নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারণ মানুষ ৷দশের সাথে চলতে চাই ৷

শাহিন-৯৯

সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন

শাহিন-৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বর্বর" পাকিস্তানের বিচার বিভাগ স্বাধীন নাকি "কথিত গণতন্ত্রের" বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন?

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৪

গত তিনদিন ধরে পাকিস্তানের রাজনীতির হালচাল দেখলাম, দেখলাম ব্যার্থ একটি রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ক্ষমতা। যে রাষ্ট্রের প্রতিটি রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি, অনিয়ম সেই রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করতে হল বিচার বিভাগের রায় মেনে, অথচ গণতন্ত্রের নামে ডুব দেওয়া আমাদের দেশের দুই মন্ত্রীর আদলতের রায়ে শাস্তি পাওয়ার পরেও বহাল তরিকতে মন্ত্রী সভায় বসে আছে।

অনেক বলছেন পাকিস্তানের এটি সেনা-বাহিনীর হস্তক্ষেপে হয়েছে। ধরে নিলাম সেনা-বাহিনীর হস্তক্ষেপ ছিল, কিন্তু রায়তো আর ভুল ছিল না,
সেনা হস্তক্ষেপ যদি গণতন্ত্রের চেয়ে জনকল্যান বা রাষ্ট্রের কল্যান হয়, আমি ব্যাক্তিগতভাবে সেনা হস্তক্ষেপ মেনে নিব।
এইবার পাকিস্তানের এই রায়ে সেনা-বাহিনীর হস্তক্ষেপ ছিল বলে আমার মনে হয় না কারণ গত পিপিপি সরকারের আমলে যখন গিলানী সাহেবকে আদলতের রায়ে সরে যেতে হয়েছিল তখন সবাই বলেছিল সেনা-বাহিনী ক্ষমতা নিতে আদলতের মাধ্যমে এই রায় দিয়েছে কিন্তু পরে তা মিথ্যা প্রমাণিত করে পিপিপি সরকার ঠিকই পাঁচ বছর পূর্ন করেছিল।

আমাদের বর্তমান প্রধান বিচারপতি সিনহা সাহেব যেভাবে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য লড়ছে তাতে তাকে স্যালুট জানাই, জানিনা তিনি "কথিত গণতন্ত্রের" দেশে পারবেন কিনা। যদিও বিচারকদের অপসারণ রায় সরকারের বিপক্ষে দিয়ে এখনও টিকে আছে।

"যেখানে পাইবে ছাঁই উড়িয়া দেখ তাই, পাইলে পাইতে পার অমূল্য রতন" কবির কবিতার মত করে আমাদের সরকারের উচিত বর্বর পাকিস্তানের মধ্যে থেকে বিচার বিভাগ নামক রত্নটা তুলে নেওয়া।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: পাকিস্তানের বিচার বিভাগ একজন ক্ষমতাসীনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে যা একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এর আগে আমরা ক্লিনটনের ইমপিচমেন্টের উদাহরন দেখেছি। এখন দেখলাম পাকিস্তানের। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও পাকিস্তানের বিচার বিভাগ সরকারের প্রভাবমুক্ত ছিল যা প্রশংসনীয়।

সেনাবাহিনী যদি পেছনে থাকতো তাহলে আদালতের মাধ্যমে যেত কি? মনে রাখা প্রয়োজন শুধু নওয়াজই অযোগ্য হয়েছেন কিন্তু তার দল ক্ষমতায় থাকছে। নওয়াজ ক্ষমতায় না থাকলেও তিনি পেছন থেকে কলকাঠি নাড়তে পারবেন। কোন পরিব্তন নেই শুধু নওয়াজ ব্যতিরেকে।

অন্যদিকে বাংলাদেশে বিচার বিভাগের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠিয়ে দেয়া হয়। এখন তো গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাই ব্যর্থ হয়েছে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ন একমত। আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা জন্য সাবেক এক "সরকারের পা চাটা" বিচারপতি দায়ী, যিনি সংক্ষিপ্ত রায়ে লিখলেন এক পরে বিস্তারিত রায়ে লিখলেন সরকারের বক্তব্য।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৯

প্রোলার্ড বলেছেন: বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সবচেয়ে স্বাধীন

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: তাই নাকি!!!!!!!!!

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকার এত চেষ্টাকরেও বিরোধীনেত্রীকে একহাত নিতে পারছে না।

এতিমের টাকাচুরি স্পষ্ট প্রমান থাকার পরও বিচার বিভাগ ২০০৭ থেকে ১৫০বার সময় দিছে বা অনুপস্থিতি মাইনা নিছে।
বিচার বিলম্ব করার জন্য রায় হওয়ার পর্যায়ে প্রতিবার আদালত বদল বেঞ্চ বদল করতে ৫০ বার অনুমতি দিছে।
এরপর আসামিকে কে বিদেশে অনিদিষ্টকাল হাওয়া খাওয়ার অনুমতি দিছে।
এদেশে বিচার বিভাগ সরকারের আজ্ঞাবহ , তাই না।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ফখরুদ্দীনেের আমলে করা মামলায় হাসিনা ও খালেদা একই অপরাধ, পরে এজনের মামলা হাওয়া অন্য জনের বহাল, কেন?

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৩৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী, বিএনপির নেতা নেত্রীদের প্রসংগ নয় বরং জাতীয় ইস্যুতে কথা বলুন। বিএনপির ইস্যুগুলো (যেমন তারেক কে প্রথম বার খালাস দ্বিতীয়বার দন্ডিত) নিয়ে বিএনপির লোকজন চিন্তা ভাবনা করুক। সেসব বিএনপির বিষয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার রায়ে খায়রুল হক সংক্ষিপ্ত রায়ে পরবর্তী দুই টার্মের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু বিস্তারিত রায়ে সেটি হাওয়া হয়ে যায়। যার ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি।

সন্দেহ নেই আপনি নিজে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের সমর্থক। কিন্তু এই পাল্লায় বাংলাদেশের খুব কম মানুষই পাবেন। বিবেক বিক্রি করে দেয়া বুদ্ধিজীবীরাও এই প্রশ্নে চুপ হয়ে যায়।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কি, এইসব ভাইদের বুঝতে সময় লাগবে ৷

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৫

রুহুল আমিন খান বলেছেন: চুরি বাটপারি টাকা পাচার ব্যাংক লুট করে কিভাবে শেমলেস এর মত ক্ষমতায় থাকতে হয় বিচার বিভাগ কে ম্যানুপুলেট করে চলতে হয় এই ব্যাপার গুলো পাকিস্তানী ছোটভাই রাজনীতিবিদদের শেখা উচিত বাংলাদেশের বড়ভাই রাজনীতিবিদদের থেকে। বিচার বিভাগের সামনে যে দেশের রাজনীতিবিদরা টিকতে পারে না সেই দেশ আসলেই ব্যার্থ রাষ্ট্র ;)
আর বিচির জোর কি জিনিস এই হ্যাডম কি জিনিস এইটা বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উচিত পাকিদের বিচার বিভাগ থেকে শেখা।
আজ যদি প্রতিক্রিয়াশিল জঙ্গী ও মোল্লাদের প্রশ্রয় না দিয়ে একটি শিক্ষিত শক্তিশালী সিভিল সোসাইটি, শুশিল সমাজ প্রগতীশিল বুদ্ধিজীবি সমাজ, সংবাদিক সমাজ, পাকি রাজনীতিবিদরা গোড়ে তুলতো :v :v তাহলে বিচার বিভাগের এই সব রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ক্ষমতায় থাকা কোন ব্যাপার তো হতই না উল্টা বিচার বিভাগ কে চরিত্র হননের মুখে পড়া লাগতো বিচার বিভাগের রায় গুলো টিভি টক শো আর পত্রিকার সম্পাদকীয় কলামের এজলাসে বুদ্ধিজীবিরা বাতিল করে দিত।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

বারিধারা বলেছেন: যে দেশকে নিয়ে আমরা গর্ব করি, সেই বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এমন যে, একজন নখদন্ত বিহীন ল্যাংড়া নেত্রীও বারবার আদালতকে কলা দেখালেও আদালতের কোন ক্ষমতা থাকেনা তার বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন নেবার।

আর যার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে নিজেদেরকে দেশপ্রেমিক (!) হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করি, সেই ফাকিস্তানের আদালত একজন সিটিং প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিল। এখন পাকিস্তানের বিচার বিভাগকে স্যালুট দিলে কি চেতনা বিক্রেতাদের গালাগাল শোনার ঝুঁকি আছে কিনা জানতে চাই।

হাসান কালবৈশাখী আর কলাবাগান মহোদয়ের মন্তব্য আশা করছি।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


নওয়াজ শরীফকে সরানো মানে বিরাট ব্যাপার; সেটা যেভাবেই হোক না কেন; রায় ঠিক ছিলো; কার্যকরী হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নিজেই সব: সেই দল, সেই সরকার, সেই মিলিটারী, সেই প্রশাসন, সেই বিচার বিভাগ; এবং শেখ হাসিনা একজন সিভিলিয়ান জেনারেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.