নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাথরঘাটার ইলিশ

২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৪



পত্রিকায় খবর ছেপেছে বরগুনা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উপকুলে বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে । পাথরঘাটা এলাকায় একটি মৎস্য অবতরন কেন্দ্র আছে যেখানে সাগর আহরিত মাছ তোলা হয় । ইলিশ মৌসুমে লক্ষ জেলে নদীমুখ এবং স্বল্প গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় । কিছু নৌকা যা ইঞ্জিন লাগানো সমুদ্র থেকে ধরা ইলিশ নিয়ে পারে আসে মাছ ভাগ করে বরফ দিয়ে বরিশাল , ঢাকা , খুলনাতে লঞ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য । একধরনের বড় ট্রলার বরফ নিয়ে পাশেই অপেক্ষা করে । ওদের কাজ চাহিদা মাফিক বরফ যোগান দেওয়া । মধ্যস্বত্বভোগীদের কল্যানে আমরা স্বল্প দামের মাছ বহুমুল্য দিয়ে খাই । একবার ৯৫ সালে একজন ইলিশ ব্যাবসায়ীর সাথে গল্প করছিলাম । চর দুয়ানি থেকে খুলনা একটি লঞ্চ যাতায়াত করে । লঞ্চ আকারে লম্বা এবং এর পুরো শরীর জুড়ে বাধা থাকে বড় অ্যালুমিনিয়াম হাড়ি যেগুলো ফেরত আসার সময়ে মাছ এবং বরফ দিয়ে ভর্তি থাকে । এই লাইনে যাত্রী কম শুধু হাড়ি আর বাহক দিয়ে ভর্তি থাকে । পাথরঘাটা আর তালতলি , আমতলিতে সাগর থেকে আনা মাছের পাইকার হাট বসে । দুটি নদী পায়রা আর কীর্তনখোলা সমুদ্রে মিলেছে এখানে । এই নদীর পানি মিষ্টি । এই দুই নদী পদ্মা আর মেঘনার পানি বয়ে আনে । এর সঙ্গমস্থলে বঙ্গোপসাগরে নোনা পানি দিয়ে ভর্তি । লোকটি আমায় জানালো এই মিষ্টি আর লবন পানির মোহনায় ইলিশ মাছ কাঁধের দিকে চওড়া হয় এবং রান্নার সময় ইলিশের গন্ধ ছোটে প্রচণ্ড , খেতেও সুস্বাদু । আমি তাকে বললাম তাইত কোন কোন মাছ খুব বেশি স্বাদ হয় এবং রান্নার সময়েই দারুন গন্ধ ছোটে । লোকটি আমার জীবনে খুব উপকার করেছিল এসব তথ্য দিয়ে । ইলিশ দক্ষিনাঞ্চলের সর্বত্র পাওয়া যায় কিন্তু স্বাদের ইলিশ পাথরঘাটা , আমতলির । পদ্মার ইলিশ শুধুই গল্প । ও আমায় আরো বলল নোনা পানি আর মিষ্টি পানির মিলন একটা রহস্য বটে ইলিশের স্বাদের ক্ষেত্রে । এখনকার সময়ে ইলিশ মাছ খুব দ্রুত পরিবহন হয় ঢাকা খুলনা বরিশালে । সাগরের ভিতরে বড় ট্রলারে মাছ ভর্তি হয়ে ভারতের সীমানায় ঢুকতে দেখেছি নিজ চোখে । সেই গল্প পরে বলব ।
২০১৯সালে একডজন ইলিশ কিনে মজুত করেছিলাম ধীরে খাব বলে । খুব জিতেছি মনে করে দেখি মার্চ মাসে ইলিশের দাম কম বাজারে পর্যাপ্ত জোগান । গত তিন চারদিন আগে ওটার শেষ টুকরো সাবাড় করলাম । পত্রিকার খবর নিচে যোগ করলামঃ বরগুনা জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, দেশের উৎপাদিত মোট ইলিশের ১৩% বরগুনা জেলায় আহরণ করা হয়। গত অর্থবছরে এ জেলায় প্রায় ১ লাখ ২০ টন ইলিশের আহরণ ছিলো। বরগুনার পাথরঘাটায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইলিশ মৎস্য বন্দর এবং এখানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিও (বিএফডিসি) অবস্থিত। ইলিশ মৌসুমে এ অবতরণ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে দুইশ’ টন রুপালি ইলিশ বেচা-কেনা হয়। গত দুই দিনে বিএফডিসি পাইকারি মাছ বাজারে যে ট্রলারগুলো এসেছে সেগুলোর জেলেরা ৮০০ গ্রাম থেকে পৌনে দুই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি করেছে। তবে দামটা ছিল খুব চড়া। এক কেজি ওজনের ওপরের ইলিশের মণ ছিল ৪৬ হাজার টাকা এবং এক কেজি ওজনের নিচের ইলিশের মণ ৩৪ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। প্রতিটি ট্রলারই ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি করেছে জানালেন, পাথরঘাটা বিএফডিসি পাইকারি মাছ বাজারের মার্কেটিং অফিসার মো. অলিউল্লাহ। তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহে এই বাজারে নদী ও সাগরের ৯১ হাজার ৭২৪ মণ ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। সাগরে ঝড়-বাদল যদি না থাকে তাহলে এ বছর ইলিশের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
নদীগুলোতে কম সংখ্যক হলেও বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশের আকার বড় হওয়ায় স্থানীয় বাজারে দামও খুব চড়া। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার দু’শ টাকা দরে আর তার চেয়ে একটু বেশি ওজন হলেই তা বেড়ে দেড় হাজার টাকায় উঠে যাচ্ছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান। পাথরঘাটায় অতি সম্প্রতি ২ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি মাছ বেচাকেনা হয়েছে পাঁচ হাজার ৯০০ টাকায়।
দাম চড়া হওয়ার কারন দাদন ব্যাবসা । এই দাদন ব্যাবসা দেশকে খেয়ে ফেলল । জেলেদের জন্য ব্যাঙ্ক লোণ আছে । লোণ নিতে গেলে গোন ( মাছ ধরার সময়) ফুরিয়ে যায় । ব্যাঙ্কের লোকেরা তেল ছাড়াই ঘুমায় । আমরা প্রায় দ্বিগুণ পয়সা খরচ করে মাছ কিনি । মাছের উৎপাদন যেমন বাড়ানো গেছে তেমনি দাদন বন্ধ করা যায় এতে জেলে উপকৃত হয় । আমাদের সবকিছু অগোছালো ।
খুলনাতে ৯৫সালে চিংড়ি খামার থেকে ফিরে শুনি বাজারে ইলিশে সয়লাব , দাম ৬৮ টাকা কেজি । পরদিন নাস্তা না খেয়েই বাজারে গিয়ে দেখি ক্রেতা নেই বা আমিই দেরি করে এসেছি । ইলিশ ৭১ টাকা কেজি । সবচে বড় ৩,৯০০ গ্রাম । বাকিগুলো গড়ে আড়াই থেকে তিন কেজির মধ্যে । দশটি মাছ কিনে কাটতে দিলাম । লবন আর হাড়ি পাশেই ছিল , কিছু মাছ লবনজাত করে বাসায় ফিরলাম । কাজের মেয়েটিকে বললাম নাস্তা খাবনা তুই ভাত দে আর বড় মাছের চার টুকরো তেলে ভাজ । গান বাজিয়ে গোসল করছি এমন সময় মেয়েটি ভয়ার্ত স্বরে বাথরুমের দরজায় আঘাত করছে । ভাবলাম আমার পুত্রধন ৮ মাসের , মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়ে চলাফেরা করে , তারকি কোন বিপদ হল । তোয়ালে পেঁচিয়ে মেয়েটির পিছপিছ রান্নাঘরে গিয়ে দেখি চুলার উপরে কড়াইয়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে । আমি তাৎক্ষণিক গ্যাস লাইন বন্ধ করে দেখলাম কড়াই ভরে তেল গড়িয়ে পড়ছে আর বাড়তি তেলে আগুন জ্বলছে । মেয়েটি তাড়াতাড়ি বলল মামা তেল অল্পই দিয়েছি মনে হয় মাছের তেল------- । যাক কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি । তেল কমিয়ে আলাদা বাটিতে রাখলাম । খেতে বসে মনে হল স্বর্গ থেকে আনা ইলিশ খাচ্ছি । মাছের বাড়তি তেল দিয়ে পরের ক’দিন ইলিশ রান্না , সব্জি ইত্যাদিতে কাজে দিল।

পাঠক , আপনাদের জীবন ইলিশময় হোক ।।


মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



খুবই মুল্যবান তথ্যসম্বলিত পোষ্ট । প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
দেশের ইলিশের একটি অংশ পাথরঘাটা হতে আসে বলে জানতাম
কিন্ত তা যে এত বিপুল পরিমানে আসে তা জানতাম না ।
১৯৯৮ সনে বন্যার সময় ঢাকা শহরে বেশ বড় বড় সাইজের ইলিশ
পাওয়া যেতো । আমার মনে আছে খিলগাও রেল রেল ক্রসিংএর
কাছে রাস্তার উপরে বসা মাছের বাজারে ২ কেজিরো বেশী ওজনের
ইলিশ পাওয়া যেতো সান্ধাকালীন বাজারে। একটি বড় ইলিশ ৯০ হতে
১০০ টাকায় কিনতে পারতাম । তবে ৯৮ এর বন্যার দিনগুলি ছিল
বেশ কষ্টের । টাকার দাম ছিল,কারণ সে সময় ইলিশ মাছের চেয়ে
টাকা ছিল বেশী দুর্লভ। বাসার নীচে প্রায় কোমর সমান ছিল বন্যার পানি।
প্রায় প্রতিদিনই সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম সিড়ির গোড়ায়
বিশাল সাইজের আফ্রিকান মাগুর পরে কাতরাচ্ছে। বন্যার
পানিতে সেগুলি খামারিদের জলাসয় হতে ভেসে চলে আসত।

শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ৯৫ সালেই যা পেয়েছি তারপরে স্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে চলল । ব্যাবসা চলে গেল স্থানীয় দুর্বৃত্ত চক্রের হাতে । মাগুর কি এখনও উৎপাদন হয় ? আমাদের সুসময়গুলো এখন সিন্ডিকেটের হাতে ঘুরছে ।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



১ টা ইলিশ মাছের দাম ৫০০০ টাকা, ১ টা মেয়ে গার্মেন্টেস'এ ১ মাস কাজ করে আয় করে ৫০০০ টাকা, ইহা নিশ্চয় ভালো দেশ নয়।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: একদম যা তা অবস্থায় নিপতিত আমরা । সর্বত্র লুটেরাদের বিচরন । আজকের প্রথম আলোতে দুই ভাইয়ের কাহিনি পড়বেন ।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: ইলিশ আজ শুধু নিম্ন বিত্ত না, মধ্যবিত্তেরও স্বপ্নের কাছে চলে এসেছে ।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: কিভাবে লুঠ করা যায় এটাই দুর্বৃত্তদের লক্ষ্য । দেখা যাবে বাজারে ইলিশ বোঝাই কিন্তু ক্রেতা নেই । গেল ফেরুয়ারি মাসে এই অবস্থা হয়েছিল , মাছের দামও কমিয়েছিল কিঞ্চিত কিন্তু ক্রেতা ছিল না । এবার প্যানডেমিকে গরুর হাট বিপর্যস্ত , ইলিশের কি হয় জানিনা ।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ৯৫/৯৬ সালের দিকে আমাদের স্থানীয় বাজারে বরিশাল থেকে আসা অনেক বড় বড় ইলিশ মাছ খেয়েছি। সর্বাধিক ৪কেজি ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের ইলিশ মাছও খেয়েছি। দামও ছিল মাত্র ৬০ টাকা কেজি ( তখন অবশ্য ৬০ টাকা কেজিই অনেক দাম )। এখন অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবে না। তবে আমার জীবনে সবচেয়ে সুস্বাদু ইলিশ খেয়েছি গোয়ালন্দ ঘাটের ইলিশ। আমার মুখে এখনো সেই ইলিশের স্বাদ লেগে আছে। মনে হয় অবশিষ্ট জীবনে সেই ইলিশের কথা আর ভুলতে পারবো না।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , আগেরদিন ওই বাজারে পাচ কেজির ইলিশ উঠেছিল । আমার স্মৃতিতে কিছুটা গোলমাল হচ্ছে , ওটা ৬২ বা ৬৩ টাকা হবে , আগের দিন ৫৯ টাকা বিক্রি হয়েছে । ৩ টাকা বেশি হওয়াতে স্ত্রী বলল তুমি ঠকেছ ।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আজিজ ভাই, ইলিশের পোস্টে আমার আগ্রহ অনেক :) মনে হয় আপনার ৩ কেজি ওজনের রান্না করা ইলিশ আমিও খেয়ে নিলুম :)

পদ্মার ইলিশ শুধু গল্পে - ঐ জেলে কথাটা না জেনে বলেছেন। পদ্মার ইলিশ খেয়েই বড়ো হয়েছি। বড়ো হইয়া যখন গ্রাম ছাড়লাম, অন্য জায়গার ইলিশ খাইয়া ইলিশের প্রতি অভক্তি চলে এলো- মনে হলো, ইলিশের স্বাদ কি ফুরাইয়া গেছে?

বাংলাদেশের সব ঘাটের ইলিশ আমার খাওয়া হয়ে গেছে। তবে, চাঁদপুরের ইলিশের স্থান পদ্মার পরে, যদিও পদ্মা শুকিয়ে যাওয়ার ফলে মাছ কম ধরা পড়ে এবং এ মাছের স্বাদ এখন খুব সাধারণ।

পটুয়াখালী, বরগুনার মাছ তুলনামূলক ভাবে কম স্বাদ হয়।

চট্টগ্রামের সামুদ্রিক ইলিশের স্বাদ ৩০ বছর আগে ছিল না বললেই চলে, এখন স্বাদ বেড়েছে।

মেঘনা নদীর ইলিশ, যেগুলো ভৈরবের মাছের বাজারে পাওয়া যায়, উল্লেখযোগ্য কিছু না।

ইলিশের দর গত ২০১০/১১ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বর্তমানে সর্বনিম্ন। ২০০৯ সালে চাঁদপুর ঘাটের ১কেজি ওজনের ইলিশ ৩৫০ টাকা দরে কিনি, যেটা ঐসময়ে সর্বোচ্চ মনে হয়েছিল। ২০১১ সালে ঢাকার কচুক্ষেত বাজার থেকে ১কেজি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা কেজি কিনি, যা ঐ সময়ে সর্বোচ্চ।

২০১৪ সালে খুলনা শহরের বিভিন্ন মার্কেটে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০/১৫০০ টাকা কেজি কিনি।

২০১৫ সালে ঢাকার হাতিরপুল থেকে দেড়কেজি ওজনের ইলিশ কিনি ২৪০০ বা ২২০০ টাকা কেজি (পুরা মনে নাই)।

২০১৬ সালে পটুয়াখালীর ১কেজি ওজনের ইলিশ কিনি ১০০০ টাকা কেজি দরে।

২০১৭ সালে ঢাকার কচুক্ষেত থেকে ১কেজি ওজনের ইলিশ কিনি ১৫০০ টাকা কেজি।

২০১৮ সালে কারোয়ান বাজার থেকে ১কেজি ওজনের ইলিশ কিনেছি ১২০০/১৩০০ টাকা দরে।

২০১৯ সালের জুলাইয়ের পর থেকে কচুক্ষেত বাজার থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ কিনছি সর্বনিম্ন ৮০০টাকা দরে। তবে, গড়পড়তা ১কেজি ওজনের ইলিশ ৯০০টাকা। গত ২দিন আগে ১কেজি ওজনের ইলিশ বাজারে ৯০০টাকা কেজি ছিল, ওটা কিনি নাই, কিনেছি ৭০০গ্রাম ওজনের ইলিশ, যেটার দাম ৬০০টাকা কেজি :)

নিজে বাজার করি, বাজার করতে আনন্দ লাগে বলে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চল ঘোরা শেষ, তাই সব অঞ্চলের বাজার-ঘাটও মোটামুটি দেখা হয়ে গেছে।

ইলিশের দর বর্তমানে স্থিতিশীল। সরকারের, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০১৫ সালের একটা ঘোষণা এই দাম স্থিতিশীল হওয়ার পক্ষে অনেক কার্যকর ছিল। বাংলাদেশে ইলিশের দর অনেকটা ১লা বোশেখ কেন্দ্রিক হয়ে গেছিল, যখন এর দাম ৮ হাজার টাকা কেজি পর্যন্ত উঠে যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ১লা বোশেখ তিনি ইলিশ খাবেন না। অনেক প্রতিষ্ঠান এই ঘোষণাউ উদবুদ্ধ হয়। এর পেছনে আমাদেরও কিছু অবদান আছে। ইলিশের দর যেভাবে উঠে যাচ্ছিল, আজ এটা নাগালের বহু বাইরে চলে যেত। প্লাস, মৎস অধিদপ্তর প্রজনন মরসুমে মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণ করে মাছের বংশ বিস্তারে বড়ো ভূমিকা রেখেছে।

আমার স্ত্রী একজন ইলিশরন্ধন বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ইলিশ বেশি বড়ো হলে স্বাদ কমে যায়। তার মতে ৬/৭শ গ্রাম ওজনের ইলিশ হলো বেস্ট। মাই তার সাথে মোটামুটি একমত, পুরোটা না। তবে, দামের ক্ষেত্রেও ৬/৭শ গ্রাম ওজনের ইলিশই বেস্ট।

আপনার পোস্টের সুবাদে ইলিশ নিয়া অনেক কথা লেখা হয়ে গেল। বাজারে টেংরার দর ১২০০ টাকা কেজি, পুঁটিমাছ ৮৫০টাকা কেজি। শোলমাছও ৮৫০টাকা কেজি। দেশী কই ১২০০টাকা কেজি। ন্যাচারাল শিং মাছ ১২০০ টাকা কেজি। চাষের পাবদা ৭০০ টাকা কেজি। সেই হিসাবে ইলিশ এখন অনেক সহজলভ্য।

পোস্ট ভালো লেগেছে। কিছু তরকারি সাপ্লাই দিতে এখন লেইট লাঞ্চ করে নিতাম :)

২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , একটানা পড়ে গেলাম । আমরাও ওইসময় ঘুরে দাঁড়ালাম যে বৈশাখে ইলিশ খাব না । এখনও চালু রেখেছি সেই ট্রেনডস । আমার ধারনা ইলিশের স্বাদ দেড় দু কেজি বেষ্ট কারন ৭০০ গ্রামে তেল হয়না । ইলিশের তেলেই মজা । আমি চাষের মাছ খাইনা । শোল মাছ কেটে কুটে দিয়ে যায় অনলাইন , দাম কম। মাদারিপুরের রুই দিল , কথা রেখেছে , আসলেই মাদারিপুরের লালচে রুই । অনলাইন ব্যাবসা রমরমা । এবার যদি ২ হাজারে ইলিশ দুই কেজি পাওয়া যায় তো অর্ডার করব , না হলে ইলিশ খামুই না , বাইলা , টেংরা , পারশে , মলা এগুলাই বেষ্ট ।

আমাগো রান্না হয় নাই , স্যরি ।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কেজি আর মনে হিসাব করতে একটু সমস্যা হয়।পদ্মা পাড়ের লোকদের সাথে ইলিশ নিয়ে তর্কে পারা যাবে না।প্রথমেই বলবে ঢাকা থেকে দুইটা ইলিশ কিনতে পদ্মা পাড়ে যায় গাড়ী নিয়ে।কলকাতার হোটেলেও বলে পদ্মার ইলিশ আছে।এই ভিন দেশেও বাংলাদেশী বাজারে গেলে বলে পদ্মার ইলিশ আছে।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা । এই পদ্মায় খাইয়া ফালাইলো । বিজ্ঞজনেরা এই ফ্যাসাদ লাগাইছে । বরগুনা হয়ত কেউ যায়ই নাই , চাদপুরে ইলিশ খায় নাই । কিন্তু ঢাকায় , কলকাতায় খাইছে । সের কেজি হইল মাগার মন টন হইল না আর ।

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


দুই পিস ইলিশ, অর্ধেক মাথা
সাথে একপিস বেগুন ভাজি।
একটু ইলিশ ভর্তা ও মরিচ ভাজা
এক প্লেট ভাত ও ডাল এর প্যাকেজ
দাম এক হাজার টাকা ।
স্থান মাওয়া ঘাট

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: একটু বেশিই মনে হয় । মাওয়া ঘাটের এপার ওপার মানেই ডাকাতি ।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক সময় আমি পাথর ঘাটায় ছিলাম।
ওখানকার মানুষরা খুব কষ্ট করে।
জীবন যেন অনেক অনেক সংগ্রাম।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: তো পাথরঘাটা নিয়ে লিখুন মশাই

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৮

মা.হাসান বলেছেন: ৬৮ টাকা আর ৭১ টাকা কেজি ইলিশ! লোকে গল্প ভাববে। কিন্তু আমি নিজে ৬-৭ টাকায় আধা কেজির চেয়ে বড় আকারের ইলিশ কিনেছি ৮০র দশকে।

পদ্মার ইলিশ শুধু গল্পে- এখন এটাই সত্য। নব্বইয়ের দশকেও গোয়ালন্দ ঘাটে মাছ দেখেছি। এখন ওখানকার স্থানীয়রাই বলেন মাছ পাওয়া যায় খুব কম। স্বাদও আগের মতো না।

ইলিশ সাগর থেকে নদীর যত ভেতরে ঢোকে তত এর শরীর থেকে লবন কমতে থাকে, স্বাদ বাড়তে থাকে। সে হিসেব পদ্মার ইলিশের স্বাদ বেশি হবার কথা। চাঁদপুরের ইলিশ এর পরেই হবার কথা।

১৯৯৮ সালের এপ্রিল বা মে বা জুনে ভোলাতে কয়েক সপ্তাহ ছিলাম। ওজন মাপার উপায় ছিলো না, হাতে মেপেছি। আমার এক হাতের চার আঙুল বড়, সে হিসেবে ২০ থেকে ২২ ইঞ্চি সাইজের ইলিশ প্রায় প্রতিদিন খেয়েছি। সারা রাত ধরা হতো, আমি পেয়ে যেতাম ফজরের পর পর। স্বাদ ভোলার মতো না।

দাদনের কারনে মাছ শিকারিরা আগাম মাছ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়, মহাজনের বেধে দেয়া দামে। খুব আশ্চর্যজনক হলো বেসরকারি ব্যাংকগুলোও মাছ চাষিদের ঋণ দেয় না।

ফরিদপুরের দুই ভাইয়ের কাহিনী পড়েছি। সারা বাংলাদেশে এরকম অনেক ভাইই আছে। সুবল চন্দ্র সাহা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছিলেন বলে এই দুই ভাইয়ের ঘটনা জানা গেলো। না হলে আর সব জায়গার মতো অজানাই থেকে যেতো।

বাইরে রফতানি বন্ধ করা এবং কিছু বিশেষ সময়ে মাছ ধরার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করার কারনে ইলিশ মাছের দাম কম। আপনি যেমন শঙ্কা করেছেন, মহামারির কারনে মানুষের হাতে নগদ টাকা কম। কাজেই এবছর মাছের দাম আরো কমতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে , মহামারির কারণে এবছর দুষন কম বলে মাছের স্বাদ , আকার এবং সংখ্যা বাড়বে।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: দাম কিন্তু ৬৩ টাকা ছিল , বেশ স্মরণ করে দেখলাম । ৮০ তে ইলিশ অত দামি বিষয় ছিল না । আমাদের হলে কখনো সখনো দেওয়া হত । ক্রমশ বাংলা নতুন বছরের খাদ্য হিসাবে ইলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে রুই মাছ চান্স পায়নি । আপনার কথিত সময়ে মাছ সংরক্ষন ব্যাবস্থা ছিল না । এখন ওখানে অনেক বরফ কল প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে । প্যানডেমিক কালে এবং প্রজনন কাল বলে মাছ ধরা সময় সাথে করোনা ভীতির কারনে সমুদ্র যাত্রা হয়নি তাই মাছ বৃদ্ধি পেয়েছে । এরপর বছরে দুদফা প্রজনন সময় বন্ধ রাখলে মাত্র ২ বছরেই চেহারা পাল্টে যাবে । সব বাদ দিয়ে মা মাছের ৬হাজার পোনা যদি রক্ষা পায় তাহলে ৫০ লক্ষ মা মাছের প্রজনন হিসাব করুন । আইন শক্ত হতে হবে । আমি খুব আশ্চর্য হয়ে পুরের দুইভাই কাহিনী পড়ছিলাম । জুন মাসে গ্রেফতার জুলাইএর শেষে খবর । এতদিন প্রকাশ হয়নি কেন ?

ধন্যবাদ সময় দেবার জন্য ।

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগে টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন ছিল মাছের রাজা ইলিশ বাত্তির রাজ ফিলিপ। তাই দাম বেশী আর ইলিশের জায়গা চাঁদপুর।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: ইলিশ স্বাদে অপূর্ব । এতে পর্যাপ্ত ক্যালরি আছে । চাদপুরের ওদিকে বরিশাল , ভোলা । মাছ ওঠে চাদপুরের পাইকার হাটে । ভোলার স্থানীয় বাসিন্দারা বড় মাছ খুব সস্তায় খায় ।

১১| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০

জুন বলেছেন: সর্ষে বাটা দিয়ে ইলিশই আমার প্রিয়। দোপেয়াজাটাও প্রিয়। ভাজলে ভেতর থেকে তেল বের হয়ে গেলে মাছের সেই স্বাদটা আমার ভালোলাগে না । অবশ্য এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৩

শাহ আজিজ বলেছেন: সবগুলোই টেঁসটি । আমরা কম তেলে ভাজি যাতে ওই তেল মাখিয়ে ভাত খেতে পারি ।

১২| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি মুম্বাই আর দুবাই তে যে সাইজের ইলিশ দেখেছি , ঢাকায় খুঁজে পাই নাই।
তবে মা এর কাছে শুনেছি ছোটবেলায় লৌহজং থাকার কারণে একদম সদ্য ধরে আনা বিশাল ইলিশ খেয়েছি খুব।
আর বাঙালি মাত্রই ইলিশ প্রেমী , আমি ও তাই ।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার ছোটবেলায় ইলিশ ভীতি ছিল কাটা বিধবে বলে । পাক আমলে ইলিশ দশ আনা বা বারো আনায় বিক্রি হত । তবে পৃথিবীর এই বিষুব রেখা বরাবর যে ইলিশ হয় তার মধ্যে বাংলাদেশের ইলিশ স্বাদে বিখ্যাত । আমি মাছ বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েই বলছি । পদ্মা আর যমুনা , মেঘনার মিষ্টি পানির স্রোত এর মুল কারন ।

১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: টিভিতেনিউজ দেখে জানলাম বাজারে প্রচুর ইলিশ।
আমি বাজারে গেলাম। আসলেই বাজারে অনেক ইলিশ। তবে অনেক দাম। চার টা ইলিশের দাম চাইলো। ৫ হাজার টাকা। আমি তিন সাড়ে তিন হাজার বলেছি দেয় নি।

ইলিশ আমার প্রিয় মাছ। বিশেষ করে ইলিশ মাছের ডিম। আগামীকাল আবার বাজারে যাবো। ৪ টা না হোক দুইটা হলেও কিনব। দোয়া প্রার্থী।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ঝোপ বুঝে কোপ মারছে বাজারিরা । কিনে ফেলেন দুইটা , জীবনে কি আছে -------

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাকে চাঁদপুরের একজন বলল যে ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশে সবচেয়ে বেশী স্বাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: তার কাছে ভাল লাগে আমার কাছে দেড় দুই কেজি ভাল । মাছের তেল না হইলে ঝোল খাইয়া শান্তি নাই ।

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বাজারে তো দাম কমেনা।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: হরতাল ডাকেন আফটার অল জাতীয় মাছ

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাহ আজিজ ভাই, বাজারে ১কেজি ওজনের ইলিশই খুব কম পাওয়া যায়, আপনি দেড়-দুই-আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে চাইলে ঘাটে যেতে হবে, জেলেদের বলে রাখতে হবে। অন্যথায়, কারোয়ান বাজারে বাজার করতে হবে।

৫০০/৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের পরিমাণ হলো সবচাইতে বেশি। এগুলো বিক্রিও হয় বেশি। কারণ, এগুলোর কেজি ২৫০ থেকে শুরু করে ৪০০ টাকার মধ্যে সীমিত থাকে। সাধারণ মানুষের কাছে এগুলোর চাহিদা বেশি।

৬০০/৭০০ গ্রাম হয়ে গেলেই মাছ ডিম দেয়া শুরু করে। ডিম দেয়ার আগের অবস্থাটা হলো স্বাদে উত্তম, কারণ, তখন মাছের গায়ে চর্বি থাকে।

আমি সর্বোচ্চ আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ কিনেছিলাম মিরপুর ১২ নম্বরের বাজার থেকে, ১৯৯৮ সালে, ৮০ টাকা কেজি দরে। একই সময়ে ঐ বাজার থেকে ৭০ টাকা দরে গরুর মাংস কিনেছিলাম, যখন সদ্য গরুর মাংস ৬০/৬৫ থেকে ৭০-এ পৌঁছেছে। এর আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫৫/৬০ টাকা কেজি দরে ৭/৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনেছি :)

২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম। আমি ছোট ইলিশ মাছের পক্ষপাতি না । একটু বড় না হইলে কেমুন জানি ইজ্জত থাকে না । নাবালক ইলিশের প্রেগন্যান্ট হওয়া সহি না । রাজিব নুর কাইলকা বাজার ঘুইরা আসছে আইজ আবার যাইব ইলিশ কিনতে , চাইরটা না হইলেও দুইটা তো হইব । বাঙালি বাইচা থাকুক ইলিশ ভাতে । !:#P

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: একবার আব্বা খুলনা থেকে ১০০ শ' ইলিশ মাছ এনেছিলো। তখন আমি অনেক ছোট। সেই ইলিশ মাছ পুরো মহল্লার সবাইকে দেওয়া হয়েছিলো।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: বা বা , দুর্দান্ত ব্যাপার ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.