নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেল নাশকতাঃ মানুষ খুনের নতুন পদ্ধতি

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

প্রাক বাংলাদেশ সেই পূর্ব পাকিস্তান সময় থেকেই সংগ্রামী বাঙ্গাল জাতি নিষ্ঠার সাথে ধর্মঘট ও পরবর্তীতে হরতাল পালন করছে । আগে এই প্রতিবাদ ভিত্তিক কার্যক্রম পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে ছিল । এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল একটি সর্বোচ্চ ও সর্বাত্মক সশস্ত্র আন্দোলন । ফলাফল পাকিস্তানী বাহিনীর পতন ও আমাদের আকাংক্ষিত স্বাধীনতা প্রাপ্তি । প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতএর সাহায্য ছাড়া আমাদের ইস্পিত আশা কতকাল পরে পুরন হতো জানা নেই,ধন্যবাদ ওদের ।
১৯৭৩এ স্বাধীন বাংলাদেশের কিছু মানুষ হটাৎ করেই আন্দোলন শুরু করলেন এবং আমি অবাক চোখে তাকিয়ে দেখলাম কি বিশাল মশাল মিছিল, এই প্রতিবাদ শাসকের বিরুদ্ধে এবং তা শাসকের সবচে নিকটজন যারা ৬৯ এর অগ্নিঝরা দিনে একত্রে সংগ্রাম করেছে। না, মানুষ পুড়িয়ে মারার , বাসে পেট্রোল ঢেলে তাতে আগুন দেওয়ার কোন পদ্ধতি আবিষ্কার হয়নি । নিজেদের বিভেদের সংগ্রাম চলতেই থাকলো এবং তা এই ৪০ বছরে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে । পোস্তগোলায় সর্ব প্রথম ৮ জন মানুষ নিয়ে একটি বাসকে পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা । অবাক দেশের মানুষ জানল এতে গান পাউডার নামে নতুন এক দাহ্য পদার্থ ব্যাবহার হয়েছে যা খুব দ্রুত সবকিছু পুড়িয়ে দ্যায় । ২০১৩ তে এই বর্বর অপকর্ম প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নিয়েছে । এখন সব কিছুই জালাও পোড়াও এর আওতা ভুক্ত হয়েছে শুধু বাকী পথচারিদের ধরে ধরে পেট্রোল ঢেলে বা গান পাউডার ছড়িয়ে পুড়িয়ে মারা ।
রেল পাটি উপড়ে ফেলা খুব সীমিত আকারে আগেও ছিল । এবার তা ভয়াবহ রুপ নিয়েছে যেমন ককটেল মানুষের গায়ে সরাসরি ছুড়ে মারা । গত ক দিনে রেল লাইন উত্তোলন, ফিস প্লেট খুলে ফেলা , লাইন কেটে দুভাগ করা মহামারীর রুপ নিয়েছে ।
এরকম বাঁধা বিহীন হত্যাযজ্ঞে একটি নতুন আশঙ্কা আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল একটি ট্রেনে কয়েক শত যাত্রী থাকে । মানুষ মারার সৃজনশীলতা আমাদের দেউলিয়া প্রাপ্ত রাজনিতিকদের কতো টুকু আনন্দ দ্যায় তা জানিনে তবে মৃতদেহের সংখ্যা বাড়লে আন্দোলনে সাকসেস আসে আর সরকারে যারা থাকে তারা আগুন দাতাদের শনাক্ত না করে ফকরুল , মউদুদদের ধরে আর জেলে পোরে যেন ওরাই বোমা মেরেছিল ।
এই নতুন শঙ্কা হচ্ছে পুরো ট্রেনটিতে পাউডার ছড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া । নাশকতার এটি হবে আরেকটি সংস্করণ । এতে চলন্ত ট্রেনে তাৎক্ষনিকভাবে বাইরের সাহায্য পাওয়াও সম্ভব হবেনা ফলাফল একটি সার্থক আন্দোলনের জন্য আকাঙ্ক্ষিত মৃতদেহ প্রাপ্তি সহজ হবে । হ্যা, আমি সিরিয়াসলি বলছি একারনে যে ইরাক, লিবিয়া,মিশর এর আন্দোলনগুলো এভাবেই এমন গতি পেয়েছে যে আত্মঘাতি বোমা আর গাড়ি বোমা সংস্কৃতি ওখানে প্রতিদিনের সাথী হয়ে গেছে। চেয়ে দেখুন পাকিস্তান ধর্ম কায়েম করতে গিয়ে পুরো মর্ম মরমে মরমে উপলব্ধি করছে, তবে দেরি হয়ে গেছে।
আমরা একটি কঠিন পদক্ষেপ নিতে মোটেও দেরি করিনি, সময় আছে। সরকার আন্তরিক হলে এদের ধরা সম্ভব এবং শুট অন সাইট পলিসি কাজ দেবে । গতকাল আহত গীতা প্রধানমন্ত্রীকে তো তাই বলছিলেন । তিনিও ওইসব দুর্বৃত্তদের পুড়িয়ে দিতে বলেছেন – আমরাও বলি , দাও পুড়িয়ে ।
রেল নাশকতা ঠেকাতে হেলিকপ্টার পেট্রোলিঙ খুব কাজে দেবে । রাতবিরাতে সার্চ লাইট জালিয়ে রেল পাটি উঠানোর প্রবনতা বন্ধ করতে হবে । ওরা যখন এই কাজ করে স্থানীয় প্রশাসন কোথায় থাকে । আমি চেয়ারমান ,মেম্বারদের কথা বলছি । স্বেচ্ছাসেবী নাগরিক কমিটি গড়ুন,আপনারা ইচ্ছে করলে অনেক কিছুই করতে পারেন । ১৯৭১এ আমরা এক হয়েছিলাম লাঠি হাতে । ওই লাঠি অনেক কাজে লেগেছিল ।
রেল নাশকতা , বাসে আগুন , ককটেল মেরে মানুষ খুন বন্ধ করার জন্য আপনার ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা অনলাইনে আছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.