![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায়ের কপিতে দেখা যায় -Charges: crimes against Humanity and aiding & complicity to commit such crimes as specified in section 3(2)(a)(g)(h) of the Act No. XIX of 1973. অপরদিকে যুদ্ধাপরাধী আবুল কালাম আযাদ (বাচ্চু রাজাকার) -এর রায়ের কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে-Charges: crimes against Humanity and Genocide as specified in section 3(2)(a) and 3(2)(c)(i) of the Act No. XIX of 1973. এ দুটি চার্জকে তুলনামূলক বিবেচনা করলে খুব সহজেই অনুমেয় যে, চার্জ গঠনের সময়-ই কাদের মোল্লার মামলাকে হালকা করে দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশনের উচিৎ ছিল- চার্জগঠনের সময়-ই প্রতিবাদ করা বা আইনগত অন্য কোন পদ্ধতি থাকলে তার সুযোগ গ্রহন করে হলেও এ দূর্বল চার্জকে বাতিলের ব্যবস্থা করা। পত্র পত্রিকা এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্ম মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয় যে, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ০৬ টি মামলার ৫ টি- ই প্রমানিত। কি ধরনের অপরাধ প্রমানিত? সে ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমগুলো তাৎক্ষনিক ব্যাখ্যা দেয় নি। অবশ্য টকশোতে, যারা বিভিন্ন আইনবিদদের ব্যাখ্যা দেখেছেন, তারা অনেকেই বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। তবে সাধারন জনগনের মনে এখনও ধুম্রজাল " অপরাধ প্রমানিত, তবে ফাঁসি হয়নি কেন?" অপরাধ প্রমানিত হলেই কি ফাঁসি হয়? খুন করার অপরাধ প্রমানিত হলে যদি ফাঁসি হয়, তবে খুন করতে সহযোগিতা করার অপরাধ প্রমানিত হলে নিশ্চয় ফাঁসি হবে না। এটাই স্বাভাবিক। কাদের মোল্লার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ কেন তাকে সরাসরি অপরাধ সংগঠনের সাথে জড়িত হিসাবে প্রমান করল না বা করতে পারল না, সেটাই ভাবার বিষয়। বিষয়টির দায় বিচারকের বা ট্রাইবুনালের বা আইনের নয় । দায়টি রাষ্ট্রপক্ষের। তবে কেন তারা এ দায় তাদের কাধে নিল? গোপন কোন হাতাত, ভয় নাকি আসলেই কাদের মোল্লা সরাসরি অপরাধের সাথে জড়িত নয়? এ প্রশ্নের উত্তর সময়-ই বলে দিবে। আমাদের সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন গতি নেই। যে ৫টি মামলায় সাজা হয়েছে, সংবিধান এবং সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী সাজা বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারেও সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। তবে আমি মনে করি " সাজা বাড়ানোর জন্য আপিল করার সুযোগ নেই" কথাটি সঠিক। এখন আবার শোনা যাচ্ছে- আপিল করে কাদের মোল্লার ফাঁসি নিশ্চত করার জন্য আইন পরিবর্তন করা হবে। আমার মনে হয়, আইন পরিবর্তন করেও সম্ভব নয়। যদি সম্ভবও হয়, তবে কাজটি কি সঠিক হবে? একজন ব্যাক্তি বা একটি নির্দ্দিষ্ট গোষ্টিকে ফাঁসিতে ঝুলানোর প্রয়াসে আইন সংশোধন কি বিচারের স্বচ্চতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না? মনে রাখা উচিত এ আইনটি কোন স্থানীয় আইন নয়। এ আইনের সাথে আর্ন্তজাতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত না নিলে, এক্ষেত্রে হিতে বিপরীতও হতে পারে। বর্তমান সরকারের কাছে জনগন একটি স্বচ্ছ বিচার চায়। বিচারের নামে প্রহসনের অপবাদ থেকে মুক্তি পেতে হলে দল মত নির্বিশেষে সকল যুদ্ধাপরাধীদেরকেই বিচারের কাঠ গড়া্য় দাড় করাতে হবে। কে আত্মীয়, আর কে দলীয়, সে বিবেচনায় বিচার করলে- সে বিচার জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাবে না। শাহবাগে জনতার ঢল দেখে বর্তমান সরকারের এ ভেবে খুশি হবার কোন কারন নাই- জনগন পদ্মাসেতুর দূর্নীতি, হলমার্ক কেলেংকারী, শেয়ার বাজার কেলেংকারী, ইলিয়াস আলী গুম, সাগর রুনি হত্যা ইত্যাদির কথা ভুলে গেছে। শাহবাগে সর্বদলীয় এবং সাধারন জনগনের সমাগম হয়েছে। শাহবাগ স্কোয়ারে উপস্থিত জনতা- শুধু জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী শীর্ষ নেতাদের নয়, তারা সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়।
©somewhere in net ltd.