নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল বা জি সি সি শেষমেশ গত সপ্তাহে সব মান অভিমান ভুলে সৌদি আরবের উত্তর পশ্চিম ছোট অপরিচিত শহর আল উলাতে একত্রিত হলেন । কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে কাতারের আমিরকে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের খোশ আমদেদ বেশ দর্শনীয় ছিল । একদম সিঁড়ির গোঁড়ায় সকল নিষেধাজ্ঞা বর্জন করে দুজন দুজনকে বুকে নিয়ে চুমু খেলেন মাস্কের ওপরে । এম বি এস কে খুব উৎফুল্ল লাগছিল হারিয়ে যাওয়া বেরাদরকে পেয়ে । মাস দুয়েক আগেও কাতারকে এক হাত দেখিয়ে দিতে চেয়েছিল সউদ । আমেরিকা ব্যাবসা করেছে ভালই । কাতারের ২/৩ খানি প্লেন ছিল যুদ্ধের জন্য , এখন তাদের বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে ৯০ এর বেশি অত্যাধুনিক বিমান , ১৬ বিলিয়ন ডলার যার মুল্য । ৭ জনের সন্মেলনে ঘোষণা পত্রের মুল বিষয় ছিল ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণকে ঠেকানো কারন সে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে আরবদের জন্য , ইরান কমন এনেমি। দ্বিতীয় এজেনডা জামাল খাশোগজির বিষয় নিয়ে কোন বাত চিত কাতার করবে না । মাশাল্লাহ বলে সবাই সাইন করল ঘোষণা পত্রে । গোত্র দন্ধ বিলুপ্ত করতে হবে বা থাকবে না । খুব ভাল লাগলো শুনে কিন্তু পাশের ইয়েমেনের শিশুরা অকাতরে মরছে এ বিষয়ে টু শব্দ করেনি কেউ । কুয়েত এবং আমেরিকার উদ্যোগে নাকি এই মধুর মিলন সম্ভব হয়েছে । আমি বলি ইজরায়েলের কারনে । আমেরিকার অবর্ণনীয় লুটপাট আরবদের টিকি খাড়া করে দিয়েছে । এবার স্বয়ংসম্পূর্ণ ইজরায়েল পাশে থেকে আরবদের সাহায্য করবে ডিস্কাউনটে । গতকাল মাইকের ঘোষণাও বেশ সন্দেহজনক । সি আই এ আল কায়দাকে পুনঃপ্রঠিস্থিত করল কারন হুলো বেড়াল জি সি সি হাত ছাড়া হয়ে যাবে এ অসম্ভব । এখন খেলা হবে অদৃশ্য মার্কিনী – ইজ্রাইলি হাতের । একারনেই ইরাক ছাড়ছে মার্কিনী সৈন্য । সোলেমানি হত্যা , ইরানের সর্বোচ্চ বিজ্ঞানি হত্যা একই সুতোয় গাঁথা ।
কাতারের সাথে বন্ধ বর্ডার খুলে গেছে , কাল প্রথম কাতারি বিমান রিয়াদে নামলো ।
এই ৭টি আরব দেশে ৫০ লাখের ওপর বাঙালি কাজ কর্ম করে । তাদের পাঠানো রেমিটেন্স নিয়েই আমাদের উল্লাস । আমাদের মা বোনদের অফুরন্ত আদর সোহাগ , শ্রমিক হত্যা আরবদের মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে উচুতে ধরে রেখেছে , তাই তারা প্রভু , তারাই মা বাপ ।
আল উলা ইউনেস্কো হেরিটেজের নথি ভুক্ত । গুগল করে পড়ে নেবেন ।
সকল ছবি আল জাজিরা থেকে ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , এদের যুথবদ্ধতা বোঝা মুশকিল ।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যার যার বুঝ সকলেই বুঝে, শুধু আমরাই উদার।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন:
আমরা ভিন্ন ভিন্ন জাতি সত্ত্বা থেকে আগত হলেও ৬শ বছর পরেও একত্রিত হতে পারিনি । অনেকেই বাঙালি শব্দকে ঘৃণা করে কিন্তু নিজের উৎসে যেতে চায়না । বাংলাদেশে জাতিস্বত্বা জনিত গোলযোগ হলে তা হবে ভয়াবহ । তা হবে সম্পদ দখলের নিমিত্তে । ফেরত আসবে বিতাড়িত হিন্দুরা , কোথায় যাব আমরা ।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যেমন ইহুদিরা ফিরে এসেছিল বহু বছর পর তেমনি বাংলাদেশের হিন্দুরা যত বিলম্বেই হউক দেশের আভ্যন্তরীন গোলযোগের এক পর্যায়ে তারা ফিরে আসবেই।এটা ইতিহাসের এক আমোঘ নিয়ম।কারন তারা স্বেচ্ছায় চলে যায়নি।পশ্চিম বাংগলায় এমন একটি সংগঠন আছে।
সবই মার্কিনী খেল।জুজুর ভয় দেখিয়ে কিছু কামাই করা।আর মাথা মোটা আরবরা তার শিকার।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ইহুদিরা মক্কায় হৃত সম্পদ ফিরে পেতে চাইবে । খ্রিস্টানরা তেমনি , একারনেই জরথ্রুস্থ দের শিকড় উচ্ছেদ করতে চাইছে আল কায়দা । মক্কা একটি ইউনিভারসাল ওরশিপ প্লেস ছিল । সবাই আগামিতে যদি তাই ফিরে পেতে চায় তাহলে কি হবে ?
বাংলাদেশে তাইই হবে আপনি জেনে রাখুন ।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০১
পদ্মপুকুর বলেছেন: সৌদীর বিরুদ্ধে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে যাওয়া কাতারকে সালাম জানিয়েছিলাম, এখন সালামটা ফেরত নিতে হবে কিনা বুঝতে পারছি না। তবে প্রথমআলোতে একটা নিবন্ধ পড়েছিলাম হপ্তাহখানেক আগে, যেখানে বলা হচ্ছিলো যে কাতার কোনো ধরনের আপোষ না করেই পুনর্মিলনে রাজী হয়েছে। আপনি বলছেন অ্যাটলিস্ট দুটো বিষয়ে সে মাথানত করেছে.... কি জানি কি হচ্ছে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৮
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি লক্ষ্য করলাম ইরানকে ঠেকাতে যেন সব আয়োজন । আমেরিকা সুলেমানি আর বিজ্ঞানিকে হত্যার পর সবাই মিসাইলের ভয়ে কাবু হয়েছে । গোত্র দন্ধ তুলে এনে কিন্তু মুসলিমরা যে গোত্র চিন্তায় আচ্ছন্ন তা বুঝিয়ে দিল । কাতার
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমেরিকার চালে ও চাপে কাতারের উপর অবরোধ। আবার আমেরিকা ও ইসরায়েলের সুবিধার জন্য প্রত্যাহার এ অবরোধ এর সাথে সাথে প্রত্যেকের নিজ নিজ লাভা-লাভের হিসাব নিকাশ।আর তাই এ উদ্যোগ।
তবে কাতার ইরান এবং তুরস্কের সাহায্যে এ অবরোধ বেশ ভালভাবেই মোকাবেল করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে কাতার এখন
স্বয়ংসপূর্ণ ।আর কাতারের সাথে ইরান এবং তুরস্কের এ দহরম -মহরম সম্পর্কের লাগাম টানতেই ইসরাইল-আমেরিকার এ উদ্যোগ। তবে তাদের সাথে কাতার স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও ইরান এবং তুরস্কের সাথে তার সম্পর্ক আগের মতই থাকবে বলেছেন কাতারের আমির।