নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। এদেশে সিঙ্গারার আগমন

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৫



চাউমিন, রোল, পিৎজা, বার্গার, মোমো বা আরও নানা ধরনের মুখরোচক জলখাবারে বাজার ভর্তি। ফলে মানুষের কাছে এখন বিকেলের দিকে মুখ চালানোর অনেক সুযোগ। কিন্তু এতকিছুর ভিড়েও আদি অনন্ত সিঙ্গারা কিন্তু ম্লান হয়নি। সিঙ্গারার জনপ্রিয়তাকে নতুন কোনও খাবারই কেড়ে নিতে পারেনি।

সাধারণভাবে এ রাজ্যে যা সিঙ্গারা ভারতের অন্য প্রান্তে তা সামোসা। যে সিঙ্গারা আপামর বাঙালি তথা ভারতবাসীর অন্যতম পছন্দের জলখাবার, সেই সিঙ্গারা বা সামোসা কিন্তু এ দেশের খাবারই নয়। যা ভারতে আসার কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ।

ইতিহাস বলছে সিঙ্গারা বা সামোসার জন্ম ভারতে নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে। দশম শতাব্দীর আশপাশে এই খাবারটি সেখানে তৈরি হয়। সেই সময় আরব্য খানাপিনার যে সব লেখনী পাওয়া যায় সেখানে সানবুসাক বা সানবুসাজ নামে খাবারের কথা পাওয়া যায়। যা আদপে ছিল সিঙ্গারা।মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই খাবার ভারতে আসে দিল্লির পথ ধরে। দিল্লির শাসকরা ১৩ শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকজন খানসামাকে রান্নার জন্য দিল্লিতে নিয়ে আসেন। তাঁরা এই রেসিপি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে।

আমির খসরুর লেখায় প্রথম এই সিঙ্গারার কথা পাওয়া যায়। তারপর ইবন বতুতার লেখাতেও সেই সামোসার উল্লেখ মেলে। সে সময় রানিদের বিশেষ করে প্রিয় ছিল এই খাবার।

সে সময় সিঙ্গারা বা সামোসায় মাংসের ব্যবহার হত। সঙ্গে থাকত পেঁয়াজ ও অন্যান্য মশলা। ভাজা হত খাঁটি ঘিয়ে। এরপর সময়ের হাত ধরে সিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে।

মাংসের জায়গায় ভারতে আলুর ব্যবহার বেশি হতে শুরু করে সিঙ্গারায়। তবে এখনও মাছের বা মাংসের সিঙ্গারা যে পাওয়া যায়না তেমনটা নয়।

সংগৃহীত / নীলকণ্ঠ

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: আমার কাছে ভালো লাগে কলিজার সিঙ্গার।সিঙ্গার আর সামোসার মধ্যে পার্থক্য আছে।সামোসায় আলু থাকে না, মাংসের কিনা থাকে পিয়াজ দিয়ে ভাজা ভাজা করে।
কলকাতার বড়বাজারের বড় বড় সিঙ্গার সাথে তেঁতুলের চাটনি খুব মজা করে খেতান ব্ন্ধুদের সাথে।সে সব দিনগুলি কোথায় হারিয়ে গেলো।ইচ্ছা আছে আমার অতি পরিচিত কলকাতা শহরটা আরেকবার ঘুরে ঘুরে দেখবো।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , ঘুরে আসুন একবার ।

২| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিন্দিতে মনে হয় সিঙ্গারাকে সমুসা বলে। টিভিতে একটা ভারতীয় কার্টুন দেখায় যেটার নাম 'মটু অর পাতলু'। সেখানে মটু সমুসা খেলে অনেক শক্তিশালী হয়ে যায়। সমুসা বললেও দেখা যায় যে এগুলি আসলে আমাদের শিঙ্গারা।

শিঙ্গারা ছোটকাল থেকেই আমার প্রিয়। শুধু আলুর সিঙ্গারাও ভালো লাগে। সাধারণত গ্রামে বা মফস্বলে খাঁটি আলুর শিঙ্গারা পাওয়া যায়। আমার একজন পাকিস্তানী (মুলত ভারতের গুজরাটের) বস ছিল ১৯৯৯ সালের দিকে। সে মফস্বলে গেলে গাড়ি থামিয়ে শিঙ্গারা খেত। আরেক পাকিস্তানীকে দেখেছি বাংলাদেশের ছোট সাইজের চাম্পা কলা খুব পছন্দ করতো। বাংলাদেশে আসলেই প্রচুর ছোট চাম্পা কলা খেত।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: সামোসে । এই বিষয়টি ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে টিকে আছে । আমিও প্রচণ্ড শিঙ্গাড়া খোর ছিলাম । এখন খাই খুব কম ডাক্তারের নির্দেশে । আলুর মুল উপাদান এর ভেতরের মশলা । মসল্লা ঠিক তো মাল ঝাক্কাস ।

৩| ৩০ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আলু আর কলিজা দিয়ে যে সিংগারা বানানো হয় সেটা বেশি সেস্টি। অন্য খাবার সিংগারার স্থান নিতে পারবেনা।

৩০ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , ঠিক বলেছেন , আলু ছাড়া শিঙ্গাড়া হয়না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.