নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ক্রমাগত শিখছি। মানুষ মাত্রই ভুল

আমি খুবই সাধারণ

শাহাদাত রুয়েট

আমি খুবই সাধারণ।নিজের সম্পর্কে এটুকুই।

শাহাদাত রুয়েট › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূরা আসরের অনুবাদ ও শিক্ষা:

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৫৫

সূরা আসর:

وَالْعَصْرِ [١٠٣:١]

إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ [١٠٣:٢]

إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ [١٠٣:٣]

অনুবাদ:

১. সময়ের কসম।

২. নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে নিমজ্জিত্।

৩. সেসব লোক ব্যতীত যারা (আল্লাহর উপর )ঈমান এনেছে, নেক কাজ করেছে, একে অপরকে নেক কাজের তাগিদ দিয়েছে এবং এবং পরষ্পরকে ধৈর্য্যের উপদেশ দিয়েছে।

সুরা আল আসরের এটিই সরল অনুবাদ। কুরআনের ছোট সুরাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি কুরআন শরীফের ১০৩ নম্বর সুরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। এর আয়াত সংখ্যা ০৩.

সূরাটি ছোট হলেও অনেক তাত্পর্যপূর্ণ ।অনেক লেখকই এ সূরাকে নিয়ে বই লিখেছেন। সেই সাথে বলেছেন এ সুরার মৌলিক শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যাখ্যা:

এখানে সময় বলতে সেই সময়কে বুঝানো হয়েছে যে সময়ের মধ্যে আদম সন্তান তাদের নেক ও অসত কাজ করে থাকে। মালিক(রহ) বলেন, এখানে আসর বলতে আসর নামাযের সময়কে বুঝানো হয়েছে। তবে ইবনে কাসীর বলেছেন, প্রথমোক্ত মতই বেশী অগ্রগণ্য।

আল্লাহ সময়ের কসম খেয়ে মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন যে, মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। এবং তারা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সময়ের কসম খাওয়া নিয়ে অনেক তাফসীরকার এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরণের মত দিয়েছেন। তার মধ্যের কথাগুলোর সারাংশ হলো যে, সময়ের গুরুত্ব বুঝাতেই এই কসম। অথচ আমরা দৈনন্দিন জীবনে কত সময় না নষ্ট করছি। আর মানুষের জীবনে সময় ফুরিয়ে আসছে পরবর্তী জীবনে এ সময়ের সদ্ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের জিজ্ঞাসিত করা হবে। তখন আমাদের জওয়াব কি হবে তা ভাবা দরকার। আর আমাদের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে ।কারণ আমরা কত বছর বাচব তা নির্দিষ্ট। তাই সেই নির্দিষ্ট বছর হতে এক একটি দিন অতিবাহিত হলে আমাদের সময় বা আয়ু কমে আসছে। মনে করুন, আল্লাহ একজন ব্যক্তির জীবন ৬০ বছর নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। আপনি যদি একটি দিন কাটান তা হলে আপনার জীবন থেকে মানে ৬০ বছর থেকে একটি দিন গেলো। তাই আপনার আমার বয়স বাড়ছে না। বরং কমছে। আমাদের সময়ের সদ্ব্যবহারের প্রতি সচেতন হতে হবে।

তারা ব্যতীত যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে ও আল্লাহর দেয়া আদেশ নিষেধ অনুযায়ী সতকর্ম করে। শুধূ নিজে সতকর্ম করে না ।সেই সাথে অন্যকে সতকর্মের তাগিদ দেয়। ইসলামে সতকাজের আদেশ ও অসত কাজের নিষেধ সম্পর্কে অনেক বেশী তাগিদ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে এর পরিণামও ভয়াবহ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

যেমন সুরা আল ইমরান-এর ১৪৩নং আয়াতে বলেছেন,

“তোমাদের মধ্যে এমন একদল হোক যারা কল্যাণের দিকে আহবান করবে এবং সতকর্মের আদেশ দিবে ও অসত কাজে নিষেধ করবে, ইহারাই সফলকাম”।

সতকাজের আদেশ ও নিষেধ করার প্রতি তাগিদ হাদীসেও এসেছে। আল্লাহ ও তার রাসূলের বাণীও পৌছে দেয়ার নির্দেশ রয়েছে। মহানবী (সা:)বলেছেন, মানুষের কাছে আমার কথা পৌছে দাও তা হোক না একটা।

পরবর্তীতে বলা হয়েছে পরষ্পরকে ধৈর্য্যের উপদেশ দিতে। ইসলামে নিজে কোন কাজ না করে অন্যকে বলতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করে অপরকে এ ব্যাপারে উত্সাহিত করতে হবে।

এ সূরার মৌলিক শিক্ষা গুলো হলো:

• সময়ের গুরুত্ব ও তাতপর্য।সময়ের ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের জিজ্ঞাসিত করা হবে।

• অধিকাংশ মানুষই ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে।

• তারা ব্যতীত যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে

• যারা নিজে সত্কর্ম করেছে ও সেই সাথে অন্যকে সত্কর্ম করার উপদেশ দিয়েছে।

• যারা নিজেরা ধৈর্য ধারণ করেছে ও পরষ্পরকে ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছে।

আল্লাহ আমাদেরকে এই সুরার উপর আমল করার তৌফিক দিন ।সেই সাথে আমার জন্য দুআ করবেন যেন আল্লাহ আমার ঈমানকে বৃদ্ধি করে দেন ও আমাকে সত্পথের উপর থাকার তৌফিক দেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০১

অাবু জাফর বলেছেন: thank u

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:২৩

নিমপাতা১২ বলেছেন: আল্লাহ যেন আমাদের কে ভালকাজ করার তৈফিক দেন, আমীন।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪৪

ROKON বলেছেন: নিমপাতা১২ বলেছেন: আল্লাহ যেন আমাদের কে ভালকাজ করার তৈফিক দেন, আমীন।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:০৩

হিমচরি বলেছেন: আল্লাহ যেন আমাদের কে ভালকাজ করার তৌফিক দেন, আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.