নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চৈত্র সংক্রান্তি

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৭









বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি পালিত হয় শহরে কম গ্রামেই বেশি । আজ সকালে নাস্তা খাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলাম করল্লা আছে কি ফ্রিজে কারন এটা আমার নিয়মিত খাবার । আজ সংক্রান্তিতে তেতো খাবো , কন্যা আমায় এসব উদ্ভট বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামানোর উপদেশ দিয়ে আপিস গেল। আমি সবসময় করল্লা,মেথি শাক বা তেতো কিছু দিয়ে সংক্রান্তি উদযাপন করি একাই । কাল বৈশাখে কোথাও যাওয়া হবে না কিন্তু মিষ্টি খাওয়া হবে । প্রথম ১৯৭৭ সালে ময়মনসিংহ গেছি তিন পাগল সাইকেল নিয়ে টাঙ্গাইল , জামালপুর হয়ে চৈত্রের দাবদাহের মধ্যে । তারুন্য কোন বাধাকেই বাঁধা মনে করে না , আমরাও তাই । তো ময়মনসিংহে বিউটি আপার বাসায় , একদম ব্রহ্মপুত্র নদীর কিনারে খুঁটির অপর ঝুলন বাড়ি , তক্তার মেঝেতে তেতো খেতে খেতে জেনে নিলাম আজ চৈত্র সংক্রান্তি , তেতো খেয়ে পুরাতন বছরের যত অন্যায় অবিচার শোধ বোধ করে কাল বৈশাখের দিন রসগোল্লা , পানতোয়া দিয়ে নতুন বছরের আবাহন হবে । বাংলার সংস্কৃতিতে এরকম অজস্র দিন আছে পালনের কিন্তু ধর্মীয় কারনে সবাই সব কিছু পালন করেন না , জাত যাবে বলে । মেথি শাক উজ্জ্বল হয়ে উঠল তার গুনে মানে । বাড়িতে মা প্রায় সময়ে মেথি খেতেন , বাবাও । আমরা ছুয়েও দেখতাম না । বিউটি আপার বাসায় বেশ খেলাম ,সময় কাটালাম । এরপর আমিই উদ্যোগী হয়ে সংক্রান্তি পালন করতাম , বোশেখের প্রথম দিনে আমার স্ত্রী খিচুড়ি ইলিশ করতেন , অনেককে দাওয়াত করতেন । এখন হয়না ঘর ফাকা হয়ে গেছে বলে । তেতোর অনেক উপকার আছে ।মেথির প্রাকৃতিক উপাদান যা শরীর সুস্থ রাখে। মেথি শাকের গুরুত্ব অপরিসীম৷ এই শাক তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে৷ হতাশা কাটাতে ও ডায়বেটিসের জন্য মেথি শাক খুব উপকারি ৷করলা বা উচ্ছে, কালমেঘ, চিরতা, নিম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। হজমতন্ত্র ভাল থাকে, ত্বকের রোগ হয় না, কৃমি দূর করে৷ তেতো অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাংগাল, অ্যান্টি ভাইরাল গুণসমৃদ্ধ। চিরতা এবং নিমের পাতায় অ্যান্টি ক্যানসারাস গুণও রয়েছে।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫০

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: তাজা সবজি।
ভালো পোস্ট।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫২

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: আমি জানতাম ১৪ চৈত্র

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

শাহ আজিজ বলেছেন: গুগল করে দেখুন কি পান । আমি জানি চৈত্রের শেষ দিন হচ্ছে সংক্রান্তি ।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এই সবজিতে আ্যান্টি বডি বেশ তরতাজা লাগবে আজিজ দা ভাল থাকবেন

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ তোমায় , ভাল থেকো । শুভ বাংলা নববর্ষ ।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

এই মেঘ এই রোদ্দুর বলেছেন: রোজা রাখেন নাই?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: চারবেলা ইনসুলিন আর দুপুরের ঔষধ খেয়ে রোজার উপযোগী থাকি না ।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার মনটা এখনো তরুনই আছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: আহা কি চমৎকার মন্তব্য । ধন্যবাদ ।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০৭

এই মেঘ এই রোদ্দুর বলেছেন: এত রোজার ভার সামলাবেন ক্যামনে :( বদলী রোজা রাখাতে পারেন

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।
আমাদের বাংগালী পরিবার সমাজে একদা চৈত্র সংক্রান্তি/ পহেলা বৈশাখ অত্যন্ত তাতপর্যময় ছিলো- এখন সেইসব কর্পোরেট কালচারে হারিয়ে গিয়েছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , বাঙ্গালীদের কিছু অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে হবে সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার্থে ।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো। আমিও আজকে বাসায় যেয়ে রাতে উচ্ছে খাবো। আপাতত চিনি ছাড়া রঙ চা খেয়ে মুখ তিতা করছি।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: :P রাতে তেতো বা টক খেতে নেই তাতে অন্ত্র প্রদাহ হতে পারে ।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: রাতে তিতা ও টক খাওয়ার ব্যাপারটা জেনে উপকৃত হলাম। আমার আসলেই অন্ত্রের প্রদাহ সংক্রান্ত কিছুটা সমস্যা আছে। আমি ব্যাপারটা মেনে চলবো। তবে যে কোন তিতা জিনিষ ই আমার ছোটবেলা থেকেই খুব পছন্দের। এক গ্লাস উচ্ছের রস আমি চায়ের মতো আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে খেয়ে শেষ করতে পারি। আপনাকে আসন্ন নববর্ষের শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৮

প্রামানিক বলেছেন: তেতো খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে লেখা আমার কাছে খুবই ভালো লাগল। আগে চৈত্র সংক্রান্তিতে প্রায়ই হিন্দু বাড়িতে দাওয়াত পেতাম। বারো মিশালি শাক আমার খুব প্রিয় ছিল। ধন্যবাদ আজিজ ভাই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক সত্য কথনের জন্য ।

তেতো খান ভাল থাকুন ।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনাকে চৈত্র সংক্রান্তির শুভেচ্ছা ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

শাহ আজিজ বলেছেন: সংক্রান্তিতে কোন শুভেচ্ছা বিনিময় হয় কিনা জানিনা , তবুও শুভেচ্ছা জানাই ।

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



মেথির শাক কি চাষ হয়, নাকি বুনো?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: চাষ হয় । বুনো আছে কিনা জানিনে তবে শীতে এই শাক পাওয়া যায় বাজারে ।

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৩

সোবুজ বলেছেন: আপনার পোষ্ট দেখে মনে পড়লো মেয়ের মা কেনো করল্লা কিনছে।করল্লা একদম আমার পছন্দ না।খাওয়ার সময় দেখি ভালই লাগছে।করল্লা,মিষ্টি কুমড়া আরো কিকি দিয়ে লাবড়া মতো রান্না করছে।টিভি দেখে মনে পড়লো নব বর্ষ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , ভাল অভ্যেস বটে । নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে ।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫২

গরল বলেছেন: কফি ও ডার্ক চকোলেটের মতই করলা ও মেথি আমার খুব পছন্দ। মেথি ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে খুবই মজা লাগে। কিন্তু মেথি শাঁক শেষ কবে খেয়েছি তা মনে নেই, ঢাকাতেও খুব একটা পেতাম না। চৈত্র সংক্রান্তি টা সম্বন্ধে একটু বললে জেনে উপকৃত হতাম।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: কথিত আছে, বাংলা পঞ্জিকার চৈত্র মাসের নামকরণ করা হয়েছিল তিক্রা নক্ষত্র হতে। পুরাণে আছে, সাতাশটি নক্ষত্রের নামে দক্ষ রাজ সুন্দরী কন্যাদের নামকরণ করেছিলেন। তার দু'কন্যার নাম যথাক্রমে চিত্রা ও বিশাখা। এক মাস ব্যবধানে জন্ম বলে এই দুই কন্যার নাম থেকে জন্ম নিল বাংলা দুই মাস; যথাক্রমে চৈত্র ও বৈশাখ।

চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরু। বাঙালির সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব পালিত হয় এই দুই দিনে। তবে দুয়ের মধ্যে উৎসবের তালিকায় চৈত্র সংক্রান্তির পাল্লা ভারী। বাংলা বর্ষের সর্বাধিক উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চৈত্র সংক্রান্তির দিনটি। ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে বাঙালি কিংবা বাংলার মানুষ এই দিনকে কেন্দ্র করে উৎসব পালন করে। কখনো ধর্মীয় বিশ্বাস, কখনো আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আর লোক লোকায়িত উৎসবের ধ্বনি পাওয়া যায় এই একটি দিনকে ঘিরে।চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এককালে শাকান্ন পালিত হতো। এদিন সকাল বেলাতেই বাড়ির চারপাশের জলা, জংলা, ঝোপঝাড় থেকে শাক তুলে আনতো বাড়ির বউ-ঝিরা।চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গ্রামের বাড়িতে খাওয়া হতো গমের ছাতু, দই ও পাকা বেল সহযোগে এক বিশেষ শরবত। এই শরবতেই প্রাণ জুড়িয়ে নিতো সংক্রান্তির উৎসবে যোগ দেওয়া সবাই।চৈত্র সংক্রান্তির দিনে একসময় গ্রাম বাংলার মুসলমানদের মধ্যে নামাজের চল ছিল। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লোকজ পূজার চল ছিল। চৈত্র সংক্রান্তি ও এর আগের কয়েকদিন মিলে পালিত হতো চড়ক পূজা। কেবল চৈত্র সংক্রান্তিতেই শিবের গাজন পালিত হয়।চৈত্র সংক্রান্তির দিনে বাঙালি ছাড়াও উৎযাপন করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরাও। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রধান উৎসব বৈসাবি পালিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষের দিনে। বৈসাবি'র 'বৈ' এসেছে ত্রিপুরাদের 'বৈসু' থেকে, 'সা' এসেছে মারমাদের 'সাংগ্রাই' থেকে এবং 'বি' শব্দটি চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের 'বিজু' থেকে। মুনতাসির মামুনের লেখা থেকে ।।

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৭

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই এত বড় প্রতিমন্তব্য করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ইউ আর ওয়েলকাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.