![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বঙ্গদেশের জীবনযাত্রার মান ইওরোপীয় স্ট্যান্ডারডে পৌছতে চললেও পুলিশ পুলিশই রইয়া গেল মানুষ হইলো না
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে খুলনায় খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিমান ওঠানামার ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদনের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারের শীর্ষ মহলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অল্প সময়ের মধ্যে ছোট যাত্রীবাহী বিমান চলাচলের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা যায়।
কুয়েটের একটি সূত্র অবশ্য বলছে, ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদনের জন্য নুন্যতম ৪ মাস সময়ে লাগবে। গত ১৩ মার্চ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধির সাথে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নেগোসিয়েশন কমিটির সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য কুয়েটকে অনুরোধ জানানো হয়।
খুলনা বিভাগীয় প্রেসকাব ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী লেঃ কর্নেল (অবঃ) ফারুক খান। গত ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খুলনার ফয়লায় নির্মাণ প্রক্রিয়া থমকে থাকা খানজাহান আলী বিমান বন্দরের কাজ শুরু করার দাবি ওঠে। বিমান মন্ত্রী এখানে ঘোষণা দেন ছোট আকারের যাত্রী পরিবহন বিমান ওঠানামা করানো যায় কিনা সে বিষয়ে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৭ ডিসেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এডিপি সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদনের জন্য নিয়োগ দিতে এই সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি জরুরী হলেও ৩ মাস কোন গতি পায়নি। মার্চ মাসের ৪ তারিখে কুয়েটকে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য কেন নিয়োগ দেয়া হয়নি তা’ জানতে চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে মন্ত্রণালয় চিঠি দেয়। সর্বশেষ জানা যায়, কুয়েটকে এই স্টাডি সম্পন্নের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
একটি অভিজ্ঞ সূত্র বলছে, ফয়লায় খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ প্রক্রিয়া নানা অবহেলার শিকার হওয়া সত্ত্বে¡ও যতটুকু কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে স্বল্প সময়ের মধ্যে ছোট যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামার ব্যবস্থা করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে এই ব্যবস্থা করে খানজাহান আলী বিমান বন্দরের ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করা যায়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ, দ্বিতীয় বৃহত্তম সামুদ্রিক বন্দর মংলাকে কার্যকর ও সুন্দরবনের পর্যটন সুবিধার লক্ষ্যে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৯৯৬ সালে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য একনেক অনুমোদন দেয়। এ বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে রূপান্তরের জন্য ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে বিএনপি সরকারের শেষ বছর ১৯৯৫ সালের মার্চে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রস্তাবিত খানজাহান আলী বিমানবন্দরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
বিএনপি জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে ২৬ জানুয়ারি পৃথক পিপি প্রণয়ন করে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে পরিকল্পনা কমিশনের সভায় বৈদেশিক অর্থায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০৬ সালে প্রকল্প সংশোধন নয়, নতুন প্রকল্প হিসেবে প্রস্তাব প্রেরণের জন্য পরিকল্পনা কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যাচাই-বাছাইয়ের নামে কেটে যায় ৫ বছর।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে পুনরায় ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দর প্রকল্প’ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় নেয়া হয়। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় প্রাক্কলিত ব্যয় ৩শ’ ২২ কোটি টাকার পরিবর্তে ৪শ’ ৫৪ কোটি টাকা নির্ধারণের জন্য প্রকল্পটি পুনরায় মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠানের জন্য বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়। এদিকে ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা-সাতীরা সফরকালে বিমানবন্দর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি দেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর পদপে নেয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ শুরু হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, প্রস্তাবিত বিমান বন্দরটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর বাগেরহাট জেলার মংলার অতি কাছে। বিমান বন্দরটি স্থাপিত হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে। দেশী ও বিদেশী ব্যবসায়ী মহল তুলনামূলক কম সময়ে ও নিরাপদে ইপিজেড ও মংলা বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও মালামাল পরিবহনসহ ইপিজেড ও বন্দরের কার্যকারিতা বাড়বে। অন্যদিকে বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের পর্যটন বিকাশে এই বিমান বন্দর বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এদেশের পর্যটন সেক্টরে সুন্দরবনের অপরূপ বৈচিত্র্য, হযরত খানজাহান আলী (রহ মাজার, ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, পার্শ¦বর্তী গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের মাজার ও স্মৃতিসৌধ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের বাসস্থান পিঠাভোগ এবং দক্ষিণডিহির শ্বশুরালয় ইত্যাদির গুরুত্ব অপরিসীম। এসব স্থানসমূহে দেশীয় পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করতে সম। বিমান বন্দরটি নির্মাণ হলে পর্যটকদের নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা হবে এবং পর্যটনখাতের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি পণ্য চিংড়ির প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ সরাসরি খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে রফতানি হয়ে থাকে। রেণুপোনা কক্সবাজার হতে খুলনায় সড়ক পথে পরিবহন সময় সাপে ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে তিগ্রস্ত হয়। বিমান বন্দর নির্মাণ হলে দেশের চিংড়ি রফতানি সহজতর হবে ও অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
Click This Link
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: ভালোর জন্য ধন্য
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আলহামদুল্লিলাহ।
এটা হলে আমার খুলনার জন্য ভাল হবে। তবে ভয় হয় গভীর সমুদ্রবন্দরের মত এটাও না আবার ছিনতাই হয়ে যায়।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: জানিনা আপনার আশংকা সত্য হয় কি না ..........গভীর সমুদ্র বন্দর বলুন পদ্মা সেতু বলুন সবটাই হলো নির্বাচনের টোপ.............শিল্পনগরী থেকে সন্ত্রাস নগরীতে উপনিত হয়ে এখন আবার শান্তি ফিরে এসেছে.........এমনিতে আমরা অবহেলিত স্বাধীনতার পর থেকে ...........................................শুভকামনা করছি আপনার
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
জাহিদ গাছবাড়ী বলেছেন: valo