নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিরসরাইএর পুরো দুর্ঘটনার দায় গেটম্যানের ওপর চাপিয়ে সবাই ফুরফুরে হাওয়া খাচ্ছেন । গেটের বাঁশ খানি সরিয়ে গাড়ি লাইনে ওঠাতেই দুম বুম । এই বাঁশের কথা একটি পত্রিকা লিখেছে , নাম মনে নেই । আমরা যারা অহরহ সারা দেশ ঘুরি বিদেশীদের নিয়ে তারা কত সতর্ক থাকি রেল গেট নিয়ে ।
আমার ঘটনায় আমাদের মাইক্রো খানি উত্তরা থেকে পূর্বাচলের একটি মাটির রাস্তায় ১৯৯৮ সালে চারজন বিদেশী বিনিয়োগকারী নিয়ে মেঘনা পাড়ে জায়গা দেখতে যাচ্ছি । পথিমধ্যে গেট নয় , মনুষ্যহীন একটা পারাপার লাইনের ওপর দিয়ে । দেখলাম পূর্বাচলের ট্রেন দরশনিয়ভাবে মানুষ দিয়ে বডি - ইঞ্জিন ছেয়ে আসছে । লাইনের নিচে মাটি ক্ষয়ে গেছে । আমরা নিষেধ করলাম কিন্তু ড্রাইভার যাবেই । দুর্ভাগ্য তার পিছনের একটি চাকা বেধে গেছে চাকা আর মাটির ভেতরে । সেকেন্ডর মধ্যে আমি নিচে লাফ দিয়ে ওদের দরজা খুলে চিৎকার দিলাম নেমে এসো - শিয়া লাই , খুয়াই । প্রথম জন লাফ দিয়ে পড়তেই গাড়ি হাল্কা পেয়ে লাফদিয়ে এপারে । দুই সেকেন্ডের ব্যাবধানে স্লো ট্রেনটি আমাদের পাস করে গেল । একটা বেচে যাওয়ার শ্বাস নিলাম ।
পরদিন চেয়ারম্যান ড্রাইভারকে পত্রপাঠ বিদায় করলেন ।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: সবাই গেটম্যানকে খোজে কিন্তু ড্রাইভারের সতর্কতা ছিল কিনা তা খুজছে না । বেচে যাওয়া যাত্রিদের বক্তব্য শুনুন ।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গেটম্যান জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছিল না অন্য কোথায় গিয়েছিল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
একটা রক্ত মাংসের মানুষের পক্ষে সারাক্ষণ অ্যালার্ট থাকা সম্ভব নয়। কখনোই সম্ভব নয়, ভুল হবেই।
দরকার যান্ত্রিককরণ। ঢাকা সিটির রেলগেট গুলো অবশ্য অটো হয়েছে অনেক আগে ট্রেন আসলে গেট বন্ধ হয়, যদি একজন গেইটম্যান থাকে।
বাংলাদেশের প্রতিবছর এত এত হরতা কর্তারা বিদেশ সফরে যায় শিখতে যায় কিন্তু কি শিখে আসে বোঝা মুশকিল।
উন্নত দেশে রেল গেটে কোন গেটম্যান থাকে না।
রেল আসলে যান্ত্রিকভাবে গেট পড়ে আবার রেলগাড়ি চলে গেলে গেট উঠে পড়ে অটো। যন্ত্রপাতি বিকল হতে পারে, কোন কারনে গেট বিকল হলে ট্রেন ড্রাইভার টের পায় যান্ত্রিকভাবে। তখন ট্রেনের গতি ড্রাইভার কমিয়ে দেয়, কোন কারনে ড্রাইভার ভুলে গতি না কমালেও ট্রেনের গতি অটো ভাবে কমে যায়, এবং হর্ন দিতে দিতে রেলগেট অতিক্রম করে।
তবে উন্নত দেশেও গ্রামগঞ্জে রেলগেটে গেটম্যান থাকে না এবং গেটও থাকে না। ৯০% রেলগেট গেট বিহীন মানুষ বিহীন। সেখানেও নিয়ম আছে।
রেলগেটেড স্টপ লেখা সাইন আছে, সব গাড়িকে রেলগেট বিহীন লাইনের সামনে থামতেই হবে, মাস্ট।
রোলিং স্টপ নয় কমপ্লিট স্টপ। এক সেকেন্ড থেমে এরপর চলবে। এক সেকেন্ডে বোঝা যাবে যে আশেপাশে ট্রেন আছে কিনা।
এই নিয়মের কারণে উন্নত দেশে রেল গেটের দুর্ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায়।
এই সামান্য নিয়ম চালু করতে তো কোন পয়সা খরচ হয় না।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: সহমত হাসান । এই বিষয়টি সারাদিন মাথায় ঘুরেছে পরশু থেকে ।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
খৈয়াছরার ঝর্নাতে আমি মআডকসেবী তরুণদের দেখেছি, তারা ঝর্ণাতে যাবার আগে একটা খাবারের দোকানে বসে কাচ্ছিলো।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: একটু বেশি আবেগ নিয়ে দেখবে বলেই মাদক নিয়েছিল ।
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৫
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ড্রাইবার নিজেদের কে আমেরিকান রাষ্ট্রপতির ড্রাইবার মনে করে। নিজেদের হলিউডের স্ট্যান্ডম্যান মনে করে।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
শাহ আজিজ বলেছেন: সেরকমই মনে হচ্ছে ।
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: দোষটা আসলে সিস্টেমের। সিস্টেম না বদলাতে পারলে এমন ঘটনা(দুর্ঘটনা নয়) নিয়মিতই ঘটবে।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: উপরে হাসান যেটি বলেছে তা যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য ।
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমরা দোষ অন্যের কাধে দিতে উস্তাদ।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় বাস ,মাইক্রোবাস চালকরা মুল দায়ী দুর্ঘটনার জন্য । গেটম্যান থাকলেও তোয়াক্কা না করা চালকরা মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকে গেটে । অটো গেট থাকবে যেমনটি বলেছে হাসান ।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ড্রাইভারের বক্তব্য শুনছিলাম। তিনি বলেছেন- ট্রন যে স্পীডে চলছিলো তাতে ব্রেক করলে সাড়ে চারশো গজ পর্যন্ত গিয়ে থামাতে হবে। তিনি তাই করেছেন। কিন্ত ততক্ষনে ১১ জন শেষ।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: হার্ড ব্রেক করলে ট্রেন যাত্রীর এবং চাকার ক্ষতি । অনেক পত্রিকা মিডিয়া দেখলাম কিন্তু কেউই মাইক্রোর ড্রাইভারের কথা উচ্চারন করছে না । শুধু লাইনে না উঠলে ১১ টি তরতাজা প্রান বেচে যেত । ড্যাম কেয়ার ভাবটা নিয়ন্ত্রনে আনতে প্রশাসনকে মাঠে নামতে হবে ।
৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ নিজের জীবনের মূল্য কম দেয়।
তারা ঝুকি নিয়ে চলাফেরা করে প্রতিদিন। এই ড্রাইভার এমন ভাবে অনেকবার গাড়ী চালিয়েছে এইবার ধরা খেয়েছে।
গত জানুয়ারীতে আমি স্পিডবোটে পদ্মাপার হয়েছি। কোন নিরাপত্তার বিষয় নাই। স্পিডবোট দূঘটনা হলে মানুষ মারা যাবেই। কিন্তু কারুরই কোন কথা নেই। জনগনও দেরী হলে কথা বলছে কিন্তু নিজেদের জানের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু বলছে না।
রেলের ঐ জেলার পর্যায়ের কর্মকতাকেও বরখাস্ত এবং বিভাগীয় কারন দর্শানো এবং কেন এমনটা হলো তার দায়ীত্বে গাফলতি থাকলে তাকেও সাজার ব্যবস্থা করা উচিত।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: এই ড্রাইভার এমন ভাবে অনেকবার গাড়ী চালিয়েছে এইবার ধরা খেয়েছে।
সারমর্ম আপনিই টেনে দিলেন ।
আমি কখনই স্পীড বোটে উঠিনা , হোকনা দেরি ,তবু জীবন বেচে যাক ।
৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একইরকম সবসময় হয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে বার বার হচ্ছে।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: সম্ভবত এর কোন সমাধান নেই । এটা চলতেই থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪২
কামাল৮০ বলেছেন: গেটম্যান জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছিল।এটা স্থানিয়দের বক্তব্য ।এটাও একটা পত্রিকার নিউজ।খুঁজে বের করে বলতে পারবো।