নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই পড়, বইকে বন্ধু বানাও, এই বন্ধু কখনও তোমাকে ছেড়ে যাবে না।
আমার প্রিয় কথা সাহিত্যিক।
কে ভাল লেখক? লেখকের লেখাতে কোন বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা গেলে তাকে ভাল লেখক হিসাবে আখ্যায়িত করবো। প্রশ্ন দুইটি আপনাকে খুবই ভাবনায় ফেলতে পারে যদি আপনি সত্যি একজন ভাল লেখকের খোঁজ করেন। ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গির কারণে এই প্রশ্নের উত্তর এক এক জনের কাছে এক এক রকম হতে পারে এবং সেটাই স্বাভাবিক। এই ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন দৃষ্টি যা সাহিত্যকে গতিশীল করে, বৃদ্ধি করে সাহিত্যের সৌন্দর্য। এই ভিন্নতার মাঝেও একজন ভাল লেখক স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে যা সব ধরনের পাঠকের কাছে লেখকের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে। একজন চিন্তাশীল লেখক প্রথম যে কাজটি করেন তা হল তার লেখাতে সময়কে ধারণ করে গল্পের প্লট সৃষ্টি করে, বাস্তবিকভাবে সময়কে কখনো ফ্রেমবন্ধী সম্ভব নয়, অথচ সময়কে একজন গুনী লেখক খুব সহজে, নিঁখুতভাবে ধরে রাখে তার প্রতিটি শব্দে, বাক্যে। ঠিক এক শতাব্দী পরে যখন একজন পাঠক লেখকের লেখাটি পড়বেন তখন তার দৃষ্টিতে ভেসে উঠবে আজকের বর্তমান। প্রতিটি শব্দ, বাক্য পাঠে পাঠক উপলব্ধি করবেন এক শতাব্দীর আগের কৃষ্টি কালচারের রুপ, সৌন্দর্য আর সেই সব কৃষ্টি কালচার ধারণ, পালন করা মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের গল্প।
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, ভিন্ন বিশ্বাস, ভিন্ন দর্শনের জন্য সমাজে সৃষ্টি হয়েছে নানান বিশ্বাসের নানা জাতি, নানা গোত্র। বর্ণ, ভাষার কারণেও মানুষকে আলাদা বসবাস করতে হয়েছে, এখনো হচ্ছে। তাই সব মানুষের বিশ্বাস এক নয়, আর লেখক যেহেতু একজন মানুষ তাই তার একটি বিশ্বাস থাকবে, একটি ভিন্ন দর্শন থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু একজন লেখক যখন কলম ধরবে তখন তার চিন্তা জগৎ থাকবে মুক্ত আকাশের মত বিশলতায় ভরা, তিনি যেহেতু একটি বিশ্বাসের কাছে দায়বদ্ধ তাই তার লেখাতে সেই বিশ্বাসের ছোঁয়া থাকবে এটাই বাস্তবতা তবে তার লেখার ধরন হবে যুক্তির। ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন বিশ্বাসের মানুষের উদ্দেশ্যে কোনরূপ কটু শব্দ, উগ্রতা প্রকাশ হবে না তার সৃষ্টি গদ্যে, কাব্যে।
একজন লেখকের কলম সহস্র এটমের চেয়ে শক্তিশালী, এই বিশ্বাস একজন লেখককে ধারণ করতে হবে, নভোমন্ডলের পৃথিবী নামক গ্রহের মনুষ্য জীব আর্বিভাব হওয়ার পর থেকেই একদল উশৃঙ্খল মানুষের জন্ম হয়েছে, যুগে যুগে তারা ছিল, বর্তমানে বিরাজমান, এরা সভ্যতার শক্রু, এরা আলোকময় পৃথিবী সৃষ্টির বাঁধা, এরা সমাজের নষ্ট শ্রেণী, এরা সংবদ্ধ শক্তিশালী। একজন লেখককে এদের বিরুদ্ধে কলম ধরতে হবে। তাদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে দেখিয়ে দিবে তাদের ভুল, সন্ধান দিবে সত্য সভ্যতার, আহবান করবে শৃঙ্খল সমাজের দিকে যেখানে সুর উঠে শান্তি সুখের।
একজন লেখকের লেখার ভাষা হবে সহজ সরল, শব্দ নির্বাচন করার সময় সবার বোধগম্য হয়, বহু অর্থের প্যাঁচে পড়ে পাঠক যেন পাঠে নিরুৎসাহিত না হয় সেদিক সজাগ খেয়াল রাখবে, ঘঠনার বর্ননায় অহেতুক গাম্ভীর্য করার চেষ্টা করবে না, বাক্যে ছান্দিক ভাব রাখার চেষ্টা করবে যা পাঠককে আর্কষন করবে। লেখার শুরুতে পাঠককে এক ধরনের রহস্যে, ভাবনায় ডুবিয়ে দিবে, সেই রহস্যের ভাবনার কিনারা খুঁজতে পাঠক লেখার প্রতিটি শব্দ, বাক্য মগ্ন হয়ে পড়বে, এগুতে বাধ্য হবে সমাপ্তির পাতা পর্যন্ত।
একজন লেখককে 'লেখক' হতে ডজন ডজন পুস্তক রচিতে হয় না, একটি পুস্তকই যথেষ্ট তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পাঠকের হৃদয়ে যদি পাঠকের চাহিদা পূরনের সক্ষম হয় পুস্তকটি।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
শাহিন বিন রফিক বলেছেন:
আমি পুস্তক লিখিব, কি লিখিবো না, তা পরের বিষয়, আমি শুধু একজন পাঠক হিসাবে আমার চাহিদার কথা বলেছি।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাস্তব
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৮
শাহিন বিন রফিক বলেছেন:
আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদিক দিয়ে ঠিক বলেছেন। সাহিত্য সমাজের দর্পণ। লেখনীতে তারি প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে-এটাই কাম্য। যুগে যুগে সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে এই দর্পণের প্রতিচ্ছবিও বদলে যাবে শক্তিশালী লেখনীর মাধ্যমে। আর এজন্যই উপরে কথা শিল্পীর ছবিটি প্রাসঙ্গিক হয়েছে। সুন্দর অনুভূতি ধর্মী পোস্টে ভালোলাগা।
ধন্যবাদ প্রিয় শাহিন ভাইকে।
শুভকামনা জানবেন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৮
শাহিন বিন রফিক বলেছেন:
দাদা, আপনাকেও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১২
রাজীব নুর বলেছেন: যোগ্যতা এবং দক্ষতা অর্জন করতে হয়। এগুলো কেউ পারিবারিকভাবে পায় না।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৯
শাহিন বিন রফিক বলেছেন:
কেউ কেউ গড গিফটেট।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ১টি পুস্তকই লিখিয়েন