নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাহজাহান হোসেন আহমেদ, কবিতা, অকবিতা।

শাহজাহান আহমেদ

• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।

শাহজাহান আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"খাজা বাবা অথবা আজমীরি তেহারি হাউস"

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

তেহারি নামক খাদ্যটি আমি কখনো খাইনি।
প্রথমে ভেবেছিলাম, খিচুরির আরেক নাম বোধহয় তেহারি।
পরে জেনেছি খিচুরি আর তেহারি দুটো ভিন্ন জিনিস।

সেদিন, কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছে রাস্তার অপর পাশে একটা ছোট রেস্টুরেণ্ট চোখে পড়ল।
"খাজা বাবা অথবা আজমীরি তেহারি হাউস"
নামটা এরকম কিছু একটা ধর্মের লেবাসে জড়ানো।

নামের কারণে, পবিত্র তবারুক মনে করে অনেকেই সেখানে
আসে। টাকা দিয়ে প্রসাদ কিনে খায়।

চারটা টেবিল এবং ষোলটা চেয়ারে সাজানো সেই ঘরে এক বৃদ্ধ বসে ছিল।
তাঁর হাতে মলিন রোগাক্রান্ত একশো টাকার নোট। নোটে বঙ্গবন্ধুর চশমা পড়া ছবি।

খাদ্য-ব্যবসায়ী কিছুতেই তাকে খেতে দিবেনা।
বৃদ্ধ একশো টাকার নোটটা যতটুকু পারা যায় মেলে ধরে আছে। মুখ হাসি-হাসি। তার খাবার কিনে খাওয়ার মত টাকা আছে এটা সে প্রমান করতে চাচ্ছে। বার বার ব্যাকুল কণ্ঠে বলছে "টেহা দিয়া খাম বাবাজি, এই দেহেন টেহা..."

বৃদ্ধকে দেখে আমার মায়া হল। হোটেল মালিককে বললাম আঙ্কেল, ওনার বিলটা আমরা দেব...
খাদ্য ব্যবসায়ী বলল "না ছার, এই বুড়া খাইতে বইলে সারাদিন লাগাইব। আমার কাস্টমার লস অইব।"
বৃদ্ধ এই কথার প্রতিবাদ জানাতে গিয়েও থেমে গেল লক্ষ্য করলাম। অতি কষ্টে মুখে হাসি এনে বলল 'তাইলে দিয়া দেন আমি বাইরে বইয়া খায়াম।'
বৃদ্ধের কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু, দোকানদার কোন যুক্তি শুনতে নারাজ। সে এবং তার এক কর্মচারী প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে লোকটাকে বের করে দিল।

কিছুক্ষণ পর তেহারি হাউসের বাহিরে এসে বৃদ্ধ লোকটাকে খুঁজলাম। পেলাম না।
রেস্টুরেণ্টের সাইনবোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, সেখানে লেখা "এখানে ঘরোয়া পরিবেশে যত্ন করে খাওয়ানো হয়।"

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই হল যত্নের নমুনা!!!!

আসলে আত্মা থৈকে দায়বোধ উঠৈ গেলে যা হয়... বিচার বিবেচনা বিবেক সব লৌপ পায়!!!

যা ধর্মের লেবাসেই হোক আর কর্পোরেট লেবাসে.. সবই এক!

দুটো কথা শূনিয়ে দিতেন হোটেল ওয়ালাকে ... X((

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

জিমার পেঙ্গুইন বলেছেন: পড়ে খারাপ লাগল :(

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: বলতে চেয়েছি। তার আগেই বৃদ্ধ লোকটাকে ওরা বের করে দিয়েছে। পরে তাকে খুঁজতে আমিও বের হয়ে যাই।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সবই ঠিক আছে। কিন্তু তেহারী আপনার কাছে অখাদ্য মনে হয়!!! কন কি ভাই!

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: "এখানে ঘরোয়া পরিবেশে যত্ন করে খাওয়ানো হয়।"

এই পরিহাসমূলক কথাটি ইটা মেরে নষ্ট করে দিলেন না কেন?

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

আরাফআহনাফ বলেছেন: তালগোল পাকানো সবকিছু।
সহানুভূতি ঐ বৃদ্ধের জন্য।

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

বিজন রয় বলেছেন: বলেন কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.