![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।
সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
গত ১৭ই সেপ্টেম্বর (২০১৩ ঈসায়ী) মওদুদী জামাত নেতা রাজাকার কসাই আবদুুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসির রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২এর দেয়া যাবজ্জীবন কারাদ-ের সাজা বাড়িয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এ রায় দেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারক মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের সমন্বযয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেয়। জামাতের সহকারী সেক্রেটারি কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধকালে ‘মিরপুরের কসাই’ নামে পরিচিতি লাভ করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামাত নেতার বিরুদ্ধে আনীত ছয়টি অভিযোগের পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষীসাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত করে ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষ আপিল করলে প্রধান বিচারকের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চের পাঁচ বিচারকের চারজনের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের ভিত্তিতে এক থেকে পাঁচ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং ছয় নম্বর অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করার রায় দেয়া হয়। এই রায়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলার আপিল নিষ্পত্তি হয়।
‘কসাই’ নামে পরিচিত জামাত নেতা রাজাকার আব্দুল কাদের মোল্লা শুধু মিরপুরেই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করেনি, সে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জেও তার সহযোগী বাহিনী আল-বাদর সদস্য ও পাকী সৈন্যদের নিয়ে হত্যাকা- ঘটিয়েছে। একাত্তরের ২৫ নভেম্বর ভাওয়াল খানবাড়ি ও ঘাটারচর (শহীদনগর) এবং পার্শ্ববর্তী দুটি গ্রামে কাদের মোল্লা তার সহযোগী আল-বাদর বাহিনীর সদস্যসহ পাকিস্তানী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করে। হত্যাকা-ের পর স্থানীয় বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ১৯৭৩এ ৩(২)(এ)(সি)(জি)৪(১) ধারায় অপরাধ সংঘটিত করেছে। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটদের দেয়া অভিযোগপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রাজাকার আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদ-াদেশ গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত বারোটার পর কার্যকর করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু।
এর আগে আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের সদস্যদের ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টার মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ে কারা মহাপরিদর্শক এবং আইন প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গতপরশু মঙ্গলবার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এরপর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ফরমান আলী আরো সুনির্দিষ্ট করে কারফটকে সাংবাদিকদের বলে যে, “১২টা ১ মিনিটে মৃত্যুদ-ের রায় কার্যকর করা হবে।”
আইন প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই খবর আসে মৃত্যুদ- কার্যকর স্থগিত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারকের বাড়িতে রওনা হয়েছে জামাতী আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকসহ কাদের মোল্লার অন্য আইনজীবীরা।
এর মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত পৌনে ৮টার দিকে কাদের মোল্লার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ২৩ সদস্য কারাগারে ঢোকে তার সঙ্গে দেখা করতে। সন্ধ্যায় তাদের চিঠি পাঠিয়ে দেখা করতে বলার পর মৃত্যুদ- কার্যকরের বিষয়টি আরো জোরালো হয়েছিল।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে তারা বেরিয়ে আসার পর কারাকর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছিল যে ফাঁসির মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত। কারাগারের বাইরেও তখন তিন শতাধিক র্যাব-পুলিশের অবস্থান দেখা যায়। বন্ধ করে দেয়া হয় কারাগারের সামনে নাজিমউদ্দিন রোডে গাড়ি চলাচলও।
কিন্তু যুদ্ধাপরাধী ঘাতক আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদ- কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর আদালতের এক আদেশে তা মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কার্যকর হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ বিচারক সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রথমে জামাত নেতার আইনজীবীদের আবেদনে মৃত্যুদ- কার্যকর গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থগিত করে। পরে গতকাল আরেক আদেশে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানী মুলতবি করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নাভি পিল্লাই যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার মৃত্যুদ- স্থগিত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠানোর মধ্যে আদালতের স্থগিতাদেশ আসে।
এদিকে এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছুই না জানানোয় উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন দলের সমন্বয়ক এম কে রহমান বলেছে, পরিস্থিতি ‘অস্বাভাবিক’ মনে হচ্ছে।
জামাত নেতার আইনজীবীরা বলে আসছিলো যে সংবিধান অনুযায়ী আপিল বিভাগের রায় পর্যালোচনার (রিভিউ) আবেদন জানানোর অধিকার কাদের মোল্লারও রয়েছে।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ বিরোধিতা করে বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে আসছে। এই ধারা অনুযায়ী, গণহত্যাজনিত অপরাধে দ-িতদের মৌলিক মানবাধিকার পাওয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, কাদের মোল্লার মৃত্যুদ- স্থগিত করার জন্য শুধু জাতিসংঘ থেকেই নয়, ইইউ ও ব্রিটেনও এ মৃত্যু দ-াদেশ বাতিলের জন্য অত্যন্ত জোরদারভাবে বলেছে এবং তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
দেখা যাচ্ছে- রাজাকার কাদের মোল্লা গং এদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে রাজনীতি করলেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রু আমেরিকা, জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘ, ইউরোপ, অষ্ট্রেলিয়া তথা কাফিরবিশ্বের সাথে তাদের রয়েছে গভীর সখ্যতা। এর দ্বারা আবারো প্রমাণিত হয় যে, তারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে আসলে কত গভীর অনৈসলামিক কাজ করে। সম্মানিত দ¦ীন ইসলাম উনার ঘোর বিদ্বেষী অনৈসলামিক শক্তির সাথে তাদের কত গভীর আঁতাত।
উল্লেখ্য, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মধ্যে প্রকাশ হয়েছে যে, ‘জামাত নেতা মওদুদী ছিলো সিআইয়ের এজেন্ট।’
মূলত, আজকে তারা (কাফির বিশ্ব) তাদের এজেন্টদের রক্ষার্থে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশে আমরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী ইউরোপ, আমেরিকা, জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘের অনৈসলামিক সুপারিশ মানতে বা দেখতে রাজি নই। ৭১-এর খুনি, সম্ভ্রম লুণ্ঠনকারী, যুদ্ধাপরাধীদের জন্য মৃত্যুদ-ই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শেষ কথা। দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান জনগোষ্ঠীর ঈমানী প্রতিক্রিয়া হলো- যুদ্ধাপরাধী রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়া ব্যতীত রাষ্ট্রদ্বীন ‘ইসলাম’ উনার দেশের সরকারের অন্যথা করার সুযোগ নেই। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী বিদেশী শক্তির কাছে নত হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
হাঁড় = ঘাঁড় বলেছেন: ইউরোবাংলা কোন হারামি রে!
প্রত্যেকটা পোস্টে গিয়ে গিয়ে জামাতি লিং দিয়ে আসে?
ছাগুর বাচ্চা কভি নেহি আচ্ছা
যো হ্যায় আচ্ছা ও ভি শুয়ার কা বাচ্চা।
আজকে তিনদিন ধরে প্রত্যেক পোস্টে একই কমেন্ট, একই লিংক দিয়ে মহাফ্লাড করছে এই লোকটা। সামুতে একই ফ্লাডিং করা জায়েজ নাই। সামুতে জামাতির বাচ্চাদের কোন জায়গা নাই।
আগে পরে কোন কথা বলে না, শুধু কাদের মোল্লার গুনগাণের লিংক।
একাত্তর সাল কি ছিল না?
জামাত কি সবচে বড় রাজাকার দল না?
বাংলাদেশের মানুষ কি পাকিস্তান-জামাতের সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়নাই?
গোলাম আজম কি রেজাকার বাহিনীর বড় খাদেম ছিল না?
কামারুজ্জামানের কাজ কি মুক্তিযোদ্ধাদের আঙুল কাটা ছিল না?
নিজামী কি তখন ছাত্রসংঘের প্রধান ছিল না?
ষোলই ডিসেম্বর কি ছাত্রসংঘ আর আল বদরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বস্তা বস্তা উপড়ানো চোখ উদ্ধার করা হয়নি?
গো মা রনি'র মত একটা বাজারি ব্যবসায়ী দুইদিনের বৈরাগী সরকারি জমি দখলকারী লোক, যার প্রিয়জন সব রাজাকার-আলবদর এর জেলের লোকজন, যার ওঠাবসা মাচুদুর রহমানের সাথে, তার কথা এত ফ্লাডিং কেন?
কোন চুলা থেকে এইসব দুই পয়সার অনলাইন নিউজ এজেন্সি এসেছে? এইসব হামটি ডামটি নিউজ এজেন্সির লিংক এইসব নব্য রাজাকার কোথা থেকে পায়? আর কেমন করে সবখানে ছাপায়?
পাচ বছর নয় মাসের ব্লগার পাঠাই না। সবজায়গায় জামাতি লিং কেন? শুয়রের বাচ্চা গীধর কাদের মোল্লার গুণগান সব পোষ্টে লিং মেরে আসে?
জামাতি সাপ পুষলে উল্টা ছোবল মারবে। সব নষ্ট করবে। সকল জামাত-শিবির-রাজাকার-আলবদর-আলশামস-শান্তি কমিটির প্রচার-প্রচারণাকারীর নি:শর্ত ব্যান চাই।
পোস্টদাতা, ইউরোবাংলা আর সমস্ত পেইড বিক্রি হওয়া রেজাকার-আল বদরের কমেন্ট অনুগ্রহ করে ডিলিট করুন। বেহায়া ছাগুর একমাত্র পাওনা গদাম!
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
ইউরো-বাংলা বলেছেন: @হাঁড় = ঘাঁড়, ঐ বেটা ছাগলের বাচ্চা ছাগল। আমার পিছে লাগছছ কেন ? আমার মন্তব্য আমি করি , আমি কি তোরে কখনো ফাটা বাঁশ দিয়েছিলাম নাকি ?
বেটা BAL এর চামচা
BAL=Bangladesh Awami League
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
ইউরো-বাংলা বলেছেন: কাদের মোল্লার উস্তাভাজি- ডাল, বৈকালিক গান এবং একটি চিরকুটের ইতিকথা...