নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা মেকি ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে বাস করছি

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪০

সব খানেই সংখ্যালঘুরা সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান।

‘ধর্ম, সংখ্যালঘু মর্যাদা ও বিশ্বাস: বাংলাদেশ ও ভারতে পরীক্ষামূলক গবেষণার ফলাফল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেহমান সোবহান এ কথা বলেন। আজ রোববার ডেইলি স্টার সেন্টারের তৌফিক আজিজ খান সেমিনার হলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স স্টাডিজ (আইজিসিএস) ও ব্র্যাক ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিডিআই) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা একটা মেকি ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে বসবাস করছি যেখানে কোনো আইনের শাসন নেই এবং গণতন্ত্রের সুগভীর সংকট রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের ৪৩ বছর পরও আমরা ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করছি।’

অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়কে বিশ্বাস তো দূরের কথা, বাংলাদেশে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। এমনকি অনেক সময় রাষ্ট্রকেও না। অথচ রাষ্ট্রকে বিশ্বাস করা না গেলে আপনি কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটাই ঘটেছে।’

রেহমান সোবহান বলেন, সব খানেই সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বের সংকট রয়েছে। এ জন্যই সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরুদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক। এ কারণেই হয়তো তারা নিজ সম্প্রদায়ের লোকেদের সঙ্গে বেশি অর্থনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু সম্পর্ক একটি জ্বলন্ত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ বিনায়ক সেন বলেন, সমাজে আইনের শাসন ও ক্রিয়াশীল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি-পাহাড়িদের মধ্যে একই ধরনের পরীক্ষামূলক গবেষণার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইজিএস ও বিডিআইএর নির্বাহী পরিচালক সুলতান হাফিজ রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুসলমান আর ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের আচরণ একই রকম। আবার দুই দেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থাও একই। আসলে এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ধর্মের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যক্তির অবস্থান।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইজিএস ও বিডিআইএর গবেষণা প্রধান মিনহাজ মাহমুদ। তিনজন ভারতীয়র সঙ্গে তিনি যৌথভাবে এই গবেষণাটি করেছেন। মিনহাজ মাহমুদ বলেন, অর্থনৈতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতে একজন সংখ্যালঘু একজন সংখ্যালঘুকেই বেশি বিশ্বাস করে।

মুক্ত আলোচনা পর্বে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন তারিক আলী সম্প্রতি পাবনায় সাঁথিয়ায় সংখ্যালঘু আক্রান্ত এলাকা ঘুরে এসে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যাগুরুদের ওপর সংখ্যালঘুদের আর কোনো বিশ্বাস অবশিষ্ট নেই।’

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজয় রায়, বিআইডিএসের গবেষক আনোয়ারা বেগম, ব্র্যাকের মানবাধিকার ও আইন সহায়তা বিভাগের পরিচালক ড. ফস্টিনা পেরেরা প্রমুখ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০২

এম এ কাশেম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.