![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বঙ্গদেশের জীবনযাত্রার মান ইওরোপীয় স্ট্যান্ডারডে পৌছতে চললেও পুলিশ পুলিশই রইয়া গেল মানুষ হইলো না
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান প্রধান শহরে একযোগে মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ হয়েছে।
রোববার অস্ট্রেলিয়ার গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্ট হাউসের সামনে দুপুর ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দেড়ঘণ্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিদেশিদের কাছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির যৌক্তিকতা বিষয়ক লিফলেট বিতরণ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। ‘ধন্য ধান্য পুষ্পে ভরা/আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানটি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংহতি সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে সবাই শাহবাগের ২৬ মার্চের কর্মসূচি দেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার ব্যাপারে একমত হন।
এ ব্যাপারে ২৯ মার্চ সকাল ১১টায় সিডনির এসফিল্ড পার্কের শহীদ মিনার চত্বরে মতবিনিময় সভার আহ্বান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এটি ছিল গণজাগরণ মঞ্চ, অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ কর্মসূচি। এর সংগঠকরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেন।
একই দিন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ফ্লাগস্টাফ গার্ডেনে ‘স্পিরিট ১৯৭১’ এর আয়োজনে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সংহতি সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, পার্থ এবং মেলবোর্নসহ প্রবাসের আয়োজকরা অনলাইনে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে এসব কর্মসূচি পালন করছেন। তাই, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইডেন, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং ইতালিসহ বিশ্বের ২৩টি দেশের শতাধিক শহরে একই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এরই মধ্যে, ইংল্যান্ডের ট্রাফল্গার স্কয়ার, আমেরিকান চ্যানেলে জাতিসংঘের সামনে, অস্ট্রেলিয়ার মারটিন প্লেসে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া কয়েকজন তরুণের আন্দোলন এখন বিশ্বের সব বাঙালির প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর এমন কোনো নামকরা সংবাদমাধ্যম নেই যেখানে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ, তাদের সংবাদ শিরোনাম করেনি! জাতিসংঘের মহাসচিব থেকে শুরু করে পৃথিবীর সব কর্তাব্যক্তিদের কাছে শাহবাগের ন্যায়সঙ্গত দাবি পৌঁছে গেছে।
এছাড়াও যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার শহর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ‘ওয়াকিং ফর জাস্টিস’ দাবি নিয়ে একদল বাঙালি তরুণ লন্ডনের ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি দেবেন।
তারা এখনও প্রচণ্ড শীতে তুষারপাতের মধ্য দিয়ে হাঁটছেন। সবার দাবি একটাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই।
পাদটীকা: যারা ভাবছেন, শাহবাগের গণজাগরণ ব্যর্থ হয়ে যাবে; তাদের উদ্দেশে বলছি- শাহবাগের চেতনা এরই মধ্যে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। শাহবাগে একটি জাতির সংস্কারের কাজ চলছে। একটি চেতনার বিস্ফোরণ ঘটেছে। কোটি কোটি তরুণের বুকের মধ্যে এক একটি শাহবাগ তৈরি হয়ে গেছে। এ চেতনার মৃত্যু নেই!
Click This Link
©somewhere in net ltd.