নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
রোহিঙ্গা গৃহবধূ দিলদার বেগমের বাড়ি রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের ফাদংচা
এলাকায়। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযানের নামে
মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। অবিবাহিত মেয়েদের ধরে
ধর্ষণ করছে। পুরুষ ও যুবকদের ধরে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। এর মধ্যে তাঁর
স্বামী বশির উল্লাহকেও রোববার রাতে ধরে নিয়ে গেছে। তিনি বেঁচে আছেন কি
না জানা নেই। তাই দুই মেয়েকে নিয়ে শাহপরীর দ্বীপে পালিয়ে আসেন।
আরেক রোহিঙ্গা নারী বলেন, এখানে পুলিশ কিংবা বিজিবির হাতে ধরা পড়লে
তারা মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবে। তখন রাখাইন সেনারা তাদের গুলি করে
মারবে। তার চেয়ে বাংলাদেশে মরলে অন্তত জানাজা পাওয়া যাবে।
উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে এসে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার
জেলা শাখার সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পে তিনি অনুপ্রবেশকারী
অসংখ্য রোহিঙ্গা নাগরিক দেখেছেন। এর মধ্যে অনেকের হাত-পা-বুকসহ
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কাটাছেঁড়ার দাগ। জরুরি ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন।
বিজিবি ও কোস্টগার্ড সূত্রমতে, সোমবার রাত নয়টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার
সকালছয়টা পর্যন্ত নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গা
নাগরিকবোঝাই ২০টি নৌকাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। একই সময়
উখিয়া সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি ৩৫টি শিশু,
২২ নারীসহ৬৬ রোহিঙ্গাকে আটক করে আবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে। এর
আগের কয়েক দিনে উখিয়া-টেকনাফ থেকে আরও ৩৪৫ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে
ফেরত পাঠায় বিজিবি।
জার্মানি যদি ভিন্ন সংস্কৃতি ও তীব্র সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও রিফিউজি গ্রহণ
করতে পারে আমরা কেন নয়? আমরাও তো একসময় এরকম ভুক্তভোগী ছিলাম।
মানুষ মানুষের কাছে আশ্রয় চায় এবং মানুষের কাছেই আশ্রয় পায়। প্রতিবেশী
মানুষগুলোর এমন দুর্দিনে যদি আমরা পাশে না দাঁড়াতে পাড়ি তা হলে ৭১ এর
মানবিকতার ঋণ আমরা শোধ করব কি করে?
আপনারা অনেকেই বলছেন রোহিঙ্গারা অপরাধী তাদের কারনে বাইরে আমাদের
মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে, রোহিঙ্গা আশ্রয় কোন স্থায়ী সমাধান নয়।
হ্যাঁ আপনাদের বলছি সমস্যা সমাধানের জন্য তো সময় লাগবে আর চেষ্টা চালাতে
হবে কিন্তু এতদিনে রোহিঙ্গাদের যদি আশ্রয় না দেই তাহলে ত ওরা মারাই যাবে।
তারা যদি বেশি খারাপ হয় তাহলে তাদের জেলের ভেতর রাখা হোক তারপরও
মৃত্যুর মুখে থেলে দেওয়া ঠিক হবে না।
মনে রাখবেন শুধুমাত্র জীবন রক্ষার জন্যই তারা আপনার দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করছে,
আপনার দেশ এমন কোন উন্নত দেশ নয় যেখানে শখ করে কেউ আসতে চাইবে।
আর তা হলে ব্রিটিশ কাউন্সিল, অ্যামেরিকান সেন্টার, আইএলটিএস নামক শব্দগুলা
আপনার এত পরিচিত হত না।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করে বঙ্গপোসাগরে জেগে ওঠা ভূ-খণ্ডে পুনর্বাসন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা উচিত।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ভাই দারুন বলেছে। এটি করতে পারলে আমাদেরই ভাল হবে আর অনাথ লোকগুলোও প্রানে রক্ষা পাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
সরকারের কিছু একটা করা উচিৎ