নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলস গল্পকার

মাথায় অনেক গল্প আসে; কিন্তু লেখার মত পর্যাপ্ত ধৈর্য-শ্রম-অধ্যবসায় নেই। গল্পগুলোকে তাই ছোট করে কবিতা বানাই...

শাহেদ খান

আমি খুব ভাল একটা ছেলে। আমার সবচেয়ে ভাল দিক হল, কথাটা আমি বিশ্বাস করি ! :) ব্লগের বাইরে যোগাযোগে: [email protected]

শাহেদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাব্য-নাটক: ডাকাত (৩য় অঙ্ক)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১



* প্রথম অঙ্ক



** দ্বিতীয় অঙ্ক





-------------------------------- তৃতীয় অঙ্ক -----------------------------------

--------------------------------- দৃশ্য - ১ ------------------------------------





স্থান: কলেজ করিডোর

কাহিনীসূত্র: তারেক এবং মনসুর বিপরীত দিক থেকে হেঁটে আসবে। তারেক অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে।



মনসুর।।

কী করিস তোরা? খবরটা বুঝি পাস নি?

কাজল তো নাকি কোনও মতে বেঁচে রয়েছে!

গতকাল রাতে ঘরে ফেরবার রাস্তায়

ছিনতাইকারী মেরে ভূত করে গিয়েছে

টাকা-পয়সা তো তেমন ছিল না সঙ্গে

কিন্তু শুনেছি জখমটা বড় লেগেছে

(গলার স্বর নামিয়ে)

শাহীনের মুখে গতকালকেই শুনলাম

'ডাকাতি' নাকি সে যেকোনও উপায়ে করবে

এখন বুঝছি 'যে কোনও' সেই উপায়টা

সেটা বড় বেশি স্বাস্থ্যকর'ও ছিল না !



তারেক।।

চুপ কর শালা, জিব টেনে ছিঁড়ে ফেলব !

একটা বন্ধু মৃত্যুর সাথে লড়ছে

আর তোর নাকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ !

দূর হ ! নাহলে তোকেও ক্লিনিকে পাঠাবো

নাক বরাবর এমন জোরসে খাবি তুই

আর ছয়মাস কোনও গন্ধই পাবি না !



মনসুর।।

(লাফ দিয়ে পেছনে সরে)

হ বুঝছি, আমি বললেই গোলমাল

কই ভাবলাম, তোকে সাবধান করে যাই...



(তারেক হাতের উল্টোপিঠ দেখিয়ে চড়ের ভঙ্গি করতেই মনসুর দ্রুত হেঁটে পালাবে। দৌড় দিবে না অবশ্যই।

বিপরীত দিক থেকে শিউলি এসে তারেকের সামনে দাঁড়াবে)




শিউলি।।

কী তারেক ভাই, এমন লাগছে কেন আজ?



তারেক।।

ক্যাম্পাসে এসে একটু আগেই জানলাম

গতকাল রাতে ছিনতাইকারী-হামলায়

আহত হয়ে কাজল এখন ক্লিনিকে



শিউলি।।

কী সর্বনাশ ! আজ না ওদের অডিশন?



তারেক।।

(অবাক হয়ে উচ্চস্বরে)

একটা মানুষ মরতে বসেছে এদিকে

তুই বলছিস, 'অডিশন কবে' ! ননসেন্স !

(একটু থেমে স্বাভাবিক স্বরে)

রাগ করিস না বোনটি - মাথার ঠিক নেই

শাহীন কিংবা তিতলী'র যদি দেখা পাস

বলে দিস, আমি ক্লিনিকের দিকে চললাম



শিউলি।।

ভাইয়া আমি রাগ করছিনা, তুমি যাও

সাবধানে যেও, এত অস্থির হয়ে না...



শিউলি কথা শেষ করার আগেই তারেক হেঁটে চলে যাবে। তার গতিপথে একটু তাকিয়ে থেকে শিউলিও অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাবে।









'তৃতীয় অঙ্ক - প্রথম দৃশ্য' লেখার তারিখ: জানুয়ারি ১২, ২০১৩

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

শাহেদ খান বলেছেন: আগের পাঠকদের উদ্দেশ্য: একটু অসুস্থতার কারণে আজ এরচে বেশি আর টাইপ করতে পারছি না। তাই আমি খানিকটা দুঃখিত।

ভাল থাকা হোক সবার। 8-|

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শাহেদ খান বলেছেন:

ডিসক্লেইমার::

হাইস্কুল টেক্সটে রবীন্দ্রনাথের 'মুকুট', 'খ্যাতির বিড়ম্বনা'; মুনীর চৌধুরী'র 'কবর' এবং ইন্টারমিডিয়েটে 'রক্তাক্ত প্রান্তর'। এর বাইরে অনেকের মত আমারও আর তেমন নাটক পড়া হয়নি। বাংলায় কাব্যনাটক তো নয়ই। ইংরেজীতে পড়েছিলাম শুধু শেক্সপিয়ার।
বাংলায় আমার কাব্যনাটক লেখা তাই বলা যায় অশিক্ষিত হাতের কাজ। যা হোক, নিজে থেকে যা এসেছে লিখে গেছি; ওসব হিসেব আর করিনি। প্রথম অঙ্কে বিরক্তি কাটানোর জন্যে অতি সংক্ষেপে দৃশ্যগুলো শেষ করেছিলাম। দ্বিতীয় অঙ্ক থেকে চরিত্রগুলোর মোটামুটি রূপায়ন দাঁড়িয়েছে।

একদম কাঁচা-হাতের প্রথম প্রয়াস। ধৈর্য ধরে পড়ে থাকলে আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪০

শ্রাবণ জল বলেছেন: প্রথম পার্ট পড়তে গিয়ে দেখি আপনার জন্মদিনের খবর।

গত বছর আমি যখন ব্লগে আসি প্রথম, তার কিছুদিন আগেই আপনার জন্মদিন ছিল। এক ই মাসে জন্মদিন আমাদের, সারা বছর মনে রেখেছিলাম এ জন্য। অথচ আজ ভুলেই গেছিলাম।

এখনও দেড় ঘণ্টা বাকি আছে।

শুভ জন্মদিন, শাহেদ ভাই।
অনেক অনেক ভাল থাকবেন সবসময়। আগামী জন্মদিন গুলোতে যেন আপনার টম্যাটো কে পাশে পান। স্রষ্টা আপনাকে দীর্ঘায়ু দান করুন। আমীন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬

শাহেদ খান বলেছেন: কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করত, 'জন্মদিনে কী খেলে? আর কী পেলে?'
আমার নিরুপায় উত্তর হতো, 'খেলাম আছাড়, আর পেলাম ব্যথা !'

:(

কৌতুক না, কনুই-এর ব্যথায় এখন খুব লিখতে পারছি না। নাটকটা হয়ত একটু দেরিতে পোস্ট করা হবে।

ভাল থাকবেন সবসময়। আর একটু প্রার্থনা করবেন, আমার যেন একটু জ্বর-টর আসে। আই মিস ইট ব্যাডলি।

আর, শুভকামনায় অনেক ভাল লাগা 8-|

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

শ্রাবণ জল বলেছেন: হুম! আছাড় খেয়েছেন সত্যি??

রেস্ট নিন,সুস্থ হন। তারপর লিখবেন।

ব্যাথা বেশী বাড়লে জ্বর আসতেও পারে। তবে জ্বর আসাটা খুব একটা খারাপ হবেনা। জ্বরে আপনার মনের জানালা খোলে, হাতের জড়তা কাটে আর আমরা পাই অসাধারণ সব লেখা।

ভাল থাকুন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

শাহেদ খান বলেছেন: পা-পিছলে পড়ে গিয়েছিলাম। শুদ্ধ বাংলায় ওটাই তো 'আছাড়', তাই না?

ব্যথা কমেছে।

জ্বর আসেনি। ধুর ! :(

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩০

নীলঞ্জন বলেছেন: এবার তাহলে একটা নাটক হয়ে যাক শাহেদ ভাই। বুঝেছি বোধের আগুনে পুড়ছেন আবার।

অনেক ভালোলাগা ও +++++++++++++

শুভ কামনা রাশি রাশি। ভালো থাকবেন সবসময়।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শাহেদ খান বলেছেন: আমারও অনেক ভাল লাগল উৎসাহে !

:)

শুভকামনা।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: কাজল ও শাহীনের মধ্যেকার টানাপোড়েন পড়ে যা বুঝলাম - শাহীন কাজলকে হিংসে করছে। শাহীনের দম্ভোক্তি কাজলকে অভিনয় শেখানোর ব্যাপারে প্রমাণ করে শাহীন কতটা হীনমণ্য ও সীমাবদ্ধ। কাজল যা করতে পারছে তা তার সহজাত বৈশিষ্ট্য। কারও কাছ থেকে ধার নিয়ে কোন কিছু প্রমাণের তার কোন প্রয়োজন নেই। এতে করে কাজলের গুণগত মানের পরিচয় পাওয়া যায় অবলীলায়।

যাইহোক - কাব্যনাটকটি ভালো লাগলো।++

শুভ কামনা রাশি রাশি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

শাহেদ খান বলেছেন: ধরুন আপনি কোনও একটা দলের প্রধান পারফর্মার। অসুস্থতার জন্যে অল্প কিছুদিন বাইরে ছিলেন, ফিরে এসে দেখলেন - 'প্রধান হওয়া দূরে থাক, এখন আপনার আর জায়গা'ই হচ্ছে না !'

মেনে নেয়া কি এতটাই সোজা হত হঠাৎ করে? তার উপর ছেলেগুলো আছে বয়সের দিক থেকে জীবনের ক্রস-রোডে।

রাসেল স্যারের ভাষায়,

"এই ছেলেগুলো জংশনে এসে পড়েছে
নিজেও জানে না কোন ট্রেনে উঠে বসবে
একসাথে যাবে? নাকি প্রত্যেকে আলাদা?
ট্রেন ছাড়বার সময়ও নিকটবর্তী !"

শেষতক কেউ না হারলে হয়।

আমার নাটকে কাহিনী কিন্তু মুখ্য না, যেহেতু এটাই প্রথম লিখছি। শুধু প্যাটার্ন নিয়েই একটু পরীক্ষা করে দেখছি। পাঠে আপনার এতটা মনযোগ আমার জন্যে অনেক ভাল লাগার। :)

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩১

সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: ধরুন আপনি কোনও একটা দলের প্রধান পারফর্মার। অসুস্থতার জন্যে অল্প কিছুদিন বাইরে ছিলেন, ফিরে এসে দেখলেন - 'প্রধান হওয়া দূরে থাক, এখন আপনার আর জায়গা'ই হচ্ছে না !' - খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। তবে যে গুণগত দিক থেকে উচ্চমাপের, তার কর্মকাণ্ডই প্রমাণ দেবে তার সে উচ্চতার। যে দূর্বল, সেই হিংসে করে; জ্বলে পুড়ে মরে, শাহেদ। যদি কখনও দেখে তার চাইতে তার এক্সট্রা তার চেয়ে ভালো করছে - তবে অবশ্যই তার উচিত তাকে এ্যাপ্রিশিয়েট করা। হীনমণ্যতা প্রদর্শন তো কোন উচ্চমাপের চেতনা বিদগ্ধ পারফর্মারের উচিত না তাকে খাটো করে দেখানো। সেদিকের বিচারে কাজল অবশ্যই শাহীনের চেয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে বলতেই হবে। যে এক্সট্রা হিসেবে কাটিয়ে দিলো সময়ের পর সময় ধৈর্য্য ধরে; পরবর্তীতে প্রমাণ করলো নিজের সামর্থ্য - সন্মান বা বাহবা তারই তো পাবার কথা, তাই না শাহেদ?

আমার মনে হয়েছিলো ঠিক এই ব্যাপারগুলো বের করে আনতে চাচ্ছেন আপনি কাব্যনাটকটির মধ্য দিয়ে। তাই চরিত্রবিশ্লেষণ করলাম আর কি একটু আধটু ভাই।

তবে অনেক সুন্দর গতিতেই এগুচ্ছে সবকিছু। এগুতে থাকুক। অপেক্ষায় রইলাম পরের অন্কের।

শুভ কামনা রাশি রাশি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০০

শাহেদ খান বলেছেন: "যে এক্সট্রা হিসেবে কাটিয়ে দিলো সময়ের পর সময় ধৈর্য্য ধরে; পরবর্তীতে প্রমাণ করলো নিজের সামর্থ্য -"

এমনটা হলে তো আমি আগের জবাবে এত কথা বলতামই না ! কিন্তু কাজল ছিল একটা হঠাৎ আবিষ্কার, একটা আচানক ধাক্কা - যেটা শাহীন চট করে সামলে উঠতে পারেনি !

যাই হোক, আপনার বিশ্লেষণের কারণে আমার নিজের কাছেই জবাবদিহি হচ্ছে। এই লেখায় 'কাহিনী' নিয়ে অতটা ভাবিনি, যেটা খুব অনুচিৎ। আপনার কমেন্টে অনেক ভাল লাগা ! :)

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাই ভাল লাগল।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০০

শাহেদ খান বলেছেন: 8-|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.