নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বাবার দেওয়া তিনটে উপদেশ আমাকে আজ এখানে পৌঁছে দিয়েছে- চীনের প্রেসিডেন্ট
ছোটবেলায় আমি খুব স্বার্থপর ছিলাম। সবকিছুতেই নিজের সুবিধে আর লাভটা বুঝে নেবার চেষ্টা করতাম। আমার এই দোষের জন্য আস্তে আস্তে আমার বন্ধুর সংখ্যা কমতে শুরু করল। শেষে অবস্থা এমন হলো যে আমার আর কোনো বন্ধুই অবশিষ্ট রইল না।
কিন্তু, সেই অপরিনত বয়সে আমি এর জন্য নিজেকে দায়ী না করে সিদ্ধান্ত নিলাম আমার বন্ধুরা আসলে হিংসুটে। ওরা আমার ভাল দেখতে পারে না। আমার বাবা সবই লক্ষ করতেন, মুখে কিছু না বললেও।
একদিন রাতে বাড়ি ফিরে দেখি, বাবা আমার জন্য খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছেন। টেবিলে রাখা আছে রান্না করা ন্যুডলের দুটি ডিশ। একটা ডিশে সেদ্ধ ন্যুডলের ওপর রাখা একটি খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম। অন্য ডিশটিতে শুধু ন্যুডলসের যে কোনো একটি ডিশ বেছে নিতে বললেন বাবা।
স্বাভাবিক ভাবেই আমি ডিম সমেত ডিশটাই উঠিয়ে নিলাম। সেই সব দিনে চীনে ডিম ছিল এক দুস্প্রাপ্য জিনিস। উৎসবের দিন ছাড়া কারো বাড়িতে ডিম খাবার কথা তখন ভাবা যেত না। খাওয়া শুরু করবার পর দেখা গেল বাবার ডিশে ন্যুডলসের তলায় আসলে লুকিয়ে রাখা আছে দুটো ডিম।
আমার এত দুঃখ লাগছিল তখন। কেন যে তাড়াহুড়ো করে বাছতে গেলাম। বাবা আমাকে দেখছিলেন। খাবার পর মৃদু হেসে বললেন, “মনে রেখো, তোমার চোখ যা দেখে, সেটা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে। শুধু চোখে দেখে যদি মানুষ বা কোনো পরিস্থিতিকে বিচার করে সিদ্ধান্ত নাও, ঠকে যাবার সম্ভবনা থাকবে।”
পর দিন আমার বাবা আবার খাবার টেবিলে ন্যুডলস ভর্তি দুটো ডিশ রেখে আমাকে খেতে ডাকলেন। আগের দিনের মত এবারেও একটাতে ডিম আছে, আর একটাতে নেই। আমাকে যে কোনো একটি ডিশ বেছে নিতে বলা হোলো। আমি আগের অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছি, চোখ যা দেখে তা সত্যি নাও হতে পারে। আমি ডিম ছাড়া ডিশটিই বেছে নিলাম। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখলাম, ভেতরে কোনো ডিমই নেই। বাবা আমার দিকে তাকিয়ে আবার হাসলেন।
“অভিজ্ঞতা সব সময় সঠিক পথ দেখায় না। জীবন বড় বিচিত্র। জীবনে চলার পথে বহুবার আমাদের মরীচিকার সামনে পরতে হয়। এর থেকে উত্তরন অসম্ভব। জীবন যেটা তোমাকে দিয়েছে, সেটা মেনে নিলে কষ্ট কম পাবে। তোমার অভিজ্ঞতা এবং বুদ্ধিমত্তা তুমি অবশ্যই কাজে লাগাবে, কিন্তু শেষ কথা জীবনই বলবে।”
তৃতীয় দিনে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আগের দিনের মতই এবারেও একটাতে ডিম আছে, আর একটাতে নেই। তবে একটা ব্যাপার এবার একটু অন্য রকম হলো। এবার আমি বাবাকে বললাম, আগে তুমি নাও। তার পর আমি। কারন তুমি বাড়ির সবার বড়, এই সংসার তোমার রোজগারে চলে। তোমার অধিকার সবার আগে।
শুনে বাবার মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুটে উঠল, মুখে কিছু বললেন না যদিও। খাওয়া শুরু করবার পর আমি দেখলাম ন্যুডলসে র নীচে আমার ডিশে দুটো ডিম। খাবার পর বাবা আমাকে কাছে ডাকলেন। সস্নেহে আমার হাত ধরে বললেন, “মনে রেখো, কৃতজ্ঞতা এবং ঋণ স্বীকার করা মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তুমি জীবনে যদি অন্যের জন্য ভাব, অন্যকে দাও, জীবনও তোমার কথা ভাববে, তোমাকে আরো বহুগুণে ফিরিয়ে দেবে।
বাবার এই তিনটে উপদেশ আমি আজীবন মনে রেখেছি, এবং মেনে চলেছি। কি আশ্চর্য , সত্যি জীবন আমাকে বহু গুণ ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি আজ যেখানে আছি, সেটা জীবনের দান ছাড়া আর কি?
সূত্র : দেশ-বিদেশ অনলাইন
শি চিন পিং চীনের চলমান রাষ্ট্রপ্রধান । শি টুং শুন তার বাবা পার্টির সদস্য এবং আঞ্চলিক প্রধান ছিলেন । অবসরে বাবা হুনানে গ্রামের বাড়ি আঁকড়ে রেখেছেন । ঘর বাড়ির আধুনিকায়ন করতে দেননি এবং ছেলের রাজপ্রাসাদে কখনো আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি । একজন ডেডিকেটেড কম্যুনিস্ট তিনি । প্রতি বসন্ত উৎসবে শি পরিবার বাবার সাথে বসন্ত উদযাপন করতে হুনান গ্রামের বাড়ি যান । সন্ধ্যায় পুরো পরিবার একত্রে ডামপ্লিং বা চিয়াওজে বানান এবং সাদা মদের সাথে খান । শি চিন পিঙের উপর তার বাবার আশীর্বাদ রয়েছে ।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: চীনারা বৌদ্ধ ধরমে বিশ্বাসী ছিল যা এখন সীমিত সংখ্যক লোক পালন করে । সেখান থেকেই আমার অভিজ্ঞতা যে বাবা মায়ের আশীর্বাদ চীনারা এখনো মানে ।
২| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৩
ফারহানা শারমিন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। প্রিয়তে রাখলাম। ফেইসবুকেও শেয়ার দিলাম।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ । আমি লোকটাকে এজন্য জ্ঞান করি যে একটা শিল্পম্মাদ চীনকে ধরে রেখেছে শি ।
৩| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৬
সোনাগাজী বলেছেন:
তিনি অনেক শিখেছেন, সন্দেহ নেই; কিন্তু আগের মতো হিংসুটে রয়ে গেছেন, পার্থক্য হলো, এখন তার কাছে বিশ্বের বড় সেনাবাহিনী, আনবিক বোমা, ও মানুষ নামের রবোটেরা আছে, যাদের মারাল বলে কিছুই নেই।
পুটিন, শি জিনপিং, আয়াতোল্লাহ, কিম জং, মোদী ও এরদেগান হচ্ছে মানব সভ্যতার জন্য ভয়ংকর হুমকি!
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , একমত । এরদোয়ান হটাৎ রাশিয়ান ব্লকে ইন করল , আশ্চর্য ।
চীনা নেতাদের কারোই মর্যাল বলে কিছু ছিল না ।
৪| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১০
কামাল৮০ বলেছেন: @শূন্য,এখানে আশির্বাদ মানে তার মনের কামনা বা ইচ্ছা প্রকাশ করা।কোন অতিপ্রাকৃত শক্তির কাছে প্রার্থনা করা না।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: যেমন বড় হও , উন্নতি হোক , প্রাচুরয্য আসুক জীবনে , সুখী হও ইত্যাদি । ওখানে হুজুরের দুর্গন্ধের ফু নেই ।
৫| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৪
কামাল৮০ বলেছেন: খুব সুন্দর শিক্ষনীয় গল্প।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৬| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহ আজিজ,
শিক্ষনীয় !!!!!
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শিক্ষনীয় পোস্ট ভালো লাগল।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৮| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: প্রত্যেক সন্তানের উপর তার বাবার আশীর্বাদ থাকে।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩২
শাহ আজিজ বলেছেন: বাবা মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া ছেলে হিরো আলম হয়ে যায় ।
৯| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: হিরো আলমের উপর আশীর্বাদ বেশি ছিল ।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪২
শাহ আজিজ বলেছেন: না না না , স্লিপ কাইটা গেছে -------------------------------
১০| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
নেক্সট জিনপিং শিখছে মনে হয়।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: আদতে চীনে কারা ক্ষমতায় যায় ? যারা পার্টির প্রতি অনুগত , ভবিষ্যৎ চীনকে নিয়ে যাদের পরিকল্পনা আছে এবং কংগ্রেসে যারা তাদের বিষয়গুলো লিখিত আকারে উপস্থাপন করেন যা রেকর্ড হয়ে থাকে , যারা উচ্চশিক্ষিত যেমন শি কিন্তু রসায়ন বিদ্যায় পি এইচ ডি । নেতাদের শিক্ষার উপর বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় । যত বেশি গবেষণা তত বেশি ক্রেডিট । অফিসের চাকরি মাস্ট । সেখানের পারফরমেন্স প্রাধান্য দেয়া হয় । আমাদের ছাত্র নেতারা কি অভিজ্ঞতা অর্জন করেন যে তারা ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব চান ।
১১| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০০
সোনাগাজী বলেছেন:
সে যদি সঠিক নেতা হতো, আজীবন প্রেসিডেন্ট'এর "অপশন"এ ভোট নিতো? কখনো নিতো না, বড় জাতির রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজকে সন্মান করতো, জাতিকে সন্মান করতো।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৪
শাহ আজিজ বলেছেন: এই সিদ্ধান্তগুলো তার নিজের নয় , পেছনে লুকিয়ে আছে থরথর বুড়ো জিয়াং জে মিন । আদেশ উপদেশ সবই তার । আর পলিটব্যুরো তো আছেই ।
১২| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
অনেক কিছুই জানার ও শেখার শেষ নেই ।
শিক্ষণীয় পোস্ট ++
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ মুক্তা নীল ।
১৩| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার এই পোস্টটিতে প্লাস রইলো।
২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ জলদস্যু ।
১৪| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: @সোনাগাজীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলছি; আমরা কি তাদের ভিতরের খবর নিতে পেরেছি যে, তাদের নিজেদের দেশের লোক তাদেরকে কতটুকু পছন্দ করে। এদের ব্যাপারে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম আমাদের কাছে যতটুকু সংবার পরিবেশন করে যেভাবে করে, তাই শুনে লাফাই।
এরা প্রত্যেকেই চরমপন্থী জাতীয়তাবাদী নেতা, এসব দেশে যান ভিতরে ঢুকে দেখেন, এরা কতটা জনপ্রিয়। ( বাইরে থেকে শুনেছিলাম সোভিয়েত ইউনিয়ন- এর কি গল্প আর ভিতরে ঢুকে দেখলাম উল্টো এক চিত্র!!) অবশ্য কিছু মানুষ পৃথিবীতে কখনোই সুখী হয় না। আমার কাছে তো আদের থেকে বাইডেন সরকার অনেক বেশী হুমকি মনে হয়।
~ চমৎকার শিক্ষনীয় কাহিনী।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
২২ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ তপন । দেশে শি ভীষণ জনপ্রিয় । আবার কিছু কট্টর কম্যুনিস্টের কাছে অপ্রিয় । কট্টর কম্যুনিস্টরা চায় পুরনো দিনের আদলে ফিরে যেতে । কিন্তু তা কি সম্ভব ? চীন এক ভয়াবহ উন্নয়ন করেছে আমার দৃষ্টিতে ।
১৫| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার ধারনা কম বেশী বয়স হওয়াতে হয়তো আমি পুরো বিষয়টা লিখা পড়ে শেষ করার আগেই কিছুটা আাঁচ করতে পেরেছিলাম। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও সেটাই বলে। পৃথিবীতে যে সবকিছু ধরে রাখতে চেয়েছে, সেই-ই হারিয়েছে সব। যে দিয়েছে উজাড় করে, সে পেয়েছে ঢের বেশী। ব্যকিক্রম দু'একটা যে নেই তাও নয়। তবে ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হয় না। লিখার জন্য ধন্যবাদ।
২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতেখার ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আচ্ছা, যারা ধর্ম মানে না, তারা কি আশির্বাদ মানে?