নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার স্বপ্ন ছিল ঘাতক রাজাকারদের বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার জীবদ্দশায় দেখার। আমার আর কোনো চাওয়া নেই তবে জামাতের সব ব্যবসা প্রতিস্ঠান অচিরেই বাংলাদেশে বন্ধকরা উচিত। না হলে ওরা আবার অঙ্কুর উদগম করবে এই মাটিতেই।

শাহীন ভূইঁয়া

বঙ্গদেশের জীবনযাত্রার মান ইওরোপীয় স্ট্যান্ডারডে পৌছতে চললেও পুলিশ পুলিশই রইয়া গেল মানুষ হইলো না

শাহীন ভূইঁয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিডিপি'র চাইতে মানুষের জীবনের দাম কম গুরুত্বপূর্ণ ....এবং কিছু সুপারিশ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

কিছুদিন আগেও বাসে ট্রেনে আলোচনার সবজায়গায় বলতাম গর্বকরে সর্বদা পোষাক শিল্পের প্রসার দেখে বাংলাদেশ একদিন পৃথিবী বিখ্যাত হবে পোষাক রপ্তানীতে । কিন্তু কয়েকটি অগ্নিকান্ড ও বিল্ডিং ধস থেকে শ্রমিক নামক মানুষদের মৃত্যুর মিছিল দেখে মনে হয় আমাদের দরকার নেই খ্যাতির প্রৃয়োজন নেই জিডিপি'র বৃদ্ধি । অগুনতি শ্রমিকের প্রাণের বিনিময়ে জিডিপি বৃদ্ধি হোক চাই না । বিজিএমই তাদের স্বার্থ সংরক্ষন করে চলেছে সব সরকারের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে । এতগুলো দূর্ঘটনায় কোন গার্মেন্ট মালিকের শাস্তি হয়েছে তার নজির নেই । বরং তাদের রক্ষাকরাই বিজি্এমই'র কাজ । তারা কথায় কথায় বলে তাদের ব্যবসায় কোন লাভ নেই .......তাহলে ঢাকা শহরে যে সব বিলাসবহুল গাড়ী দেখা যায় তা কাদের ? এমন কী প্রতিটি গার্মেন্ট মালিক নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্বের বিভিন্ন সভ্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশে স্বল্প মুল্যের মজুরীতে ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে । আর খুন হচ্ছে এদেশের আবাল বনিতা বিনিময়ে কিছু আর্থিক সাহায্য । এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসুন তা না হলে অচিরেই .....বন্ধ হয়ে যাবে সস্তা পারিশ্রমিকের কারবার ।



সরকারের প্রতি কয়েকটি সুপারিশ ঃ

১। প্রতিটি গার্মেন্ট মালিকের নিজস্ব ভুমিতে বিল্ডিং কোড ও শিল্প আইন মেনে সব ব্যবস্থা রেখে কারখানা তৈরী করতে হবে ।



৮। প্রতিবছর কারখানায় সরকার পক্ষের পরিদর্শন সাপেক্ষে একবছর বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উৎপাদন কার্য পরিচালনার অনুমোদন থাকবে ।



৩। কোন ভাড়া বিল্ডিং এ কেউ কারখানা স্থাপন করতে পারবে না ।



৪। লোকালয় ও জনসংখ্যার ঘনত্বপূর্ণ এলাকা ছেড়ে শহরের বাইরে অথবা বন্দর এলাকায় নির্দিষ্ট অঞ্চলে শিল্প স্থাপন করতে হবে ।



৬। শ্রমিকের মজুরী হতে হবে আন্তর্জতিক মানদন্ড বজায় রেখে ।



৭। যে কোন দূর্ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষতিপূরন বীমা ব্যবস্থা চালু থাকতে হবে ।



৮। কারখানা এলাকায় শ্রমিকদের বাসভবন তৈরী করতে হবে ।



৯। সকল শ্রম আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে ।



১০। প্রতিমাসে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কর্মরত শ্রমিকের তালিকা ও মজুরী শীট শ্রম মন্ত্রনালয়ে পেশ করতে হবে ।









মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.