![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন করদাতাদের সন্ধানে এনবিআর। নতুন করদাতাদের সন্ধান করতে বাড়ী বাড়ী যাওয়া ছাড়াও একাধিক সংস্থা থেকে তথ্য নিয়ে এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে এ জরিপ কার্যক্রম রাজস্ব আদায়ে বেশ কার্যক্রর ভুমিকা রাখবে বলেই মনে হয়। দেশের জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয় এবং জীবন যাত্রার মান ইত্যাদি বিবেচনায় দেশের করদাতার সংখ্যা যে অত্যন্ত নগন্য একথা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। ধনী-দরিদ্রের বষম্য হ্রাস এবং আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসাবে দেশকে এগিয়ে নিতে রাজস্ব আহরনের পরিমান বৃদ্ধি করা অত্যান্ত জরুরী। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ১,৭৬,৩৭০ কোটি টাকার মধ্যে প্রত্যক্ষ করের (আয়কর এবং ভ্রমনকর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫,৯৩২ কোটি টাকা, যার মধ্যে শুধু আয়করের লক্ষ্যমাত্রা ৬৪,৭০১ কোটি টাকা (তথ্য সূত্র: এনবিআর ওয়েব সাইট) । ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশে আয়করের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন কাজ হওয়া উচিৎ নয়। দু:খের বিষয় হল, দেশে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ১৮ লাখ হলেও নিয়মিত কর দেয় মাত্র ১২ লাখ। দেশে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা এবং নিয়মিত করদাতার সংখ্যা কোনটিই দেশের জনসংখ্যা, মাথপিছু আয় এবং জীবন যাত্রার মান অনুপাতে গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার সীমারেখার মধ্যে বাড়ীর সংখ্যা এবং আবাসিক বহুতল বিশিষ্ট ভবনগুলোর ফ্ল্যাট সংখ্যা যদি একটু বিবেচনা করা হয়, তাহলে সহযেই অনুমেয় যে, এদেশে করদাতার সংখ্যা কত হওয়া উচিত। বাস্তবতার নিরিখে সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার সীমারেখার মধ্যে অবস্থিত আবাসিক বহুতল বিশিষ্ট বাড়ীর ভাড়াটিয়াদের জীবন যাত্রার ব্যয় বিবেচনা করলে, তাদের আয় সম্পর্কে মোটামোটি একটা ধারনা পাওয়া খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। এসব ভাড়াটিয়াদের সঠিক ফ্ল্যাট ভাড়া, সাংসারিক খরচ এবং বাচ্চাদের স্কুল ইত্যাদি ব্যয় নির্বাহের উৎস্য সম্পর্কে এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার সীমারেখার মধ্যে যারা বাড়ীওয়ালা, তাদের বাড়ী তৈরীর প্রয়োজনীয় অর্থের উৎস্যসহ জীবন যাত্রার ব্যয় বিবেচনায় আনলে অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসবে। নীতি নির্ধারকদের সদিচ্ছা থাকলে- কেচো খুঁড়তে যেয়ে সাপ বেড় করে আনাও সম্ভব। এসব ভবনের মালিক এবং ভাড়াটিয়াদের মধ্যে যারা সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী, তাদের বেতন এর সাথে জীবন যাত্রার ব্যয় মিলালে দেশের দুর্নীতির পরিমানটাও বের করা সম্ভব। অভাব শুধুই সদিচ্ছার। যাই হোক-শুধু নতুন করদাতাদের সন্ধান করাই কম কিসের? এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক, করযোগ্য আয় আছে কিন্তু অনেকেই কর দেয় না, কেন? কেন তাদের মধ্যে এত করভীতি কাজ করে। জনগন কর দেবে এবং এ করের টাকায় দেশের উনśয়ন হবে। দেশের প্রতিটি উন্নয়নে একজন করদাতার বিন্দু পরিমান হলেও অবদান থাকবে। এটা একটা গর্বের বিষয় হওয়া সত্ত্বেও কেউ কর দিয়ে এমন গর্বের অংশৗদারিত্ব চায় না। এ না চাওয়ার পিছনে যে কারন, তা খুঁজে বের করা কি জরুরী নয়? উন্নত দেশগুলোতে সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে নিজেরাই আয়কর বিবরনী পুরন করে এবং পুরনকৃত আয়কর বিবরনী অনুযায়ী আয়কর পরিশোধ করে থাকেন। পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে আামাদের দেশেও অনেকেই আয়কর আইনজীবীর শরণাপন্ন না হয়ে নিজেরাই সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্বতিতে আয়কর বিবরনী পুরন করেন এবং নির্ধারিত আয়করসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়ে থাকেন। আমাদের দেশের শতভাগ লোক শিক্ষিত নয়। তাই নিজে পুরনকৃত আয়কর বিবরনীতে ভুল ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা কিছুটা থেকেই যায়। স্বংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক আয়কর বিবরনী গ্রহন করার সময় এসব ভুল ত্রুটি ধরিয়ে সংশোধনের পরামর্শ না দিয়ে ভুল ক্রটিসহ বিবরনীটি গ্রহন করেন এবং স্বংশ্লিষ্ট বছরের আয়কর পরিশোধ সংক্রান্ত সনদপত্র ইস্যুও করে থাকেন। পরবর্তীতে এ আয়কর বিবরনীগুলো নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং পান থেকে চুন খসলেই চিঠি দিয়ে তলব বা কখনো অডিটের জন্য মনোনীত করা হয়। অথচ জমা দেয়ার সময় ভুলটি ধরিয়ে দিয়ে সংশোধন করে জমা দেওয়ার সুযোগ দিলেই হত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তলবকৃত বা অডিটের জন্য প্রেরিত চিঠিতে কাগজপত্রের একটি বড় তালিকা দেয়া থাকে, যা আয়কর বিবরনী জমা দেয়ার সময় করদাতাগন জমা দিয়ে থাকলেও চিঠিতে জমা দেয়া হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। চিঠি পেয়ে স্বংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে স্বশরীরে দেখা করলে/ শুনানীতে অংশগ্রহন করলে, শুনতে হয় কটু কথা। কেন কটু কথা শুনতে হয় (কটু কথার কারনটা না হয় অব্যক্তই থাকল)। এসব ঝাক্কি ঝামেলা বা কটু কথা এড়াতে করদাতাগন একজন আয়কর আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে পারেন। কিন্তু যাদের বছরে কর-ই ধার্য হয় ৫/১০ হাজার টাকা তারা কি আইনজীবীর ফি দিয়ে পোষাতে পারবেন? বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও যান্ত্রিকতার ছোয়ায় অনেকেই নিজ পেশা বা কর্মক্ষেত্র থেকে ইচ্ছা করলেই বের হতে পারেন না। সঠিক এবং স্বচ্চভাবে আয়কর দিতে গিয়ে যদি আয়করের সমপরিমান বা কখনো বেশি টাকা আইনজীবীর ফি দিতে হয়, অন্যথায় আয়কর বিভাগ কর্তৃক হয়রানী এবং নিজ কর্মক্ষেত্রে ফাঁকিবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হয়, তবে তথাকথিত সম্মানীত করদাতা কে হতে চাইবে? জাতীয় রাজস্ববোর্ড নিজেকে করবান্ধব একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে রুপদান করতে এবং আয়কর প্রশাসক না হয়ে সেবক হওয়ার প্রয়াসে মাঝে মধ্যেই সভা সেমিনার করে থাকে। এসব আয়কর সেবক বা করবান্ধব শব্দগুলো সভা সেমিনার পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কে শোনে এ ধর্মের কাহিনী! প্রতিবছরেই আয়কর মেলার আয়োজন করে থাকে জাতীয় রাজস্ববোর্ড। এ বছরও দু’দফা আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হল। মেলা শেষে জানা যায়, প্রতিবছরের মত এ বছরও বিপুল সাড়া জাগিয়েছে আয়কর মেলা এবং অনেক আয়কর বিবরনী এবং আয়করও জমা পড়েছে। অর্থাৎ আয়কর মেলা সফল। অনেকেই ভাবে আয়কর মেলায় রিটার্ন জমা দিলে খোলা জায়গা বিধায় সেখানে কোন হয়রানী বা অন্যকোন সমস্যা হবার সুযোগ নেই। তাই নিজের আয়কর বিবরনীটিও মেলায় জমা দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেকেই। আসলে বাস্তব চিত্র হচ্ছে-এ মেলার আয়কর বিবরনীগুলো করদাতাগন যে যেভাবে জমা দেন, আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগনও খুব সম্মানের সাথে আয়কর প্রশাসক নয়, সত্যিকারের সেবকের ভুমিকায় অবতীর্ন হয়ে আয়কর বিবরনীগুলো গ্রহন করে থাকেন। মেলা শেষ হলে, আয়কর বিবরনীগুলো অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় এবং উম্মোচিত হয় আয়কর বিভাগের তথাকথিত সেবকদের আসল চেহারা। এ আয়কর বিবরনীগুলোও গ্রহন করার সময় ভুল ত্র“টি ধরিয়ে সংশোধন করার সুযোগ না দিয়ে চিঠি দিয়ে তলব বা অডিটের জন্য মনোনয়ন করে থাকেন। যাই হোক, করদাতাগন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের অফিসের চেহারা নয়, মেলার মত সেবকের চেহারা দেখতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। জাতীয় রাজস্ববোর্ড এর ওয়েবসাইট বা বিভিনś বিজ্ঞাপন দেখলে খুবই আশার সঞ্চার হয়। বাস্তব অবস্থাটা যদি আশাব্যঞ্জক করা যায়, তবে আর মাঠে ঘাটে ঘুরে করদাতা খুঁজে বেড়ানোর প্রয়োজন হবে না। শতভাগ হয়তবা নিশ্চিত করাও যাবে না। আর বিষয়টা এতই জটিল যে, এক সিদ্ধান্ত বা সরকারী একটি বিভাগ অথবা একটি মাত্র পদক্ষেপের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে পরিত্রানের কোন উপায়ও নেই। এ সমস্যার মুলে রয়েছে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। শুধুমাত্র সরকারী একটি বিভাগ তথা জাতীয় রাজস্ববোর্ড সেবকের ভুমিকায় অবতীর্ন হলেই যে সমস্যা শেষ, তা কিন্তু নয়। সরকারী সকল বিভাগকেই রাজস্ব আদায় বা রাজস্ব স্বংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। একটি উদাহরন দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই- সম্প্রতি আমার এক পরিচিত লোকের সাথে আমি ৫ বছর মেয়াদী কিছু জাতীয় সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়েছিলাম। মেয়াদ শেষে নগদায়নকালে জাতীয় সঞ্চয়পত্র এ উল্লেখিত সুদ সহ যে পরিমান টাকা পাওয়ার কথা, বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদেরকে তার চেয়ে অনেক কম টাকার একটি পে-অর্ডার ধরিয়ে দিলেন। আমরা তৎক্ষনাৎ কারনটা জানতে চাইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি জানালেন যে এ টাকা থেকে উৎসে কর কর্তন করা হয়েছে। উৎস্যে কর কর্তনের প্রমান হিসাবে আমরা প্রত্যায়ন পত্র চাইলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, এটা তার বিভাগের কাজ নয়। এ ব্যাপারে তিনি আমাদেরকে সঞ্চয়পত্র বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মহোদয়ের দপ্তরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অগত্যা সেখানে গেলে ওই বিভাগ থেকে আমাদের জানালেন যে, ০৬ মাস আগে যারা সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করেছেন, তাদের উৎস্যে কর কর্তন সংক্রান্ত প্রত্যায়ন পত্রের কাজ এখন চলছে। আর এখন যারা নগদায়ন করছেন, তাদেরটা ০৩ মাস পর ছাড়া হবে না। শুধু তাই নয়, সে এ বিষয়ে আমাদেরকে কিছু জ্ঞান প্রদান সুচক ভঙ্গিতে জানালেন, এ সনদপত্র তো কারোই এখন প্রয়োজন নেই, এটা প্রয়োজন হবে জুনের পর। সুতরাং এত তাড়াহুড়ার কিছু নেই, মাঝে মাঝে এসে খোঁজ নেয়ার জন্য তাগিদ দিলেন তিনি। তার কথায় মনে হল- তার হাতে অনেক কাজ। আর আমরা বাসায় ঘুমিয়ে কাটাই যে, তার কাছে বার বার ধরনা দেওয়ার মত অফুরন্ত সময় আমাদের আছে। একজন সম্মানীত করদাতা ছাড়া এ সনদপত্র কারো প্রয়োজন নেই। একজন করদাতা যদি আয়কর বিবরনী জমা দেওয়ার প্রক্কালে এ সনদপত্র জমা প্রদান না করেন, তাহলে করদাতাকে সঞ্চয়পত্রের একই সুদের উপর আবারও কর দিতে হবে। তাহলে বুঝা যাচ্ছে, সনদপত্রটি প্রয়োজন কেবল করদাতার, যে কর দেয়না তার কোন ঝামেলা নেই। মাঝে মধ্যে একটু আধটু মিথা বললে বা মিথ্যার আশ্রয় নিলেই হবে। তাতে তার সময় এবং টাকা দুটোই বাচবে। তাহলে কেন এদেশের মানুষ কর দিবে? মুল প্রসঙ্গ তথা নতুর করদাতার সন্ধান প্রসঙ্গে আসা যাক-এনবিআর এর কর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে অর্থাৎ বাড়ী বাড়ী গিয়ে করদাতার সন্ধান না করেও নীতি নির্ধারনের মাধ্যমে দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারী অন্যান্য বিভাগগুলোকেও রাজস্ববোর্ডের সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। যে সব নিয়ম নীতি বা শর্তগুলো আরোপ করা যেতে পারে তা হল- ১। সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার সীমারেখার মধ্যে যারা বহুতল বিশিষ্ট বাড়ীর মালিক, তারা বাড়ীর ফ্ল্যাটগুলো নিশ্চই কমার্শিয়াল বা আবাসিক ভাড়াটিয়াদের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকেন। বাড়ী তরীর পর তা ভাড়া দেওয়ার উপযুক্ত কিনা, তা দেখার কেউ নেই। বাড়িটি ভাড়া দেওয়ার উপযুক্ত কিনা ভাড়া দেওয়ার পুর্বে সংশ্লিষ্ট থানা বা অন্য কোন দপ্তর থেকে একটি সনদপত্র গ্রহন এবং বছরান্তে নবায়নের বিধান করা যেতে পারে এবং ”বাড়ীটি ভাড়া দেওয়ার উপযুক্ত” মর্মে সনদপত্র পাওয়ার/ নবায়নের পুর্বশর্ত হিসাবে সংশ্লিষ্ট বাড়ীটি সর্বশেষ করবর্ষের আয়কর বিবরনীতে দেখানো আছে কিনা, এ মর্মে সংশ্লিষ্ট আয়কর দপ্তর থেকে গৃহীত সনদপত্র জমাদান বাধ্যতামুলক করা। ২। কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রাইভেট লি: কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার হওয়ার পুর্বশর্ত হিসাবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস এ শেয়ার হোল্ডার প্রত্যাশীর সর্বশেষ বছরের টিআইএন সনদপত্র জমা দেওয়ার বিধান করা। ৩। অনেক লোক আছেন যারা এক বা একাধিক গাড়ীর (প্রাইভেট/মাইক্রো/মিনিবাস/ট্রাক) মালিক এবং গাড়ীর ফিটনেস সনদপত্র নবায়নের জন্য করনেটভুক্ত কিন্তু বার্ষিক আয়কর বিবরনী জমা দেন না, এমন সংখ্যা এদেশে মোটেই কম নয়। গাড়ীর ফিটনেস প্রদানকালে গাড়ীটি সর্বশেষ আয়কর বিবরনীতে দেখানো আছে কিনা এ মর্মে সংশ্লিষ্ট আয়কর দপ্তর থেকে গৃহীত সনদপত্র প্রদর্শন পুর্বক গাড়ীর ফিটনেস সনদপত্র প্রদান বা নবায়ন করার শর্ত জুড়ে দেওয়া যেতে পারে। ৪। প্রাইভেট লি: কোম্পানী হিসাবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস এ নিবন্ধিত কিন্তু করদাতা হিসাবে নিবন্ধিত নয়, দেশে এমন কোম্পানীর সংখ্যা যে অনেক, তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুকালে/ নবায়নকালে সর্বশেষ বছরের টিআইএন সনদপত্র দাখিল করা বাধ্যতামুলক করার শর্ত জুড়ে দিলে এবং ট্রেডলাইসেন্স ও সর্বশেষ বছরের টিআইএন ব্যতিত ব্যাংক হিসাব খোলা নিষিদ্ধ করলে করদাতা হিসাবে অনিবন্ধিত কোম্পানীগুলো করেেনটের আওতায় চলে আসবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের (মেয়াদী, সঞ্চয়ী এবং চলতি) ব্যাংক হিসাব বিবরনী সংগ্রহপুর্বক পর্যালোচনা করে নতুন করদাতা সনাক্ত করা যেতে পারে। কোম্পানী নামে ব্যাংক হিসাব খোলা, ট্রেড লাইসেন্স এবং গাড়ীর ফিটনেস সনদপত্র নবায়নকালে টিআইএন সনদপত্র জমাদানের নিয়মটি এখনো প্রচলিত আছে। সমস্যা হচ্ছে-টিআইএন সনদপত্র সর্বশেষ বছরের কিনা বা তা সঠিক কিনা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারী নেই। হলেই হল ধরনের পদ্ধতিতে চলছে। পদক্ষেপগুলো আসলে কিছুই না, সরকারী এক দপ্তরের সাথে আরেকটি দপ্তরের সংযোগ স্থাপন করা মাত্র। নীতি নির্ধারকগন এধরনের পদক্ষেপ গ্রহন থেকে কেন বিরত রয়েছেন, তা আমার বোধগম্য নয়। আলোচিত পদক্ষেপগুলো গ্রহন করলে অনেকেই করনেট এর আওতায় চলে আসতে বাধ্য হবে। তারপরও কিছু ব্যাক্তি করযোগ্য আয় থাকা সত্ত্বেও করনেটের বাহিরে থাকার সম্ভাবনা থেকেই যাবে, তবে তার সংখ্যা হবে খুবই নগন্য।
©somewhere in net ltd.