![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।
হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, একদা মালউন ইবলিস শয়তান (স্বপ্নে হোক, কাশফে হোক) হযরত ইমাম শাফেঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করলো- এ ব্যাপারে আপনার অভিমত বা বক্তব্য কি হতে পারে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী সৃষ্টি করেছেন এবং যে কাজে ইচ্ছা সে কাজে আমাকে ব্যবহার করছেন। এরপর তিনি যদি ইচ্ছা করেন তবে আমাকে বেহেশতে কিংবা দোযখে নিক্ষেপ করবেন। সবই তো দেখি মহান আল্লাহ পাক উনারই ইচ্ছা, এটা কি কোনো ইনসাফ বা ন্যায় বিচার হলো? নাকি তিনি আমার প্রতি যুলুম করলেন? মালউন ইবলিস শয়তানের এমন প্রশ্ন শুনে হযরত ইমাম শাফেঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন- খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি তোকে তোর অভিপ্রায় অনুযায়ী সৃষ্টি করে থাকেন তাহলে তো এটা অবশ্যই যুলুম হবে। আর যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মর্জি অনুযায়ী তোকে সৃষ্টি করেন, তাহলে তুই জেনে রাখ যে, খালিক্ব মালিক রব মহান রব্বুল ইজ্জত আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় অভিপ্রায়ে সৃষ্টির সর্বপ্রকার প্রশ্ন ও জবাবদিহি হতে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত এবং মহাপবিত্র। এমন দাঁতভাঙ্গা আর কোমরভাঙ্গা জবাব শুনে ইবলিস বিফল বিমুখ হয়ে তার চোখেমুখে ধুলা নিক্ষেপ করতে করতে পালাতে লাগলো এবং চিৎকার করে বলতে লাগলো- হে ইমাম! এই একটি মাত্র প্রশ্ন করেই আমি সত্তর হাজার আবেদ, আলিম, মুত্তাক্বী দাবিদার লোকদেরকে মরার আগে গুমরাহ করে দিয়েছি। নাঊযুবিল্লাহ!
পাদটিকা: আজকে আমরা বলতে পারি না- আমরা কত বড় আলিম, আবেদ বা বুযুর্গ বা কতটা মুত্তাক্বী। এর মধ্যে আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে, চিন্তার মাধ্যমে এমন অনেক ইসলাম বিরোধী, সুন্নাহবিরোধী যুক্তির মাঝে নিজেদের মন-মননকে বিলিয়ে দিয়ে কিভাবে যে, মুসলমানিত্বের তবকা থেকে নিজেদের নামটা হারিয়ে ফেলছি.. সেই ফিকির নেই, অথচ খোশ মেজাজে দাবি করে যাচ্ছি, হুম! আমি তো পাক্কা মুসলমান, বুদ্ধিমান, আমিই তো সঠিক পথে আছি। নাঊযুবিল্লাহ! আক্বলমন্দের জন্য উক্ত নছীহতকে ইশারা বলে মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৮
মুহামমদল হািবব বলেছেন: সহমত। সুন্দর লিখেছেন।