নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো ঢাকায় এসেছিলেন রাষ্ট্রীয় সফরে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশ ভোজ শেষে ম্যাক্রো ছুটলেন ধানমণ্ডিতে চারুশিল্পী ও গায়ক রাহুল আনন্দের স্টুডিওতে । রাত বারোটা বেজে গেছে । প্রতিবেশীরা ঘুমুচ্ছে নাক ডেকে আর এই বাড়িতে ঈদ আনন্দ । সেখানে দেড় ঘণ্টার মতো সময় অবস্থান করেন তিনি।
এ সময় ম্যাক্রোঁকে বাঙালি কিছু বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাহুল। একতারা হাতে আগ্রহ নিয়ে দেখেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।একটি একতারা ম্যাক্রোকে উপহার দিয়েছে রাহুল ।
এসময় ম্যাক্রোঁকে একতারা বাজিয়ে আব্দুল আলীমের জনপ্রিয় গান ‘নাইয়ারে নায়রে বাদাম’ গানটি গেয়ে শোনান রাহুল।গান শুনে অভিভূত হয়ে রাহুল আনন্দকে একটি কলম উপহার দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই কলমটি দিয়ে রাহুল আনন্দ যেন গান লেখেন এবং সেই গান তিনি শুনবেন। ম্যাক্রো নিজে মিউজিশিয়ান আর তাই সফরের এক ফাকে এয়ারবাস , স্যাটেলাইটের ফাক গলিয়ে নিজের ঘরানার কাউকে বেছে নিলেন গপ সপ করতে ।
‘জলের গান’র সংগীতশিল্পী, চারুশিল্পি ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় কাটিয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রো। আর তার আগমন উপলক্ষে আগে থেকেই অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছিল গায়কের বাড়িটি।
ফরাসী প্রেসিডেন্টদের এই ধরনের ভদ্রতা বা সৌজন্যতা বেশ পুরনো । ভুল না করে থাকলে প্রেসিডেন্ট মিতেরা ৮০র দশকে কলকাতায় উড়ে এসেছিলেন শুধু সত্যজিত রায়ের হাতে ফরাসী পদক তুলে দিতে । রায় তখন অসুস্থ বিধায় মিতেরা নিজেই চলে এলেন । না আর কোন ব্যাবসা বানিজ্য ছিল না ঐ সফরে । মন্দ লোকেরা ম্যাক্রোর এই ঢাকা সফরকে একটু বাকা চোখে দেখছেন । একটি সফরের পরিকল্পনার ছয়মাস আগে তার ছক কাটা হয় । রাহুল আনন্দের বাড়ির উঠানে গোলাপের পাপড়ি, গাঁদা ফুল দিলে সজ্জিত করা হয়েছিল। তার বাড়ি সময় কাটানোর পর জলের গানের স্টুডিও পরিদর্শন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
চ্যানেল ২৪
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: অতি মহৎ হৃদয় ।
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: রথ দেখা আর কলা বেচা একসাথে হল।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , বটে ।
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০২
সোনাগাজী বলেছেন:
উন্নত দেশগুলোর মাঝে ফরাসীরা গড়ে কম সময় কাজ করে; কিন্তু অনেকের চেয়ে ভালো আছে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম কাল উইকিতে দেখলাম কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া , সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেয়া ইত্যাদি বিষয় । ভাল থাক ফরাসীরা ।
৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: ভদ্রলোকেরে আমার পছন্দ হৈসে। রুচিশীল শিল্পবোদ্ধা মানুষ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
শাহ আজিজ বলেছেন: আসলেও তাই । তার কোন কর্মঘণ্টা নেই । রাইত ১২ টায় ভিজিটে যায় ।
৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: ফ্রান্স আমেরিকা বলয় থেকে কিছুটা স্বতন্ত্র থাকতে চায়।এই সফর তার একটা প্রমান।
ফ্রান্স বয়কটের লোকজন থাকার কথা জানার পরও সে খুব সাহসের পরিচয় দিয়েয়েছেন এই সফরে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ম্যাক্রোর এই মধ্য রাতের অভিযান একটা ভিন্ন আবহ এনে দিয়েছে , ধন্যবাদ ম্যাক্রোকে ।
৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। বিদেশ সফরে এসে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর এমন সঙ্গীত প্রেমের ঘটনা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , ফরাসী আদব কায়দা ।
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
ফুল কি ভুমিতে ছড়ায়ে দিয়েছিল? ইুরোপের লোকজন ফুলের উপর দিয়ে হাঁটে না।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: তাইতো দেখা যাচ্ছে , ফুল ছড়িয়ে দেয়া আছে ।
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: এই প্রেসসিডেন্ট ভালো। পুতিন বা কিমের মতো নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ১৪ বছর বয়সে ৩৪ বছরের এক নারীকে ভালোবেসে ফেলেন। সেই বিধবা নারীর আবার তিন ছেলেমেয়ে।
ম্যাক্রো'র বাবা মা তাকে প্যারিস পাঠিয়ে দেয়। প্যারিস থেকে অনেক বছর পর ফিরে ম্যাক্রো এই বিধবা ও তিন বাঁচার মাকে বিয়ে করেন।
ম্যাক্রোর কোনো ছেলেমেয়ে হয়নি। সে তার স্ত্রীর ছেলেমেয়েদের ভালোবাসেন।