নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শান্তিনিকেতন ১

১৪ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯



জ্যোতিষীকে হাত দেখাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর...
ছবিটি ছিল ক্ষিতিমোহন সেনের পুত্র ক্ষেমেন্দ্রমোহন সেনের সংগ্রহে। তাঁর সমগ্র সংগ্রহ তিনি বিশ্বভারতীকে দান করেন।
এই ছবিটি তার অন্যতম। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সুরেন কর, নন্দলাল বসু ও আর কয়েক জন কৌতুহলী চোখে জ্যোতিষীর কথা শুনছেন।
কবিও আগ্রহ নিয়ে তাঁর হাত দেখা দেখছেন।

ছবিটির ক্যাপশনে লেখা আছে- “showing his hand to a palmist; Suren Kar and Nandalal Bose and a few others are anxiously listening”.






রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে পাঁচটি মহাদেশের ত্রিশটিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেন।
১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ইউরোপ ভ্রমনে ১৫ ই মে বোম্বাই ত্যাগ করেন ও ইতালি, ইংল্যান্ড, জার্মানী, গ্রিস, তুরস্ক ও মিশর ভ্রমণ করে ভারতে ফিরে আসেন ডিসেম্বর ১৯২৬ এ এবং ১৯ শে ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে পৌঁছন।

আজ ২৫ সেপ্টেম্বর' ২০২০।
সেদিন'ও ছিলো ২৫ সেপ্টেম্বর শুধু মাঝখানে বয়ে গেছে ৯৪ টা বছর।
বাংলা তারিখও ছিলো আজকেরই মতন ৮ ই আশ্বিন ১৩৩৩। আজও ফিরে এসেছে ৮ ই আশ্বিন ১৪২৭।
১৯২৬ এর আজকের দিনে সুদূর ' ডুসেলডর্ফ' এ বসে কবিগুরু লিখেছিলেন 'পূজা পর্ব্ব'এর ''গানে গানে তব বন্ধন যাক টুটে'' গানটি। আসুন গানটির শুনে নেওয়া যাক শ্রদ্ধেয় শিল্পী সুচিত্রা মিত্রর কন্ঠে।

'' গানে গানে তব বন্ধন যাক টুটে
রুদ্ধবাণীর অন্ধকারে কাঁদন জেগে উঠে ॥
বিশ্বকবির চিত্তমাঝে ভুবনবীণা যেথায় বাজে
জীবন তোমার সুরের ধারায় পড়ুক সেথায় লুটে ॥
ছন্দ তোমার ভেঙে গিয়ে দ্বন্দ্ব বাধায় প্রাণে,
অন্তরে আর বাহিরে তাই তান মেলে না তানে।
সুরহারা প্রাণ বিষম বাধা-- সেই তো আঁধি, সেই তো ধাঁধা--
গান-ভোলা তুই গান ফিরে নে, যাক সে আপদ ছুটে ॥''

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬
রচনাস্থান: ডুসেলডর্ফ

[সৌজন্য: টেগোরওয়েব ও রবিসরনী।]
ছবি: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ তাঁর জার্মান প্রকাশক কার্ট উল্ফ'এর সঙ্গে।
-----------------------------------------------------------------
আমাদের শান্তিনিকেতন

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯

নাহল তরকারি বলেছেন: উনি ছিলেন জমিদার।

১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬

শাহ আজিজ বলেছেন: আগে কবি পরে জমিদার ।

২| ১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: তিনি ভাববাদী ছিলেন।তাই হাত দেখায় বিশ্বাস করতেন।তিনি ভাবনার জগতেই বাস করতেন।তাই আমরা এতো সমৃদ্ধ ভাবনা পাই তার কাছ থেকে।

১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: একই সঙ্গে এত গুনের অধিকারী আর কোন কবির মধ্যে দেখা যায় না । আমি বেশ কিছুকাল তার গুনের একটা খেরো তৈরি করছিলাম এবং ৩০ এর ভাবনা পাল্টে ৬০ এর ভাবনায় পা দিলাম । আমি আশ্চর্য এবং স্থম্ভিত ।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২৪ রাত ৩:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




জ্যেতিশীকে কবিগুরুর হাত দেখানো ছবিটি কুবই আকর্ষণীয় এবং সম্ভবত একটি খুবই কৌতূহলী ছবি
ছবির সাথে ক্যাপশন “একজন পামিস্টের কাছে তিনি হাত দেখাচ্ছেন; সুরেন কর এবং নন্দলাল বোস
এবং আরও কয়েকজন উদ্বিগ্নভাবে কথা শুনছেন”। জ্যোতিষী যা বলছেন তা নিয়ে ঠাকুরের যে কৌতূহল
ছিল তা স্পষ্ট বোঝা যায় জ্যোতিষী তাঁর হাতের রেখা পড়ার সময় কঠোর মনোনিবেশ সহ কবিকে তার
দিকে তাকিয়ে থাকার দৃশ্যটি দেখে ।

ভবিষ্যৎ শুনার প্রতি ঠাকুরের আলাদা আগ্রহ ছিল: ১৮৯১ সালে, শাহজাদপুরের কুঠি থেকে একটি
চিঠিতে তাঁর স্ত্রী মৃণালিনীর কাছে লিখেছিলেন, তিনি "এ অঞ্চলের একজন প্রধান জ্যোতিষী"-কাছে তাঁর হাত
দেখিয়েছেন । সূর্য এবং রাশিচক্রের চিহ্নের ভিত্তিতে, জ্যোতিষী বলেছিলেন যে যদিও ঠাকুর অর্থ ব্যয়ের
প্রতি উদার "তবুও তিনি কৃপণ বলে অভিযুক্ত হবেন"। তবে জ্যোতিষীর ভবিষ্যতবাণী ফলেনি , রবিন্দ্রনাথ
ঠাকুরের জনহিতকর কাজের তালিকা দীর্ঘ হতে দির্ঘতরই হয়েছিল ।রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিচারণ থেকে ...
উঠে আসে বাংলার ইতিহাসে তিনি দয়াল এক মানুষ, দানবীর।

শুভেচ্ছা রইল



৪| ১৮ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৯:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



জ্যেতিষীকে কবিগুরুর হাত দেখানো ছবিটি খুবই আকর্ষণীয় এবং সম্ভবত একটি খুবই কৌতূহলী ছবি।
ছবির সাথে ক্যাপশন “একজন পামিস্টের কাছে তিনি হাত দেখাচ্ছেন‌‌; সুরেন কর এবং নন্দলাল বোস
এবং আরও কয়েকজন উদ্বিগ্নভাবে কথা শুনছেন। জ্যোতিষী যা বলছেন তা নিয়ে ঠাকুরের যে কৌতূহল
ছিল তা স্পষ্ট বোঝা যায় জ্যোতিষী তাঁর হাতের রেখা পড়ার সময় কঠোর মনোনিবেশ সহ কবিকে তার
দিকে তাকিয়ে থাকার দৃশ্যটি দেখে ।

ভবিষ্যৎ শুনার প্রতি ঠাকুরের আলাদা আগ্রহ ছিল: ১৮৯১ সালে, শাহজাদপুরের কুঠিবাড়ী থেকে একটি
চিঠিতে তাঁর স্ত্রী মৃণালিনীর কাছে লিখেছিলেন, তিনি "এ অঞ্চলের একজন প্রধান জ্যোতিষী"-কাছে তাঁর হাত
দেখিয়েছেন । সূর্য এবং রাশিচক্রের চিহ্নের ভিত্তিতে, জ্যোতিষী বলেছিলেন যে যদিও ঠাকুর অর্থ ব্যয়ের
প্রতি উদার "তবুও তিনি কৃপণ বলে অভিযুক্ত হবেন"। তবে জ্যোতিষীর ভবিষ্যতবাণী ফলেনি , রবিন্দ্রনাথ
ঠাকুরের জনহিতকর কাজের তালিকা দীর্ঘ হতে দির্ঘতরই হয়েছিল ।রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিচারণ থেকে ...
উঠে আসে বাংলার ইতিহাসে তিনি দয়াল এক মানুষ, দানবীর।

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.