নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো, তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড় ?

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর

জানি সত্য নয় শুধু কল্পনায় ইচ্ছের ঘুড়ি আমরাই উড়াই, স্বপ্ন গুলো সত্যি হবে তারি অপেক্ষায়......

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলসিরাত কি?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

পুলসিরাত কি?

হাশরের ময়দানে বেহেশত ও দোযখ এনে উপস্থিত করা হবে। বেহেশত উঁচু স্থানে আর দোযখ রাখা হবে গভীর নিম্নে। দোযখের উপর পুল স্থাপন করা হবে সেটিই পুলসিরাত নামে পরিচিত।

ঐ পুলের শেষ প্রান্তে বেহেশত অবস্থিত। বেহেশতে যেতে হলে সেই পুলটি পেরিয়ে যেতে হবে। মানুষের নেকি-বদি ওজন এবং হিসাব-নিকাশের পর সকল লোকজনকে বলা হবে, তোমরা এখন নিজ নিজ স্থানে চলে যাও। ফিরিস্তাগন আল্লাহর নির্দেশে বান্দাগনকে পুলসিরাত দেখিয়ে দিয়ে বলবে এই তোমাদের পথ। এই পুল পেরিয়েই তোমাদেরকে যেতে হবে। কিন্তু সবার জন্য ঐ পুল পার হওয়া সম্ভব হবে না। পাপীরা সেটাকে চুল থেকেও চিকন দেখতে পাবে। তাদের জন্য সেটি হবে অত্যন্ত ধারালো। তারা ঐ পুলে আরোহণ করা মাত্রই তাদের পদদ্বয় কেটে তারা নিন্মস্থ দোযখে পড়ে যাবে। আর নেককারদের জন্য হবে সুপ্রশস্থ সুগম পথ। তারা তাদের নেকীর তারতম্যানুয়াযী কেউবা বিজলীর মত মুহুত্বে পুলসিরাত অতিক্রম করবে। কেউ বা বায়ূ বেগে, আবার কেউবা দ্রত দৌড়ে, কেউবা ধীর মন্তর গতিতে হেঁটে হেঁটে পুল পার হয়ে তাদের গন্তব্স্থল বেহেশতে পৌঁছে যাবে।

আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন- ‍" যেদিন আমি পরহেগারদিগকে মেহেরবান আল্লাপাকের কাছে মেহমানের ন্যায় জামাত জমাত সমবেত করিব এবং অপরাধী দিগকে পিপাসিত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে চালিত করিব।" (সূরা মারইয়াম, আয়াত ৮৫-৮৬)

আল্লাহপাক আরো বলেন-" তাহাদিগকে জাহান্নামের পথে চালিত কর এবং তাহাদিগকে থামাও কারণ তাহাদিগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে।" (সূরা ছাফফাত, আয়াত ২৪)

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন- পুলসিরাত জাহান্নামের মধ্যখানে স্থাপন করা হইবে। রাসুলের মধ্য আমিই সর্ব প্রথম স্বীয় উম্মত লইয়া ইহা অতিক্রম করিব। সে দিন নবী রাসুলগন ব্যতীত অন্য কেহ কথা বলিবে না। প্রত্যেক নবী বলিতে থাকিবে হায় আল্লাহ! নিরাপত্তা দান করুন। হায় আল্লাহ! নিরাপত্তা দান করুন।

পুলসিরাত পার হতে হলে আমাদের করণীয় কি কিঃ
* অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) উপর ঈমান আনতে হবে, আখিরাতকে বিশ্বাস করতে হবে।

* আমৃত্যু পাঁচ ওয়াক্ত নামায অবশ্যই পড়তে হবে।

* রমযান মাসে রোযা রাখতে হবে।

* যাকাত প্রদান করতে হবে।

* হজ্জ ফরজ হলে হজ্ব পালন করতে হবে।

* হালাল উপার্জন করতে হবে ও হারামকে বর্জন করতে হবে।

* সুদ, ঘুষ, দুর্ণিতি থেকে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করতে হবে।

* আত্বীয়-স্বজনের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বিপদাপদে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।

* সর্বোপরি কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনকে পরিচালিত করতে পারলেই পুলসিরাত পার হওয়া যাবে।

হে আল্লাহ ! আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তওফিক দান করুন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

আহলান বলেছেন: আমিন ..

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:

"পাপীরা সেটাকে চুল থেকেও চিকন দেখতে পাবে। তাদের জন্য সেটি হবে অত্যন্ত ধারালো। তারা ঐ পুলে আরোহণ করা মাত্রই তাদের পদদ্বয় কেটে তারা নিন্মস্থ দোযখে পড়ে যাবে। আর নেককারদের জন্য হবে সুপ্রশস্থ সুগম পথ। তারা তাদের নেকীর তারতম্যানুয়াযী কেউবা বিজলীর মত মুহুত্বে পুলসিরাত অতিক্রম করবে। কেউ বা বায়ূ বেগে, আবার কেউবা দ্রত দৌড়ে, কেউবা ধীর মন্তর গতিতে হেঁটে হেঁটে পুল পার হয়ে তাদের গন্তব্স্থল বেহেশতে পৌঁছে যাবে। "

-আপনার জন্য উহা চুলের থেকে চিকন ও মংগল গ্রহ অবধি লম্বা হবে।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আমিন, আরো বেশি লিখতে পারতেন। আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহু আপনার প্রতি রহম করুন।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

হানিফঢাকা বলেছেন: একটা ট্রেন্ড চালু হইছে। ভুলভাল কিছু লিখে তার সাথে কোরআনের কিছু অপ্রাসঙ্গিক আয়াত জুড়ে দেওয়া যেন জিনিসটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।

প্রথমতঃ কোরআনে এই ধরনের কোন পুল সিরাতের কথা বলে নাই। আবার বলছি বলে নাই।

দ্বিতীয়তঃ এইটা কোন প্রথিস্টিত সুন্নাহ অ না। এইটা একটা বর্ণনা। যেহেতু আল্লাহ বলেন নাই, তাই নবীর এই বিষয়ে বলার প্রশ্নই আসে না। নবীর কাছে কোরআন ব্যতীত অন্য কোন কিছু নাযিল হয় নায়। এই জিনিসগুলি আসছে হাদিস থেকে। যারা এইসব লিখেছেন তারা অন্য ধর্ম থেকে কপি পেস্ট করে ইসলামের নামে চালিয়ে দিয়েছেন।

পুলসিরাত/ আস-সিরাত/ ব্রিজ/ঃ এই কনসেপ্ট টা এসেছে তৎকালীন পার্সিয়ান ধর্ম থেকে। হাদিসে যে বর্ণনা পয়ায়া যায় ঐ ধর্মেও একি বর্ণনা। ঐ ধর্মে এটাকে "চিনভাট ব্রিজ" বলা হয়। আমাদের কপি কেট রা উহা তাদের ধর্ম থেকে আমদের ধর্মে আমদানী করেছেন। এভেস্টা পড়ে দেখেন তাহলেই পাবেন। আর না পারলে গুগলে বা উইকিপিডিয়াতে চিনভাট ব্রিজ লিখে সার্চ দেন। তাহলে বিস্তারিত পাবেন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর বলেছেন: আপনি কি সত্যি মুসলিম ?

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার দৃস্টিতে মুসলমানের সংজ্ঞা কি? তাহলে বলতে পারতাম। এনিওয়ে, আমার মন্তব্যের উত্তর পাই নাই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৫

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর বলেছেন: পুলসিরাত সম্পর্কে কুরআন শরীফে বলা হয়েছে: "তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে তার ওপর আরোহণ করবে না। এটা তো একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকৃত কথা। তা বাস্তবায়ন করা তোমার প্রতিপালকের দায়িত্ব" ( আল মারিয়াম ; আয়াত-৭১)। হাশরের দিন পুলসিরাত অতিক্রম করা সম্পর্কে মুহাম্মদ (দ:) বলেছেন, "সেদিন কেউ বিদ্যুৎ গতিতে, কেউ বাতাসের গতিতে, কেউবা ঘোড়ার গতিতে, কেউ আরোহীর গতিতে, কেউ দৌড়িয়ে, আবার কেউ হাঁটার গতিতে (পুলসিরাত) অতিক্রম করবে।" (তিরমিজি , দারেমী)

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

হানিফঢাকা বলেছেন: Ye People of the Book! Why do ye clothe Truth with falsehood, and conceal
the Truth, while ye have knowledge?(3:71)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.