নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অহন থিক্কাসব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য ইকোনোমিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চান

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

সদ্য সমাপ্ত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইলেও এক বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বৃটেনের প্রভাবশালী সাময়িকি দ্য ইকোনোমিস্ট।

গতকাল জুমুয়াবার সাময়িকিটির অনলাইনে প্রকাশিত ‘শেখ হাসিনা প্ল্যানস টু হ্যাঙ্গ অন টু অফিস আফটার এ্যান ইলেক্টোরাল ফার্স’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা কতোদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বিষয়টিকে উপদেষ্টাম-লীর সূত্রে ‘ট্রিলিয়ন ডলার প্রশ্ন’ আখ্যায়িত করে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা নতুন নির্বাচনের আগে ১ বছর বা তার বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে চান।

প্রতিবেদনের শুরুতেই শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলা হয়েছে, এটা বলা মুশকিল যে তিনি একজন দারুন অভিনেত্রী, নাকি রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন। গত ৬ জানুয়ারি তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন আর বলছিলেন, একদিন আগে হয়ে যাওয়া নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী দল ভুল করেছে। তারপর নির্বাচনে তার জয়ের বৈধতা নিয়ে সংশয় উড়িয়ে দেন।

পশ্চিমা বিশ্ব নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিদেশিরা নতুন ভোটের জন্য চাপ দেবে কিন্তু দৃঢ়ভাবে নয়। পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে।

৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো মেরুকরণ ও সহিংসতার নির্বাচনে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে। কিন্তু কেউ সরাসরি বলেনি যে শেখ হাসিনা অবৈধ। বিদেশিরা সহযোগিতা (বিশেষ করে শুল্কমুক্ত সুবিধা ইউরোপীয় ইউনিয়নে) বন্ধের হুমকি দিতে পারে।

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার চিন্তা করছেন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তাই শেখ হাসিনা ভাবছেন তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। যদি তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে সমঝোতার প্রস্তাব দেন তা হবে শুধু সময়ক্ষেপণের জন্য। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবটি হতে পারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে পরবর্তী নির্বাচন আয়োজন। কিন্তু এই সমঝোতায় পৌঁছাতে কয়েক মাস সময় লাগবে। হয়তো কখনোই এ সমঝোতা হবে না। এর মধ্যে জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সরকার বিএনপিকে চাপ দেবে।

শেখ হাসিনা ভারতের সমর্থন পাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ভারত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে এবং শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছে। ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে ভারত বিএনপির চাইতে শেখ হাসিনাকে বেশি সমর্থন দিচ্ছে। এটা পরিষ্কার যে ভারত বাংলাদেশে জামাত এবং অন্যান্য ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোকে দুর্বল দেখতে চায়।

প্রতিবেদনে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, মোট ভোটের মাত্র একটি ক্ষুদ্র অংশ ভোট দিয়েছে। আর সরকার ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে। কিন্তু অনেকের মতে এর সংখ্যা আরো কম। অনেক কেন্দ্রেই ভোটার প্রায় দেখা যায়নি। তারপরও দিন শেষে সন্দেহজনকভাবে বিপুল ভোট পড়েছে বলে দেখা যায়। সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে শুধুমাত্র ১৫৩টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। বাকিগুলোতে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গী দলগুলোর প্রার্থী ছাড়া কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।

link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.