নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম আলো
কলকাতার বাজারে মশাই মুরগির মাংস কিনছেন । তো মশাই মুরগীওয়ালা কে বললেন একটা রান একটু চেপে বুকের একপাশ দিয়ে কেটে দাও দিকিনি । প্রতিবেশি পাশ থেকে বলল সে কি দাদা আজ বাড়িতে পার্টি ফার্টি আছে নাকি । মশাই বললেন না ঐ রানু আর জামাই এয়েছেতো তাই একটু খাওয়া দাওয়া।
এটা নিয়ে বাংলাদেশের বাঙ্গালিরা বেশ মজা করত এবং টিটকারি দিত পশ্চিমবঙ্গের দাদাদের । আজ পেপারে চিটাগঙে ২৫০ গ্রাম গরু হাড্ডি সহ বিক্রি হচ্ছে শুনে আমার কিঞ্চিৎ লজ্জা হল নিজেদের কথা ভেবে । কলকাতার বন্ধু মেসেঞ্জারে খোঁচা দিয়ে বলল তোরা দারুন আছিস রে , উন্নয়ন এখন ২৫০ গ্রামে ঠেকেছে , আমরা কিন্তু কেজিতে উঠেছি । মুরগী , মাছ এখন ভাগায় বিক্রি হচ্ছে । মাছ আগেও ভাগায় বিক্রি হত । সেই ৮১ সালে হল ছেড়ে ভাড়া মেসে থাকার সময় কাঁঠালবাগান বাজারের উপর দিয়ে সন্ধ্যার সময় আস্তানায় ফিরতাম । চার পিস ইলিশ মাছকে কোন ভাবেই দু পিসে নামাতে পারলাম না শত অনুনয় বিনয় করেও । আমাদের ফ্রিজ নেই কাজেই দুই পিসের ওপর বাজেট করা ঠিক নয় । সব্জি আর ডাল দিয়েই রাতে খেতাম । দুপুরে পাবলিক লাইব্রেরির ক্যান্টিনে মুরগী ভাত খেতাম বান্ধবীর টাকায় কিন্তু ইলিশের অভাব যেত না । বাড়ি গেলে মা এসব শুনে বড় ইলিশ প্রতি দিন খাওয়াতেন আমায় ।
চিটাগঙে মুরগী বিক্রেতার মানবিক দিক হচ্ছে দাম যা বেড়েছে গরীবের মুরগী খাওয়া বন্ধ হবে কেন ? পিস হিসাবে বিক্রি করব । গরুওয়ালাও তাই , ২৫০ গ্রামে ঠেকিয়েছে তার মানবিক বিষয় ।
আহা সারা দেশে যদি সব বিক্রেতা গরীবদের কথা ভাবত তাহলে দেশের চেহারাটা পাল্টে যেত ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: বাসা থেকে আনত ।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: দেখছেন কথায় কথায় বান্ধবীর কথা কোয়া ফালাইছে সোনাগাজী ভাই আমার তো আর বান্ধবী নাই ২৫০ গ্রামই শেষ ভরসা তবে ঢাকার কসাইদের কাছে তো ২৫০ গ্রাম মাংস চাইলে মনে হয় দৌড়ানি দিবে চিটাগং এর কসাইরা মানুষের কষ্ট বুঝে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা
নাহ , আস্তে ধীরে রাষ্ট্র সেদিকেই এগুচ্ছে ।
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চিটাগাংয়ের বড় লোকদের এখন থেকে ঘন ঘন মেজবান করতে হবে যেন গরীব লোকেরা মাঝে মধ্যে গরু খেতে পারে। অন্য জেলাতেও মেজবান চালু করতে হবে।
ভয়ানক অবস্থা। ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য লোকে বুঝবে না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , কথা সত্য । যাদের প্রচুর বিত্ত বৈভব আছে তারা অস্থায়ী লঙ্গরখানা চালু করতে পারেন আসন্ন রমজানে ।
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: কমপক্ষে আধা কেজি মাংস তো আমার একারই লাগে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: খুব ভাল গাহাক তুমি । এখনি কমিয়ে আনার সময় । আমি মাত্র ৪০ গ্রাম মাংস খাই ডাক্তারের নির্দেশে ।
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: লন্ডনের মতো শহরে তিনটার বেশি টমেটো কিনতে দিচ্ছে না।ইউরোপের অবস্থা চরম খারাপ।যুদ্ধের সাঁধ মিটিয়ে দিবে ইউরোপ বাসিকে।রাশিয়াও টের পাবে যুদ্ধ করার মঝা।যত তাড়াতাড়ি এই যুদ্ধ শেষ হয়,সেটাই সবার জন্য মঙ্গল।নয়তো ২৫০ গ্রামের নিচে নামতে হবে।ভারতেরও হাসি বের হয়ে যাবে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
শাহ আজিজ বলেছেন: এই যুদ্ধ পৃথিবীকে বিপাকে ফেলবে । পুতিন শুওরেরবাচ্চাকে জবাই করা উচিত ।
৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০০
দারাশিকো বলেছেন: এই লজ্জা এতদিনে ভাংলো! ডিজিটাল পাল্লায় আমার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কিনবো - এটাই নীতি হওয়া উচিত। বেশি পরিমাণে নিলে এক দর, কম নিলে অন্য দর - এটা পছন্দ করি না
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , সত্যি বলেছেন । ডিজিটাল পাল্লায় যা ওজন আসবে তাই হবে । আবার মরা মুরগী বেচার ধান্ধা নয় তো ??
৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০১
সত্যপীরবাবা বলেছেন: কামাল১৮, ৩ টা টমাটো না, একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৩ প্যাকেট একবারে কিনতে পারে, এক প্যাকেটে ৮-১০ টা টমাটো থাকে। এই হিসাব সুপার মার্কেটের জন্য।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম আচ্ছা ।
৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩১
বিষাদ সময় বলেছেন: আমাদের এলাকায় একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে সেখানে অনেকদিন আগে থেকে লেখা " এখানে একটি ফল বিক্রি করা হয়"। লেখাটি দেখলেই আনেকদিন আগে এক দরিদ্র ব্যাক্তির এক ফলওয়ালাকে একটি আপেল বিক্রির জন্য অনুনয় বিনয় করার স্মৃতিটা জেগে ওঠে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: সময় খুব দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে । দুর্ভিক্ষ হবেনা এদেশে কিন্তু মানুষ অনাহারে থাকবে ।
৯| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:০৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গত ১৫ বছরে মাছ মাংশের উৎপাদন ৩ গুন বেড়েছে। এর পরও ইম্পোর্ট হয়।
মানুষ যদি টাকার অভাবে খাইতে না পারে তাহলে প্রতিদিন এত টনকে টন ঝুলানো মাংশ বিকেলের আগেই শেষ হয়ে যায় কিভাবে?
কারা খায়?
বড়লোক কয়টা? বড়লোকের পেটের সাইজ তো আর বড় না। সেইম সাইজ হওয়ার কথা।
০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম, উৎপাদন বেড়েছে এটা আমিও বুঝি কিন্তু অসাধু বিক্রেতা সব সময় সুযোগ খোজে তার পকেট সম্প্রসারিত করতে । ঝুলে থাকা মাংস যায় ফ্রিজে এবং গোপনে । আমাদের একটা ভুল ধারনা যে ফ্রিজে রাখা মাংস খাওয়া যায় না কিন্তু কোরবানির মাংস ছয় মাস
ফ্রিজে রেখে খাওয়া হয় । গ্রামে গরু খাওয়া একটা দুর্লভ ব্যাপার কারন দাম বেশি এবং ভাগিদার কম । শহরে রেস্টুরেন্টে গরু চলে খুব । গরুওয়ালারা মানে বিক্রেতারা বা কসাই গরুর আমদানি কমিয়ে দিয়েছে । শহর ঢাকায় শ্রমজীবীর সঙ্খ্যা বেড়েছে এবং তারা মাংস প্রতিদিন খাওয়ার সক্ষমতা রাখে না । মধ্যবিত্ত হচ্ছে মুল ক্রেতা আর নিন্মবিত্ত কদাচ যা প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে । বাজার পর্যবেক্ষণ বা মনিটরিং করতে হলে বাজারে যেতে হবে । আমি বিকালে যেখানে বসি সেখানে তিনটি ভ্যানে সব্জি বিক্রি করে যারা তাদের মলিন মুখ দেখলে কষ্ট হয় । পাশেই ছোটখাটো বাজার আছে যেখানে এমাস থেকে টু লেট ঝুলছে । ভ্যানের বিক্রেতা বলে রাইতে বাকি সব্জি নিয়া বস্তিতে যামু সেল দেতে । এটাই হচ্ছে বাস্তব ।
১০| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:১৮
সোহানী বলেছেন: আমি আজ এখানের বাজারে যেয়ে অবাক হলাম, গত সাপ্তাহেও এতো দাম দেখিনি।
আমার মেয়ের পাখী ব্রকলি পছন্দ করে। তাই সাপ্তাহে কিনি। কিন্তু যে ব্রকলি লাস্ট ইউকে কিনেছি দেড় ডলারে আজ পাঁচ ডলার। আমি হা হয়ে গেলাম। কানাডার এ অবস্থা হলে আমাদের দেশের কি অবস্থা!!!
কানাডা সরকার কাঁচা বাজারের উপর প্রচুর ভর্তুকি দেয়। তারপরও দাম যা বেড়েছে তা অবিশ্বাস্য।
০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন: পৃথিবীর সর্বত্র ক্রয় মুল্যে আঘাত এসেছে । শুধু জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তার প্রভাব অন্য সব কিছুর ওপর পড়বে এটাই স্বাভাবিক । আমাদের বাজারে ঊর্ধ্বগতিতে কিছু মিশ্র ব্যাপার আছে যেমন পেয়াজ ৩৫ টাকা কেজি , অন্যান্য সব্জি দাম বেড়েছে কিন্তু কিছু সব্জি ক্রয় সীমানার মধ্যে আছে । দুদিন আগে তাজা ডাটা কিনলাম ৩০ টাকা আটি যা আগে ১০ টাকা ছিল । মাংসে ছাড় নেই কারন তা সংরক্ষন করা যায় । ঢাকার গরিব মানুষ এখন ও এম এসের লাইনে সময় দিচ্ছে শুধু ডাল আর চালের সমন্বয় করতে । আমার মনে হয়না বাজার আর ঘুরে দাড়াতে পারবে । পুতিন একটা জারজ ।
১১| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৩৯
চোরাবালি- বলেছেন: অর্থনৈতিক যে অবস্থা তাতে ১০০গ্রাম মাংশের ক্রেতাও পাওয়া যাবে না এক সময়। ১৯৮৫/১৯৮৬দিকে অনেক পরিবারই গরুর মাংশ মানে কোরবানির ঈদ আর যদি গ্রামে কোন দাওয়াত থাকে সেখানে। অবশ্য হাঁস মুরগীর মাছের অভাব ছিল না তাদের। বর্তমানে আমরা সেদিকেই আগাচ্ছি।
অবশ্য সভ্যতার অগ্রগামিতার সাথে সাথে আমরা হয়ে গেছি সাহেব। গ্রামে যেখানে প্রতিটি ঘরে ঘরে হাঁস মুরগী ছাগল গরু থাকত সেখানে এখন শূণ্য। ডিম থেকে শুরু করে সবই এখন কিনে খান তারা। শিক্ষিতের ব্যপকতায় বাবু আনার প্রকাশে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে ক্রমেই। দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক
০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: দেশে এখন প্রচুর মানুষ হাস মুরগী পালনে হাত দিয়েছে কিন্তু মধ্যস্বত্ব ভোগীরাই খেয়ে ফেলছে দ্বিগুণ । আরও আছে ঘাটে ঘাটে চাদাবাজি । পশু খাদ্যের আমদানি কমিয়ে স্থানীয় ভাবে উৎপাদন করা যেতে পারে । আমাদের বঙ্গোপসাগরে প্রচুর মাছ সাগরে ফেলে দেয়া হয় যা দিয়ে হাস মুরগির ফিড তৈরি হতে পারে । কৃত্রিম মাংসএর দিকে নজর দিতে হবে যা কিনা আমাদের সিংহভাগ চাহিদা পুরন করতে পারবে । ডিম একটি উপাদেয় খাদ্য কিন্তু বড় বড় উৎপাদকরা ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রন করে । ব্যাবসায়িবান্ধব সরকার জনগণকে সত্যই বিপদের মধ্যে ফেলেছে ।
১২| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: খুব ভাল গাহাক তুমি । এখনি কমিয়ে আনার সময় । আমি মাত্র ৪০ গ্রাম মাংস খাই ডাক্তারের নির্দেশে ।
ডাক্তার আমাকে গরুর মাংস এক টুকরো খেতে বলেছেন। কিন্তু গরুর মাংস দেখলে মাথা আউলায়ে যায়। মাদের বংশের সকলের পছন্দ গরুর মাংস।
০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: একদিন বডি ভি আউলাইয়া যাইব কইলাম ।
১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯
চোরাবালি- বলেছেন: মধ্যস্বত্ব ভোগী আর ঘাটে ঘাটে চাদাবাজি খুবই বিরক্তকর একটা পর্যায়ে চলে গেছে। সবাই যেন নিরব, কারো কোন কিছু গায়ে লাগে না।
০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , বাংলাদেশ চাঁদাবাজদের জন্য স্বর্গ একখানা । চাঁদার টাকা পন্যের উপর অ্যাড হয় আর তাতেই দাম বাড়ন্ত ।
১৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১
ঢাবিয়ান বলেছেন: “অর্ধেক ডিম দিলাম, পুরো খেতে হবে কিন্তু। দুপুরে খেয়ে এসেছেন না বাড়ি গিয়ে খাবেন? ওপার বাংলার এই ট্রেন্ড এখান এখানে ট্রান্সফার হতে যাচ্ছেবলিয়া প্রতিয়মান হচ্ছে।
০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা বেশ মজা করি এসব নিয়ে , এখন এই মজা আমাদের ঘাড়ে চেপেছে
১৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৬| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
স্বপ্ন' নাকি ২০০ গ্রাম বিক্রি করছে ?
বেতন পেলে ২৫০ গ্রাম কিনবো।
১১ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা
এটাকেই বলে পিপলস পাওয়ার ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩৪
সোনাগাজী বলেছেন:
বান্ধবীর টাকায় খেতেন? সে টাকা পেতো কোথায়?