নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিড়া , দই , গুড় , কলা এবং পান্তা

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩৯





এই গরমে সকালে মুখে রুচি থাকে না । ছোট বেলা থেকে দেখি বড়রা চিড়া ভিজিয়ে তাতে দই আর কলা চটকে দিব্যি খাচ্ছেন । কোথাও চিড়ার সাথে খেজুর বা আখের গুড় ডলে বেশ তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছেন । একসময় আমিও ঐ পথ ধরলাম এবং আমার সারাটি দিন কি শীতল গেল । যে কটি জিনিষ উল্লেখ করলাম তাতে মহা উপকার আছে কি হজমে কি উদ্দীপনায় । যাদের কোন উপায় নেই দই কলা আয়োজনের তারা রাতে ভেজানো পান্তা ভাত মরিচ ডলে খেয়ে নেয় । পেয়াজের এখন এতো দাম যে উচ্চারনেও ভ্যাট দিতে হয় । পান্তা বিশেষ করে আতপ চালের ফারমেনটেড হয়ে শরীরে একটা ম্যাজমেজে আলস্যি এনে দেয় । আমাদের কিষানদের জিজ্ঞাসা করতাম তোমাদের কি ম্যাজম্যাজ করে । দেঁতো হাসি দিয়ে বলত শরীরে বলবর্ধক এই পান্তা , মরিচ , পেয়াজ মাঠে শরীরে তাকত আনে , কাজকাম মনোযোগ দিয়ে করি । কিষাণরা ভোরে জমিতে নামলে সকাল ১০টা নাগাদ তাদের ভাত তরকারি বা পান্তা আইলে বসে খেত । আমরা দক্ষিণে পোঁদ আতপ চাল ছাড়া খেতে পারি না । ৯৫ সালে চিংড়ি ঘের করার সময় মাছ ওঠানোর সময় আসত পূর্ণিমা এবং অমাবশ্যায় । আমি যেতাম এবং সকালে পান্তা খেয়ে ঢুলতাম । ঘুমিয়ে নিতাম কিছু সময় । দক্ষিণে কিলোমিটারের ওপর ফাকা জমির ওপর দিয়ে আসা ঠাণ্ডা হাওয়ায় একদম মজে যেতাম । একটা সময় এপ্রিল মে মাসে চিড়া কলা বা দই কম্পুলসারি হয়ে গেল । এখন ডায়াবেটিসে ঘায়েল হয়ে এক দুদিন হয়ত খেলাম একটা টেনশন নিয়ে । তবু ভাল আছি , বেশ আছি ।
আপনাদের কথা বলুন , শুনি ।
ছবি গুগল থেকে নেয়া ।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৫৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সকাল ১১ টা থেকে ১ টা দই চিড়া খেতে বেশ লাগে।

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , আমার সকালেই ভাল লাগে । বিভিন্ন জনের বিভিন্ন সময়ের চাহিদা ।

২| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৪

ঊণকৌটী বলেছেন: চিড়ার বদলে উটস কলা দই আপেল কুচি চালিয়ে নিচ্ছি শুধু রবিবার একটু বেনিয়ম করি

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল কিন্তু দাম বেশি । ওটস আমিও খাই নন ফ্যাট মিল্ক দিয়ে কলা কুচিয়ে ।

৩| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


চিড়া, দই, কলা যেমন খাওয়া হয়েছে, পান্তা তেমন খাওয়া হয়নি।

১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: চলতি ভ্যাঁপসা গরমে খেয়ে দেখবেন কি আরাম !

৪| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখন ঘুমাব। পোস্ট পড়ি নাই। এ পোস্টে আমার বলার কিছু আছে :)

১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি কি উঠছেন ?

বাজে সকাল ৯,১৫

নাস্তা খাবেন না

ও ভাই !!

৫| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১২:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চিড়া , দই , কলা পছন্দের খাবার, হঠাত হঠাত খাই।
পান্তাও ভাই মাঝে মাঝে।

১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: সম্ভবত একটি বাঙ্গালিয়ানা খাবার চিড়া দই কলা কেউ না করবে না ।



এবং খেয়ে বলবে আহ কি খাইলাম B-)

৬| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৩৬

কালো যাদুকর বলেছেন: পান্ডা বহুদিন খাওয়া হয়নি।

১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১৫

শাহ আজিজ বলেছেন: চলুন একদিন হয়ে যাক :-B

৭| ১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: বরিশালের নাজির মহল্লা রোডে একটা শতবর্ষী পুরনো খাবারের দোকান আছে- যেখানে সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত শুধু দৈ- চিড়া-মুড়ি-মাখন, ঘোল বিক্রি হয়। এতো মজাদার খাবার- কখনো ভুলতে পারিনা। সম্প্রতি বরিশাল যেয়ে সেই দোকানে দৈ- চিড়া-মুড়ি-মাখন খেয়েছি। স্বাদ আগের মতো না হলেও পরিবেশন একই রকম। অর্থাৎ পিতল কাঁসার তৈজষ্পত্র ব্যবহার করে।

মতিঝিলে আল্লাহওয়ালা ভবন(বর্তমান নাম যুব ভবন)এর সামনে ফেয়ার ফুড নামের একটা দোকানেও একই পণ্য বিক্রিয় করে।
যখন মতিঝিলে অফিস ছিলো তখন সেই দোকান থেকে মাঝে মাঝে 'দৈ চিড়া কলা' খেতাম- কিন্তু খেয়ে মজা পাইনি।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: ঘরে বানিয়ে খাবেন , মজা পাবেন । চিনি চম্পা কলা , ভাল দোকানের দই আর আতপ চালের চিড়া দিয়ে জমবে ভাল । বরিশাল একবার গেছি মাত্র , না ওইখানের কথা শুনিনি । তবে কোর্ট এরিয়ায় স্পঞ্জ রসগোল্লা নিয়ে বন্ধুর বাসায় গেছিলাম সেই ৯৭ সালে ।

৮| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় শাহ আজিজ ভাই, কোর্ট এলাকায় "ঘর বরান" নামে শতবর্ষী একটা বিখ্যাত মিষ্টির দোকান ছিলো। ঘর বরানের রসগোল্লার সুনাম ছিলো গোটা দক্ষিন বাংলায়। ১৯৮০ সন নাগাদ দোকান মালিক গোপনে জনৈক মুসলিম ধর্মাবলম্বী ব্যবসায়ীর কাছে দোকান বিক্রি করে স্বপরিবার ইন্ডিয়া চলে যায়। তারপরও কিছুদিন পূর্বের সুনামের উপর ভড় করে ঘর বরানের মিষ্টির দোকান চালু ছিলো। কিন্তু মিষ্টির মান ধরে রাখতে না পারায় সেই দোকান হারিয়ে গিয়েছে কালের অতল তলে।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:২৬

শাহ আজিজ বলেছেন: তাইতো বলি একজন বিহারি লুকিং লোক মিষ্টি বিক্রি করছিল । আমি কনফিউজড । আমাদের মিষ্টান্ন শিল্পে হিন্দু সমাজের অবদান বিশাল ।

৯| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:০৫

জুন বলেছেন: একেবারে ক্রুড পান্তা আমার ভালো লাগে না, মানে বাসী ভাতের পান্তা, গন্ধ লাগে। এক সময় মোটা হওয়ার জন্য কিছু দিন পান্তা খেয়েছি গরম ভাত পানি দিয়ে ঠান্ডা করে। টক মিষ্টি দই এর উপর মুঠ মুঠ মুড়ি ছিটিয়ে খেতে ভালো লাগে শাহ আজিজ :)

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা , মুড়ি দিয়ে দই মজার খাবার । রাতের রান্না করা ভাত পানিতে দিলে তাতে গন্ধ হবার কথা নয় , হয়ত সকালের ভাত ছিল বলে গন্ধ লেগেছে ।

১০| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:০১

সেজুতি_শিপু বলেছেন: পান্তা যে আমার কী প্রিয় - বলে বোঝানো যাবে না। শৈশবে এই "মানহীন" খাবার খাওয়া নিয়ে ব্যাপক অশান্তির গল্প আছে। দেবে না- আমি খাবোই গোছের -আর কি! এই পান্তার উপরেও খানিকটা মুড়ি ছড়িয়ে খেলে- বেশ একটা কুড়মুড়ে স্বাদ ।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: বাহ , বেশ , একটা পান্তা পাগল পাওয়া গেল !:#P




চলতি সময় পান্তার সময় , চালিয়ে যান :#)

১১| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন কি কাঁচা মরিচ ও পিয়াজ দিয়ে পান্তা খেতে পারেন?

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: পান্তা অনেকদিন খাওয়া হয় না তবে যখন খেতাম শুকনো মরিচ পুড়িয়ে খেতাম । দই কলা চিড়া খাই ।

১২| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:




জুনাপু, মোটা হবার জন্যও কেউ এফোর্ট দেয় এই শুনলাম B:-)

যদি মোটা হতে চাও, অ্যাভোকাডো দিয়ে দুধ খাবে ।
অথবা কিছুদিন জিম আর সুইমিং কন্টিনিয়াস করবে, তারপর ছেড়ে দিবে :)




১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শাহ আজিজ বলেছেন: জুনের জন্য ভাল উপদেশ =p~

১৩| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

মিরোরডডল বলেছেন:




পান্তা মজা লাগে শুকনা মরিচ ভাঁজা, ডাল, ডিম ভাজি দিয়ে ।
অথবা বিফ ভুনা একদম কুড়মুড়ে করে ভাঁজা ওটা দিয়ে ।
শেষ কবে ট্রাই করেছি মনে পড়েনা, অনেক আগে কখনও ।




১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ওয়ান্ডারফুল । আমিও শেষ কবে খেয়েছি মনে পড়ে না । মনে হয় এক বৈশাখের সকালে তখন বাচ্চাদের মা বেচে ছিল । বিফ কুড়মুড়া এই সেদিন খেলাম মেয়ে বানিয়েছিল ওর খাওয়ার জন্য , বেশ মজা লাগলো ।

১৪| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:



ছোটবেলায় যখন বাবা বেঁচে ছিলো সে সময়ের কথা, জুন জুলাই সিজনে আমাদের বাসায় প্রায়ই সকালের নাস্তায় আম, কাঁঠাল, কলা, দই, মুড়ি, খই, এগুলো হতো । আমার বোনের হাজব্যান্ড এধরণের খাবারে অভ্যস্ত ছিলো না । জানেইনা কেমন করে খায় । আমার মাকে বলতো মেখে দিতে । তখন দেখতাম যে শাশুড়ি মেয়ের জামাইকে মেখে খাওয়াচ্ছে :)
বাবা মারা যাবার পর আমাদের বাসায় কখনোই আর এরকম হয়নি ।




১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমরাও খেয়েছি যখন সবাই এক ছাদের নিচে থাকতাম , এখন দূরে দূরে থাকি, বাবা ৭০ এ গেছেন , মা গেলেন ২০০১ এ । বাবা মা না থাকলে আসলেই ঘর শুন্য লাগে । আমার বাবা খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কোন ছাড় দেননি । হুম আমার মাও তার একমাত্র জামাইকে তুলে খাওয়াতেন হা হা হা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.