নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ট্রেনে উঠে জানালার পাশে সিটটা পেয়ে গিয়ে বসে পড়ে মোবাইলটা বের করে হেড ফোনটা কানে দিয়ে গান শুনছিলাম । আমার সামনের সীটে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক বসেছিলেন । দুপুরের সময় ট্রেন এ যাত্রী খুব কমই ছিল । হঠাৎ ট্রেন এ টিটি টিকিট চেক করতে আসতে দেখে বয়স্ক ভদ্র লোকটি বেশ ভয় পেয়ে গেলেন । তাঁর হাবভাব দেখে আমি জিজ্ঞাস করলাম ," টিকিট কি কাটা হয়নি আপনার ?"
ভদ্র লোকটি খুব শান্ত স্বরে বললেন ," ট্রেন স্টেশনে ঢুকে যাওয়ায় টিকিট কাটার সময় পাইনি।আর আমার কাছে ফাইন দেওয়ার মতো টাকাও নাই । "
আমি তাঁকে অভয় দিয়ে বললাম , "চিন্তা করবেন না , ফাইন এর টাকাটা আমি দিয়ে দেব । "
আমার কথাটা শুনে দেখলাম, তিনি খুব আনন্দিত হলেন ।
কিন্তু টিটিকে দেখলাম কোন কারন বশতঃ আমাদের কাছে টিকিট চেক করতে না এসে হিজলি স্টেশনে নেমে পড়লো ।
যাই হোক আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম ,"কোথায় যাবেন ?"
বয়স্ক লোকটি একটু ভাবনায় যেন পড়ে গেলেন । তারপর বললেন "হাওড়া যাব ভেবেছিলাম , কিন্তু এবার ভাবছি বাঁকুড়া যাব ।"
তাঁর কথা শুনে আমি একটু অবাক হলাম ।
তিনি বললেন , জানো মা ," আমার নাম বীরেন মণ্ডল , আমি একটা কোম্পানিতে কাজ করতাম । দুই ছেলে আর এক মেয়ে রেখে আমার স্ত্রী মারা যায় । আর বিয়ে করি নি এই ভয়ে যে , সতীন মা এসে আমার বাচ্চাদের উপর অত্যাচার করতে পারে । বাবা হয়েও আমি তাদের মায়ের মতো খুব আদর যত্ন দিয়ে বড় করেছিলাম । যা টাকা রোজগার করতাম ছেলে দুটোর পড়াশুনার পেছনেই খরচ করে ফেলতাম । বড় ছেলে এখন স্কুল মাস্টার, আর ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার । মেয়েটাও আমার পড়াশুনায় অনেক ভাল ছিল । কিন্তু তিন জনের পড়ার খরচ চালাতে পারছিলাম না বলে মেয়েকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করিয়ে বিয়ে দিয়ে দিলাম । বড় ছেলে দাঁতন এ থাকে আর ছোট ছেলে হাওড়া তে । "
আমি বললাম , "তাহলে আপনি ছোট ছেলের কাছে যাবেন ?"
কথাটা শুনে তিনি খুব করুন সুরে বললেন ," দুই ছেলে বিবাহিত , তাদের ছেলে- মেয়ে নিয়ে থাকে । আমাকে তারা ভাগ করে নিয়েছে ।"
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ‘ ভাগ করে নিয়েছে মানে’ ?
মাসে ১৫ দিন বড় ছেলে আর ১৫ দিন ছোট ছেলের বাড়ীতে থাকি, তারা ভাগ করে এই বৃদ্ধ বাবার প্রতি ছেলে হওয়ার দায়িত্ব পালন করছে ।
ছোট ছেলের বাড়ীতে ছিলাম । শরীরটা খুব খারাপ ছিল , কিন্তু ১৫ দিন হয়ে গিয়েছিল । বউমাকে বললাম একদিন পরে যাব । কিন্তু বউমা শুনল না , চলে যেতে বলল বড় ছেলের বাড়ীতে, তা নাহলে আর খাবার মিলবে না । অসুস্থ শরীর নিয়েই আমি বড় ছেলের বাড়ীতে এসে দেখি দরজায় তালা মারা । তারা জানে আমি আসবো ,তবুও কোথাও বেড়াতে চলে গিয়েছে পরিবার নিয়ে । আসলে তারা কেউ এই অসুস্থ বুড়োটার দেখভাল করার দায়িত্ব নিতে চায় না ।
কথা গুলো বলতে বলতে বীরেন বাবুর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল ।
আমি তাঁকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না ।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে দুঃখ প্রকাশ করে বললেন , ছেলে দুটোর পরিবর্তে মেয়েটা কে যদি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতাম তাহলে খুব ভালো হতো । মেয়ে বাঁকুড়াতে থাকে । জামাই এর একটা ভুসিমাল দোকান আছে । আর্থিক অবস্থা ভালো নয় । মেয়ে আমার অঙ্গনওয়ারীতে একটা কাজ করে । অনেক বার ডেকেছে , বাবা তুমি আমাদের বাড়ীতে এসে থাকো । ছেলে থাকতে মেয়ের বাড়ীতে গিয়ে থাকা সমাজ ভালো চোখে দেখে না । তবুও মেয়ের বাড়িতেই যাব ভাবছি । আমার কাছে ভালো খাওয়া দাওয়ার চেয়ে একটু ভালোবাসাই অনেক বেশি মুল্যবান । মেয়ের কাছে গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চাইব প্রথমে ... তার ভাইদের পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য তার পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়ে তার জীবনের স্বপ্ন গুলো ধ্বংস করে দিয়েছি । তখন ভাবতাম , মেয়েরা তো বিয়ে হয়ে শ্বশুর বাড়ী চলে যাবে । বুড়ো বয়সে দেখাশোনা তো ছেলেরাই করবে । তাই মেয়েকে আর পড়ালাম না । তার স্বপ্ন গুলো ধ্বংস করে দিয়েছিলাম ।
বীরেন বাবুর কথা গুলো শুনে খুব কষ্ট হচ্ছিল , মনে মনে বললাম , ‘ বাবা মা এর দায়িত্ব ছেলে মেয়ে যতদিন না সমান ভাবে বহন করতে শিখবে ততদিন হয়তো সমাজে নিজেদের ছেলে- মেয়ের প্রতি বাবা মা এর ধারনা বীরেন বাবুর মতই থাকবে।
সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম থেকে সংগৃহীত ( কপি পেস্ট)
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ডাহা সত্য বচন ।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মানুষ এখন বিবেকহীন হয়ে গেছে। অবিশ্বাস্য লাগে মা-বাবাও যে বেশি হয়ে যায়।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২১
শাহ আজিজ বলেছেন: এটাই বাস্তব তূর্য্য । এঁর ভিন্ন চিত্রও আছে যা সুখ ও আনন্দ দেয় ।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তবে অনেক মানুষ বৃদ্ধ বয়সেও অনেক সামাজিক মর্যাদা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরকম ভাগ্যবান/ ভাগ্যবতী অবশ্য কম।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৬
শাহ আজিজ বলেছেন: শারীরিক জটিলতা না থাকলে ৯০ বছরেও ফিট থাকা যায় এমন উদাহরন অনেক । অনেকেই চান বুড়ো বয়সটা ছেলে মেয়ের সাথেই কাটাব বলে , অন্যায় কিছু চায়নি । পশ্চিম বঙ্গের বামরা স্বাভাবিক জীবনে ছেদ এনে এক বিপ্লবী জীবনে টেনে এনেছে বুড়োদের ।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আসলে এই ব্যাপার গুলো নিয়ে যতই ভাবি জীবন কে বড্ড অপ্রোয়জনীয় মনে হয় !!! আমার ঘনিষ্ট এক জনার সাথে কাছাকাছি কিছু বর্তমেন ঘটছে, ভদ্রলোক লান্স প্রদাহ জনীত সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হন এবং পরবর্তিতে জানতে পারেন তার বাইপাস করতে হবে তার দুই মেয়ে , দুই মেয়ের সবাই প্রতিষ্ঠিত কেউই দ্বায়ীত্ব নিতে আগ্রহী না সরকারি হাসপাতালের নোংড়া বিছানায় ফেলে রেখেছে, পরে আমরা গিয়ে তাকে ভালো হাসপাতালে ভর্তি করি এখন সেই মেয়েরা বলছে কোন টাকা পয়সা তারা দিতে পারবে না। এটাই জীবন !!!!
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: তবুও একজন বুড়োর জীবনে বিপ্লব ঘটিয়েছ রানার , পেন্নাম তোমায় ।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নির্মম বাস্তব।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: চাই শুধু একটু কেয়ার !!
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
শাওন আহমাদ বলেছেন: এরকম চিত্র সমাজের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যমান। বাচ্চা গুলো বড় হয়ে সব ভুলে যায়!
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: বাচ্চাদের মনে ভালোবাসা দিতে পারলে বিপরীত ঘটনাও ঘটে ।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২১
অপ্সরা বলেছেন: জীবন একটা সময় বেঁচে থাকতেও অপাংতেয় হয়ে যায়।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , অস্বীকারের উপায় নেই ।
৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৬
অক্পটে বলেছেন: আসলে যৌবন এবং জীবনের সব কামাই ছেলেমেয়েদের মাঝে ইনভেষ্ট করা বোকামী।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: নিজেরটা সামলে বাকিটা ইনভেসট করতে হয় ।
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগীরা” – 'হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম করুন; যেমনিভাবে তারা আমাকে শৈশবকালে লালন–পালন করেছেন। '
আজকে ফেসবুকে একটা লম্বা পোষ্ট পড়লাম বয়স্ক বাবা মায়ের কাছে শিশুদের রেখে মেয়ে বা ছেলের বউ এর চাকুরী করতে চলে যাওয়া নিয়ে। যখন সমাজ থেকে মানবতা নৈতিকতা শব্দ গুলো উঠে যায় তখন সামাজিক ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়।
তিন নাম্বার মন্তব্য উত্তরে আপনার এই লাইন টা কী ভীষণ সত্য।
পশ্চিম বঙ্গের বামরা স্বাভাবিক জীবনে ছেদ এনে এক বিপ্লবী জীবনে টেনে এনেছে বুড়োদের ।
৮ নাম্বার মন্তব্যঃ আহা এই বোকামি যদি আমার বাবা মায়েরা না করত, তাহলে কী জীবন এত সহজ সুন্দর হত!! তাই ভাবি মাঝে মাঝে।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা । আমি খুব নিবিড়ভাবেই লক্ষ্য করেছি এসব বিষয় । আর তাই আমার বোধ ভিন্নতর হবে ।
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: শারিরিক অসুস্থ্যতা আর অর্থনৈতিক দৈন্যতা বার্ধক্যকালে মানুষের জীবনকে নরক বানিয়ে ফেলে।
বৃদ্ধ বয়সে সঙ্গীহীনতা ভয়ঙ্কর কষ্টের! সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা একটা ব্যাপার কিন্তু। অনেক বাপ মা সন্তানকে শুধু
শাসন করেন- বন্ধু হতে পারেন না, বৃদ্ধ বয়সে সন্তানদের মুখ ফিরিয়ে নেবার এইটা একটা কারন বটে।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: সন্তান তো মা বাবার কাছ থেকেই শেখে । কুটিলতা , কৃপণতা দেখে বলেই সন্তানেরা একসময় ঐ আচরনে অভ্যস্ত হয় ।
১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: পিতা-মাতাকে ভালোবাসতে না পারাটা যে কত বড় বোকামী, তা এমন অনেকেই জানে না।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
শাহ আজিজ বলেছেন: সন্তান তো মা বাবার কাছ থেকেই শেখে । কুটিলতা , কৃপণতা দেখে বলেই সন্তানেরা একসময় ঐ আচরনে অভ্যস্ত হয় ।
১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার মতে কোন বয়স্ক মানুষই যেন অর্থকষ্টে না ভুগে, শেষ বয়সে অর্থটাই একমাত্র সম্বল। অর্থ থাকলে বুড়োদের কেয়ার কারার মানুষের অভাব হয় না। ছেলে মেয়ে বিয়ে করে বাচ্চা, কাচ্চা হবার পর মামা, বাবা তখন তাদের কাছে অপ্রোয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিষয়টা দুঃখ জনক।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন: এজন্যেই বৃদ্ধাশ্রম বেড়ে চলেছে ।
১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৬
অক্পটে বলেছেন: @মনিরা সুলতানা - আমার মন্তব্যে আসলে আমি "সব কামাই" শব্দ ব্যবহার করেছি। একেবারে না বলিনি। ৯৮% বাবা-মা তাদের সমস্তটা দিয়ে সন্তান লালন করেন নিজের ভবিষ্যত না ভেবে। আর বার্ধক্যে এসে কি পান চোখের সামনে তা জ্বলজ্বল করছে। ঠিক এই সংক্রান্ত এত ঘটনা আমাদের সমাজে বিদ্যমান যে এটা শুনলে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে! এটা এই সময়ে এসে আমাদের একটা জাতিয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা খুবই মারাত্বক ব্যাপার। নিজের জন্য কিছু রাখাতো দোষের কিছু নয় তাইনা?
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: মনিরা @
১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: @মনিরা সুলতানা - আমার মন্তব্যে আসলে আমি "সব কামাই" শব্দ ব্যবহার করেছি। একেবারে না বলিনি। ৯৮% বাবা-মা তাদের সমস্তটা দিয়ে সন্তান লালন করেন নিজের ভবিষ্যত না ভেবে। নিজের জন্য কিছু রাখাতো দোষের কিছু নয় তাইনা?
আমি আপনার মন্তব্য বুঝতে পেরেছিলাম, আমার বাবা মা ও কিছু না রেখে পুরোটা আমাদের জন্যে ইনভেস্ট করেছিলেন। আমি ভাগ্যিস এ জন্যে বলেছি যে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে সেটা বুঝার সুযোগ দিয়েছেন। না হয় আপনার বলা এই কথা টুকু তাদের জীবনে সত্যি হতে পারত আর বার্ধক্যে এসে কি পান চোখের সামনে তা জ্বলজ্বল করছে। ঠিক এই সংক্রান্ত এত ঘটনা আমাদের সমাজে বিদ্যমান যে এটা শুনলে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে! এটা এই সময়ে এসে আমাদের একটা জাতিয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা খুবই মারাত্বক ব্যাপার।
আশা করছি বুঝাতে পেরেছি, আমার মেনশনে শুকরিয়া ব্যাপার টা ছিল।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
১৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এই যন্ত্রণাময় জীবনের দিকে এগিয়ে চলছি.....
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি এসে পড়েছি------------------------------- সীমিত আকারে ।
১৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আজকালকার ছেলেগুলো কেমন যেন হয়ে গিয়েছে। বাবা-মা'র সেবা করতে চায় না।
ভদ্রলোক নিজের মেয়েকে পড়ালেখা করানো উচিৎ ছিলো।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: ওখানকার জীবন বড় কঠিন ।
১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার ধারনা ভুল হতে পারে তবে মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব ছেলে-মেয়ের সমান হওয়ার মতো কোন সুযোগ নেই। বিশেষ করে মেয়ে যেহেতু বিয়ে করে অন্য সংসারে চলে যায় তার পক্ষে মা-বাবাকে সবসময় হয়তো সেবা করার সুযোগ নাও হতে পারে। আমার ধারনার এ বিষয়ে ছেলেদের দায়িত্বই বেশী বলে আমি মনে করি। সামর্থ্য থাকলে তাদের ভরণ-পোষণ, চিকিৎসার ব্যবস্থা মূলত ছেলেদেরই করার কথা। মেয়ে যদি ভালো আয়-রোজগার করে তবে এ বিষয়ে সেও অবদান রাখতে পারে। শিক্ষা সবাইকেই দেয়া উচিত ছেলে বা মেয়ে। তবে প্রকৃত মানুষ হওয়ার ব্যাপারটা খুব সম্ভবত পড়াশোনা দিয়ে হয় না। সহায়ক হতে পারে, তবে ব্যক্তিগত আচরণ মূলত ব্যক্তি বিশেষে নির্ভর করবে।
দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে আমি সামনা-সামনি মা-বাবার ততটা সেবা করার সুযোগ পাই নি। তবে দূর থেকে নিয়মিত তাদের খবর নিয়েছি, সংসারের খরচ, তাদের চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশে পাঠানো, হজ্জ্ব করার ব্যবস্থা করা, বিয়ে, ঈদ সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান পালনে সহায়তা করার চেষ্টা করেছি সাধ্যমত। বাবা এখন নেই, তবুও প্রতি বছরই তার নামে এতিমদের খাওয়ানো আর দান করা হচ্ছে। প্রতি ওয়াক্তেই বাবার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করছি যেন রাব্বুল আলামিন তার প্রতি সদয় দৃষ্টি রাখেন। মা'কে শীঘ্রই আমারে কাছে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি, কাগজ-পত্রের প্রসেসিং হচ্ছে। তাকে আমার কাছে রেখে দেবো বাকী জীবনের জন্য। তার উন্নত জীবনের জন্য বাংলাদেশ ছেড়ে আমার কাছে নিয়ে আসাটা এখন জরুরী মনে হচ্ছে। চেষ্টা করছি যতটুকু সম্ভব, রাব্বুল আলামিন আমাকে আমার সকল দায়িত্ব পূর্ণরূপে পালন করার সামর্থ্য আর শক্তি দিন, এটাই চাওয়া।
নিজেও এখন বাবা হয়েছি, তাই অনেক কিছুই এখন বেশ পরিষ্কার বুঝতে পারি। ধন্যবাদ।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইফতেখার সেবার পথে পদার্পণের জন্য ।
১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মর্মস্পর্শী গল্প তথা সত্যকথন। এ গল্প পড়ে মনে হচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ, আমি কত সৌভাগ্যবান!
পড়াশুনা করানোর ব্যাপারে ছেলে মেয়ে উভয়কে সমান সুযোগ দেয়া উচিত। পরের বাড়ি চলে যাবে বলে মেয়েকে বঞ্চিত করা মোটেই উচিত নয়। সাধারণতঃ দেখা যায়, মেয়েরাই শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বুড়ো বয়সে মা বাবাকে মন দিয়ে দেখভাল করে থাকে। তবে আমি এমন বৌকেও দেখেছি, যে অকাতরে শ্বশুড় শাশুড়িকে নিজের মা বাবার মতই সেবা করে যায়, ভালবেসে যায়।
ইফতেখার ভূইয়া এর সুন্দর মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৮
শাহ আজিজ বলেছেন: মা বাবাকে হারিয়েছি অনেক আগেই তবু দেখি যারা মা বাবাকে সেবা করে তাদের জানাই মোবারকবাদ ।
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:৪১
কামাল৮০ বলেছেন: অনেকেই এই ভুলটা করে।ছেলে মেয়ে দুই জনকেই সমান চোখে দেখতে হবে।দুটিই বাবার সন্তান।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: তথাস্ত ।
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০০
কামাল৮০ বলেছেন: আমার মনে হয় বাবা মারাই ঠিক মতো মানুষ হয় নাই।সন্তান মানুষ হবে কি ভাবে।সন্তান কে মানুষ করতে জানতে হয়।তাদেরকে মানবিক মানুষ করে গড়ে তোলতে হয়।বাবা মা সন্তান কে পিটালে সেই সন্তান বড়হয়ে বাবা মাকে পিটাবেই।সেই সন্তান হয়ে যায় প্রতিশোধ পরায়ন।সন্তানের সাথে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তোলতে হয়।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪২
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , আধুনিক পারিবারিক পরিবেশ গড়া জরুরি ।
২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইফতেখার সেবার পথে পদার্পণের জন্য।
বাবা-মা'র প্রতি মানবিক দায়িত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরা তথা সন্তানদের এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জরুরী। সময়োপযোগী লিখার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইফতেখার ভূইয়া এর সুন্দর মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।
আপনার অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন স্যার।
১৯৯৯ সালের কথা, মা'র কেন যেন সন্দেহ হয়েছিলো তার ছেলেগুলো পড়াশোনাও করছে না ঠিকমতো। আমরা স্কুল যাওয়ার পর মা'ও আমাদের অনুসরণ করে স্কুলে গিয়েছিলেন আমাদের স্কুলে উপস্থিতির ব্যাপারে জানার জন্য। স্কুলের ক্লাসে আমাদের দেখতে পান নি। আসার পথে মা'র সন্দেহ হলো আমরা হয়তো বাজারের ভিডিও গেমসের দোকানে থাকতে পারি। তার ধারনা সত্য প্রমাণিত হলো। স্কুল ফাঁকি দিয়ে আমরা দু'ভাই ভিডিও আসলেই বাজারে গেমস খেলছিলাম। বাসায় আসার পর আমাদের জেরা করা হলো, ধরাও পড়ে গেলাম। গামছা দিয়ে চোরের মতো পেছনে দু'হাত বাঁধা হলো। তারপর যা ঘটলো সেটা আর বলতে পারছি না, হাতে-পায়ে মনে হয় এখনো ব্যাথা লেগে আছে তবে উপকার যেটা হলো সেটার জন্য মা'র কাছে আজও ঋণী মনে হয়। আসলেই মাইরের উপর ভাইটামিন নাই ।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের বাবা প্রচণ্ড কঠিন মেজাজি শিক্ষক ছিলেন । ৪৭ এর পর তিনি আর শিক্ষকতা করেননি । সিগারেট প্যাকেট দিয়ে তাস খেলছিলাম , পেছন থেকে ছাতার বাড়ি পাছার ওপর । আর খেলিনি তাস। পড়াশুনার ব্যাপারে তিনি খুব কড়া কিন্তু খাওয়ার ব্যাপারে উদার । তার সামনে দাড়িয়ে চ্যাবনপ্রাশ খেয়ে গাল হা করে দেখাতে হতো যে সত্যি খেয়েছি । ৭০ সালে বাবাকে হারিয়েছি ।
২২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আসলেই মাইরের উপর ভাইটামিন নাই" - ইফতেখার ভূইয়া'র মন্তব্যের এই শেষ বাক্যটি পড়ে আমি আর হাসি চাপা দিয়ে রাখতে পারলাম না!
মাইর এর প্রয়োজন রয়েছে, তবে নিষ্ঠুরতা নয়। আমরা সাত ভাইবোন ছোটবেলায় বাবাকে বাঘের মত ভয় করতাম। কিন্তু তার মনে যে আমাদের জন্য স্নেহের স্বচ্ছসলিল একটা বহমান ছিল, তাও সময়ে সময়ে টের পেতাম। তার শেষ বয়সে তিনি আমার কড়া শাসনে এসেছিলেন, বিশেষ করে সিগ্রেট খাওয়ার ব্যাপারে। তখন তিনি আমার স্ত্রীকে বশ করে চুপিচুপি সিগ্রেট আনিয়ে খেতেন। এখনকার তুলনায় আমিও আমার ছেলেদেরকে কড়া শাসনে মানুষ করেছি। এখন আমি অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করি, আমি ওদের উপর যতটা সদয় ছিলাম, ওরা আমার উপরে তার চেয়ে ঢের বেশি। এখন ওরা যেন ওদের সন্তানদেরকে কড়া শাসন করতে না পারে, সেজন্য আমি নাতি নাতনিদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াই।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার ছেলে আর মেয়েকে শাসন না করে বন্ধু হয়েছি । আর যাই হোক বিপথে যায়নি ।
২৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: খায়রুল আহসান বলেছেন: মাইর এর প্রয়োজন রয়েছে, তবে নিষ্ঠুরতা নয়।
সহমত পোষণ করছি। গত বছর বাংলাদেশে যাওয়ার আগে একটা পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম যে আমার ছেলের জন্য কম্পিউটার কিনেছি। বাংলাদেশে গিয়ে মনিটর কেনা হলো ২৩ হাজার টাকা দিয়ে। মাস খানেক যেতে না যেতেই কোন একদিন ছেলে খুব সম্ভবত মনিটরে কিছু একটা ছুঁড়ে মেরে ছিলো। আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে পিসি চালাতেই দেখি মনিটরের বিশাল একটা অংশ কালো হয়ে গেছে। রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে কান্না চলে এলো। মনিটরটা খুলে ঘরের বাইরে গিয়ে এক আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেললাম। আমার গিন্নী, ছেলে বেশ ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলো। শব্দ পেয়ে মা-ও দৌড়ে নিচের তলা থেকে আমাদের ঘরে চলে এলেন। ছেলেকে কিছু বলতে পারলাম না। মা এসেই সবার আগে তার নাতিকে জড়িয়ে ধরে আমার কাছ থেকে সরিয়ে নিলেন। পরে আমাকে শান্তনা দিলেন, মাথায় হাত বুলিয়ে বোঝালেন। যাওয়ার আগে বললেন, "বাবা তুমি যে রায়ানের গায়ে হাত তুলো নাই, তাতে আমি অনেক খুশি হলাম। ওর গায়ে হাত দিয়ে আমি খুব কষ্ট পেতাম"। দু'দিন পরে আবার অরেকটা মনিটর কিনে নিয়ে আসলাম।
আমার গিন্নীও মাঝে মাঝে ছেলের আচরণে বেশ বিরক্ত প্রকাশ করেন এবং সেটার যৌক্তিক কারণও রয়েছে। তবুও তাকে বার বারই অনুরোধ করেছি, বুঝিয়েছি ছেলের গায়ে হাত না তুলতে। সেও কখনো তোলেনি।
তবে স্যার সারমর্ম হলো, মাইরের একটা বয়স আছে আমি লুতুপুতু টাইপ বাবা নই। সন্তানের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার সব বাবা-মা -ই করেন তবে তাদের বুঝতে হবে কখন কথা দিয়ে আর কখন লাঠি দিয়ে বোঝাতে হয়। আপনি জ্ঞানী আর অভিজ্ঞ অভিভাবক। অবশ্যই আপনি সেটা আমার চেয়ে ঢের বেশী জানেন। তবে ঘুরে-ফিরে লাঠি একদিন আসবে তাতে সন্দেহ নেই । দাদা/দাদী'র এই ঢাল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি বরাবরই আমার মা'র কাছ থেকে লক্ষ্য করেছি, বিষয়টি আমার ভালো লাগলেও তাদের অনুভূতি আমার এখনো অজানা। দাদা হওয়ার সৌভাগ্য হলে হয়তো কোনএকদিন বুঝতে পারবো। সবই রাব্বুল আলামিনের দয়া আর ইচ্ছের উপর নির্ভর করছে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের ছোটবেলায় পড়াশুনা ব্যাতিত আর কোন বিষয়ে তেমন শাসন তেমন ছিলনা । আমি একবার ক্ষেপে গিয়ে দা দিয়ে বাবার লাঠি কেটেছি , সবাই থামাল আমায় । বাবা ওর পরে আমায় আর মারেননি লাঠি দিয়ে । তিনি বুঝেছিলেন ছেলের মেজাজ তার চেয়ে এক কাঠি সরেস ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: কঠিন জীবন।