নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার স্বপ্ন ছিল ঘাতক রাজাকারদের বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার জীবদ্দশায় দেখার। আমার আর কোনো চাওয়া নেই তবে জামাতের সব ব্যবসা প্রতিস্ঠান অচিরেই বাংলাদেশে বন্ধকরা উচিত। না হলে ওরা আবার অঙ্কুর উদগম করবে এই মাটিতেই।

শাহীন ভূইঁয়া

বঙ্গদেশের জীবনযাত্রার মান ইওরোপীয় স্ট্যান্ডারডে পৌছতে চললেও পুলিশ পুলিশই রইয়া গেল মানুষ হইলো না

শাহীন ভূইঁয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু নামাজী আছেন প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে একই জায়গায় বসতে চেষ্টা করেন.........এটা ঠিক নয়

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪



কিছু লোক আছেন যারা নামাজ পড়তে আসেন মসজিদে। কিন্তু তারা প্রতিদিন এক জায়গায় বসার চেষ্টা করেন। তিনি যদি আগে আসেন তাহলে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় বসেন আর যদি পরে আসেন তা হলে যেভাবে হোক লোকের ঘাড় ডিঙিয়ে অন্যজনের অসুবিধা করে হলেও নির্দিষ্ট জায়গায় বসার চেষ্টা করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে কাঙ্ক্ষিত স্থান সাধারণত পাখা বরাবর হয়ে থাকে। আবার কোথাও দেখা গেছে অভিজাত কারো জন্য বা সমাজের কর্তা ব্যক্তির জন্যও মসজিদের জায়গা নির্দিষ্ট থাকে। (নাউজুবিল্লাহ)।



এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ যা আল্লাহ’র রাসুল (সা.) পছন্দ করেননি। মসজিদে যিনি আগে আসবেন তিনিই অধিক হকদার ইচ্ছামত জায়গায় বসার। আর পরে এলে মসজিদে পেছনের দিকে বসতে হবে।



হযরত আবু কুরাইব (রা.)...হযরত মুয়ায ইবন আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহ’র রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে লোকের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে অগ্রসর হয়,কিয়ামতের দিন তাকে দোজখের পুল বানানো হবে। (ইবন মাজাহ হাদিস নম্বর-১১১৬)।



আল্লাহ’র রাসুলের (সা.) সতর্ক বাণীর পর আশা করি আমরা মসজিদে পরে নামাজ পড়তে এসে আর কখনো লোকের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে যাবো না। আসুন আগের ভুলের জন্য আমরা আল্লাহ’র কাছে তওবা করি। আশা করি আল্লাহ রব্বুল আ’লামিন আমাদের ক্ষমা করবেন।



এরপর কিছু লোক যদি লাল বাতি জ্বলে (লাল বাতি জ্বলার অর্থ সুন্নত পড়ার সময় নেই, কিছুক্ষণের মধ্যেই জামাতের ইকামত দেওয়া হবে।) বা না জ্বলে এতো দ্রুত সুন্নত নামাজ আদায় করেন তা আশ্চর্যের বিষয়। রুকু সেজদা সঠিকভাবে না করলে নামাজ শুদ্ধ হবে না। হযরত আবু মসউদ আনসারী (র.) হতে বর্ণিত,আল্লাহ’র রসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রুকু ও সেজদায় পিঠ স্থিরভাবে সোজা করে না তার নামাজ শুদ্ধ হয় না। তিরমিজি ১ম খণ্ড, হাদিস নম্বর-২৫০।



নামাজের মধ্যে ধীরস্থিরতা নামাজের অন্যতম শর্ত। দ্রুত সেজদা দেওয়াকে আল্লাহ’র রাসুল (সা.) কাকের ঠোকরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। অর্থাৎ খেয়াল করলে দেখবেন কাক খুব দ্রুততার সঙ্গে ঠোকর দিয়ে খাবার সাবাড় করে। এছাড়া সেজদায় কনুইসহ হাতের তালু বিছিয়ে দিয়ে সেজদা দিতে আল্লাহ’র রাসুল (সা.) স্পষ্ট নিষেধ করেছেন। কারণ এভাবে চতুষ্পদ হিংস্র জন্তু বসে।



হযরত আব্দুর রহমান ইবন সিবল (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহ’র রাসুল (সা.) বলেছেন, কাকের ঠোকরের ন্যায় (অর্থাৎ তাড়াতাড়ি) সেজদা করতে, চতুষ্পদ জন্তুর মতো বাহু বিছাতে এবং মসজিদের মধ্যে উটের মতো নির্দিষ্ট স্থান বেছে নিতে নিষেধ করেছেন। (দাউদ শরীফ, হাদিস নম্বর-৮৬২, ইবন মাজাহ হাদিস নম্বর-১৪২৯)।



মহান আল্লাহ্‌ রুকু সেজদায় আমদের যে ত্রুটি হয়েছে সে জন্য আমাদের ক্ষমা করুন। নামাজে ধীর স্থির হয়ে রুকু সেজদা করে এবং ভবিষ্যতে তা সঠিকভাবে করার তৌফিক দান করুন এবং রাসুলের (সা.) ওই হাদিস অনুসারে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।



রুকু সেজদা ঠিকভাবে করা এবং নামাজে একাগ্রতা ও নামাজের শুদ্ধতা যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা আল্লাহ’র রাসুল (সা.) একটি ঘটনায় পাওয়া যায়। কোনো এক লোককে তিনি পর পর তিন বার নামাজের নির্দেশ দিয়েও যখন নামাজ সঠিক পেলেন না, তখন তিনি নিজেই কিভাবে শুদ্ধভাবে নামাজ পড়তে হবে তা তাকে শিখিয়ে দিলেন।



হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহ’র রাসুল (সা.) মসজিদের এক কিনারায় বসেছিলেন। এক ব্যক্তি মসজিদে এসে নামাজ পড়তে শুরু করলো। (নবী (সা.) তার নামাজের প্রতি লক্ষ্য করছিলেন লোকটি নামাজের রুকু ও সেজদা ভালো করে ধীরে ধীরে আদায় করছিল না।) লোকটি নামাজ শেষ করে নবী (সা.) এর কাছে এল এবং তাঁকে সালাম করলো। নবী (সা.) তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন-তোমার নামাজ হয়নি,তুমি পুনরায় নামাজ পড়ে আস। লোকটি দ্বিতীয়বার নামাজ পড়লো (কিন্তু প্রথম বারের মতোই পড়লো এবং নবী (সা.) এর কাছে এসে সালাম করলো। এবারও তিনি সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, তোমার নামাজ হয়নি, তুমি পুনরায় নামাজ পড়ে আস। সে এবারও একইভাবে নামাজ পড়লো। হযরত নবী (সা.) তাকে একইভাবে বললেন। তিনবার এমন করার পর লোকটি আরজ করলো, হুজুর! যে আল্লাহ্‌ আপনাকে সত্য ধর্মের বাহকরূপে রাসুল বানিয়ে পাঠিয়েছেন সে আল্লাহ’র শপথ করে আমি বলছি, আমি এর চেয়ে উত্তমরূপে নামাজ পড়তে জানি না। আপনি আমাকে নামাজ পড়া শিখিয়ে দিন। অতঃপর নবী (সা.) তাকে নামাজ শিক্ষা দিতে লাগলেন। তিনি বললেন, নামাজের আগে উত্তম রূপে ওজু করবে, তারপর কেবলার দিকে মুখ করে দাঁড়াবে, তারপর “আল্লাহু আকবর” বলবে। অতঃপর কোরআনের যা কিছু সূরা পড়া তোমার পক্ষে সহজ ও সম্ভব হয় তা পড়বে। তারপর “আল্লাহু আকবর” বলে মাথা ঝুকাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকু করবে। তারপর “ছামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে পূর্ণ মাত্রায় সোজা হয়ে দাঁড়াবে। যেন প্রতিটি হাড় নিজ নিজ স্থানে পৌঁছাতে পারে। অতঃপর “আল্লাহু আকবর” বলে ধীরস্থিরভাবে উত্তমরূপে সেজদা করবে। তারপর মাথা উঠিয়ে স্থিরভাবে বসবে।পুনরায় ঐরূপ সেজদা করবে এবং সেজদা থেকে উঠবে। এরূপে (ধীরস্থিরভাবে ভক্তি ও মহব্বতের সঙ্গে) প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নামাজ আদায় করবে। (বোখারি শরীফ,খণ্ড-১, হাদিস নম্বর-৪৬০)।



এটাই আল্লাহ্‌র রাসুলের (সা.) দেওয়া নামাজ পড়ার শুদ্ধ ও সঠিক নির্দেশনা। নামাজ মুমিনের জন্য মিরাজ স্বরূপ। মিরাজে মহান আল্লাহ্‌ যেমন তার প্রিয় হাবিবের সঙ্গে একান্তে আলাপ করেছিলেন তেমনি নামাজের মাধ্যমে বান্দার সঙ্গে মহান আল্লাহ’র একান্ত আলাপ হয়। বান্দা তার অভাব অভিযোগ সরাসরি আল্লাহ’র কাছে পেশ করে এবং সঠিক বিনয়ী নামাজ আল্লাহ’র দরবারে গৃহীত হয়ে থাকে। বান্দাকে তার প্রয়োজন আল্লাহ’র কাছেই বলতে হয় কোনো মাধ্যম ছাড়া। আর সে পদ্ধতি হচ্ছে নামাজ।



হযরত আওফ ইবন মালিক আশজায়ী (রা.) হতে বর্ণিত, আমরা রাসুল(সা.) এর কাছে ছিলাম। তিনি বললেন তোমরা কি আল্লাহ’র রাসুলের (সা.) কাছে বায়াত হবে না? এ কথাটি তিনি তিনবার বললেন। আমরা হাত বাড়িয়ে দিলাম এবং তাঁর কাছে বায়াত হলাম। তারপর আমরা বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা তো আগেই আপনার কাছে বায়াত হয়েছি, তবে এই বায়াত কোন বিষয়ের ওপর? তিনি বললেন, এই বায়াত এই কথার ওপর যে, তোমরা আল্লাহ’র ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে। তারপর আস্তে আস্তে করে গোপনে বললেন- মানুষের কাছে কিছু চাইবে না। (নাসাই শরীফ হাদিস নম্বর-৪৬৩)।



আসুন আমরা সবাই মহান আল্লাহ’র দরবারে আমাদের অভাব অভিযোগ পেশ করি। নামাজ সঠিক ভাবে আদায় করি।

কৃতজ্ঞতা- বাংলা নিউজ

Click This Link

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

সরদার হারুন বলেছেন: মনে হয় আপনি গোনা শিক্ষা দিচ্ছেন । না ভাই সবাই গোনা জানে।সোনার বাংলা ব্লগ থেকে টিচার আনার দরকার নেই বলে মনে হয় ।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: No its not a correct I've given reference.....criticism is not a good element ....ekta kichui boltai hobe.....tai bollen na porei dilen

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

এম এ এইচ মিনা বলেছেন: কিছু লোক আছেন যারা নামাজ পড়তে আসেন মসজিদে। কিন্তু তারা প্রতিদিন এক জায়গায় বসার চেষ্টা করেন। তিনি যদি আগে আসেন তাহলে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় বসেন আর যদি পরে আসেন তা হলে যেভাবে হোক লোকের ঘাড় ডিঙিয়ে অন্যজনের অসুবিধা করে হলেও নির্দিষ্ট জায়গায় বসার চেষ্টা করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে কাঙ্ক্ষিত স্থান সাধারণত পাখা বরাবর হয়ে থাকে। আবার কোথাও দেখা গেছে অভিজাত কারো জন্য বা সমাজের কর্তা ব্যক্তির জন্যও মসজিদের জায়গা নির্দিষ্ট থাকে। (নাউজুবিল্লাহ)।

এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ যা আল্লাহ’র রাসুল (সা.) পছন্দ করেননি। মসজিদে যিনি আগে আসবেন তিনিই অধিক হকদার ইচ্ছামত জায়গায় বসার। আর পরে এলে মসজিদে পেছনের দিকে বসতে হবে।

হযরত আবু কুরাইব (রা.)...হযরত মুয়ায ইবন আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহ’র রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে লোকের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে অগ্রসর হয়,কিয়ামতের দিন তাকে দোজখের পুল বানানো হবে। (ইবন মাজাহ হাদিস নম্বর-১১১৬)।

আল্লাহ’র রাসুলের (সা.) সতর্ক বাণীর পর আশা করি আমরা মসজিদে পরে নামাজ পড়তে এসে আর কখনো লোকের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে যাবো না। আসুন আগের ভুলের জন্য আমরা আল্লাহ’র কাছে তওবা করি। আশা করি আল্লাহ রব্বুল আ’লামিন আমাদের ক্ষমা করবেন।






আপনি সঠিক বলেছেন । প্রতিনিয়ত মসজিদে গেলে এ রকম চোখে পড়ে , তখন আমার মেজাজ খুব গরম হয় । সম্মানিত ইমাম সাহেব এত কিছু জানার পড়েও কেন উপদেশ দিচ্ছেন না ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.