নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদায় করোনা - স্বাগতম পোলিও

২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০০

সি এন এন


আজ বাংলাদেশে করোনা মৃত্যু নেই কিন্তু করোনা রোগী আছে । আমি চারিদিকে তাকিয়ে দেখি মানুষ একদম থোড়াই কেয়ার করছে কোভিড ১৯ কে । যাদের টুকটাক জ্বর সর্দি কাশি হচ্ছে তারা প্যারাসিটামল আর কাশির ওষুধ খেয়ে ভাল হয়ে যাচ্ছে । যাদের অবস্থা গুরুতর তারাই হাসপাতাল যাচ্ছেন । আমেরিকাতে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র । নিত্য মৃত্যু ড্যাম কেয়ার এই সমাজে স্থায়ী হয়ে গেছে । তবুও জীবন চলছে । চট করে পোলিওর দুঃসংবাদটি মিডিয়াতে দেখে মন খারাপ হয়ে গেল । খোদ লন্ডন শহরেই এই ৫০ বছর আগের বিলুপ্ত ভাইরাস মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে । বেশ অবাক আর কি । ইংরেজরা আঙ্গুল উচিয়েছে নাইজেরিয়া , আফঘানিস্তান আর সর্ব দোষে দোষী পাকিস্তানের দিকে । তারা বলছে এই দেশ গুলো থেকেই পোলিও ছড়িয়েছে । কিন্তু এতদিন চুপটি করে বসে ছিল কেন ইংরেজরা । সাদাদের ধরেছে বলেই এই চেচামেচি হইহল্লা আর দাসদের দায়ী করা । আপনারা কিছু বলুন ভাই !!!!!!!!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: পোলিও রোগের কারণ: পোলিও কি? পোলিও রোগের লক্ষণ - পোলিও টিকা


পোলিও বা পোলিওমাইলিটিজ এক ধরনের ভাইরাসবাহিত সংক্রামক রোগ। ভাইরাসের মাধ্যমে এ রোগটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায়। সাধারণত ৫ বছরের কম বয়সের শিশুদের পোলিও হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পোলিওতে আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে শারীরিক কোন ক্ষতির সম্মুখীন হন এবং তার কোন অঙ্গ অবশ কিংবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এরা স্নায়ুতন্ত্রের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ফলে ব্যক্তির শরীর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর এক বা একাধিক অঙ্গ অবশ হয়ে যায়। আক্রান্ত স্থানটি সাধারণতঃ পায়ে হয়ে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের পেশী অবশ হলে শ্বাস বন্ধ হয়ে শিশুটি মারাও যেতে পারে। পোলিও টিকা না দেয়া হলে এই রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

কেন পোলিও হয়?

ভাইরাসের মাধ্যমে পোলিও রোগ ছড়ায়। এই ভাইরাস শুধুমাত্র মানুষের শরীরে বেঁচে থাকতে পারে।

পোলিও রোগের ভাইরাস পায়ু পথে অথবা মুখের সাহায্যে শরীরে প্রবেশ করে।

অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা স্থানে এই ভাইরাস দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পোলিওতে আক্রান্ত ব্যক্তির মল-মুত্র থেকে পোলিও ভাইরাস ছড়াতে পারে।
পোলিও ভাইরাস আছে এমন খাবার, পানি ইত্যাদি গ্রহণের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পরে।



পোলিও রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু বিষয়ঃ



কোন স্থানে পোলিও ব্যাপকহারে দেখা দিলে সে সকল স্থানে যাওয়া যাবে না।

পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর সাথে একসাথে বসবাস করলে।

অন্য কোন রোগের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে।

টনসিল অপারেশন করে কেটে ফেললে।

প্রচণ্ড কাজের চাপ অথবা অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকা।



পোলিও রোগের লক্ষণ

প্রথম ১ থেকে ২ দিন শিশুর সর্দি, কাশি এবং সামান্য জ্বর হয় এবং তারপর ভালো হয়ে যায়।



২ থেকে ৬ দিন শিশুর মাথা ব্যাথা, শিশুর হাত অথবা পা অবশ হয়ে যাওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, জ্বর, শিশু ঠিকমতো দাঁড়াতে চায় না আবার দাঁড়া করাতে চাইলে শিশু কান্নাকাটি করে এবং ঠিকমতো নাড়াচড়া করতে পারে না, শিশুর আক্রান্ত অঙ্গ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে ইত্যাদি।



পোলিও ভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রের কোন অংশ আক্রমণ করল অন্যান্য লক্ষণ তার ওপর নির্ভর করেঃ



স্পাইনাল টাইপ পোলিওতে শিশুর হাত-পা অবশ হয়ে যায়, শিশু দাঁড়াতে চায় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুটি পা, কখনও দুটি হাত, আবার কখনও কখনও এক হাত কিংবা এক পা অবশ হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ভাইরাস দ্রুত বাড়তে থাকে এবং মটর নিউরন বা স্নায়ুকোষের সন্ধিসমূহে প্রবেশ করে যা মাংসপেশির সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে।

বালবার টাইপ পোলিওতে স্নায়ুতন্ত্রের সেই সব কেন্দ্রসমূহ আক্রান্ত হয়, যে সমস্ত কেন্দ্র শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃৎস্পন্দন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে শিশুর শ্বাসকষ্ট হয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না এবং খেতে অসুবিধা হয়।

স্পাইনো বালবার টাইপ পোলিওতে স্পাইনো এবং বালবার দু’ধরনের লক্ষণ একত্রে দেখা যেতে পারে আবার কখনও কখনও বিভিন্ন নার্ভ আক্রান্ত হওয়ায় ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন- গলার স্বর বসে যাওয়া, পানি খেতে গেলে তা নাক দিয়ে বের হয়ে আসা ইত্যাদি।

এনকেপালাইটিস টাইপ পোলিওতে শিশুর মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয় এবং শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।



পোলিও আক্রান্ত শিশুর মধ্যে শতকরা মাত্র ১ থেকে ২ ভাগ স্পাইনো, স্পাইনো বালবার, এনকেপালাইটিস ইত্যাদি মারাত্মক ধরনের স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত হয়। বেশিরভাগ সময়েই সাধারণ জ্বর, বমি কিংবা পায়খানা ইত্যাদি উপসর্গের পর এমনিতেই সুস্থ্য হয়ে যায়।



কেন আপনার শিশুকে পোলিও টিকা দিবেন?

পোলিও একটি ভাইরাসবাহিত রোগ। তাই খুব দ্রুতই একজন থেকে অন্য জনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পোলিও রোগের কোন চিকিৎসা না থাকার কারনে সময়মত পোলিও টিকা দেওয়া ছাড়া পোলিও মুক্ত থাকার কিংবা পোলিও থেকে মুক্ত হওয়ার আর কোন উপায় নেই। দেশ থেকে পোলিও নির্মূল এবং সব শিশুর সুরক্ষার জন্য জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে পাঁচ বছরের নিচের সকল শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। আপনার শিশুর বয়স ৫ বছরের নিচে হলে অবশ্যই সময়মত পোলিও টিকা খাওয়ান।



সবার জন্য পোলিও টিকা



কখন পোলিও টিকা দিবেন?

পোলিও রোগ থেকে শিশুকে রক্ষার জন্য উন্নত প্রতিষেধক ব্যবস্থা রয়েছে। শিশুর বয়স ৬ সপ্তাহ হলে প্রতিবার ডিপিটির সঙ্গে দু’ফোঁটা করে পোলিও ভ্যাকসিন এক মাস পর পর তিন ডোজ শিশুকে খাওয়ানো হলে ও ৪র্থ ডোজ শিশুর ৯ মাস বয়সে হামের টিকার সাথে খাওয়ানো হলে তা শিশুকে পোলিওর হাত থেকে রক্ষা করে। আবার, সুযোগ থাকলে জন্মের পরপর এক ডোজ ও পি ভি অর্থাৎ ওরাল পোলিও নবজাতককে খাওয়ালে ভাল। তবে এটা অবশ্যই ৪ ডোজের মধ্যে গণ্য হবে না। তাকে ৪র্থ ডোজ অবশ্যই পরবর্তী সময়ে ৯ মাস বয়সে হামের টিকার সঙ্গে খাওয়াতে হবে।



চিকিৎসা

পোলিও রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে কোন শিশু অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। আবার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে মুখের ফেনা পরিষ্কার করা, সাকশান দিয়ে অক্সিজেন দেয়া ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। রোগীর রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন সবসময় নজরে রাখতে হবে। কয়েক সপ্তাহ পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ হয়ে যাওয়া হাত, পা এবং অন্য অঙ্গসমূহের ব্যায়াম করাতে হবে অথবা ফিজিও থেরাপি দিতে হবে। পোলিও আক্রান্ত শিশুর মলমূত্র ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত যথাযথভাবে পরিষ্কারের উদ্যোগ নিতে হবে, কারন- পোলিও জীবাণু কোনভাবে খাবার কিংবা পানিতে মিশে গেলে তা থেকে পরিবারের অন্য সদস্যদের বিশেষ করে অন্য কোন শিশুর পোলিও হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: Bangla Blog | বাংলা ব্লগ থেকে আহরিত ।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বড়দেরও হয়!!!

২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: শুনেছি হয় ।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৪

কামাল৮০ বলেছেন: পোলেওর টিকা অনেক দেশ শিশুদের দেয় না।
ভাইরাস সম্পুর্ণ ধ্বংস করা এক কঠিন কাজ।অনুকূল পরিবেশ পেলে আবার জেগে উঠে।টিকা দেয়া বন্ধ করা যাবে না।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: খুব ভাবনার বিষয় । জীবাণু অস্ত্র নয়তো ????

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একটা থেকে রেহায় পেতে না পেতেই আর একটি হানা দেয়।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: সরাসরি যুদ্ধের থেকে এখন দ্রোণ আর জীবাণু আক্রমন বেশি হবে । ওষুধ কারখানার মালিকদের পোয়াবারো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.