নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি লিখি জানিনা, জানার চেষ্টা করলে হয়তো আর লেখা হবে না, তাই ইচ্ছে করেই, কি লিখি তা জানার চেষ্টা করি না।

শাহিন বিন রফিক

বই পড়, বইকে বন্ধু বানাও, এই বন্ধু কখনও তোমাকে ছেড়ে যাবে না।

শাহিন বিন রফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতি-খাসি-হাঁস

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫২


(ছবিটি গুগলের মাধ্যমে নেওয়া তবে এহা সম্ভবত ব্লগার জুন আপুর ব্লগের মাধ্যমে আসা)


কলিমদের পুকুর পাড়ে বাঁধা থাকত যে মস্ত হাতি
কিনেছিল এটি-সফরউদ্দিন। কলিমের বাবা, লেগেছিল বুঝি লাক্ষ রুপি।
সফরউদ্দিন গত হয়েছে, কলিমের এখন সব দায়
কখন যে হাতি চুরি হয় সারাক্ষন তাঁর এই ভয়।

একদিন সকালে বাদশাহর গোয়ালে রাখিয়া আসিল হাতি
যাতে চুরির ভয় ছেড়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায়।

বছর ঘুরতেই কলিমের উপর এসে পড়িল বাজ
খাবার অভাবে হাতি এখন খাসি হয়েছে,
দুইদিন গেলে নাকি হয়ে যাবে হাঁস।

খাসি আনিতে গিয়ে কলিম পাইল বড় বিপদ
উজির ধরিয়া বলিল- খাসি রাখিয়া হাতি লিখেছিলে কোন স্পর্ধায়?
মামলা তোমার দু'খানা খাঁড়া
দেখি কে তোমায় সামলায়।

দিশেহারা কলিম আসিয়া ধরিল বটতলার উকিল
সব শুনিয়া উকিল বলিল- এসব মোর দুই মিনিটের কাম,
এখন ছাড়ুন দেখি মশাই হাজার দুই
অফিসের সময় যায় যায়।

কলিম ছাড়িল টাকা, ছাড়িয়া চলিতেছে গত দশ বছর
ক্লান্ত কলিম বলিল- উকিল বাবু, হাঁস মরিয়া তো স্বর্গে গেছে
তবে মামলা কেন রয়ে যায়?

বলিল উকিল- বুঝিবেন না মশাই, বঙ্গদেশের মোকদ্দমা,
একটু এদিক-ওদিক হয়।











মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শাহীন ভাই, সময়ের প্রেক্ষিতে দারুণ একটি কবিতা। এই কবিতায় এ বঙ্গদেশের আইন, আদালত আর রাজা উজিরদের বেহাল দশাটি ফুটে উঠেছে; সত্যি অনেক অনেক ভাল লাগলো কবিতা পাঠে। কবিতার ভাষা মাথায় ধরে না বলে নতুন কবিতা তেমন একটা পড়া হয় না। তবে আপনার লেখা যেমন সুখপাঠ্য তেমনি ভাবনার খোরাক আছে।

শুভ রাত্রি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৫

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



কাওসার ভাই আপনার সাবলীল ভাষায় করা মন্তব্যটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
আপনার লেখার হাত খুব ভাল, আমার বিশ্বাস আপনি আপনার স্যারের উপর করা অভিমান ভুলে গিয়ে নতুন করে কবিতা লেখা শুরু করলে সামুর পাঠকগন একজন ভাল কবি পাবে।

ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা রহিল।
শুভ রাত্রি।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোরম।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:


আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা করি।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

কাইকর বলেছেন: ভাল লাগলো ।++

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা করি।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শাহিন বিন রফিক ভাই, আমি গতকাল রাতে আপনার এই কবিতাটি পড়েছি। পড়ার পর এর ভাব বুঝে খুব মজা পেয়েছি। যদিও বাস্তব ঘটনা মজা পাওয়ার নয়, অত্যন্ত দুশ্চিন্তার। এখন কথা হল, আপনার এই ভাবটা নিয়ে আমি নিজের মত সাজিয়ে একটু লেখার চেষ্টা করেছি। যদি অনুমতি দেন, আপনার এখানে মন্তব্যে পোস্ট করতে চাই। :)

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:


প্রিয় বোন, প্রথম কথা হল- আমি সব সময় বিপরীত মত, চিন্তা বিশ্বাস করি। প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা চিন্তা ভাবনা থাকতে পারে, থাকাটাই স্বাভাবিক। আপনার লেখাটি যদি আমার লেখার বিপরীত হয় তবুও আমার কোন আপত্তি থাকবে না, কখনও ছিল না।

শেষ কথা হল, আমি ভাল লিখতে পারি না, সাজিয়ে লেখাতো দূরের কথা।
আশা করব এখানে আপনার লেখাটি আমি দেখতে পাব।

আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা করি।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বঙ্গদেশে হাতি-খাসী-হাঁসি

কলিমদের পুকুরপাড়ে বাঁধা থাকিতো মস্ত এক হাতি,
কিনিয়াছিলেন বাবা সফরউদ্দিন দিয়া লক্ষ পাতি।
সফরউদ্দিন গত হইলেন; এখন কলিমের উপর দায়,
ভয় তাহাঁর সারাক্ষন হয়; না জানি হাতি চুরি যায় !

একদিন তাই বাদশাহর গোয়ালে রাখিয়া আসিলো হাতি।
দেখিলো সেথায় আরও রহিয়াছে বিভিন্ন প্রাণীর জাতি!
নিশ্চিন্ত মনে ফিরিয়া আসিলো মেলিয়া হাতের ছাতি।
ভাবিলো, এবার তবে শান্তিতে সকল কাজে মাতি।

বছর ঘুরিতেই কলিমের উপর আসিয়া পড়িলো বাজ,
খবর পাইয়াই ছুটিয়া চলিলো ফেলিয়া সকল কাজ।
অভাবে তাঁহার হাতিখান নাকি রূপ ধরিয়াছে খাসী।
আর কিছুদিন পেরিয়ে গেলেই হইয়া যাইবে হাঁসি।

হতবাক কলিম খাসী লইয়াই বাড়ি ফিরিতে চায়,
কিন্তু উজিরে আসিয়া বেড়ি পরাইলো তাঁহার পায়।
খাসী রাখিয়া হাতি লিখিয়াছিলো এতো ঘোর অন্যায়!
এমনধারা দুর্নীতি বাদশাহ দেখিবেন কত বড় স্পর্ধায়!

উজিরে নাজিরে ঠুকিয়া দিলো কলিমের নামে মামলা,
ওহে হাতির মালিক, এইবার তুই নিজেরে সামলা।
দিশেহারা কলিম বেতাল হইয়া ধরিলো বটতলার উকিল,
বিশ্বাস তাঁহার হাতির সমান; নিশ্চয়ই হইবে হাল মুশকিল।

কহিলেন উকিল, ইহা আমার দুই মিনিটের কাম,
যদি আপনি সময় মতই ছাড়িতে পারেন দাম।
কলিম সাহেব ছাড়িতে লাগিলেন বাঁচাইতে স্বনাম,
ভুলিলেন নাওয়া খাওয়া আর সবচেয়ে প্রিয় আম।

ছাড়িতে ছাড়িতে ফুঁড়াইতে লাগিলো সকল সঞ্চয় পাতি,
কালান্তরে স্বর্গে গেলো তাঁহার খাসীর মতন হাতি।
দশটি বৎসর কাটিয়া গেলো মামলা তবু ঝুলিয়া রয়,
উকিল কহেন বঙ্গদেশের মোকদ্দমা থোরা এদিক ওদিকই হয়।

আপনার অনুমতি পেয়ে সাথে সাথেই পোস্ট করে দিলাম। আপনি চাইলে আপনার ব্লগে আলাদাভাবেও পোস্ট করতে পারেন, যাতে সবাই দেখতে পারে :) । আমি তো আর আপনার ভাব নিয়ে লেখা পোস্ট করতে পারছি না ;)

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৮

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



খুবই সুন্দর হয়েছে।
নিশ্চই পোস্ট আকারে দিব।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

জুন বলেছেন: কবিতা পড়ে অনেক মজা পেলাম। ইহাই বর্তমানে আমাদের দেশের অবস্থা। হাতী যে ইদুর হয়ে যায়নি এটাই তো রক্ষা ।
এইমাত্র খবরে দেখলাম মিরপুর না কই জানি এক বাসায় গুপ্তধন পাওয়া গেছে পুলিশ বাড়ি ঘিরে রেখেছে শাহিন । এখন কথা হলো এই বাড়িটি আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট না তো :-*
আর হাতিগুলোর ব্যপারে সঠিক তথ্যই দিয়েছেন । উহা আমার কর্তা মশাইর সংগ্রহের । এই তার প্রমান ;)
শখ একটি ছবি ব্লগ

২১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:


আপু, আমি যখন গুগলে হাতির ছবি লিখে সার্চ দিয়ে ছিলাম, তখন এই ছবিগুলো পাই আর ক্যাপশন হিসাবে আপনার এই ব্লগের এই লেখাটিও পাই।

আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.