নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নুহাশ হুমায়ুনের যত কথা

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

নিচের লেখাটি একটি পত্রিকা থেকে কপি করা । হুমায়ুন আহমেদের ছেলে নুহাশের দেওয়া বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে তা ছেপে দিলাম ।




আমি নিশ্চিত অনেকই ’দেবী’ মুক্তির জন্য খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। মানুষের আগ্রহের
কারণ, এই সিনেমাটি নির্মাণের জন্য ক্যামেরার সামনে আর পেছনে খুব মেধাবী কিছু মানুষ কাজ করেছেন।
কিন্তু এটাও অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে ’দেবী’ নিয়ে মানুষের আগ্রহের বড় এবং অন্যতম আরেকটা কারণ, এর চরিত্রগুলো, গল্প আর এর সাথে জড়ানো কিংবদন্তি মানুষটির নাম।


অনেকেই হয়তো জানেন ’দেবী’ নির্মাণ হয়েছে আমার বাবা হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাস থেকে আর এখানে ’মিসির আলী’ চরিত্রটি আছে। ’মিসির আলী’-হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি করা এমন একটা চরিত্র, যাকে আমরা সবাই ভালবাসি। কিন্তু যা অনেকেই জানেন না তা হল, এই সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে আমার এবং আমার তিন বোনের (নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ, বিপাশা আহমেদ) অনুমতি ছাড়াই।

হুমায়ূন আহমেদের সমস্ত সৃষ্টি এখন তার উত্তরাধিকারদের স্বত্বাধিকারে। আমাদের চার ভাইবোনের অনুমতি ছাড়া যে এই সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার কাজ চলছিলো, সেটা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত ছিল। যখন এই সিনেমার প্রযোজক জয়া আহসান এই বিষয়ে জানলেন, তিনি সাথে সাথেই আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলেন এবং আমাদের চারজনের অনুমতি নেয়ার জন্য আইনগত সব ব্যাবস্থা নিলেন। তিনি এই সিনেমার মার্কেটিংসহ বাকি কাজ বন্ধ রাখলেন আমাদের চার ভাইবোনের চুক্তিপত্রে সাইন হওয়া পর্যন্ত।

নিয়ম অনুযায়ী আমাদের অনুমতি ছাড়া দেবী সিনেমার কোন কাজই শুরু হতে পারে না। তারপরও হয়েছে। কিন্তু যখন জয়া আহসান আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং আমাদেরকে তার দিকের ব্যাখ্যা দিলেন, তখন আমাদের মনে হয়েছে -এটা তার দিক থেকে একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল।

আর তিনি যে এটা সংশোধন করতে চাচ্ছেন এটা একটা দায়িত্বশীল আচরণের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু বেশিরভাগ নির্মাতারা (যারা আমার বাবার সৃষ্টি নিয়ে কাজ করেছেন/করতে যাচ্ছেন) এতটা দায়িত্বশীল আচরণের পরিচয় দেননি অথবা দিচ্ছেন না, তাই আমি কিছু জিনিস স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে চাই- যেন এই জাতীয় ভুল বারবার না হয়।

অনেক নির্মাতাই আমাদেরকে জানিয়েছেন তারা আমার বাবার স্ত্রী-মেহের আফরোজ শাওনকে এককালীন কিছু টাকা দিয়ে অনুমতি নিয়েছেন এবং নাটক নির্মাণ করেছেন। শাওন আমার বাবার ’ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টির’(গল্প, উপন্যাস, তার সৃষ্ট যেকোনো কিছু ) একমাত্র উত্তরাধিকার না। তাই আমাদের চার ভাইবোনের অনুমতি ছাড়া, শুধুমাত্র শাওনের অনুমতি নিয়ে, হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি নিয়ে কাজ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

কিছু নির্মাতার অজুহাত হল, ’আপনাদেরকে পাওয়া কঠিন’– আসলেই কি তাই? সিনেমা নির্মাণ করা একটা কঠিন কাজ হতে পারে, কিন্তু ঢাকা শহরে কোন মানুষের সাথে যোগাযোগের উপায় বের করা বেশ সহজ। আমার ফেইসবুক পেইজটা পর্যন্ত ভ্যারিফাইড, তাহলে আর কত সহজ উপায়ে আমার বা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চান?

আরেকটা সাধারণ ভুল ধারণা হলো- আমাদের চাচা মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর অনুমতি নেয়া আর আমাদের চার ভাইবোনের অনুমতি নেয়া একই কথা। আমার মনে হয় এটা খুব স্পষ্ট করা দরকার- মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আমাদের চাচা এবং আমাদের প্রিয়জন, কিন্তু তিনি আমাদের কোন মুখপাত্র অথবা অভিভাবক না এবং হুমায়ূন আহমেদের ’ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টির রাইট’ নিয়ে আমাদের চার ভাইবোনের হয়ে তিনি কিছু বলার অধিকার রাখেন না।

আশা করি আমার এই লেখাটি কিছু সাধারণ ভুল ধারণা দূর করবে, আর যেই সব নির্মাতারা আমার বাবার সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে চান, তারাও নির্মাণের আগে প্রয়োজনীয় আইনগত ধাপগুলো ভাল করে জেনে নিবেন। এটা হতে পারে মিসির আলী, হিমু অথবা আমার বাবার অন্য যেকোনো অনবদ্য সৃষ্টি – সেটা যাই হোক, এইসবই এখন অমূল্য সম্পদ আর তার উত্তরাধিকার(এবং তার সব ধরনের সৃষ্টির বিশাল ভক্ত) হিসেবে আমাদের দায়িত্ব খেয়াল রাখা এইসব যেন সঠিক আর মেধাবী নির্মাতার হাতে পড়ে।

আমার মনে হয়, মাঝে মাঝে ’না’ বলতে পারাটাও এখন আমাদের জন্য খুব জরুরি। আমি নিশ্চিত হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা তার কাহিনী নিয়ে তৈরি হাতে গোনা কয়েকটা অসাধারণ কাজই পছন্দ করবে, একশোটা মাঝারি মানের কাজের চেয়ে। আর আসলেই কি প্রত্যেকটা সাহিত্যকর্মকে সিনেমা অথবা নাটক বানানোর প্রয়োজন আছে? আমার বাবাতো এমনিই আমাদের বুকের মধ্যে বেঁচে থাকবেন তার সৃষ্টির জন্য- তার কাহিনী নিয়ে নাটক বা সিনেমা নির্মাণ তো তার অবস্থান পরিবর্তন করছে না আমাদের কাছে।

জয়া আহসানের জন্য শুভ কামনা থাকল। আর আশা করছি অন্য নির্মাতারাও এটাকে সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখবেন, কিভাবে সবার জন্য সম্মানজনকভাবে আমার বাবার ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি নিয়ে কাজ করা যায়। এটা কিন্তু কোন আর্জি না বা অনুরোধ না- ভালোভাবে ’ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি’ আইন পড়ে দেখলেই বিষয়টি বোঝা যাবে।

designanalyzer থেকে কপি ।।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: নুহাশ ভুল বলে নাই !!

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: নুহাশ সঠিক অবস্থান নিয়ে তার কথা বলেছে ।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হুমায়নের লেখা নিয়ে এখন পর্যন্ত কতটি মুভি বানানো হয়েছে?

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: হুমায়ুনের লেখা থেকে এটাই প্রথম ছবি । হুমায়ুন নিজে যে কটি ছবি করেছেন তার তালিকা আমার কাছে নেই ।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:


শাওনকে এই ছেলে "মা" বলে সম্বোধন করেনি; ইহা তো একটু বেআক্কলে ধরণের পোলা!

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: বাবার স্ত্রী ;)


পশ্চিমা সংস্কৃতি পোলাকে ধরে ফেলেছে ।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ''হুমায়ুন আহমেদ'' শব্দটাকেই শাওন এখন নিজের সম্পত্তি বলে মনে করে যাতে শুধুই তার একছত্র অধিকার এবং এই বিষয়টা প্রতিষ্ঠিত করতে সে অতি তৎপর। তবে জাফর ইকবালের বিষয়ে নুহাস যা বলেছে তা শুনে বুঝতে পারছি যে জাফর ষ্যাড় পরিবারের এই একান্ত বেদনাদায়ক বিষয়টাতেও দুই নম্বরী চাল চালছেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: হুমায়ুনের গল্প থেকে সিনেমা স্বত্ব বিক্রি করলেও অনেক টাকা , ছেলেটা তা বুঝে ফেলেছে ।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: নুহাশ যা বলেছেন সেটাই বাস্তব সম্মত।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম এরা হুমায়ুনের প্রথম ঘরের সন্তান , এর পর আসছে দ্বিতীয় ঘরের সন্তান । তার পর স্ত্রীগণ। তবে স্ত্রীরা যদি আবারো বিয়ে করেন তাহলে স্বত্ব থেকে বঞ্চিত হবে এরকম কান কথা শুনেছি । ব্যাপারটার সুরাহা হওয়া দরকার । হুমায়ুন বেচে থাক পাঠকদের হৃদয়ে ।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



@ঢাবিয়ান ,

আপনি এই পরিবারের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার স্যাপারের কতটুকু জানেন যে, ড: জাফর ইকবাল সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করছেন? আপনার বিচারবুদ্ধি তো সন্দেহজনক।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: :(

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নুহাশ সঠিক কথাই বলেছেন। শাওন একমাত্র উত্তরাধিকার নয় তবে উনি মনে করতে চায়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩২

শাহ আজিজ বলেছেন: হুমায়ুন কি একটি উইল করে গিয়েছিলেন ?

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশি আইনে কি আছে জানি না, তবে উইল করে নিজ সন্তানদের বঞ্চিত করে অন্য কাউকে সকল সম্পত্তি দিয়ে যাবার আইন উন্নত দেশে নাই। স্ত্রী ও সন্তানদের অধিকার সংরক্ষনে যদি কোন আইন বাংলাদেশে না থেকে থাকে , তবে তা খুবই ভয়াবহ একটা ব্যপার।

জাফর ষ্যাড় বহুকাল ধরেই নিজের আখের গুছাতে মহা তৎপর। পারাবারিক ইস্যূতেও নোংরা ভুমিকা নিতে দেখলে অবাক হব না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: বাংলাদেশের আইনে স্ত্রীগণ , পুত্র ও কন্যারা তাদের নির্দিষ্ট ভাগ পাবেন কিন্তু ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি কিভাবে প্রয়োগ হয় জানিনা । আমি মোটেও কঠোর হতে পারি না এদের নিয়ে কারন আহসান হাবিব আমার ভার্সিটি যুগের বন্ধু ।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১১

শেরজা তপন বলেছেন: সোনাগাজী সাহেব, মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর 'ডুব' ছবিটা দেখলে বুঝবেন কেন তাকে মা বলে না। শাওন কোনভাবেঈ এই ছবিটা অবিকৃত অবস্থায় বাংলাদেশে মুক্তি দিতে দেয়নি।

বাংলাদেশে এই জেনারেশনে যতগুকো নির্মাতা আছে তাঁর মধ্যে নুহাশকে আমার সবথেকে প্রতিভাবান মনে হা। কথাগুলো যদিও অনেক আগের তবে ঠিক বলেছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩০

শাহ আজিজ বলেছেন: ডুব কি ওয়েবে দেখা যাবে ?

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: নেটফ্লিক্সে পাবেন

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: উক্কে ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.