নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''বড্ড কষ্টে ছিলেন ছোট মেয়ে সুমিতার জন্য,,,,,শেষ বয়সে মান্না দে।''---
লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত । খুব বেদনাদায়ক ঘটনা বলেই ছেপে দিলাম । মান্না দে যখন তীব্র অসুস্থ তখন নিয়মিত খবর নিতাম ভারতীয় মিডিয়ায় । মারা গেলে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম ।
,
মুম্বাই ছেড়ে যাবার সময় মান্না দে বলেছিলেন,' ছোট মেয়ে সুমিতা বেঙ্গালুরুতে কিছু কাজ-টাজ করতে চায়। তাই আমরাও চলে যাচ্ছি। ওকে তো আমরা একা ছেড়ে দিতে পারিনা'।তারপর ?আরতি মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন 'দিনের পর দিন ফোন করেছি। বেজে গেছে শুধু। কেউ ফোন ধরতো না। একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়িকা শুনলাম মান্নাদার জন্মদিনে ওর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে শেষমেশ বাড়িতে ঢুকতে না পেরে জানালা থেকে শুভেচ্ছা আর প্রণাম জানিয়ে চলে আসেন'। কেন ?? যে মান্না দে ভোরবেলা রেওয়াজ ছাড়া ভাবতেই পারতেন না শেষ জীবনে তার কাছে একটা হারমোনিয়াম পর্যন্ত ছিলনা !!!মান্না দের বহু গানের মিউজিক আরেঞ্জার হিসেবে কাজ করেছেন শান্তনু বসু। স্ত্রী সুলোচনার মৃত্যুর পর মান্না দে একদিন ফোন করলেন তাকে,' সুলুকে উৎসর্গ করে কয়েকটা গান করব ঠিক করেছি। তোমার হেল্প চাই'। তারপরেই বললেন,'দেখো,এই সময় আমার গানতো খরচা করে কেউ করবেনা। তুমি আমাকে বলো,আমি যদি আঁটটা গান করি,কত খরচ হতে পারে'? ভাবা যায় ? শেষ পর্যন্ত অবশ্য মহুয়া লাহিড়ী এগিয়ে এসেছিলেন সেই রেকর্ড করার জন্য।এই রেকর্ডের কাজেই বেঙ্গালুরু পৌঁছে শান্তনু বসু ফোন করলেন মান্নাদেকে, তিনি জিজ্ঞেস করলেন,'কাল তুমি কখন আসবে?' একটু অবাক হয়ে শান্তনু বসু বললেন,'দাদা আমি তো আজই আপনার সঙ্গে গান নিয়ে বসবো বলেই দুপুরে চলে এলাম। আমি যদি পাঁচটা-ছটা নাগাদ যাই'।একটু ইতস্তত হয়ে মান্না দে জবাব দিলেন,'আজ তো চুমু (ছোট মেয়ে সুমিতা) কাজে চলে যাবে। তুমি কাল এসো'।শান্তনু বসু বললেন,'কাউকে লাগবেনা দাদা। আমি আর আপনি হলেইতো হবে'। তিনি তাও বললেন 'অসুবিধে আছে'। শান্তনু বসু নিশ্চুপ। এবার তিনি নিজেই অস্বস্তির সঙ্গে বললেন 'আমাকে তো তালাবন্ধ করে চাবি নিয়ে ও কাজে চলে যায়। আবার রাত বারোটা সাড়ে বারোটা নাগাদ আসে'। স্তম্ভিত শান্তনু বসু বললেন 'দাদা, এভাবে'!! 'আর বোলো না,আর বোলো না। আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল, আর বাঁচতে ইচ্ছে করেনা '। বলেই হাউমাউ করে কেদে উঠলেন মান্না দে। ইনি সেই মান্না দে যিনি নিজের সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন আমাদের গান শোনাতে। ইনি সেই মান্না দে যিনি উপমহাদেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গায়কদের একজন!! কে জানে শেষ জীবনে কার কি লেখা আছে!!
আর এই সুমিতাই মান্না দের মরদেহ কোলকাতায় আনতে দেয়নি।
কবিতা ও গান
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
শাহ আজিজ বলেছেন: মান্না দা খুব মদ খেতেন , যে কারনে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে যায় । মেয়ের বাড়িতে আটকে না রাখলে নিজেই বোতল কিনে খেতেন । সম্ভবত এজন্যই তালা বন্ধ । তবুও আটকে রাখা একটি অপরাধ ।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দুঃখজনক, শুনে কষ্ট পেলাম!!
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:০০
শাহ আজিজ বলেছেন: কষ্টের ব্যাপার বটে ।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শেষ জীবনে মানুষটা নিজের কন্যার হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ওনার কাছ থেকে সমস্ত বাদ্যযন্ত্র মেয়ে কেড়ে নিয়েছিল। বাংলা থেকে কেউ গেলে দেখা করতে দিতেন না। তবে ওনার এক ভাইপো শিল্পীর কলকাতার পৈতৃক ভিটার দখল নেওয়ায় বোধহয় বাংলা ও বাবার প্রতি মেয়ের এতো আক্রোশ ছিল।এবিপি আনন্দের চিফ এডিটর সুমন দে একবার এরকম একটা বিষয় সামনে এনেছিল। যাইহোক আমার অন্যতম প্রিয় একজন শিল্পী মান্না দে। সত্যিই মোহিত হতে হয় ওনার গান শুনলে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:০২
শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি আরও বিশদ বলতে পারবেন , লিখুননা ।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৩
জগতারন বলেছেন:
খুব অল্প কিছু সংখ্যক ছাড়া,
গায়ক আর কবিদের শেষজীবনেে এ রকমই দেখা যায়।
তাদের কর্মকান্ডে সব সবসময়েই মদ আর নারী ঘটিত সমস্যা লেগেই থাকে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , ঠিক বলেছেন । দাদা এতো খেতেন যে টাল হয়ে চিৎকার চেচামেচি করতেন ।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:১২
শায়মা বলেছেন: অথচ তিনি এক অমর শিল্পী!
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩২
শাহ আজিজ বলেছেন: জেগে আছেন আমাদের সবার মাঝে ।
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহ আজিজ,
মদ খাওয়াতেই মনে হয় মান্নাদে'র গলায় ছিলো পৃথিবীর সব মদিরা! যৌবন কালে তার গলার কারূকাজ আর সুরে মাতাল হয়ে যেতুম আমিও। মনে হতো তার দেখা পেলে পা জড়িয়ে বলবো, তোমার থেকে একটুখানি সুর আমায় দিও ঋণ.......
তার কষ্টকর জীবনের কথা জানতুম কিন্তু তা যে তার মেয়ের কারনে, জানা ছিলোনা।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৪
শাহ আজিজ বলেছেন: কিছু শিল্পীর একটা নির্ভরশীলতা থাকে পানীয় বা গাজার প্রতি । তারা নিজেদের বিলিন করে আমাদের আনন্দ দেন ।
৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৭
কামাল১৮ বলেছেন: মেয়ের প্রচন্ড অভিমান ছিলো বাঙ্গালীদের উপর।অভিমানের যথেষ্ট কারণ ছিলো।
আত্মিয়রা তার সমস্তটাকা পয়সা মেরে দেয়।যাঁদের সে বিশ্বাস করে ছিলো।সেই টাকা পয়সা উদ্ধারে কেই তাকে তেমন একটা সাহায্য করে নাই।
তাছাড়া যারা তার গানের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে তাঁরাও তার বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নাই।সরল লোক ছিলেন ।সবাই তাকে ঠকিয়েছে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আচ্ছা বলুন গান ছাড়া আর কিছু মান্না দা বুঝতেন ? তিনিই শ্রেষ্ঠ , মহান ।
৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: তাবুক এয়ারপোর্টে বসে লেখাটা পড়ছিলাম, তালা দেওয়ার অংশে ধাক্কা খেয়েছিলাম! খারাপ লাগছিলো লোকটার জন্য। কিন্তু প্রথম মন্তব্যের উত্তর দেখে টাস্কি খেলাম! মুখ থেকে কস্ট, করুনা আর তাচ্ছিল্ল্য মিশ্রিত একটা শব্দ বের হয়ে গেল। উল্টাদিকে বসে থাকা ফিলিপিনো লোকটা কি মনে করে যেন উঠে চলে গেল!
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
শাহ আজিজ বলেছেন: লোকটি বুঝে ফেলেছিল আপনার ভাষা , দ্বিতীয় রাউনডের আগেই ভেগেছে ।
৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন:
মদখেয়ে কেউ ফতুর হয় না।ফতুর হয় জুয়া খেলে।তার জুয়ার নেশা ছিলো বলে মনে হয় না।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , যা বলেছেন ।
১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শোবার আগে ব্লগে ঢুঁ দিয়ে আপনার এ পোস্ট। যে মান্না দে কৈশোর, যৌবন, এবং আজও আমাকে আন্দোলিত করে, তার এ করুণ কাহিনিতে খুবই কষ্ট পেলাম। মানুষের জীবন এমন হয় কেন?
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আন্দোলিত আমিও , আমরাও । কিন্তু তার প্রতি অবিচার মেনে নিতে পারছি না ।
১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪৪
মিরোরডডল বলেছেন:
অনেক প্রিয় একজন শিল্পী মান্না দে।
যার গান আমাকে মুগ্ধ করে।
তার জীবনে ঘটে যাওয়া এই করুণ কাহিনী জেনে কষ্ট পেলাম।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: মান্না দাদা মারা যাবার আগেই তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেলে এক হাহাকারময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় , আমি তখন থেকেই একটু আধটু জানতাম । এরপর আশ্রয় মেয়ের কাছে । সেখানেও অবহেলা ।
১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫৫
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: দুঃখজনক
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম খুবই দুঃখজনক ।
১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:১২
সোহানী বলেছেন: আমি পড়েছিলাম তার জীবনের কিছু অংশ, সত্য মিথ্যা জানি না। মেয়েকে বঞ্চিত করে ভাইয়ের ছেলের নামে সব সম্পত্তির নমিনি করেছিল কারন তার কোন ছেলে ছিল না। এমন কি ব্যাংকের ভোল্ট/টাকা পয়সা সব। তারপর এক সময় সে ছেলে সব কিছু দখল করে। তখন উনি বাধ্য হয়ে মেয়ের কাছে আশ্রয় নেন।
সবাই মেয়ে ভিলেন ভাবছে কিন্তু এর ভীতরের কারনটা কেউ জানতে চাচ্ছে না।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: এই বিষয়টা জানিনা তবে তার ভাতিজা ঐ বাড়িতে বসবাস করত বলে জানি । হিন্দু আইনে মেয়েরা বাবার সম্পত্তির ভাগ পায়না ।
১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০০
রানার ব্লগ বলেছেন: মন্তব্য করতে চাচ্ছি না তাই চুপ থাকলাম ।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: না না এসেছেন যখন তখন কিছু বলে যান ।
১৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: অজানা একটা বিষয় জানলাম।
২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪
নাহল তরকারি বলেছেন: আহারে..।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪
শাহ আজিজ বলেছেন: খুব কষ্টের -------------------------
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বাবার সাথে সে এমন করলো কেন?