্কার। যখনই দেখবেন ভারতের মাটিতে সেদেশেরই কোন অ্যাম্পায়ার কোন ক্রিকেটারের টেকনিক্যাল বিষয়ে সন্দেহ করছে তখন দ্বিতীয়বার চিন্তা না করেই বুঝে নিতে পারেন, এটাই সেই স্বীকৃত সম্ভাবনাময়ী সেরা ক্রিকেটার। এমন উত্তর দিতে রেফারেন্স হিসেবে আপনাকে সাহয্য করবে ক্রিকেটের এ নোংরা রাজনীতিতে ভারতের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স। সুনিল নারাইন, ডোয়াইন স্মিথ, মারল্যান স্যামুয়েলস, সাঈদ আজমলসহ সর্বশেষ তাসকিন-সানি।
তবে এমনটা বলছিনা যে, বাংলাদেশকেও ভারতের মতো এ নোংরা রাজনীতিতে উন্নতি করতে হবে। তবে ক্রিকেট রাজনীতিতে একটু হলেও উন্নতি করতে হবে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলেও করতে হবে। যেমনটা করে চলছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এসব দেশের ক্রিকেটারদের দিকে ভারতীয় অ্যাম্পায়াররা চোখ তুলে কখনো তাকিয়েছে(সন্দেহ করা অর্থে)-এমন উদাহরণ কেউ দিতে পারলে তা দিয়ে জ্ঞানের পরিধি বাড়াবো।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার নেদারল্যান্ডস এর সাথে ম্যাচের পর অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত হন বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। ম্যাচের পর তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান আম্পায়াররা। (দুই অ্যাম্পায়ারের একজন ভারতের- শ্রী রাবি)
বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বরাদ দিয়ে এ নিয়ে খবরও প্রকাশ করা হয়েছে।
বি.দ্র.- কোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক হলে পরবর্তী ২৮ দিন পর্যন্ত বোলিংয়ে বাধা থাকে না। নিয়ম অনুযায়ী সন্দেহ প্রকাশের ১৪ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বোলারকে আইসিসি অনুমোদিত পরীক্ষাগারে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হয়। রিপোর্টে অ্যাকশনকে অবৈধ বলা হলে অ্যাকশন শোধরানো পর্যন্ত বল করতে পারেন না সংশ্লিষ্ট বোলার।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৪
সাদিকুর রহমান নয়ন বলেছেন: হুম।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমারো প্রশ্ন তাই? ক্রিকেটে টাকার ঝনঝনানি কিন্তু শুভলক্ষন নয়!