নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার এক অজানা অনুভূতি,কাউকে কল্পনায় মনের মধ্যে তার ছবি আঁকিয়ে নিয়ে তার জন্য সেই অনুভূতিটা কে অনুভব করা.....(মেঘলা আকাশ).....

শাহীন আলম সবুজ

শাহীন আলম সবুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ে পাগলী মেয়ে

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬


--এই চলো না আমরা বিয়ে করে ফেলি?
--কাকে বিয়ে করব?
--কাকে বিয়ে করবা মানে?আমাকে বিয়ে করবা?
--কেনো তোমাকে বিয়ে করব?
--মানে কী?তুমি আমাকে ভালবাসো না?
--হুম ভালবাসলেই বিয়ে করতে হবে নাকি?
--হুম সবাই তো তাই করে প্রেমের পরে
বিয়ে?
--সবাই করে করুক,আমি সবার মত না,কবিগন বলে
গেছে, যাদের সাথে প্রেম করবে তাকে
কখনোই বিয়ে করবে না।
--কী বলছো এসব?
--হুম ঠিকই বলছি।দাঁত উঠছে?
--কার?
--তোমার?
--মানে?
--মানে তুমি যে বিয়ে করবা তোমার দাঁত উঠছে?
---বিয়ে করার সাথে দাঁতের সম্পর্ক কী?
--আছে সম্পর্ক, আক্কেল মাড়ি উঠছে?
--না মানে সেটা কী?
--থাক,তাহলে আমি বেআক্কেলে মেয়ে বিয়ে
করতে পারবো না।
--এই দেখো আমি কিন্তু কেঁদে দিবো?
--এই নাও?
--এটা দিয়ে কী করব?
--যখন কাঁদবে তখন এই টিসু দিয়ে চোখ মুছবে।
.
>যা মেয়েটা সত্যি কাঁদতে কাঁদতে চলে
গেলো।পাগলী একটা বোঝেও না ওকে ছাড়া
আমার একমুহূর্ত চলে না।আসলে নীলা যখন
বিয়ের কথা বলে তখন আমি ওকে এভাবেই
রাগিয়ে দিই, যার ফলে দুই -তিন দিন কথা বন্ধ।
আমাকেই আবার তার অভিমান ভাঙাতে হয়।আজকে
মনে হয় একটু বেশীই কষ্ট পেয়েছে।
মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে বিয়ে করলে তো হয়
না,ছোট একটা যব করি কোনরকম মা আর বোন
কে নিয়ে সংসার চলে।মা'র ও শরীর টা তেমন
ভাল যাচ্ছে না।
.
--ডাক্তার সাহেব মা"র কী হইছে?
--হার্টের সম্যসা,৩ দিনের মধ্যে অপারেশন
করাতে হবে না হলে কোন অঘটন ঘটতে
পারে।
নাহ খেতে ইচ্ছা করছে না,টাকার খোজে আবার
বেরিয়ে পড়লাম।যত সম্যসা কী এই
মধ্যবিত্তদেরই হয়,জীবন টা বড়ই কঠিন এই
মধ্যবিত্তদের জন্য, নূন আনতে পান্তা ফুরানো
অবস্হা।
.
.
সারাদিন কারো কাছে গিয়েও টাকা পেলাম না।সবাই
কোন না কোন অজুহাত দিলো।হয়তো ভাবে
যদি টাকা ফেরত দিতে না পারি।আসলে বিপদে
পড়লে বন্ধু চেনা যায়।
নাহ বাড়ীতে আর যেতে ইচ্ছা করছে না।
বাড়ীতে গেলেই ছুটকি আবার বায়না ধরবে মার
কাছে যেতে।
নাহ আজ আর বাড়ীতে যেতে ইচ্ছা করছে না
.
--কোনমতে পার্কের বেঞ্চেই শুয়েই রাতটা
কাটিয়ে দিলাম।
>কাল সারাদিন মাকে দেখতেই যায় নি।আজ একটু
দেখে আসি।নার্সরা এখন আর টাকা না দিলে
রোগীর খেয়াল কম রাখে।সব এখন টাকার
খেলা।টাকা থাকলে বাগের চোখও মেলে এখন।
টাকা যেখান থেকেই হোক জোগাড় করতে
হবে সেটা ডাকাতি কিংবা চুরি করে।
.
>হসপিটালে ঢুকতেই ডাক্তার সাহেবের সাথে
দেখাখা।
--ডাক্তার সাহেব,,,মা,কেমমমমমম,,,?(কথাটা শেষ না
করতেই,ডাক্তার সাহেব বলতে লাগল)
---আরে আবির সাহেব যে,আপনার মা সুস্হ আছে।
কোন সম্যসা নাই কিছুদিন পরেই আপনার মা কে
বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।
--মা সুস্হ, অপারেশন কীভাবে কিছুই তো
বুঝতেছি না।আমি তো টাকা দেয়নি।
--আপনার স্ত্রী এসেই তো গতরাতে টাকা জমা
দিলো।তাই দেরি না করে গতরাতেই অপারেশন
করে দিলাম।
--আমার স্ত্রী মা,মা,মানে,,,?
---আরে আবির সাহেব আর মানে মানে করা
লাগবে না।যান মায়ের কাছে যান।
>কিছুই মাথায় ঢুকতেছে না।কিভাবে কী হলো।
--ভাইয়া তুই এসেছিস,
--ছুটকি তুই এখানে,?মা কেমন আছো তুমি?
--এইতো বাবা ভাল আছি।কি অবস্হা করেছিস
শরীরের তুই।
--না মা এইতো ঠিক আছি।
--ছুটকি এদিক আয় তো, কি হয়েছে বলতো
আমাকে।
-- গতরাতে ভাবি নিয়ে এসেছে।
--ভাবি মানে?
--তুই সকালে বেরিয়ে যাওয়ার পর নীলা ভাবি
আসছিলো তোর কাছে।তুই নাকি দুদিন ধরে
ফোন বন্ধ রেখেছিস।আর আমার কাছ থেকে
সব শুনে বলল রাতে এসে আমাকে নিয়ে যাবে।
তারপরই তো সব হলো।
--হুম বুঝলাম
--ভাইয়া ভাবি টা অনেক সুন্দর।কবে বিয়ে করলিরে,
এতো সুন্দর ভাবিকে রাখবি কোথায়।
--এতো বুঝে তোর কাজ নেই।
--ভাইয়া শোন আসল কথা বলতেই তো ভুলে
গেছি,ভাবি তোকে বিকাল ৪ টাই দেখা করতে
বলেছে।
--আচ্ছা তুই মা"র কাছে থাক, আমি তোর ভাবির
সাথে দেখা করে আসি।
.
>মাথা থেকে যেনো কত বড় একটা বোঝা
নেমে গেলো।যদি কোন ভালবাসার বোঝাটা
নামিয়ে দেয় তাহলে তার সুখরে অনুভূতিটা
অন্যরকম।এসব মেয়েকে চোখ বন্ধ করে
বিশ্বাস করা যায়।আর দৌড়াতে দৌড়াতে বিয়া করা যায়।
.
বিকাল ৪ টা,,,,,
দুজনের মুখে কোন কথা নেই।জানি নীলা কথা
বলবে না।তাই আমাকে শুরু করতে হবে,
--নীলা টাকা টা আমি শোধ করে দিবো আস্তে
আস্তে মাসের বেতন পেলে।
--তোমাকে টাকা শোধ করার কথা বলার জন্য
এখানে ডাকেনি। (রাগান্বিত কন্ঠে)
--না মানে,
--আমাকে বিয়ে করবা কবে বলো?
--আসলে তোমার টাকাটা শোধ করেনি তারপরে
চিন্তা করব,
--টাকা শোধ করতে পারলে বিয়ে করবা তো?
--হ্যা,না মানে,,,,?
--ঠিকআছে,,,মনে করো ঐ টাকা শশুর বাড়ী
থেকে যৌতুক নিছো।
--না আমি যৌতুক নিবো না।
--তাহলে মনে করো ঐ টাকা তোমার শশুর
আমাকে দিছিলো।আর আমি আমার স্বামীকে
দিছি।এবার হইছে তো।
--আসলে,,,?
--আসলে তুমি যে কতটা পর ভাবো আমাকে
সেটা বোঝা হয়ে গেছে।তোমার মা"র এই
অবস্হা একবার জানানোর প্রয়োজনবোধ করলে
না আমাকে।
--জানই তো ফোনটা বন্ধ ছিলো।টেনশনে
কিছুই মাথায় আসেনা।
--হইছে আর অজুহাত দেখানো লাগবে না।
চলো,,,,,
--কোথায়?
--বিয়ে করতে,,?
--এখন মানে কীভাবে,তোমার বাবা-মা জানলে,,,?
--যেভাবে আছি সেভাবে।আর বাবা-মা সব জানে।
তারা তার মেয়ের সুখের জন্য সব করতে পারে
সেটা তুমি ভালই জানে।
--এভাবে বিয়ে করবা?
--তোমার তো টাকা নেই তাই এভাবেই বিয়ে
করব।টাকা যখন হবে তখন ধূমধাম করে করবে।
--যদি টাকা হতে হতে বাচ্চা-কাচ্চা হয়ে যায়?
--তাহলে তখনই করব।এখন চলো,,,,,
--কী,,,,,,,,,(দাঁত উঠছে কী আর বলতে পারলাম
না।বেআক্কেলে মেয়েটার এখন আক্কেল
হয়ে গেছে, সে এখন বিয়ে করার জন্য
প্রস্তুত,আমিও প্রস্তুত বউয়ের মিষ্টি মিষ্টি ঝাড়ি
খাওয়ার জন্য)
.
(বিঃদ্রঃ গল্পের মত এমন মেয়ে বিলুপ্ত প্রায়)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.